নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধচোখে তাকাই, চোখাচোখি হয়.... দেখা হয়না কখনো, কোনদিন......

স্বপ্ন সতীর্থ

কাউকে না কাউকে হেরে যেতে হয়, নয়তো বিজয়ী বলে কিছু থাকত না......

স্বপ্ন সতীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধীরে... অন্ধকার

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

মধ্যরাত... আমি হাঁটছি। শাহবাগ থেকে টিএসসির দিকে। চারপাশে কেমন চোখ ধাঁধানো আলো। মনে হয় যাত্রাপালার প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে , যেন একটু পরই রূপবান আর রহিম বাদশাহ যাত্রা পালা মঞ্চস্থ হবে। প্রথম যখন এই শহরে পা রাখি সবচেয়ে যে জিনিসটা আমায় আকৃষ্ট করেছিল তা হলো সোডিয়াম বাতি আর মধ্যরাত। সারা ক্যাম্পাস ঘুরতাম দল বেঁধে। এখন সবাই দূরে দূরে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আমিও বৈকি। গলাছেড়ে গাইতাম। এই শহরে শুধু আমার জানামতে একটা রাস্তায় এখনো ধিকিধিকি করে সোডিয়াম বাতি জ্বলে। শাহবাগ থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত। কোন রাত দুপুরে চলে যাব একদিন দল বেঁধে।কিন্তু দল বাঁধার মানুষ পাব কই?
রাতের বেলায় দুপুর শব্দটা কেন ব্যবহার করা হয় না? দুপুর মানে তো দ্বিপ্রহর। মধ্যরাত তো রাতের দ্বিপ্রহরকেই বোঝায়। একটা দিনের আটটা প্রহরের মধ্যে আমার কাছে প্রিয় হলো হেলে পড়া বিকেল আর মধ্যরাত। এই দুই সময়েই নিজের মুখোমুখি বসা যায়।
এই শহরে অনেক পাপ গজায় প্রতি মুহূর্তে। অনুতাপও কম না। প্রতিদিন ট্রেন ,বাস , বিমান কিংবা লঞ্চে চেপে কত জোড়া স্বপ্নাতুর চোখবান মানুষ এই শহরে পা রাখে আমি জানিনা। আমি এও জানিনা, কতগুলো চোখের স্বপ্ন মুছে যায়। তবে এটুকু বিশ্বাস করি দ্বিতীয় দলটা সংখ্যায় ভারী হবে। সবখানেই তো হয়। হচ্ছে, হচ্ছি।
আকাশে মস্ত চাঁদ। যে চাঁদ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। যে চাঁদ মানুষকে নিঃস্ব করে দেয়। কেমন যেন ঝলমল করছে। আমি বরাবরই চন্দ্রাহত হই। রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। টিএসসির শান্তির পায়রার নিচে একটা কুকুর একটানা আর্তনাদ করে যাচ্ছে। কী করুণ তার গলা! হয়তো শীতের তাড়নায় এমন করছে। হয়তো...
ওর তো আর আমার মতো চন্দ্রাহত হবার ভয় নেই......

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১

লিসানুল হাঁসান বলেছেন: হাঁটাহাঁটির অভ্যাস আছে বলেই হয়ত এতটা ছুঁয়ে গেল।অবশ্য রাতে কখনো শিলৃপ কলার দিকে যাওয়া হয়নি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.