নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন কি খতনা করানোর জন্য দেশের মানুষ সিঙ্গাপুরে যাবে ?

১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৬




আবারো খতনা করাতে যেয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার এক বারো বছরের শিশু। খতনা করার সময় চিকিৎসক শিশুর লিঙ্গের কিছু অংশ বাড়তি কেটে ফেলেন এতে দ্রুত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসক রক্তক্ষরণ বন্ধ করার সব রকম চেষ্টা করে ব্যার্থ হন ।বেথা সহ্য করতে না পেরে শিশুটি যখন চিৎকার শুরু করে তখন আত্মীয় স্বজন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখে এই অবস্থা।শিশুটির আত্মীয় স্বজন ও চিকিৎসকদের মাঝে শুরু হয় ধস্তা ধস্তি পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসক সিলেটে সেই শিশুর আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করে এবং তাদের নিজ খরচে উন্নত চিকিৎসার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ।আত্মীয় স্বজনের সম্মতিতে পরে শিশুটিকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের আল হরামাইন হাসপাতালে সেখানে আইসিইউতে রেখে শিশুটির চিকিৎসা দেওয়া হয়।চিকিৎসকরা আবার শিশুটির অস্ত্র প্রচার করে এখন শিশুটি এখন বিপদ মুক্ত। নতুন স্বাস্থ মন্ত্রী দায়িত্ব নেবার পর এটি ছিলো খতনা সংশ্লিষ্ট তৃতীয় দুর্ঘটনা এর কিছু দিন আগে দুটি ভিন্ন দুর্ঘটনায় খতনা করতে যেয়ে বাড্ডা ও রামপুরাতে দুটি শিশুর করুন মৃত্যু হয়।

কপালে মৃত্যু লেখা থাকলে চিকিৎসক তা ঠেকাতে পারবেন না। কিন্তু চিকিৎসকের অবহেলায় যদি মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি ? হঠাৎ এমন অভিযোগ তুলার কারণ ব্যাখ্যা দিচ্ছি। খতনা করানোর জন্য বারো বছরের শিশুটিকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজার এলাকায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় অথচ পনেরো দিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকার কারণে সেই ডায়গনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দিয়েছিলো । ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসক দুই জন তালা ভেঙে শিশুটিকে অপারেশন রুমে ঢুকায়। বাড্ডা ও রামপুরার খতনা সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা ঘটার পর স্বাস্থ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নড়ে চরে বসে তারা দেশব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেন এতে অনুমোদন বিহীন ডায়গনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাস্তবতা হচ্ছে চিকিৎসক আর অবৈধ ডায়গনেস্টিক সেন্টারের মালিক একে ওপরের সাথে হাত মিলিয়ে সেখানে লুকিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।এই দুর্ঘটনা তো তাই প্রমাণ করে ।

হাসপাতাল গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখবেন ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রোগীর তুলনায় ফার্মাসিটিকেল কোম্পানি লোক বেশি থাকে । আমার তো মনে হয় এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ফার্মাসিটিকেল কোম্পানি গুলা ডাক্তারদের বাসার বাথরুমের টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে গাড়ি ফ্ল্যাট সব কিনা দেয়। বিদেশী ফার্মাসিটিকেলস গুলা এরকম অনৈতিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে রাজি নয় তাই তারা দেশি ফার্মাসিটিকেলস গুলার কাছে সারেন্ডার করে সব কিছু বিক্রি করে ব্যাবসা গুটিয়ে চলে যাচ্ছে। এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা খুব কঠিন কারণ বেশিরভাগ ফার্মাসিটিকেলস কোম্পানির মালিক বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার মালিক। এরা একটা মাফিয়া সিস্টেম বানায় ফেলছে এমনকি সরকার ও এদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে দুই বার ভাবে।

সাম্প্রতিক সময়ে শুধু খতনার ক্ষেত্রে নয় সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে । স্বাস্থ খাতে হঠাৎ কেনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো তা নিয়ে সবার ভাবা দরকার। সাধারণ মানুষ তো আর সিঙ্গাপুর লন্ডনে যেতে পারে না দেশের চিকিৎসাই তাদের শেষ ভরসা। কর্তৃপক্ষ যদি এতো নরম আচরণ করে তাহলে কেউ পাত্তা দিবে না একটু কঠিন হতে হবে প্রয়োজনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিছুদিন আগে রেডিটে এ সংক্রান্ত একটা লেখা ও তার নিচে কমেন্ট দেখে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

মূলত মুসলিমেরা এটি করে থাকে, এবং এর বিশেষ কিছু কারণ ও সুবিধাও আছে। তবে রেডিটের কমেন্ট গুলি পড়ে বুঝতে বাকি ছিলো না যে কত মানুষ এটার বিপক্ষে। এবং এই বিরুদ্ধাচারণ যতটা না দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে, তার থেকে বেশী হচ্ছে ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে।

হঠাৎ করে এইরকম ঘটনা পর পর ঘটা একটা বিপদের সংকেত দিচ্ছে। আগামীকাল যদি কেউ শাহবাগ বা প্রেস ক্লাবের সামনে "আইন করে খাৎনা করা বন্ধ করো" ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে যায়, কিংবা কোর্টে "কেন খাৎনা করা নিষিদ্ধ করা হবে না" জানতে চেয়ে রীট করে বসে, খুব একটা অবাক হবো না। হয়ত আপনার পোষ্টেই মন্তব্য পড়বে এমন, অথবা কোন একটা পোষ্টই হয়ত আসবে!

আমার কাছে একটু অবাক লাগছে হঠাৎই কি করে এই দুর্ঘটনা এত কম সময়ের মধ্যে এতবার ঘটলো। হাজামেরা কি কাজ হারিয়ে ঔষধ কম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের মত করে ডাক্তারদের ঘুষ দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে? এই প্রশ্ন হাস্যকর হলে ও অবান্তর না!

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ? মনে হয় না তেমন কিছু ।বুঝেন না সব তো নতুন প্রজন্মের জিপিএ ফাইভ ডাক্তার এই জন্য এই অবস্থা একটা কাটতে জায়া আরেকটা কাইটা ফেলে।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনাদের এলাকায় হাজাম নাই?
এই সব জায়গায় যান কেন?

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ডাক্তার দের যদি এই অবস্থা হয় তে হইলে হাজাম দের উপর কেমনে ভরসা করি দেখা যাবে পুরাটাই কাইটা ফেলছে তখন জরিমানা দেবে কে ?

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দুঃখজনক। বন্ধ হোক অপচিকিৎসা।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক ভাগ্য ভালো পয়ত্রিশ বছর আগে খতনা করাইছি না হইলে শালারা এই জিপিএ ফাইভ ডাক্তারা আমারে মাইরা ফেলতো

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: ডাক্তার সামন্ত লাল সেন এই ব্যাপারে কি ভাবছে?

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: কি জানি ভাই উনি কি ভাবতেছে তা তো জানি না তবে মানুষ যে ভয় পাইছে তা নিশ্চিত। স্কয়ার হাসপাতাল বা এভারকেয়ার হাসপাতাল খতনা করাইতে হাৰে না হইলে বিপদ

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

নতুন বলেছেন: যদিও ধর্মীয় কারনেই মুসলমান এবং খৃস্টিয়ানদের প্রায় সবাই খাতনা করে থাকে।

তবে যার phimosis জাতিয় সমস্যা আছে তাদের ছাড়া অন্যদের খাতনা না করালে কোন সমস্যা নাই তো!

ছেলেদের যন্ত্র পরিস্কারের ট্রেনিং দিলে খাতনা না করালে কোন সমস্যা নাই।

যাদের phimosis থাকবে তারা খাতনা করাবে ডাক্তারের পরামর্শে।

আর খাতনা ফরজ কোন হুকুম না। যে না করালে মুসলমান হতে পারবেনা।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: খতনা ফরজ হুকুম না এর মানে কি আপনার কি খিদা লাগছে ?

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা হা খতনা ফরজ হুকুম না আমার মনে হয় আপনার খিদা লাগছে


ভাই ফরজ অর্থ জানেন? না জানা থাকলে একটু যাইনা আসেন। ;)

খাতনা ফরজ না, সুন্নাহ এটা কে মুসতাহাবও বলে...

কিন্তু কোরানে খাতনার কথা নাই অর্থ এটা ফরজ না।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ও ফরজ না, সুন্নাহ সেটা বলতাছেন আমি তো আপনার কথা প্রথমে বুঝি নাই এখন বুঝতে পারছি

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯

নতুন বলেছেন: খাতনা করা ভালো. কিন্তু ফরজ না। ;)


হাদিস অনুযায়ী মহিলাদের খাতনা করাতেও রাসুল সা: নিষেধ করেন নাই।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: বন্ধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এভাবে তালা ভেঙ্গে ঢুকে অপারেশন। যাকে খৎনা করিয়েছে তাঁর অভিভাবকেরাও কম দায়ী নয়। সবাইতো জেল খাটবে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আত্মীয় স্বজন গ্রামের মানুষ এরা খুব একটা বুঝে না বুঝলে তো আর এই সিলগালা ডায়গনস্টিক সেন্টারে ছেলেকে ঢুকায় না সেই সুযোগটাই নিছে এই ডাক্তার

৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


খতনা বলেন আর মুসলমানি বলেন এটা সত্যিকার অর্থে বড় কোন অপারেশন না।
এই এটা নিতান্তই সামান্য একটা কাজ।
ছেলেদের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে আলগা ত্বক থাকে সেটাকে কেটে ফেলে দেওয়া।
এই সামান্য কাজটুকু করতে গিয়ে ঢাকার ডাক্তার সাহেবেরা লঙ্কা কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।
এর চেয়ে হাজামেরা অনেক গুণ বেশি দক্ষ
ডাক্তারদেরকে বরখাস্ত করে হাজামদের কে নিয়োগ দেওয়া হোক।
তাতে দেশ উপকৃত হবে, জাতি ধন্য হবে।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৬

বিষাদ সময় বলেছেন: এ দেশে একই রকমের শত সহস্র দুর্ঘটনা, অবহেলা প্রতিদিন হয়। এ ধরনের কোন একটা খবর যখন কোন পত্রিকায় আলোড়ন তুলে তখন সব পত্রিকা একই ধরনে খবর খুজা শুরু করে। একই বিষয় নিয়ে একধিক দুর্ঘটনার খবর পড়েত মানুষ পছন্দ করে, সে কারণেই অন্য পত্রিকাগুলো তখন খোজা খুজি করে সে ধরনের খবর ছাপায়।
আর আমাদের ডাক্তারদের সতত, দক্ষতা, আন্তরিকতা, দায়বদ্ধতা নিয়ে........বলা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
তবে খৎনার ক্ষেত্রে ধর্ম ছাড়াও অতি আগ্রহের আরেও কারণ রয়েছে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,সেটাই আমি যখন আপনার উত্তর লিখছি তখন নারায়ণগঞ্জে আরেকটি শিশু টনসিলের অপারেশন করতে যেয়ে মারা গেছে খুবই দুঃখজনক শিশুটি মারা যাওয়ার পর ডাক্তার নার্স সবাই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে।

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



তাই বলে নুনু কেটে মেরে ফেলবে!

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: আমরা তো বাঙ্গি বা হাজাম দিয়েই করেছি। দাদা বলল উপরে দেখ তো কি যায় আমি বললাম কই কিছুই নাতো, দাদা কইল ভাল করে দ্যাখ একটা পাখি উড়ে গেল। ব্যস ঐ পাশ দিয়ে পাখির মাথা কাটা শ্যাষ। কিছুই বুঝলাম না , নাই কোন ব্যথা নাই কোন কিছু। যাকগে মর্ডান যুগের বাবা-মা রা একটু বেশি আধুনিকতা দেখাতে গিয়ে এটা হচ্ছে, সাথে ডাক্তাররাও সমান দায়ী।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আগে তো সবাই হাজাম দিয়া করাইতো তখন তো আর সব জায়গায় ডাক্তার ছিলো না। আমি অবশ্য ডাক্তার দিয়া কারাইছিলাম ধানমন্ডির এক ক্লিনিকে এখনো মনে আছে ডাক্তার আমাকে ওটিতে ঢুকায়া বেলুন ফুলাইতে দিছিলো বলছিলো জোরে ফুলাও আমি বেলুনে দুই তিন বার ফু দেওয়ার পর দেখি চোখ বন্ধ হওয়া আসতাছে চেষ্টা কইরাও চোখ খোলা রাখতে পারলাম না । তখনি বুঝতে পারছি আমার সর্বনাশ হয় গেছে। যাক অপারেশন শেষ হওয়ার পর জীবনে প্রথম লুঙ্গি পইরা বাসায় ফিরলাম। এর পর যখনি লুঙ্গির সাথে ঘষা লাগে তখনি ব্যাথায় জান বাইর হওয়া যায় সে যে কি কষ্ট এমন অবস্থায় আরো দুই তিন দিন পার করলাম। এখন যে অবস্থা ওটিতে ঢুকাইলে জানলা দিয়া লাফ মাইরা পালাইতাম

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আগে বাড়ি বাড়ি হাজম গিয়ে নুনু কেটে দিতো। তাতে কোনোদিন কারো মৃত্যু হয় নাই। এখন লোকজন আধুনিক হাসপাতালে যায় নুনু কাটাতে। এবং মৃত্যু হচ্ছে।

আমার মুসলমানি হয়েছে বাসায়।
হাজম দিয়ে। দুই মিনিটে ঝামেলা শেষ।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম তখন তো হাজাম ছাড়া উপায় ছিল না হয়তো তখোনো দুই একটা দুর্ঘটনা ঘটতো হয়তো আমরা খবর পাইতাম না কে জানে ?তখন তো বিটিভি আর ইত্তেফাক ছাড়া কিছু ছিলো না

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: যেকোন প্রসিডিওর বা সার্জারী করানোর আগে প্রসিডিওরকারী চিকিৎসক বা সার্জন ও এনেস্থেটিস্ট সম্পর্কে খোজ নেয়াটা জরুরী। আমাদের রোগীরা সেটা করেন না।
রোগীরা যত সম্ভব কম খরচে 'কাজ' সারায়ে ফেলতে চান। খতনা করানোর আগে রক্তের দুটো জরুরি পরীক্ষা অন্তত করে নিতে হয়: ব্লিডিং টাইম ও ক্লটিং টাইম। জেলা শহরে করতে খরচ মাত্র ২০০-৩০০ টাকা।
আমার এক রোগীর ছেলেকে খতনা করানোর আগে টেস্ট করাতে বললাম। সর্বোচ্চ ডিস্কাউন্ট ও লিখে দিলাম, যাতে কমে করতে পারে। তাও করল না। গরীব মানুষ বলে কথা! ২ ছেলের খতনা করে দেবার পর দেখা গেল ছোট ছেলের সেইদিন রাত থেকে ব্লিডিং শুরু হয়েছে, বন্ধ হচ্ছেনা। পরে সন্দেহ থেকে ঢাকায় পাঠালাম গ্রিন ভিউ হাসপাতালে, অধ্যাপক ইউনুস স্যার পরিচিত ছিলেন। ডায়াগনোসিস হল ব্লিডিং ডিজ অর্ডার। ফ্যাক্টর ৮ ডেফিসিয়েন্সি! পুরো প্রসেসে আমি কোন পয়সা না নিলেও খরচ হইছিল ৩০ হাজার টাকা। অথচ ৩০০ টাকার টেস্টটা করলে আর এই ঝামেলা লাগেই না।
এরপর থেকে আর অনুরোধে ঢেকি গিলি না।
যেটা বাধ্যতামূলক, সেটা না করলে কিংবা যথাযথ ভাল হাসপাতালে ভাল এনেস্থেটিস্ট নিয়ে কাজ করলে যথাযথ বিল না দিলে কাজে হাত দেই না।
কি দরকার যেচে বিপদে পড়ার? কম খামু, ভাল থাকমু, টেনশন কম।

১২ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সে জন্যই বলে সাবধানের মাইর নাই অযথা ঝুঁকি নেওয়ার তো কোনো প্রয়োজন নাই।সব শারীরিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে ওটিতে রোগী ঢুকানো উচিত ভাল এনেস্থেটিস্ট ছাড়া অপারেশন যাওয়া মানে অযথা ঝুঁকি নেওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.