নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর মাংস ৬৫০ টাকা !

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯


সপ্তাহ জুড়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে নাটক মঞ্চস্থ হলো। নাটকের সূত্রপাত খলিল নামের রাজধানীর শাজাহানপুরের এক মাংস ব্যবসায়ী কে কেন্দ্র করে।যেখানে বর্তমানে মাংসের বাজার দর প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা সেখানে খলিল ডিসকাউন্ট দিয়ে ৫৯৫ টাকায় দরে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । খলিল কিন্তু তার ফর্মুলা গোপন করেন নাই সরল -হৃদয়ে তিনি তা সবার কাছে তুলে ধরেছেন। ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলে তিনি দিনে ৩ থেকে ৪ টি গরু জবাই দিতে পারতেন । এখন ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করাতে তিনি প্রতিদিন ৫-৭ মণ ওজনের ৩৫ থেকে ৩৭ টি গরু জবাই দিতে পারছেন । খলিলের মাংসের দোকানে বাধা ধরা কোনো নিয়ম নেই যে কেউ যে কোনো পরিমাণ মাংস ক্রয় করতে পারে এমনকি গরিবদের জন্য তিনি ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি করেন। কেজিতে লাভ কমে আসলেও সব মিলিয়ে মাংস বিক্রি করে আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভ হচ্ছে তার।

খলিল এর ব্যবহার করা ফর্মুলা কে অর্থনীতির ভাষায় ( Average Cost ) AC বা বাংলায় গড় খরচ এর সূত্র বলা হয়। মোট খরচ কে উৎপাদনের পরিমান দিয়ে ভাগ করলে গড় খরচ নির্ণয় হয় । বিষয়টা আরো সহজ করে তুলে ধরি খলিলের মাংসের দোকানের ভাড়া ,কারেন্ট বিল ,কর্মচারীদের বেতন ,পরিবহন খরচ সহ আনুষাঙ্গিক খরচের সাথে লাভ যোগ করলে যে পরিমাণ দাঁড়ায় তাকে মোট জবাই করা গরুর সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে খলিলের মাংসের দোকানের গড় খরচ নির্ণয় হবে। বুঝার সুবিধার্থে আমরা একটি কাল্পনিক সংখ্যা ধরে আগাই ধরুন খলিলের মাংসের দোকানের মোট খরচ দিনে ২০ হাজার টাকা। এখন খলিল যদি দিনে ৪ টি গরু জবাই দেয় তাহলে গড় খরচ দাঁড়াবে (২০ হাজার / ৪ ) ৫,০০০ টাকা আবার মোট জবাই করা গরুর সংখ্যা যদি বেড়ে দিনে ৩৫ টি হয় তখন তার গড় খরচ দাঁড়াবে ( ২০ হাজার / ৩৫) ৫৭১.৪২ টাকা পার্থক্যটা নিশ্চয়ই আপনাদের সামনে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। এই ফর্মুলা ব্যবহার করে খলিল বাজারদর থেকে কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ফর্মুলা ব্যবহার করে কি অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ী খলিলের মতো কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে সক্ষম হবে ? স্পষ্ট উত্তর না , সেটা কখনই সম্ভব না। কারণ এলাকার মাংস ব্যবসায়ী দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি গরু জবাই করতে পারে এর বেশি পুঁজি সংগ্রহ করা তাদের জন্য কঠিন।অন্যদিকে স্থানীয় এলাকা ভিত্তিক মাংস ব্যবসায়ী দিনে দুই বা তিনটি গরুর মাংস বিক্রির পর নতুন ক্রেতা খুঁজে পাবে না। ফলে স্থানীয় ছোট মাংস ব্যাবসায়ীদের পক্ষে গড় খরচ কমিয়ে আনা অসম্ভব । যদি তাদের কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে বাধ্য করা হয় তখন তারা লোকসানের সম্মুখীন হবে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই লোকসান থেকে বাচার জন্য তখন তারা মাংসের সাথে হাড্ডি ও চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে বিক্রি করবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে ভোক্তারা খুব একটা লাভবান হবে বলে মনে হয় না।

মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারিত হয়। মূলত গরুর মাংসের চাহিদা কমার কারণেই মাংসের বাজার দর এখন নিম্নমুখী ।এক দিকে ক্রেতারা ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস ক্রয় করতে আগ্রহী না অন্য দিকে হরতাল অবরোধের কারণে বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠান এর সংখ্যা ইদানিং কমে এসেছে । সে জন্য বর্তমানে হাটে পাইকারদের কাছে চাহিদার তুলনায় গরুর যোগান বেশি। সাধারণত হাটে এক দিন গরু রাখলে পাইকারদের গরুর খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ বাড়তি ১০০০ টাকা খরচ করতে হয়। সেই জন্য অনেক পাইকার লাভ ছাড়াই গরু বেঁচে দিচ্ছেন। যেহেতু বাজারে গরুর ক্রয় মূল্য কম সেই জন্য অনেক মাংস ব্যাবসায়ী নির্ধারিত মূল্য থেকে কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে পারছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এভাবেই চাহিদা ও যোগানের সাথে সমন্বয় করে বাজারদর নির্ধারিত হয় ।

যখন কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে মাংসের বাজার দর নিম্নমুখী এমনকি খলিলের এর সাথে তাল মিলিয়ে অনান্য ব্যবসায়ীরাও মাংসের মূল্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তখন হঠাৎ করে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের সরব হয়ে উঠার পিছনে রহস্য কি তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। তারা মাংস ব্যাবসায়ী, ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন , সুপার স্টোর সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে মাংসের মূল্য নির্ধারণে মিটিং শুরু করলো। প্রেস ও মিডিয়া মিটিংয়ের হৈ চৈ হট্টগোল দেইখা মনে হইলো মঞ্চ নাটক দেখতাছি। মাংস ব্যবসায়ীদের এক পক্ষ বলছে শাজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিল এর জন্য তারা ব্যবসায় লস খাচ্ছেন। আরেক পক্ষ বলছে খলিল মাংসে অতিরিক্ত হাড় ও চর্বি দিয়ে দাম কমিয়েছে। অন্য দিকে খলিল বলছে আপনারা ব্যবসা না করতে পারলে আমার কি দোষ। ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ বলছে যারা খলিল কে হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করা হবে। যে সব মাংস ব্যাবসায়ী মিটিং এর সময় খলিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদের দোকানে ভোক্তা কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে । মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয় উৎপাদন ও বিপননের সাথে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যাবসায়ীরা গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করবে । সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যাবসায়ী সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে এবং নির্বাচনের পর মাংসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে। এ সময় তারা সিদ্ধান্ত নেয় , প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে। এছাড়া 'রিজেক্ট' গরুর মাংস তারা বিক্রি করবে না।

যেহেতু কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই মাংসের বাজার দর কমতির দিকে যাচ্ছে তাই বলাই যায় চাহিদা ও যোগান এর সাথে সমন্বয় করে বাজার নিজে থেকেই সংশোধন হয়ে একটা লেভেলে স্থির হতো । কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা। অপেক্ষা করলে হয়তো মাংসের বাজার দর এখন যেই লেভেলে আছে তার থেকেও নিচে নেমে আসতো।আগেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রেস ডেকে মিটিং আয়োজন করার ফলে বাজার তার স্বাভাবিক গতিপথ থেকে সরে গেছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে চাহিদা ও যোগানের সমন্বয়ে মূল্য নির্ধারিত হয় এখানে চাপ প্রয়োগ করে কিংবা ব্যাবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে গেলে তা হবে অপরিপক্ক পদক্ষেপ।

লক্ষ করে দেখুন শাজাহানপুরের মাংস ব্যাবসায়ী খলিল কোনো নির্দেশনা ছাড়াই নিজে উদ্যোগে ৫৯৫ টাকা দরে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি শুরু করেছিলো । পরবর্তী সময়ে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ উপাদান ও বিপণনের সবাইকে একত্রিত করে তাদের উপর মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় তখন তারা মিলিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকশন পর্যন্ত প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করবে।আমার কাছে তো মনে হয় এখানে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ উল্টা নতুন সিন্ডিকেট এর জন্ম দিলো । আগেই তো ভালো ছিল মাংস ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা পর্যন্ত নামিয়ে এনেছিলেন। যেহেতু ভোক্তা কর্তৃপক্ষ এদেরকে এক সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখিয়ে দিয়েছে তাই সামনের দিন গুলোতে মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রতিযোগিতা দেখা যাবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া কমিয়ে দিলে ব্যবসায়ীরা এমনিতেই দাম কমাতে বাধ্য। মানুষ মাংস কেনা কমিয়ে দেওয়ায় গ্রামেগঞ্জেও ৬৫০ টাকা দরে মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: গো খাদ্যে, ঔষুধ ,ভ্যাকসিন এগুলার মূল্য না কমাইতে পারলে দীর্ঘ মেয়াদি লাভ পাওয়া যাবে না। ক্রয় করা বন্ধ করলে চাহিদা কইমা যোগান বাড়বে তখন মূল্য কিছুটা কমবে এখন তো সেটাই হচ্ছে কিন্রু এটা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান না।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

বিজন রয় বলেছেন: অর্থনেতিক দৃষ্টিকোন তেকে গরুর মাংস নিয়ে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটছে তার সুন্দর আলোচনা করেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ , অর্থনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে টাকা ছাপানোর পর মূল্যস্ফীতি বাড়বে এটাই নিয়ম এখানে ব্যাবসায়ীদের দোষ দিয়া খুব একটা ফায়দা হবে না।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকান্ডে সাংঘাতিক বিরক্ত আমি। এরা কার পক্ষ হয়ে কাজ করছে আসলে বোঝা মুশকিল সম্ভবত কর্পোরেটদের পক্ষ থেকে কাজ করছে। বড় বড় শপিংমল গুলো মার খেয়ে যাচ্ছিল সাধারণ বিক্রেতাদের কাছে- মাংসের দাম তারা জোর করে বাড়িয়ে দিল কিন্তু যখন বেড়ে যায় তখন কমানোর মুরোদ নেই কোন শালার! মাংসের দাম কমতে থাকলে অবশ্যই বাজারে গরুর দাম আরো কমে যেত এবং নিশ্চিতভাবেই কসাইরা আরো কম দামি মাংস বিক্রি করতে পারতো।
আপনার লেখা ভালো হয়েছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,আমিও খুব বিরক্ত এদের উপর তপন ভাই এদের সব কর্মকান্ড লোক দেখানো। এমনেই তো মূল্য কমে আসছিলো কোনো মিটিং এর তো প্রয়োজন ছিলো না। ইলেকশন এর আগ পর্যন্ত ৬৫০ টাকা মানে সরকারকে খুশি করলো দেখাইলো আমরা খুব কাজ করতাছি।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: ভোক্তা অধিকারই তো দেখছি আসল পাঁজীর পাঝাড়া তাইলে!!!


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: 'সর্ষের ভেতরে ভূত'

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। পোস্টে +++++



০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: এখন আমাদের জেলার গ্রামাঞ্চলে মাঝেমধ্যেই ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের রাতে চলে দস্তুরমত মাইকিং।

শহরে দাম চায় ৭০০ টাকা,দামাদামি করলে ৬৫০ টাকায় পাওয়া যায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: গ্রামে সকাল বেলা গরু মাঠে এর দিকে রওনা হয় সারা দিন এদিক ওদিক ঘুরা ঘুরি কইরা ঘাস খায়া সন্ধ্যায় ঘরে ফেরত যায়। মানে খাবার এর জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।আবার ঢাকা আনতে গেলে পরিবহন খরচ আছে রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। এর চে একটু কম দামে গ্রামেই বিক্রি করা ভালো কে এতো ঝামেলা নেয় বলেন।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

প্রামানিক বলেছেন: গত পরশু সাত শত টাকায় মহিষের মাংস কিনেছি

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: রান্না ভালো হইলে ,পেটে ক্ষুধা থাকলে গরুর মাংস হোক আর মহিষের মাংসের হোক সবই সুস্বাদু।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
খলিলকে আমি ভালো করেই চিনি। খলিল বর্তমানে অনেক টাকার মালিক। তার ফার্নিচারের ব্যবসাও আছে। গরুরু মাংসের মতোই তার ফার্নিচারের ব্যবসা জমজমাট।

খলিল এখন মাংস কাটে না। জবোও দেয় না।
তার স্টাফের সংখ্যা অনেক। তার স্টাফরা কিভাবে মানুষকে ঠকায় সেটা আমি জানি। দরিদ্র অবস্থা থেকে খলিল এখন বেশ ধনী হয়েছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনি ভালো বলতে পারবেন যেহেতু আপনি খলিল এর কাছ থেকে মাংস কিনছেন। আমি বেক্তিগত ভাবে খলিল কে চিনি না। আপনার কোথায় বুঝলাম খলিল এর মাংসের মান ভালো না। তবে বেটার বুদ্ধি আছে সাথে পয়সাও আছে না হইলে এমন গেম খেলা কঠিন আছে।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: এক মাস সারা বাংলাদেশে মাংস কেনা বন্ধ করে দিন । এই সব শয়তান গরুর মাংসের ব্যবসায়ীরা পা ধড়ে মাংস কিনতে ডাকবে ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: মাংসের দাম বাড়লে মাংস কিনা বন্ধ করবেন ,পেঁয়াজের দাম বাড়লে পেঁয়াজ কিনা বন্ধ করবেন ,ডিমের দাম বাড়লে ডিম্ কিনা বন্ধ করবেন ,এভাবে সব কিছু কিনা বন্ধ কইরা দিলে খাবেন কি ? ব্যাবসায়ীরা তো সমস্যা না অযথা ব্যাবসায়ীদের গালি দিলে তো মূল্য কমবে না মূল সমস্যা সমাধান করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.