নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধচোখে তাকাই, চোখাচোখি হয়.... দেখা হয়না কখনো, কোনদিন......

স্বপ্ন সতীর্থ

কাউকে না কাউকে হেরে যেতে হয়, নয়তো বিজয়ী বলে কিছু থাকত না......

স্বপ্ন সতীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আটকে পড়া জীবন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো আমগাছ ছিল। প্রতিটা গাছের আলাদা আলাদা নাম ছিল। মিষ্টি আম, কালা আম, দুনালা আম, লাঙুলে আম, পায়খানা আম, আষাঢ়ে আম, লিচু আম গাছ। নানারকম নাম। তবে আমার প্রিয় আমগাছ ছিল লিচু আম গাছটা। আমাদের ঘরের চাল ছুঁয়ে একদম ছবিতে আঁকা বাড়ির মতো আমাদের বাড়িটার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছিল গাছটা। লিচু আম গাছ নাম হবার কারণ, গাছটাতে প্রচুর আম ধরতো।লিচুর মত থোকায় থোকায়। অতি মিষ্টি আমগুলো সাইজে লিচুর থেকে একটু বড় ছিল। আমাদের নতুন ঘর তোলার জন্য গাছটা কেটে ফেলা হয়। আমার খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন। গলা অবধি কান্না আটকে ছিল বহুক্ষণ। এই গাছটাতে চড়া অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল। তড়তড় করে উঠে যেতে পারতাম। তাই এতে চড়াও হতো বেশি। লিচু আম গাছের পাশেই একটা গাছ ছিল কালা আম গাছ। এখনো আছে। এই আম জন্ম থেকেই ঘন সবুজ। পাকলেও বোঝার উপায় নেই। হয় হাতে টিপে দেখতে হবে পেকেছে কিনা, নয়তো গাছে উঠে জোরে ঝাকি দিতে হতো। এই আমের স্বাদ অতি মিষ্ট এবং প্রচুর পোকা হয়। আরেকটা আম গাছ ছিল পাদুরে আম গাছ। এই আম সাইজে অনেক বড় হতো। কিন্তু আমরা সচরাচর এই আম খেতাম না। কেমন মনুষ্য পাদের একটা বিশ্রী গন্ধ নিয়ে জন্ম হতো এই আমের। শুধুমাত্র কাঠের জন্য এই গাছটা বেঁচেছিল বহুদিন। আরেকটা আম গাছ ছিল খুবই ছোট। বাচ্চা শিশু থেকে মাত্র কৈশোরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু তার কি তেজ। সেই বিশাল বিশাল সাইজের আম উৎপাদন করা শুরু করল সে। তাও সংখ্যাটা বিপুল। একেকটা আম এক কেজিরও বেশি হতো। তবে সব ঠিক থাকলেও এই আমের সমস্যা ছিল ভয়ানক টক। একটা আম কেউ পুরোপুরি খেতে পারতো না।
আম গাছ গুলোর মধ্যে দুইটা গাছ আমার খুব প্রিয় ফজলি আম, আর আষাঢ়ে আম গাছ দুইটা। এই দুইটা গাছ দিয়েই আমি গাছে চড়া শিখেছি। এই গাছগুলোর আম গুলোও যেন অমৃত। আহ।

এত কথা বলার পেছনে মূল কারণ হলো, গত রাতে স্বপ্নে বাড়ি থেকে ঘুরে এসেছি।খুব বাড়ি যেতে মন চাইছে। কিন্তু মন চাইলেও তো আর সশরীরে যেতে পারছিনা। সপ্তাহ ঘুরতেই সেমিস্টার ফাইনাল।

আরেকটা কথা আমাদের বাড়ির পোষা পশু পাখি, মোরগ মুরগিরও সুন্দর সুন্দর নাম এবং গল্প আছে। সময় পেলে আরেকদিন শুনিয়ে দেব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদেরও আগে অনেক আমগাছ ছিল। একটা আমগাছ কুয়ার ধারে ছিল বলে আমরা বলতাম কুয়োর ধারের আম।
আপনার লেখা পড়ে পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। সেই সব দিন আর আসবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: পাদে আমের বৈশিষ্ট বললেন পায়খানা
আমের বৈশিষ্ট বললেন না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: গ্রামের বাড়িতে পায়খানা সাধারণত বসত ভিটা থেকে একটু দূরে থাকে। আমাদের পায়খানা লাগোয়া একটা আমগাছ ছিল। অতি সুমিষ্ট তার ফল। কিন্তু পায়খানার ধারে হওয়ায় গাছের নামই হয়ে যায়, পায়খানা আম। হা হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.