নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
“ মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায় ” ইদানিং সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধিদের দেখলে এই কথাটা বার বার মনে হয়। ৫ আগস্টের আগে উনারা এক সুরে কথা বলতো এখন আরেক শুরে কথা বলে। এদের দেখলে খুব অচেনা মনে হয় ,এদের কথার ধরণ ,চোখের চাহুনি , হাব ভাব সব কিছুই বদলে গেছে । সুবিধাবাদী লোকজন সময়ের সাথে পরিবর্তন হবে সেটাই স্বাভাবিক তাও কেনো জানি মেনে নিতে কষ্ট হয় । যারা এভাবে গিরগিটির মতো রং পরিবর্তন করে তাদেরকে আমার স্বৈরাচারের থেকেও বেশি ভয়ংকর মনে হয়।
কিছু দিন আগে ফরহাদ মাজহার এর একটি স্টাটাস চোখে পড়লো ,দেখলাম উনি চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবিতে কান্নাকাটি করে ফেসবুক ভাসিয়ে ফেলেছেন। তিনি সবাইকে হিন্দু মানেই দিল্লির দালাল, বিজেপির এজেন্ট, হিন্দুত্ববাদী এই ধরনের সাম্প্রদায়িক ট্যাগিং না করার অনুরোধ করেন । তিনি আরো বলেন , মোটা মাথা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে ভারতকে মোকাবেলা করা যাবে না। যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে রাজনীতি ব্যাখ্যা করেন ও ক্রমাগত গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি উপদেষ্টাদের মূর্খ বলেন তাদের অ্যান্টেনা সাফ ও তীক্ষ্ণ করার পরামর্শ দেন।
মুরুব্বি মানুষ উনার বিষয়ে মন্তব্য করতেও খারাপ লাগে। উনি আসলে লালনবাদ, পালনবাদ, সুফিবাদ, ইসকনবাদ সব মিলিয়ে বরবাদ হয়ে গেছেন ।কি বুঝে উনি এমন একজন দুশ্চরিত্রের মানুষের পক্ষে সাফাই গাইলেন ঠিক বুঝলাম না। লুইচ্চা চিন্ময় এর সাথে যে ভাবে জোরাজোরি করে ছবি তুলেছে তাতে বুঝা যায় ইসকনের সাথে উনার সম্পর্ক অনেক গভীর। সনাতনী জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রাম ও রংপুরের সমাবেশে বিজেপির পতাকা উড়িয়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়েছে তাও উনি তাদের বিজেপি ট্যাগ দিতে রাজি না কি আজব ! ভেবেছিলাম চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যা পর উনি হয়তো উনার ভুল বুঝতে পারবেন কিন্তু না উনার মধ্যে কোনো অনুসুচনাই দেখা যাচ্ছে না ।
আরেক জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধির কর্মকান্ড সবার নজরে এসেছে তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে গত ২৯ জুলাই আইনজীবীদের একটি দল হাইকোর্টে আবেদন করে।তাদের মধ্যে একজন ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।এমনকি শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি। অথচ এখন তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করতে চান ।
আদালত পাড়ায় উকিল হিসাবে উনার খুব একটা নাম ডাক নেই হয়তো সেই কারণেই ডিগবাজি দিয়েছেন। যেহেতু স্বৈরাচারের দোসররা সব পলাতক এখন উলটা পালটা কথা বললে সহজেই গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তাই নিজেকে লাইম লাইটে নেওয়ার জন্য এই পথ উনি বেছে নিয়েছেন। অবশ্য এই রকম দুই একটা জোকার না থাকলে গল্পের আসর জমে উঠে না।
সুশীল সমাজের আরেক প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল নিজের ইউ টিউবে চ্যানেল থেকে স্বৈরাচারের বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলেন। সহজ সরল বাচন ভঙ্গির জন্য উনি খুব অল্প সময়ের মাঝে মানুষের মনে স্থান করে নেন।অনেক প্রবাসী সাংবাদিক বিদেশে বসে ভিডিও বানান কিন্তু দেশে বসে ভিডিও বানাতে অনেক সাহসের প্রয়োজন।অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সপ্তাহ খানেক উনি সাপোর্ট দিয়েছেন তারপর ধীরে ধীরে উনার ও রং পরিবর্তন শুরু হয় । কিছু দিন আগে এক অনুষ্ঠানে বললেন ছাত্রদের উপদেষ্টা বানানো ছিল এই সরকারের সব থেকে বড় ভুল। এই সরকার দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে পারছে না চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
অবাক হয়ে উনার কথা গুলো শুনছিলাম আর ভাবছিলাম কি ভাবে মানুষ এক নিমেষে পরিবর্তন হয়ে যায়। উনি খুব ভালো মতোই জানে গত পনেরো বছর স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছেড়েছে। সেই অতিরিক্ত টাকা বাজার থেকে উঠিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত দ্রব্যমূলের উর্ধগতি ঠেকানো সম্ভব না । এই অতিরিক্ত টাকা বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে আরো দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে সেটা জেনেও উনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে দিলেন। পনেরো বছরের জঞ্জাল তিন মাসের মধ্যে পরিষ্কার করা সম্ভব না সেটা জেনেও উনি সাধারণ মানুষকে অন্তর্বর্তী সরকার এর উপর ক্ষেপিয়ে তুলছেন।
ইদানিং ছাত্রদের কথা শুনলে উনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। ছাত্ররা উপদেষ্টা হইছে এটা উনি সহ্য করতে পারছেন না। কিছু দিন আগে কলকাতার চিকিৎসকরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো এভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুললো না কেন ? তে হইলে আমরা জনগণ ছাত্রদের বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বানাতাম । বাস্তব সত্য হচ্ছে ছাত্ররা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে ,ওরাই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে, ওরা যদি নেতৃত্ব দিতে চায় দেক ওরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা আর কয় দিন বাচবো এক পা তো কবরে চলেই গেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে প্রস্তুত হতে সাহায্য করেন তাদের ভুল গুলো ধরিয়ে দেন তাদের সঠিক নির্দেশনা দেন। সাহায্য না করতে চাইলে অন্তত বাধা দিয়েন না।পছন্দের দল ক্ষমতায় আসলে খুব বেশি হইলে প্রেস ক্লাবে ভালো পদ পাবেন তার চে বেশি হইলে হয়তো কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেল এর লাইসেন্স বাগিয়ে নিতে পারবেন সেই লোভে দেশের বারোটা বাজায়েন না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: দেখলে মনে হয় এরা ভাজা মাছটাও উলটে খেতে পারে না কিন্তু আসলে তো এরা গভীর জলের মাছ।যারা এমন গিরগিটির মতো রং পাল্টায় তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকাটাই শ্রেয়।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭
নতুন বলেছেন: উপদেস্টা না হতে পেরে অনেকেই নাখোশ হয়েছেন। তারা কম বয়সীদের ক্ষমতায় বসা সহ্য করতে পারছেন না।
অনেকেরই আশা ছিলো, ছাত্ররা আন্দোলেন করে হাসিনাকে হঠিয়ে তারা মুরুব্বিদের হাতে সব তুলে দিয়ে বাড়ী ফিরে যাবে।
এই সরকারের বিরোধিতার অর্থই আগের দূনিতি, অনিয়মের পক্ষে দাড়ানো।
বর্তমানের সরকারকে সাহাজ্য করলেই না তারা দূনিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে পারবেন। সেটা না করে প্রতিদিনই নতুন নতুন ঝামেলা নিয়ে আসছে জনগন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: এই তো আপনি আসল পয়েন্টে চলে আসছেন অনেকেই মনে মনে মনকলা খেয়ে বসে আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ না পাওয়াতে উনাদের মন খারাপ। জনগণ ঝামেলা নিয়ে আসছে কারণ পিছন থেকে স্বৈরাচার ও ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী এদের উসকে দিচ্ছে। দেশের মানুষ একত্রে থাকলে ওরা আর সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের মধ্যে তো বিভাজন সেটাই তো সমস্যা। এর মাঝে বাজারে নতুন নতুন দালালের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: যদি কেউ দেশের ভালো চায় তবে সরকারকে কেন মানুষ সাহাজ্য করছে না?
কারন একটাই। ব্যক্তি সার্থ উদ্ধার না হওয়া, অথবা দূনিতিবাজেরা ভয় পাচ্ছে যে তারা বিপদে পড়ছে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,আপনার সাথে ১০০ % সহমত পোষণ করলাম সঠিক বলেছেন।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: কামাল সাহেবকে খুব পছন্দ করতাম আমি, এখনো করি- তবে উনার ইদানীং কালের কথাবার্তা ভাল লাগছে না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: তপন ভাই আমিও উনাকে খুব পছন্দ করতাম একেবারে ডাউন টু আর্থ মনে হইতো লোকটাকে। কিন্তু এখন উনার কথা বাত্রার ধরণ পালটে গেছে চোখের দিকে তাকালে আগের সেই সরলতা খুঁজে পাওয়া যায় না। উনি এখন শেয়ানা হয়ে গেছে হয়তো কোনো দিক থেকে থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে উনারা যদি এভাবে পোলটি মারে তে হলে ভারত বাংলাদেশ দেখভালের জন্য নতুন রাখাল নিয়োগ দিবে। আবার সুযোগ পাইলে মানচিত্র থেকে রংপুর আর চট্টগ্রাম কাইট্টা লায়া যাইবো।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: জেড আই পান্নার মেসেজ ফাশ হয়েছে যেখানে তার স্বরুপ উন্মোচন হয়ে গেছে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,নানা তো একটা মাল ম্যাসেজ ফাঁস হওয়ার পর অসুস্থ হওয়ার ভান ধইরা বিছানায় শুয়ে আছে ঘর থেকা বাইর হয় না
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
আমাদের ছাত্ররা ফাঁসকরা প্রশ্লপত্র না'পেলে পরীক্ষা দিতে পারে না; সেইসব গর্দভরা সরকারে আছে শুললে একমাত্র দেশের বাকী গর্দভরা নিশ্চিন্তে বোঝা বইতে পারার কথা।
দেশে জনসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ কিন্তু মানুষ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: জেনারেশন ৭১ না ঠিকই আছে আপনার তো বাক্যগঠন বানান কোনো কিছুই ঠিক নাই প্রথম লাইন অনেক কষ্টে বুঝতে পারছি বাকি দুই লাইনে বুঝি না। বাক্য গঠন ঠিক না হইলে মানুষ তো আপনার কথা বুঝবে না। প্রশ্ন ফাঁসের দায় তো সরকারের ,ছাত্ররা পরীক্ষা দেয় প্রশ্ন বানায় না।দেশের জনসংখার শতকরা ৫ ভাগ মানুষ আর ৯৫ ভাগ কি ? কুত্তা বিলাই
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আজব লিংকন বলেছেন: সাংবাদিক মাসুদ কামাল সাহেবের কয়েকটি ভিডিও আমি দেখেছি। উনি ভাল বলেন।
উনি কোন পক্ষের এখনো ধরতে পারি নাই তাই আপাতত মনে হয়েছে উনি আর যাই হোক হলুদ সাংবাদিক নয়।
সুন্দর লিখেছেন শিশির ভাই।।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ,লিংকন ভাই ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
ভাঙ্গা তরী -৭৭৯ বলেছেন: দু তিনজনের নাম উল্লেখ করতে দেখলাম। ব্যাপারটা সন্তোষজনক নয়। গনতান্ত্রিক দেশে সরকারের বিপক্ষে কথা বলার লোক না থাকলে সেটা স্বৈরতন্ত্র । আশা করি যে গনতন্ত্রের স্বপ্ন দেখানো হয়েছে সেখানে ভিন্ন মতের লোকজনের সংখ্যা আরও বেশী থাকবে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: এটা গণতান্ত্রিক সরকার না অন্তর্বর্তী সরকার ,এই সরকার সফল না হলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে তাই এই সরকার কে সফল করার দায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৫
ভাঙ্গা তরী -৭৭৯ বলেছেন: অন্তবর্তী সরকার জন্য কি সমালোচনা করতে নেই ? সরকারকে সফল করতেই সমালোচনা হওয়া দরকার।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সমালোচনা আর শয়তানির মধ্যে পার্থক্য আছে সেটা বুঝতে হবে যেমন দেখেন ফরহাদ মাজহার ইসকনের এর নেতা চিন্ময়কে গ্রেফতার করাতে সরকারের সমালোচনা করেছেন। আমার হিসাবে এটা সমালোচনা না এটা শয়তানি। উনি খুব ভালো মতোই জানে ইসকন যদি এভাবে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠান করতে থাকে যে কোনো সময় কাঠমোল্লাদের সাথে গ্যাঞ্জাম লাইগা যাবে এতে দেশের ভিতর দাঙ্গা সৃষ্টি হবে। সেটা জানার পরও উনি তাদের মুক্তি চাচ্ছেন বুঝতেছেন বিষয়টা।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরনের লোক বুদ্ধিজীবী বলেই আজকে আমাদের এই জাতির এই অবস্থা। মৌলবি আহমেদ ছফা এই কারণেই হয়তো দেশ স্বাধীনের পরে বলেছিলেন যে 'বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন হবে না। '
জেড আই খান পান্না হলেন দল কানা বুদ্ধিজীবী। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করার কিছু উনি খুঁজে পান না।
ফরহাদ মজহার জ্ঞানের ভারে সম্ভবত খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বাম রাজনীতি করেছেন, সিরাজ শিকদারের অনুসারী ছিলেন আবার জামায়াতের সমর্থক ছিলেন এক সময়। উনি যে আসলে কোন মতবাদে বিশ্বাস করেন সেটা বোঝা মুশকিল।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আওয়ামী লীগের সমালোচনা করার কিছু উনি খুঁজে পান না …………..দারুন বলছেন এটা ২০২৪ সালের শ্রেষ্ঠ জোক। ফরহাদ মাজহার লালনবাদ, পালনবাদ, সুফিবাদ, ইসকনবাদ সব মিলিয়ে বরবাদ হয়ে গেছে।
১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জেড আই পান্না আর মাসুদ কামাল চার মাস পরের কথাবার্তা বলছেন, কিন্তু আপনি এখনও চার মাস আগেই আছেন। আওয়ামী লীগ যেমন শুধু ’৭১ নিয়ে পড়ে থাকত অনেকটা তেমন। দেশে যে এতকিছু হচ্ছে সেদিকে নজর নেই। চার মাস আগেও যারা শেখ হাসিনার পতনে খুশি হয়েছিল তাদের অনেকেই এখন কেন বলে আগেই ভালো ছিলাম? এরা সবাই কিন্তু আওয়ামী লীগের নয়। খোলা চোখে আশপাশ দেখুন।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আগেই ভালো ছিলাম যারা বলে তারা তো বিকাশ যোদ্ধা। আরাফাত ( কুমড়ো পটাশ ) সিঙ্গাপুরের এস আলমের একাউন্ট থেকে তাদের বিকাশে ২০০ টাকা পাঠায় বিনিময়ে তারা দুই হাজার বার বিভিন্ন কমেন্ট এর নিচে লেখে” আগেই ভালো ছিলাম “এই কৌশল আপনি এখনো বুঝেন নাই দাদা। মাসুদ কামাল চার মাস পরে কি হবে সেটা লিখতেছে তাই নাকি উনি তো এই সপ্তাহে কি হবে সেটাই ঠিক মতো বলতে পারে না। আমি অতীতে না দাদা বর্তমানে আছি আপনি মনে হয় মাসুদ কামালের কাল্পনিক জগতে চলে গেছেন।
১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১২
কামাল১৮ বলেছেন: উনাকে চিনি যখন মার্কসবাদী ছিলো তখন থেকে।তার পর আর যোগাযোগ নাই।প্রয়োজনও নাই।এমন টাউটের সাথে যোগাযোগ না থাকাই ভালো।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হায় খোদা কামাল ভাই ও হেরে টাউট কইছে তে হইলে তো এই বেটা খালি টাইট না ইন্টান্যাশনাল টাউট। যাক ১০ বছরের ব্লগ জীবনে এই প্রথম আপনার সাথে আমি এক মত পোষণ করলাম।
১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০১
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: ফরহাদ মাজহার লালনবাদ, পালনবাদ, সুফিবাদ, ইসকনবাদ সব মিলিয়ে বরবাদ হয়ে গেছে....- সুন্দর বিশ্লেষণ !
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সেটাই সাদা কাপড় এর লোক যদি গেরুয়া কাপড় এর লোক এর সাথে জোরাজোরি করলে এই অবস্থা হয়
১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৫
রাকু হাসান বলেছেন:
ছাত্রদের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখছি। নতুনরা রাজনীতি,সরকারে আসুক । ব্যাপক পরিবর্তন নতুনদের হাতেই সম্ভব । মাসুদ কামাল শুরু থেকেই স্বৈরাচারের সমর্থক ছিলো। শেষ ক'বছর ধরে ভোল্ট পাল্টিয়েছে।ফরহাদ মাজহার তো বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের চেয়েও পরিবর্তনশীল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৮
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সঠিক বিশ্লেষণ আসলেই ফরহাদ মাজহারের দুনিয়া বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সুন্দর বলছেন
১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৩২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মাজহার সাহেব অনেক সময়ই উল্টো-পাল্টা কথা বলেন, তবে সব যে ভুল বলেন তাও নয়। তার লিখা বিভিন্ন কলাম আমি পড়েছি বা এখনো পড়ি, বেশীরভাগ কথা-বার্তাই আমার পছন্দ নয়। পান্না সাহেব আরেক চরিত্র, উনিও আমার অপছন্দনীয় একজন। বয়স হলে উল্টা-পাল্টা বা ভেবে-চিন্তে কথা-বার্তা না বলার প্রবণতাটাও অস্বাভাবিক নয়। এই ব্লগেও এমন চরিত্র রয়েছে। এরা সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি তাই তাদের নিয়ে আমি কোন নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না। শুধু বলবো, অস্মানিত হওয়ার চেয়ে উনাদের স্থায়ী রিটায়ারমেন্টে যাওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: কে জানে ভাই এরা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে এটা আরেক রহস্য তবে সবাই শেয়ানা মাল এতে সন্দেহ নাই
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: রাকু হাসান বলেছেন ছাত্রদের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখছি। নতুনরা রাজনীতি,সরকারে আসুক । ব্যাপক পরিবর্তন নতুনদের হাতেই সম্ভব ।
আমিও তাই মনে করি। বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সেরা মুভ এটাই। এই ব্লগেরই একজন ব্লগার উদাহরণ দিয়েছিলেন যে আশির দশকে বেলবটম ছেলেদের জন্য আধুনিক ফ্যাশন হিসেবে বিবেচিত ছিল, কিন্তু সময়ের বিবর্তনে বর্তমানে তা মেয়েদের পালাজ্জো হয়ে গেছে, অনেক বুইড়া ভাম সেটা এখনও ধরতে পারেনি। তরুণরাই গড়বে দেশটাকে।
ফাহাম আব্দুস সালাম বেশ আগেই তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার একটাই উপায়, সেটা হলো আগের চার প্রজন্ম এবং আপনাদের মাঝে বিশাল দেয়াল তৈরি করা।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সেটা ঠিক আছে কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের যে কোনো দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন করতে হলে পিছনে সুপার পাওয়ারের ব্যাকআপ লাগে ভারত কে মাইর দিতে হলে আমাদের সাথে আরেকটা সুপার পাওয়ার লাগবে। আমেরিকার উপস্থিতি আরো বাড়াতে হবে না হলে শুভেন্দুর মতো আবাল নেতাও আমাদের থ্রেট দিবে আর দেশের ভিতর যারা ভারতের দালাল হিসাবে চিন্নিত হবে তাদের সাইজ করতে হবে তখন আটো বাকি গুলা সাবধান হবে।
১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
লেখাটিতে বর্তমান সময়ের বৃদ্ধদের ভিমরতি সর্ম্পকে বেশ তথ্যবহুল আলোচনা হয়েছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: এগুলা স্যাম্পল খুঁজলে এমন আরো ডজন খানেক পাওয়া যাবে এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এরা যদি না শুধরায় তাহলে এদের মিউট করতে হবে না হলে কানের কাছে মাছির মতো ভন ভন করতে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মানুষরূপি এই সকল গিরগিট সমাজের ক্যান্সার! দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু।