মুক্তিযোদ্ধার কান্না

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১২

মুক্তিযোদ্ধার কান্না



আর কত নিচে নামাবে আমাদের আর কত?



তেতাল্লিশ বছরে নিচে নামতে নামতে আমরা যে

ফুটপাতে এসে দাঁড়িয়েছি

আমাদের নিয়ে রীতিমতো ব্যাবসা জুড়েছে মহান কারবারী

আমাদের প্রজেক্টের লাভ গুনে গুনে জননেতার তো আজ পোয়া-বারো।



আর কত নিচে নামলে , তোমাদের সাধ মিটবে

আর কত নিচে নামলে ধন্য হবে সাধের স্বাধীনতা?

আর কত; আর কতকাল আমাদের নিচে নামতে হবে?

এ তো শেয়াল কুকুরের জীবন নয় যে হাত ধরে ঠ্যাঙ ধরে

টানতে টানতে ভাগারে নামাবে ! নাকি তা-ই?



পুঁজিবাদের এ যুগে আমরা্ও কি পুঁজি হয়ে গেলাম,

কিংবা ব্যাবসায়ী পন্য

অথবা বাজারী মাল;

হয়তো একদিন আমরা নামী দামী কোন পণ্যের ব্র্যান্ড হবো

জুতা অথবা ন্যাপকিন!

কি ধন্য কি ধন্য আমাদের ত্যাগ

কি ধন্য কি ধন্য হবো সেদিন!



লজ্জা পেতে পেতে নিচে নামতে নামতে একদিন

আমরাও বিলুপ্ত হবো, আমরাও হবো পাঠ্যক্রমের রচনা

অধ্যায়: একটি বিলুপ্ত দেশী প্রানী;

সেদিনও আর এক প্রস্ত ব্যাবসা হবে প্রকাশনীর

বিদ্যালয় ও প্রকাশনীর কমিশন খাবে জননেতার হাত-বাহাত।



সেদিন আবারও ধন্য হবে সাধের স্বাধীনতা

সেদিন আবারও ধন্য হবে সাধের যোদ্ধা জীবন।



তেতাল্লিশি নালিশ নিয়ে নয় দাবী নিয়ে নয়

এসেছি জবানব্ন্দী দিতে, পাপের অন্যায়ের লজ্জার

তেতাল্লিশি নালিশ নিয়ে নয় দাবী নিয়ে নয়

এসেছি রাষ্ট্রদ্রোহী হতে, চালা্ও তোমাদের তলোয়ার।



তেতাল্লিশ বছরের ইতিহাস আমাদের লজ্জার ইতিহাস

তেতাল্লিশ বছরের ইতিহাস আমাদের মৃত্যুর ইতিহাস।

০ টি +০/-০