নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ মোবাইল বিড়ম্বনা...

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮


অফিসে কাজ নেই। দুপুরে ভরপেট খাওয়া দাওয়া করে আপাতত বিছানায় শুয়ে বউয়ের মোবাইলে সানু'দার "বলো কি যে হলো, কেন এমন হলো..." গানটা শুনছি। আমার মোবাইলে গান-টান নেই। ওসব শোনার সময়ও নেই। সারাদিন অফিস গুতিয়ে যা হোক একটু সময় পাই, তো সেটা হয় ফেসবুক/ইউটিউবে কাটে। আর নয়তো সংসারের বাজার সদাই করে।

পাশে বউ। ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা জানি না। একবার আড় চোখে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। কপালের উপর ডান হাত তুলে শুয়ে আছে। সামনের জানালা দিয়ে আবছা আলো আসছে। বোধহয় সেটাই আটকানোর চেষ্টা করছে। ঘুমায়নি বলেই মনে হলো। তবে সাড়াশব্দ নেই। আমার মন মানসিকতা আপাতত বউয়ের দিকে নেই। একমনে গান শুনছি। সচারচর এরকমটা কখনোই হয় না। মোবাইল আবিষ্কারের পর থেকে আজ অবধি একটা গান পুরো শুনেছি এরকম কোন রেকর্ড আমার সিংগিং জীবনে নেই। তবে আজ শুনতে ইচ্ছা করছে। কেন, বুঝতেছি না।

গানের তালে তালে গুণগুণ করে গাওয়ার চেষ্টা করছি, 'হু হু হু হু হু হু, হু হু হু হু হু হু...!' গানের লিরিক ভালো মুখস্ত নেই। তাতে কি! কে জানি বলছিল, বাঙালি গান না জানলেও হু হু করে অর্ধেক গান শেষ করে দিতে পারে। তবে এই হু হু বেশিক্ষণ চললো না। কিছুক্ষন পর পর বউয়ের মোবাইলের ম্যাসেজ টোন বেজে উঠছে। এক.দুই..তিন... এভাবে আট থেকে দশবার মোবাইলটা পুটপুট করে উঠলো। ম্যাসেজ আসা মানে, কিছুক্ষন গান বন্ধ থেকে আবার চালু হওয়া। প্রথম প্রথম বিষয়টাকে সহজভাবে নিলেও বেশিক্ষণ আর মেজাজ ধরে রাখা গেল না। এই দুপুর বেলা কার এত রস জমছে যে তা আমার বউয়ের মোবাইলেই ঢেলে দেওয়া লাগছে?

বিষয়টা অস্বাভাবিক। নতুন বিয়ে। যদিও প্রেমের সম্পর্ক। তাতে কি? এই জাস্ট ফ্রেন্ডের যুগে মনে সন্দেহ ঢুকতে সময় লাগে না। হাতের কাছেই টেবিল! মোবাইলটা সেখানেই রাখা। ইচ্ছা করলে হাত বাড়িয়ে সেটা নিয়ে চেক করে দেখতে পারি, ম্যাসেজ গুলো কোত্থেকে আসছে। কিন্তু সেটা না করে, দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তাকালাম গিন্নীর দিকে!

বউও বোধকরি এই অস্বাভাবিক ম্যাসেজের ধাক্কা সামলাইতে না পেরে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে গেছে। আড় চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বোঝার চেষ্টা করছে, ঘটনাটা স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক। তবে আমার দাঁত-মুখ খেঁচানো চেহারা দেখেই বোধহয় বুঝে গেছে, ঘটনা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু মুখ দেখে মনে হলো সে ঘাবড়ায়নি। শিক্ষিত মেয়ে। এত অল্পতেই ঘাবড়ে গেলে তাদের চলে না। সুতরাং যতটা সম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে বেশ নরম গলায় বলল- 'ওভাবে তাকিয়ে না থেকে মোবাইলটা নিয়ে চেক করলেই তো হয়।'

স্বর নরম হলেও নিঃসন্দেহে এটা প্রত্যক্ষ খোঁচা। তবে আপাতত সেটা হজম করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্যদিন হলে হয়তো এরকম কথা আসতো না। খোঁচা ছাড়াও সেদিন সাথে থাকতো বজ্র কণ্ঠের বিদ্যুৎ চমকানী। তবে আজ ম্যাসেজের মাত্রাটা বেশী বলেই কিনা এমন জাদুকণ্ঠের দ্যুতি ছড়ানো হচ্ছে! অর্থাৎ সে বুঝাইতে চাইতেছে, আদৌতে তার এমন কেউ নাই যে এই ঠাঠা রোদ্রের মধ্যে নিজে না ঘুমাইয়া বিশ্রামরত একজোড়া নবদম্পতিরে ম্যাসেজ দিয়া জ্বালাইবে।

আমি রক্তিম আভা মুখটা বউয়ের দিক থেকে ঘুরাইয়া টেবিলের দিকে নিলাম। টেবিলের ওপাশেই শোকেস। শোকেসের সাথে একটা আয়না ফিট করা। বাসায় ড্রেসিং টেবিল নেই। গরিব ছা-পোষা মানুষ। এত সৌখিন এখনও পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারি নাই। কিংবা স্বাদ আছে সাধ্য নেই অবস্থা।

তবে শোকেসটা অর্ডার দিয়েই তৈরী করা! আর আয়নাটা লাগানো বউয়ের অনুরোধেই। রাতে ঘুমানোর পূর্বে বউ যখন ঐ আয়নার সামনে ছোট্ট টুল'টাতে বসে তেল দিয়ে চুলে বিণুনী করে। তখন মনেহয় স্বাক্ষাত আসমানের কোন দুষ্টু পরী বোধহয় পথ ভুল করে আমার ছোট্ট রুমটার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

এই মুহূর্তে আমার দৃষ্টি এখন ঐ আয়নাটার দিকে। পুরো আয়না জুড়ে মুখাবয়ব ভেসে উঠেছে। তবে আয়নার মধ্যে যেটা দেখলাম, বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই সেটা দেখার জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। ভারী আশ্চর্য হলাম! নিজের এমন কুৎসিত চেহারা ইতোপূর্বে দেখেছি বলে মনে পড়লো না। বেশ কিছুক্ষন ধরে চেষ্টা করলাম নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার। কিন্তু ব্যর্থ হলাম। নিজের ফ্রেশ মনের মধ্যে এমন হিংস্র কেউ বাস করতে পারে, এটা ভেবেই বেশ অবাক হতে হলো!

তবে এই মুহূর্তে আবাক হয়ে বসে থাকার সময় নেই। আয়না থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে সেটাকে নিক্ষেপ করলাম সোজা মোবাইলের উপর। বেটা যত নষ্টের গোড়া ঐ নচ্ছার মোবাইলটা। আজ ওর একদিন কি আমার যতদিন লাগে। খামচা মেরে মোবাইলটা নিয়ে একে একে ম্যাসেজ গুলো চেক করতে লাগলাম।

নাহঃ আশানুরূপ কিছু পেলাম না! বুঝলাম বউ আমার ভালোবাসার মান রেখেছে। তবে সেই সাথে সাথে মেজাজ খিঁচড়ে গেলো সিম কোম্পানী গুলোর উপর। আচ্ছা, তাদের ঘরে কি মা-বোন-বউ কেউ নেই? দুপুর বেলা কোথায় মানুষ একটু বিশ্রাম করবে, তা না একের পর এক ম্যাসেজ দিয়ে মেজাজ খারাপ করছে?

কিছুক্ষণ এর উপর তার উপর ঝাল ঝাড়ার পর আপাতত মেজাজ ঠান্ডা। মুচকি হেসে পাশ ফিরে বউকে কিছু ভালোবাসার কথা বলতে যাব কিন্তু কি আশ্চর্য (!) তাকে পাশে দেখতে পেলাম না! এইমাত্র দেখলাম, হঠাৎ গেল কই! দু'একবার নাম ধরে ডেকেও যখন সাড়া শব্দ পেলাম না। তখন খুঁজতে চলে গেলাম তার মন খারাপের দেশে।

অর্থাৎ বাসার ঠিক বেলকনিটাতে। আমি জানি, ওর যখন খুব মন খারাপ হয়; তখন সে চলে যায় তার মন খারাপের দেশে। সেখানে দাঁড়িয়ে সে একমনে গুণগুণ করে গান গায়, আর বেলকনির রড ধরে টানাটানি করে! যদিও জানি না, এই টানাটানির মধ্যে কি এমন জাদুকরী শক্তি আছে যেটা কিছুক্ষনের মধ্যেই তার মন ভালো করে দেয়। আমি নিঃশব্দে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তারপর যতটা সম্ভব স্বরটা নরম করে বললাম- 'রাগ করেছো?'

সে কোন কথা বলল না! তার পরিবর্তে মাথাটা আমার কাঁধের উপরে রেখে আরও নরম সুরে বলল- 'বিশ্বাস করো; আমি তোমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসি!'

অনুভব করলাম, একটা তরল ধারা কাঁধের উপর দিয়ে গড়িয়ে সোজা মাটিতে গিয়ে পড়ছে। মুখটা ফিরিয়ে নিলাম। এমন আবেগ সরাসরি বেশিক্ষণ সহ্য করা যায় না। চোখ দু'টো ভিজে উঠছে। চশমাটা খুলে সেটা আবার ভালোভাবে চোখে পরে নিলাম। ঠিক এই মুহুর্তে চোখ থেকে যে দু'ফোঁটা তপ্ত অশ্রু বেয়ে পড়েছে, সেটা কোনভাবেই ওকে দেখতে দেওয়া যাবে না! পুরুষের কান্না নাকি নারীদেরকে দেখাতে নেই! তাতে পুরুষত্বের অবজ্ঞা করা হয়! আমি কি পারি, নিজে একজন পুরুষ হয়ে পৃথিবীর অন্যসব পুরুষের পুরুষত্বকে অবজ্ঞা করতে?

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ যাবতিয় চরিত্র কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার। সেজন্য লেখক কোন অংশেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সময় মোবাইল ফোন টিপতে টিপতে মনের অজান্তে মুখে যদি মিটিমিটি হাসি উঠে আসে, কেউ কেউ সেটাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলছেন রাজীব ভাই! সব থেকে মজার বিষয়টা হলো, এই সামন্য সন্দেহের থেকেও সংসারে বড় রকমের অশান্তির সূত্রপাতও হইতে পারে...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: সম্রাট ভাই_______


মনের মতো কইরা একটা গল্প পড়লুম। এএহেন বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি হরহামেশা আমরা সবাই কম বেশি পড়ি। টেলিকোম্পানির চৌদ্দগুষ্ঠিরে পানিতে চুবাইতে মন চাই।


তো ভাই পাক্কা দেড়বছর পর আপনার পোস্ট পাইলাম। মাঝেমধ্যে পোস্ট দিইয়া আমাদের পড়তে সুযোগ দিয়েন ভাই।



৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এতদিন পরে, তবুও মনে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা ভাই! সত্যি বলতে, সময়টা বড় বিশ্বাসঘাতক হয়ে গেছে। যার ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই এখন আর ইচ্ছামত করা সম্ভব হয় না। তারপরেও চেষ্টা করবো আপনার অনুরোধ রাখার জন্য...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: বেশ। :D

মোবাইলের ফাও বার্তাতে যদি খাঁটি ভালোবাসারে খুঁজে পাওয়া যায়। তাহলে ফাও বার্তায় ভালো। কি বলেন? ;)

কয়েক শতাব্দী পর বীর সন্তানরে দেখলুম মনে হচ্ছে। আসেপাশে বীরদের ভীড় না থাকলে গাও কেম্বা ম্যাজ ম্যাজ করে। :P

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিশ্বাস করেন ফারাও ভাই, আমি পথ ভুল কইরা আসি নাই! এ পথ আমার বহু পুরানো আর পরিচিত। তবে পরিচিত পথও মাঝে মাঝে এতটাই দূর্গম হয়ে ওঠে যে, সে পথ মাড়ানোর মত যানবাহন পাওয়া মুস্কিল হয়ে ওঠে! অবশ্য পরাজয়ে ডরে না বীর বইলা যে একটা কথা প্রচলিত আছে, সেইটার উপরে ভরসা কইরা যদ্দুর চলা যায় আরকি... ;)

আর ফাও বার্তার কথা আর কইয়েন না! তারেনারে আপা থাকতে তাও একটা ভালো সিস্টেম ছিলো, সন্ধ্যার পর কোন ম্যাসেজ ট্যাসেজ আসতো না। কিন্তু এখন তো সকাল-সন্ধ্যা কোন সময়ই নাই! সেদিন রাত সাড়ে এগারোটার এক ম্যাসেজ টোন এমনভাবে কলিজায় আঘাত করছিলো যে, আর একটু হইলেই স্টোক কইরা ফেলছিলাম!

এনিওয়ে, মেলাদিন পর পরিচিত মুখগুলো দেখতে পেয়ে বুকের গভীরের ইমোশান গুলা আঙ্গুলের ডগায় চইলা আসতেছে! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: আর ফাও বার্তার কথা আর কইয়েন না! তারেনারে আপা থাকতে তাও একটা ভালো সিস্টেম ছিলো, সন্ধ্যার পর কোন ম্যাসেজ ট্যাসেজ আসতো না। কিন্তু এখন তো সকাল-সন্ধ্যা কোন সময়ই নাই! সেদিন রাত সাড়ে এগারোটার এক ম্যাসেজ টোন এমনভাবে কলিজায় আঘাত করছিলো যে, আর একটু হইলেই স্টোক কইরা ফেলছিলাম! --- হা হা হা; মন্দ কন নাই।

কিছুক্ষণ পরপরই সরকারী বার্তা, আধা-সরকারী বার্তা, অ-সরকারী বার্তা, বেসরকারী বার্তা, প্রাইভেট বার্তা, পাবলিক বার্তা এতসব বার্তা মেজাজ খিচে যাওয়ায় স্বাভাবিক।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: সব থেকে গুরুতর যে সমস্যাটা তা হলো, অসময়ের ম্যাসেজ সেটা যার পাঠানোই হোক; উহা নয়া সংসারে অশান্তি লাগানোর একটা অন্যতম প্রধান কারণ...

সিমকোম্পানির লোকগুলার বোধহয় বউ-টউ নাই! থাকলেও তাদের কালা-কানা-বোবা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯ পারসেন্ট!

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

তাহমিদ রহমান বলেছেন: মুঠোফোন কিন্তু আসলেই ভেজাল একটা জিনিস!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভালো দিকও আছে! তবে সিম কোম্পানি গুলো যা শুরু করছে, খুব শীঘ্রই হয়তো মানুষ আবার সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে যেতে চাইবে...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সবই বয়স, তবে যে কোন ইলেকট্রনিক জিনিষ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরী!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: একদম ঠিক কথা। প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো খারাপ দুইটা দিক আছে। আমাদের উচিত খারাপকে পরিত্যাগ করে ভালোটাকে গ্রহণ করা...

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক বাবা,

অল্প দিয়াই গেল! ;)

কিরাম আছেন ভায়া!
পাক্কা দুই বছর পর দেখা দিলেন!!!!!!!!!!!!!

দারুন ফিরে আসায় ভাল লাগা রইল

+++

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভালো আছি ভৃগু'দা। আপনি কেমন আছেন? কতদিন পর ব্লগে আসলাম এতক্ষণ খেয়াল করি নাই। আপনার মন্তব্য পাওয়ার পর উকি দিয়া নিজের প্রোফাইল দেইখা তো এখন নিজেই টাস্কিতো! সত্যিই অনেকদিন হয়ে গেছে... :||

প্লাসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: সাহসী ভাই, কোথায় ছিলেন? আমি নতুন লোক, আপনার আগের কিছু পোস্ট এবং অনেক কিছু পড়েছি, কিন্তু আপনাকে দেখিনি, অনুমান করেছিলাম ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। দেখে ভালো লাগলো।
মোবাইল সহজ জীবনকে কিভাবেই জটিল করে তুলছে তাকে নিয়ে ভাল গল্প লিখেছেন।
আমারো এরকম সমস্যা হতো। এখন আন্ডারপ্যান্ট মোবাইল কেনার পর দেখি কল-মেসেজ সব ব্লক করার অপশন আছে। মার্কেটিং/জ্ঞান বিতরন সংক্রান্ত মেসেজ বা কল পেলেই ব্লক করে দেই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়াটা সহজ ব্যাপার না। ব্যাপারটাকে আপনি ব্লগ ফোবিয়াও বলতে পারেন। কারণ এই ভার্চুয়াল জগত এতটাই মোহনীয়, এটা এমনভাবে মানুষকে আকর্ষণ করে রাখে যে, চলে গেলেও উকি দেওয়ার আকাংখাটা থেকেই যায়...

আমি যাই নাই! তবে আসিও নাই। মাঝখানে ব্যস্ততা এমনভাবে গ্রাস করে ফেলেছিলো যে, চাইলেও ভার্চুয়ালে ঢোকার মত সময় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

আর আমি মোবাইলের ঐ সমস্থ হাবিজাবি নাম্বারগুলো ব্লক করার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারি নাই! অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েও হয় নাই! সম্ভবত এটা আমার মোবাইলেরই সমস্যা। কারণ মাত্র কয়েক ডিজিটের ঐসব নাম্বার ব্লক করতে গেলেও লেখা আসে 'Invalid!'

নতুন হিসাবে আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

মা.হাসান বলেছেন:







আমি নিশ্চিত না আপনার ফোন কোন মডেলের বা তাতে সেটিং গুলো কি রকম, তবে এখনকার প্রায় সব ফোনেই এই অপশন থাকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ! তবে আমি সম্ভবত আপনাকে ভালোভাবে বুঝাইতে পারি নাই। লিগালী নাম্বার ব্লক করাটা তো কোন ব্যাপার না, সমস্যাটা বাঁধতেছে কয়েক ডিজিটের হাবিজাবি নাম্বারে...

যেমনঃ ২২২২২, ১৬৩০৬, ২৭১৮৩ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এরাই বেশি ঝামেলা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কল/ম্যাসেজ দিয়ে।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: ফাটাফাটি লাগলো

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ফাটাইতে পেরে ভাল্লাগতেছে... ;)

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: গল্পটা খুব চেনা। তবে উপস্থাপনা আর আবেগের কারুকাজ তুলে এনেছেন বলেই পড়তে বেশ লাগলো।

শুভকামনা নিরন্তর। আশা করছি দেখা হবে মাঝে মাঝে ব্লগের পথচলায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: সময় বিশ্বাসঘাতকতা না করলে পথ চলতি দেখা হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেশি। অনেকদিন পরে ফিরেও আপনাদের দেখে ভাল্লাগতেছে...

গল্প ভালো লাগায় ধইন্যা! আমি আপনার মত এত ভালো লিখতে পারি না, তবুও কৃতজ্ঞতা নিজের কস্পিলিমেন্ট জানিয়ে যাওয়ার জন্য!

শুভ কামনা জানবেন!

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: জানতে পাইরা আমারও ভাল্লাগছে...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ৮ম লাইক দিলাম। আশা করি নতুন করে আর প্রশংসা করতে হবে না!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাদের এমন আন্তরিকতা আমাকে কৃতজ্ঞ করে রাখছে...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান,




গল্পটি কিছুই না, আবার অনেক অনেক কিছু। আছে, দিন নাই- ক্ষন নাই মোবাইল সেবা প্রদানকারী "জিপি"র ফ্যাদরা প্যাঁচাল মেসেজ এর যন্ত্রনাময় বাস্তবতা। আছে বিবাহিত পুরুষের সন্দেহ বাতিকগ্রস্থতা। আর যেটি আছে উচ্চকিত তা হলো- এই পোড়ার সংসারে একমুঠো ভালোবাসা................

১৫| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাই কোথায় হারিয়ে গেলেন। ২০ সালে এমনকি ২১ সালেও একটা পোস্ট নেই !!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.