নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাউকে না কাউকে হেরে যেতে হয়, নয়তো বিজয়ী বলে কিছু থাকত না......
কড়া বেলি ফুলের গন্ধে ঘুম ভেঙে গেছে আমার। গন্ধটা একেবারে নাকের কাছে। বেলি ফুল এত কড়া সুবাস ছড়ায় না। নেশা ধরে যাওয়ার মত ঘ্রাণ। চোখ মেলতে ইচ্ছে করছে না। রিনঝিন করে চুড়ির শব্দ হলো। বঙ্গবন্ধু হলে আর যাই হোক মেয়েরা ঢুকতে পারে না। কে চুড়ি বাজায়? আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম। রুম অন্ধকার।বিছানায় উঠে বসলাম । রুমে কেউ নেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু কেমন যেন একটা ভার ভার ভাব। কোন রুমে যখন একধিক প্রাণী থাকে তখন রুমটা যেমন ভার ভার থাকে সেরকম। হাত বাড়িয়ে লাইটের সুইচটা দিলাম। জ্বলল না। বিদ্যুৎ নেই। বেলি ফুলের ঘ্রাণে ঘরটা ম ম করছে। বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে টর্চ জ্বালালাম। না কেউ নেই রুমে। সব কটা বেডই ফাঁকা। মোটামুটি সারা হলই ফাঁকা। ঈদের লম্বা ছুটি শেষ হয়নি এখনো। আমি একটু আগেভাগে চলে এসেছি। হলে যে কয়েকজন ছিল যারা বাড়ি যায়নি তারা ছাড়া তেমন কেউ ফিরেনি। আমার ব্লকে মোট নয়জন আছি।
মোবাইলে সময় দেখাচ্ছে রাত তিনটা ছত্রিশ। জানালা খুলে দিলাম। হু হু করে বাতাস আসছে। শরতের ভরা পূর্ণিমা আজকে। জোছনায় থৈ থৈ করছে সব। দূরে জসিমউদ্দিন হলের মাঠে জোছনার খেলা দেখা যাচ্ছে। রূপালী জোছনায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী। ছাদে গেলে এই জোছনার আসল রূপ দেখা যাবে। করা যাবে জোছনা স্নান।
ছাদ পুরোপুরি ফাঁকা। আমি আকাশের দিকে চিৎ হয়ে শুয়ে চাঁদ দেখছি। অসম্ভব সুন্দর চাঁদ। কেমন এক অপার্থিব আলো ছড়িয়ে আছে চারপাশে। কেমন মায়া মায়া ছায়া ছায়া সব। ভরা জোছনার একটা বৈশিষ্ট্য হলো মনে হবে সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কোন কিছু একটু ভালভাবে দেখতে গেলেই ঘোলা হয়ে যায়। এমন আকাশ থৈ থৈ জোছনায় পৃথিবীর নাম পাল্টে মায়াপুরী রাখতে ইচ্ছে হয়।
আকাশের কোথাও একফোটা মেঘ নেই। এমনকি একটা তারাও না। শুধু নির্লজ্জ একটা চাঁদ হেসে চলেছে।
বেলি ফুলের ঘ্রাণ পাচ্ছি আবার। সেই সাথে চুড়ির রিনঝিন শব্দ।উঠে বসলাম। আমার থেকে হাত সাতেক দূরে একটা নারীমূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে পেছন দিয়ে। মাথা ভর্তি লম্বা চুল। তাতে অনেকগুলো বেলি ফুলের মালা। খিল খিল করে হাসছে মূর্তিটা। আমি উঠে দাঁড়ালাম। চারপাশের সময়টা কেমন থমকে গেছে।
কেমন গা ছমছমে ভাব। মূর্তিটা পিছিয়ে পিছিয়ে আমার দিকে আসছে। একবারের জন্যও পেছন ফিরেনি। কেন জানি একটু একটু ভয় করছে আমার। গায়ের লোম সব দাঁড়িয়ে গেছে। কি করব বুঝতে পারছিনা।
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে। মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছি আমি। জ্ঞান হারাবার আগে আধো আধো চোখে বন্ধু বশিরের মুখটা দেখতে পেলাম। চাঁদের আলোয় ঠিক ঠাহর করতে পারিনি।
(পুরনো লেখা)
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: আমিও এমন হবে ভাবিনি। কলমের উপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই...
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শুরুতে ভেবেছিলাম হয়তো কোন মেয়ে। পরে মোড় নিলো। আবার মনে হল ভুতের কাহিনী। ভালো লেগেছে। ভুত এফ এমে দিলে
ভালো হবে
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ভূত এফএম??? এটা ভূত ছিলনা
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৭
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: একটা ভাবনা নিয়ে পড়তে পড়তে নিচে এসে আমারও মাথা ঘুরে গেল.,,
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: মাথা ঘুরিয়ে দিলাম। হা হা হা হা
ধন্যবাদ অশেষ
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪০
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: জম্পেশ!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: আবার লিখব এটার দ্বিতীয় কিস্তি
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
মোটামুটি লাগলো। শুরুতে যেটা লিখতেছিলেন শেষে এসে সেটা ফুটে ওঠে নাই
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কলমের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবা।
আপনি পাঠককে ধাক্কা দিতে চেয়েছিলেন?
মনে রাখবেন পাঠক কিন্তু অনেক রকমের হয়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলির মধ্যে আমি নাই
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
সনেট কবি বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: শেষেটা মজার ছিল
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: বাহ। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৬
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: হা হা হা হা
শেষটা এমন হবে আশা করিনি, ভেবেছিলাম আসলেই ভৌতিক কোন গল্প পাব। ভালো লাগলো।