নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
টাকা থাকলে বাঘের চোখও মেলে এস আলম সেটা আরেকবার প্রমান করলো । আগস্টের আন্দোলনের সময় এস আলম এর কালুর ঘাট ফেক্টরি থেকে দশটি দামী গাড়ি পাহারা দিয়ে সরিয়ে নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে ।ওই ভিডিওতে দেখা যায় বি এন পির তিন জন স্থানীয় নেতা সেখানে উপস্থিত হয়ে গাড়ি গুলো সরিয়ে নিতে এস আলম কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে ।
সবাই যখন ছি ছি করছে তখন বি এন পি বাধ্য হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ।তদন্তে দোষী সাবস্থ হওয়াতে ওই তিন নেতার দলীয় পদ বাতিল করা হয় ।কি অদ্ভুত মাত্র চার মাসের মাথায় বি এন পি তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে গতকাল রিজভী দলীয় পেডে স্বাক্ষর করে আবার সেই তিন নেতাকে তাদের পূর্বের পদে পুনর্বহাল করে।
এর আগে সালাউদ্দিন নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশ করতে যাওয়ার সময় এস আলমের মালিকানাধীন পাজেরো জিপ গাড়ি নিয়ে যায় । এ নিয়ে সমগ্র দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয় সে সময় বি এন পি লোক দেখানো কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দায় সারে । সালাউদ্দীন ও মিডিয়ার সামনে এসে মায়া কান্না দিয়ে বলে আমি না বুঝেই উঠেছি আগে জানতাম না ।
ইসলামী ব্যাংক যখন এস আলমের দখলে ছিলো তখন ব্যাংক এর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে পালন করছেন রাষ্ট্রপতি চুপ্পু। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এস আলম ইসলামী ব্যাংক থেকে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে অথচ তিনি নিরব ছিলেন ।অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রপতিকে সরানোর উদ্যোগ নিলে বাধা হয়ে দাড়ায় বি এন পি । সালাউদ্দিন সে সময় মিডিয়াতে এসে বলেন রাষ্ট্রপতিকে সরালে দেশে সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি হবে অনেক চেষ্টা করেও ছাত্র জনতা বি এন পি কে রাজি করাতে পরলো না ।
অবশ্য এই ঘটনার পর সালাউদ্দীন রাজনৈতিক কেরিয়ারে উত্থান লক্ষ্য করা গেছে।ইদানিং বি এন পির দলীয় সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের পাশে শুধু সালাউদ্দীন কেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায় । যে সব নেতা স্বৈরাচারের বিপক্ষে জীবনের ঝুকি নিয়ে গত পনেরো বছর আন্দোলন করছে তারা সবাই এখন ফাঁকে ।যে হাব ভাব দেখতেছি তাতে মনে হচ্ছে বি এন পির পরবর্তী মহাসচিব হিসাবে সালাউদ্দিনই ভারতের টপ চয়েস।
এই এস আলমের লুট করা টাকার ভাগ পেয়ে আওয়ামীলীগ রাক্ষসে পরিণত হয়েছে। আমার ধারণা এই লুট হওয়া টাকার ভাগ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা , প্রাক্তন ডিপ্লোমেট , মিডিয়া , রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের সব বড় নেতারা পেয়েছে। তা না হলে হাসিনার মতো স্বৈরাচারের বিষয়ে ভারতের সব রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা না ।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বি এন পি ভুলেও ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াবে না । এখন পর্যন্ত ভারত যে ভাবে নির্দেশ দিচ্ছে বি এন পি ঠিক সে ভাবেই চলছে ।দেশের সাধারণ মানুষ চরম ভারত বিরোধী বি এন পি সেই সেন্টিমেন্ট কে আমলে নিচ্ছে না ।অন্য দিকে অন্তর দলীয় কোন্দল ও চাঁদাবাজি জন্য দেশের মানুষ বি এন পির নেতাদের উপর ভীষণ বিরক্ত ।কেনো জানি মনে হচ্ছে শেষমেশ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে জামাত এর কাছে বি এন পি কঠিন ধরা খাবে ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: পাগল ও নিজের ভালো বুঝে বি এন পি যদি নিজের ভালো না বুঝে তে হলে আমাদের কি করার আছে। সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে বি এন পি দুই বছর ও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এতো মানুষ জীবন দিলো তাও যদি এদের ঘুম না ভাঙে তে হলে কি করার আছে ? ভারত আরেক বার সুযোগ পেলে এই বার বাংলাদেশকে দুই ভাগ করে ছাড়বে। বাচ্চারা রাজনৈতিক দল করতে চাইলে করুক তাতে কোনো সমস্যা দেখি না রাজনৈতিক দল তো যে কেউ গঠন করতে পারে এটা তাদের সংবিধানিক অধিকার। রাজনৈতিক দল গঠন যতোটা সহজ নির্বাচিত হয়ে আসা ততোটাই কঠিন। বি এন পি বাচ্চাদের রাজনৈতিক দল নিয়ে চিন্তিত না তারা চাচ্ছে এটাকে উছিলা বানিয়ে সংস্কার কাজে বাধা দিতে সেটাই মনে হয় তাদের মূল লক্ষ।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ধরে ফেলেছেন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সুষ্ট নির্বাচন হলে জামাত বিপুল আসন নিয়ে সংসদে প্রবেশ করবে এটা নিশ্চিত। বি এন পি এখন নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারতেছে
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এভাবেই তারা দলটাকে ডুবায়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ঠিকই বলছেন প্রত্যেকবার শেষ মুহূর্তে এসে এরা নিজেরাই দলকে ডুবায়। এই বার ও সেইম কাজ করতেছে দেশের মানুষ যখন চরম ভারত বিরোধী তখন বি এন পি তে ভারতের দালাল দের দৌরত্ব দেখা যাচ্ছে। দেশের মানুষ দেখতেছে সুষ্ঠ ভোট হইলে এইবার বি এন পির খবর আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটা যদি বড়ো অপরাধ হয় তাহলে হা মীম গ্রুপের মালিক আওয়ামী লীগের দালাল একে আজাদের স্পন্সর নিয়ে জুলাই স্পিরিট উপলক্ষ্যে কনসার্ট আয়োজন আরো বড়ো কবিরা গুনাহ! ।
বিএনপির এক নেতার মামলায় চিন্ময় দাস জেলে এখন।
বিএনপির সবচেয়ে বড়ো দোষ তারা খালি নির্বাচন চায়। সংস্কার চায় না। আর ছাত্ররা শুধু সংস্কার চায়, নির্বাচন দেরিতে হোক সমস্যা নাই। এতে তাদের দল সুসংগঠিত হতে সুবিধা হয়। ভারত ও চায় দেরিতে হোক নির্বাচন কারণ এতে আপা লীগ সময় পাবে!
ছাত্র-জনতার রাজনৈতিক দলের বুদ্ধি দারুণ কারণ তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে চায় কিন্তু জাতীয় নির্বাচন ৩ বছর পরে চায়।