নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাউকে না কাউকে হেরে যেতে হয়, নয়তো বিজয়ী বলে কিছু থাকত না......
অনেকক্ষণ ধরে বারান্দায় বসে আছে ছেলেটি।অনেকক্ষণ পর একটু আগে বৃষ্টি থামলো। আকাশে চাঁদ উঠেছে। মেঘ কেটে চাঁদটাকে অপূর্ব লাগছে। নিয়ন আলো এসে পড়েছে ছেলেটির কোলের উপর। ঝিঁঝিঁপোকার ডাকের সাথে বাগান থেকে ভেসে আসছে কড়া ফুলের গন্ধ। ছেলেটা ফুলটার নাম মনে করতে পারছেনা। হাস্নুহেনা, কামিনী অথবা বেলীফুল হতে পারে। ইলেক্ট্রিসিটি নেই বিকাল থেকেই। কে যেন বলেছিল কোথায় যেন লাইন উপড়ে গেছে। কারেন্ট না থাকাতে অবশ্য ভালই হয়েছে। অনেকদিন পর এমন একটা পরিবেশে বসতে পেরেছে সে।
চাঁদের আলো জিনিসটা অদ্ভুত । মনে হয় সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কিন্তু একটু ভালভাবে দেখতে গেলে সব কেমন যেন ঘোলা হয়ে যায়। শহরের জ্যোৎস্না আবার একটু ভিন্ন। বিজলিবাতির আলোয় সে একাকার হয়ে যায়। তবে ছেলেটির শহরেও বেশ কয়েকবার ভাল জ্যোৎস্না দেখার সুযোগ হয়েছে। তার হলের ছাদে উঠে অনেকবার সে পূর্ণিমা দেখেছে । বিচিত্র তার রূপ।
ছেলেটি চাঁদের দিকে তাকালো। আস্তে করে এক টুকরো মেঘের ভিতর ঢুকে গেল চাঁদটা। যেন লুকোচুরি খেলছে।
আচ্ছা চাঁদে কী মানুষ সত্যিই গিয়েছিল? কয়দিন আগে YouTube এ বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টরি দেখেছে সে।না যাওয়ার যুক্তি প্রমাণগুলো অনেক জোড়ালো।
এক ঝাপটা বাতাস এসে ছেলেটির নাকে মুখে বাড়ি খেল । অনেক ঠাণ্ডা বাতাস। কানের কাছে অনেকক্ষণ ধরে একটা মশা গান গাচ্ছিল । কিন্তু কেন যেন কামড়াচ্ছিল না বাতাস আসায় মশাটা বিদায় হলো। ফুলের ঘ্রাণটা আরো তীব্র হলো।
এবার ছেলেটি চেয়ার ছেড়ে মেঝেতে আসন পেতে বসলো। অনেকদিন পর সে আজ নিজের মুখোমুখি বসবে। নিজেকে আজ দাঁড় করাবে কাঠগড়ায়।
আস্তে করে চোখ দুটো মুদলো সে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ঘন হয়ে এলো তার । ধীরে ধীরে সে ঢুকে পড়লো অন্য এক ভুবনে। বিচিত্র এক পৃথিবীতে। বড় সুন্দর সে পৃথিবী........
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ধইন্যাপাতা ধইন্যাপাতা
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৮
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
সৃজন আহমদ বলেছেন: চমত্কার লিখেছেন।