নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চিকিৎসকরা শাহবাগের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে দেখে এতো লজ্জা লাগলো। গার্মেন্টস শ্রমিকরা অশিক্ষিত তারা রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করে। চিকিৎসকরা তো উচ্চ শিক্ষিত তারাও যদি এমন আচরণ করে তাহলে আমরা কোথায় যাবো ? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যে ধ্বংস হয়ে গেছে সেটা এই চিকিৎসকদের কর্মকান্ড দেখলে বুঝা যায়। কি অদ্ভুত তারা যে একটা অন্যায় অনৈতিক কাজ করছে সেটাও তারা বুঝতে পারছে না। যারা এভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নিজেদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন করে তাদের কাছ থেকে আর যাই হোক সেবা পাওয়া সম্ভব না। এখন বুঝতেছি এই জন্যই বাংলাদেশের মানুষ এতো অপমানিত হওয়ার পরও ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় কেন।
আরেকটা অস্ত্র আছে এদের ,কিছু হইলেই কর্মবিরতি রোগী দেখবে না আউট ডোর সেবা বন্ধ। এদের কে বুঝাবে কর্মবিরতি এক জন চিকিৎসকের জন্য সর্ব শেষ অস্ত্র ,তারা মানুষেকে জরুরি সেবা দেয়।নিজের দাবি আদায়ের জন্য আপনি এক জন অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দিতে পারেন না।এতো চাহিদা থাকলে এই মহান পেশায় আসছেন কেন ? ধরেন এক জন চিকিৎসকের বাসায় আগুন লাগলো এখন যদি ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন বলে আমরা কর্মবিরতিতে আছি আগুন নিভাইতে পারবো না তখন তাদের কেমন লাগবে।ভালো ডাক্তার তো পরে আগে ভালো মানুষ হইতে হবে এমন অমানুষের মতো কাজ করলে সাধারণ মানুষ আর চিকিৎসকদের সম্মান করবে না উলটা গালি দিবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেইনি চিকিৎসকরা পঁচিশ হাজার টাকা ভাতা পান তারা এখন ভাতা বাড়িয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছে । দাবি আদায়ের জন্য একশো একটা পথ খোলা আছে সড়ক অবরোধ কিংবা কর্মবিরতি এক জন চিকিৎসকদের জন্য সঠিক পথ নয় এটা ব্ল্যাকমেইল।এদের দেখলে মনে হয় স্বৈরাচারী হাসিনাই ঠিক ছিলো ওই আমলে চিকিৎসকরা যদি এভাবে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করতো তে হলে এতক্ষনে ছাত্রলীগ এসে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাত্ব করতো সেটাই মনে হয় ঠিক ছিলো।এই জন্যই বলে যেমন কুকুর তেমন মুকুট আমাদের মতো অসভ্য বর্বর জাতির জন্য স্বৈরাচার পারফেক্ট।
সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করার জন্য আজকে সারা ঢাকায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম এর সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বারডেমে হাসপাতালে রোগীদের এম্বুলেন্স গুলোকে কে আরো এক ঘন্টার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়েছে । হার্ট এট্যাক কিংবা স্ট্রোকের পেশেন্ট দের জন্য প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্ব পূর্ণ হাসপাতালে নিতে এক ঘন্টা দেরি হওয়ার কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।চিকিৎসকরা সেটা খুব ভালো করেই জানে তারপরও তারা নিজের বেতন বৃদ্ধির জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে। উন্নত দেশ হইলে এতোক্ষনে তাদের চিকিৎসক লাইসেন্স বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে এটেম্পট টু মার্ডার মামলা হয়ে যেতো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক হওয়ার আগে কি উনারা বেতন সমদ্ধে জানতেন না ? এক জন চিকিৎসক যদি অশিক্ষিত লোকদের মতো রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে তে হলে মানুষ উনাদের দেখে কি শিখবে ? সমস্যা হইলে তাদের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবে এভাবে রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা তো ঠিক না। এখন ট্রেইনি পাশ করার পর তো হব্ ভাব পালটে যায় ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রোগীর থেকে বেশি ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি দাঁড়ায় থাকে
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বেতন অনেক কম তো! কি করবে বলেন?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করবে কেন ? কিছু হইলেই রাস্তা বন্ধ কইরা বইসা যায় এটা কেমন কথা আগে অশিক্ষিত লোকজন রাস্তা আটকাইতো এখন শিক্ষিত লোকজন রাস্তা আটকায় কেমন কথা। ট্রেইনি ডাক্তার হওয়ার আগে কি তারা জানতেন না পে স্কেল কতো ?
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৬
আমি সাজিদ বলেছেন: চিকিৎসকদের এমবিবিএসের পর উচ্চশিক্ষার ( স্পেশালিস্ট) হওয়ার জন্য এই ট্রেনিংগুলো ছাড়া কোন বিকল্প নেই বাংলাদেশে। এইগুলোর বেতন বাড়ানোর জন্য বিগত সরকারের আমল থেকেই আন্দোলন হয়েছে, খুব একটা লাভ হয় নাই। সার্জিসও কিন্তু শাহবাগে এসে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সাথে একাত্ম হয়েছে। অন্য কোন উপায় নেই দেখেই এই আন্দোলন করা, দ্রব্যমূল্যে ও নিরাপত্তার সমস্যায় সবাই ভুগছে, কম বেশী।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, আন্দোলন শুধু অশিক্ষিত মানুষরাই করে? প্রথমত শিক্ষিত অশিক্ষিত বৈষম্য করাটা উচিত নয়। আজকে আপনি আমি সুযোগ পেয়ে যে লিখতে পড়তে পারি, তার জন্য স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ হন। অহংকারী নয়। এরপর, এই যে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন হলো রাস্তায়, হাজার হাজার মানুষ নেমে এলো, এরা কি আপনার সংজ্ঞায় অশিক্ষিত?
চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশের বরাদ্দ আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেও কম। কারন শুরু থেকেই আমাদের নীতি নির্ধারকরা এই বিষয়ে সচেতন ছিল না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনি যাই বলেন ভাই আমি এভাবে মানুষজে জিম্মি করে নিজের বেতন বৃদ্ধি করার কৌশলকে সমর্থন করবো না এটা অন্যায়। আপনি দেখেন আমি একজন অসুস্থ বয়স্ক মানুষের ছবি দিয়েছি এই লোক ভাঙা পা নিয়ে আধা কিলোমিটার হেটে এসেছে উনার কি দোষ ? চাহিদা দাবি দাবা থাকতেই পারে সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রপার চ্যানেলে উপস্থাপন করতে হবে না হলে তো হাসপাতালের প্রশাসন ভাঙে পড়বে। এভাবে কথায় কথায় রাস্তা আটকানো ঠিক না এভাবে চললে কয়েক দিন পর দেখা যাবে প্রেমে বার্থ হয়ে রাস্তা আটকে রাখবে ,বাসায় বৌ এর সাথে ঝগড়া করে রাস্তা আটকে রাখবে ,বন্ধুর সাথে ঝগড়া করে রাস্তা আটকে রাখবে এভাবে চলতেই থাকবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন আর নিজের বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন এক নয়।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ভারতের চিকিৎসা সীমিত হচ্ছে,ওদের মাথায় রাখুন'বিকল্প রাস্তা নেই
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই দুনিয়াতে কেউ কারো উপর নির্ভরশীল না. (বিএসএমএমইউ) তে সিট পাইতে যে পরিমান সময় অপেক্ষা করা লাগে এর মাঝে রোগী মরে যায়। আমি এক বার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে সিটিস্ক্যান করাইতে গেছিলাম আমাকে টাইম দিছে ছয় মাস পর বুঝেন অবস্থা।যাদের টাকা আছে বিদেশে চিকিৎসা করানোর তারা ভারতে না যেয়ে ব্যাংকক কিংবা মালয়েশিয়া তে যাবে খুব একটা পার্থক্য হয় না আর যাদের টাকা নাই তারা এই অমানুষ গুলার পিছে পিছে দৌড়াবে। বেতন বৃদ্ধি করলে হয়তো আমরা চিকিৎসা করবে না হলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবো। যেই দেশে ডাক্তারের চেম্বারে রোগী থেকে বেশি ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি থাকে সেখানে সহসাই কোনো পরিবর্তন হবে না।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল। ওইখানে মাথা ব্যাথার জন্য সিটি স্ক্যান করাতে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্য হাসপাতালও আছে।
রেগুলার সিটি স্ক্যান করতে ছয় মাসের সিরিয়াল লাগবে। এই আন্দোলনটা শুধু ওই হসপিটাল করছে তা নয়৷ দশ হাজারের বেশী চিকিৎসক নানা সরকারি হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিং এ আছে। এই আন্দোলনটা এদের সবারই।
এমনভাবে বললে, সরকারি চাকরিতে বয়সবৃদ্ধি বা সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনও কিন্তু শুরুতে নিছকই কয়েকশত মানুষের সুবিধার জন্য আন্দোলন ছিল। সেটা কি শুরুতে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন ছিল? যখন সেটা সাধারণ আন্দোলন ছিল তখব কি রাস্তা বন্ধ হয় নাই? তখনও কি রোগীদের হেঁটে যাওয়া লাগে নাই? আমি রোগীর কষ্ট ও বেদনা কিছুটা অনুভব করতে পারছি। এজন্য চাই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক। আপনিও এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন।
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
আমি সাজিদ বলেছেন: আর নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকরাও অনুভব করে স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার দরকার। রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসা সেবা দরকার। ওষুধ কোম্পানিগুলো ও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনা দরকার। আপনার অধিকার আছে দেশের চিকিৎসা সেবার প্রতি বিরক্ত হওয়ার৷ স্বাভাবিক। সংস্কারের শুরু হোক তবে এই আন্দোলন থেকে, পর্যায়ক্রমে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
শিশির খান ১৪ বলেছেন: যারা চিকিৎসক হয়ে এমন অনৈতিক কাজ করে তাদের কাছ থেকে আমি কিছু আশা করি না। হে আমিও চাই তাদের বেতন বাড়ুক তারা ভালো থাকুক কিন্তু তাই বলে এভাবে দাবি আদায় আমি সমর্থন করি না এটা ব্লেকমেইল। সামগ্রিক সাস্থ খাতের অবস্থাই শোচনীয় অর্থ বরাদ্দ দিবে কথা থেকে অর্থ তো সব আগেই সিঙ্গাপুর চলে গেছে।
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে নৈতিকতার সবক নিতে হবে সবার। আপনি নৈতিকতার মহাসমুদ্র।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনি এতো উত্তেজিত হচ্ছেন কেন ঠিক বুঝলাম না। যেভাবে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি নিজেও সড়ক অবরোধের সময় রাস্তা আটকে বসে ছিলেন। কি অদ্ভুত কিছু দুষ্ট চিকিৎসক খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করলো আর আপনি তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। খারাপ উদাহরণ যারা সৃষ্টি করলো তাদের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ করা উচিত তে হলে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।এভাবে অন্যায় কাজকে সমর্থন করাটা ঠিক হচ্ছে না।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে নৈতিকতার সবক নিতে হবে সবার। আপনি নৈতিকতার মহাসমুদ্র।
কিছুটা সহমত।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: যারা ১৪ সুটকেস কে ২ সুটকেস বানায় দেয় তারা সহমত হবে সেটাই স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: ইন্টারনি নয়, পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার। বিএস এম এম ইউতে কোন ইন্টারনি ডাক্তার নেই। আগেও হাজার বার অনুরোধ করেছে, বেতন বাড়ায় নি। মুড়ি মাখা বিক্রি করেও দেশে পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম করে, ফেসবুক - ইউটিউব তো অনেকের ইনকামের নতুন সোর্স।
কর্মবিরতি খারাপ, কিন্তু বারবার আশ্বাস দিয়ে এমন করলে তো পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের সারভাইভ করতে সমস্যা! ট্রেনিং এ থাকা অবস্থায় পাঁচ বছর বাইরে ডিউটি বা চেম্বার করা যাবে না এমন শর্ত আছে। এখন ভাবেন, আপনি ভবিষ্যৎ নিউরোসার্জন, ট্রেনিং এ আছেন, বেতন পান ত্রিশ হাজার টাকা। আগামী পাঁচ বছর পাবেন ত্রিশ হাজার টাকা। আর ইনকাম করার উপায় নাই কারন চেম্বার বা কোন বাইরের এক্সট্রা ডিউটি এলাউড না। ঢাকা শহরে ত্রিশ হাজার টাকায় চলা যায়?
বুঝিয়ে লাভ আছে বলে মনে হয় না।