নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধচোখে তাকাই, চোখাচোখি হয়.... দেখা হয়না কখনো, কোনদিন......

স্বপ্ন সতীর্থ

কাউকে না কাউকে হেরে যেতে হয়, নয়তো বিজয়ী বলে কিছু থাকত না......

স্বপ্ন সতীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবোলতাবোল

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৭

পিঠ চিড়বিড় করা রোদ। বিড়াল কুকুর বৃষ্টির মতন বিড়াল-কুকুর রোদ। মুহূর্তেই ঘেমে নেয়ে একাকার । চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে আকাশে তাকালাম। ঝকঝকে নীল আকাশে মাঝে মাঝে একটা দুটো মেঘ । গরমে ক্লান্ত হয়ে গেছে যেন, ছুটতে পারছেনা। মেঘের নিচে ঢাকা শহরের রাস্তারও একই অবস্থা। ভয়াবহ জ্যাম লেগে আছে টিএসসির মোড়ে। জ্যাম দেখতে দেখতে তিন কাপ চা শেষ করলাম। গরমে চা খারাপ লাগছে না।
আরো এককাপ চা খেতে ইচ্ছে করছে। শেষ কাপ চা মুখে দিয়ে মনে হলো ভুল করে ফেলেছি। আগের স্বাদটা নষ্ট হয়ে গেছে । এক চুমুকের বেশি খেতে ইচ্ছেই করলো না। টাকা দিতে গিয়ে টের পেলাম পকেটের স্বাস্থ্য যথেষ্ট বাজে।

আরেকটা ক্লাস আছে। করতে ইচ্ছে করছে না। তারচে বাংলা একাডেমির পুকুরপাড়ে বসে থাকা ভাল। জলের কাছাকাছি থাকা। কেমন শান্তি শান্তি একটা ব্যাপার আছে ।।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনগুলি দ্রুত কেটে যাচ্ছে। খুব দ্রুত। একেকটা দিন মিনিটের মতন ফুরিয়ে যাচ্ছে। অথচ বছর দুয়েক আগেই দিন যেন কাটতেই চাইতো না ।
উঠে বাংলা একাডেমির দিকে হাঁটা দিলাম৷ কারাসের দেবদারু গাছটির নিচে সবসময়ের মতন একটা আড্ডা। ফরহাদ নাইয়াকে দেখা যাচ্ছে। কবি মানুষ। গান গায় ভাল৷ ইদানিং তাকে মাথা ন্যাড়া করে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। দূর থেকে তার ন্যাড়া মাথা দেখেই চেনা যাচ্ছে ।
এই গরমে ফরহাদ নাইয়ার গান বোনাস৷ গান শুনলে দিল ঠান্ডা হবে । আড্ডায় বসে পড়লাম। গান, কথা, গল্প ,তর্ক। সময় যাচ্ছে। অনেকদিন বাদে আড্ডা দিচ্ছি। রাস্তা দিয়ে সাঁইসাঁই গাড়ি ছুটে যাচ্ছে । গাড়ি দেখছি, নারী দেখছি । দেবদারু গাছের পাতায় আকাশ ঢেকে আছে । চারপাশে রোদ ,গরম। গাছের নিচটায় কেমন একটা ঠান্ডা আর শান্ত ,স্নিগ্ধতা ছড়ানো। চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে আছি। কানে বাজছে ফরহাদ নাইয়ার ভরাট গলা । গাইছে সে-
কূল নাই দরিয়ার পাড়ে বৃক্ষ একটি মনোহর,
আগায় বসে সোনার ময়না গেয়ে গেল চল্লিশ বছর...
চোখের সামনে অন্য একটা জগত খেলা করছে আমার। বিশাল একটা হাওর। জল থৈথৈ করছে। হাওরের মাঝখানে একটা গাছ দাঁড়ানো । একা ,নিঃসঙ্গ এক প্রাণ । এমন একটা দৃশ্য বাস্তবে আমি দেখেছি। দেখে মন বিষণ্ন হয়েছিল খুব ।
হুট করে গান থামিয়ে দেয়াটা ফরহাদ নাইয়ার একটা বদ অভ্যাস । দৃশ্যটা মুহূর্তে নাই হয়ে গেল।
মনটা কেমন খচখচ করে উঠলো । ভাল লাগছেনা কিছু ।
হলে ফিরব। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে গোসল করে খেয়ে লম্বা একটা ঘুম । জানি ঘুমাতে পারব না। কেন যেন যেদিন ঘুমাতে চাই দুপুরে সেদিন আর ঘুমানোর সুযোগই পাইনা ।
লাইব্রেরিতে ঢুকলাম। বই খাতা রেখে গিয়েছিলাম। বই গোছাতে গিয়ে দেখি একটা বই পাচ্ছিনা । বাংলাদেশের পাখি। ছেলেপেলে পড়তে আসে না চুরি করতে আসে । নীলক্ষেতে অনেক ঘুরে বইটা সংগ্রহ করেছিলাম৷ মন খারাপের মধ্যে আবার মেজাজ খারাপ হলো।
বিদঘুটে এক অনুভূতি নিয়ে লাইব্রেরী থেকে বের হলাম।
গোসল করলাম অনেকক্ষণ । একটু ফ্রেশ লাগছে। কিন্তু ক্ষুধা নষ্ট হয়ে গেছে । শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখছি আর ইউটিউবে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম টেরই পেলাম না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট ভালো হতে গিয়েও ভালো হয়নি।
প্রচন্ড অগোছালো পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.