আমাদের গাঁয়ে যখন সন্ধ্যা নামে!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

আমাদের গাঁয়ে যখন সন্ধ্যা নামে!



আমাদের গাঁয়ে যখন সন্ধ্যা নামে, আকাশের কোণে থাকে রক্ত রং

ভুতুড়ে বাঁশঝাড় হয় যমপূরী, যেন শতাব্দীর ক্রান্তি কাল!

দূরের পাকড়ের ঝুরি, মিলিয়ে যায় ঝিঝি’র ডাকে,

দস্যি ছেলেদের মাথায় চাপে রাজ্যের যত বিরক্তি!



সেই কবে দেখেছি, সন্ধ্যের পরে ধুন্দুমার রাত-

রাতের উঠোনে বসে জোস্না বৃষ্টি; কতকাল দেখিনি!

হয়তো এখন, ওসব নেই কিংবা বিজলীর থাবায় মুখ লুকিয়েছে,

তবু এখনও রাত আসে অন্ধকার নিয়ে, সকালের সম্ভাবনায়!



গাঁয়ের সেই নদী; রাতের গহীনে সরিসৃপ হয়ে ছুয়ে যায় গাঁয়ের দেহ

স্বচ্ছ জলের আয়নায় মুখ দেখে আকাশের মেঘ আর চাঁদ!

বট মহাশয় ধ্যান-মগ্ন, যেন কালের সাক্ষী এক পৌরাণিক সভ্যতা -

সভ্যতার আদলে আমাদের শেকড় বিস্মৃতির নিরব দর্শক!



আমাদের গাঁয়ে যখন রাত গভীর হয়,গাছের ডালে ডালে নিশি কুটুম্ব-

কাঁনা বকের কথোপকথন; বাতাসের শন-শন শব্দে ঝিঁ-ঝিঁ’র ঔদ্ধত্য!

কখনোও রুপালী চাঁদের সাথে খেলা করে পেজা মেঘ; ভেসে যায় ,

আমাদের সভ্যতার গাঁয়ে যেখানে হরেক রঙের বীজলি নেই, আছে সুখ!

০ টি +০/-০