![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধনু মেঘনার উপনদী। অপর নাম বাউলাই । ভারতের মেঘালয় রাজ্যের যাদু কাটা ও ধোমালিয়া পাহাড়িয়া নদী ধনুর উৎস। সুনামগঞ্জের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ । সুনামগঞ্জ থেকে সোজা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী হয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা থানায় প্রবেশ করেছে। একভাগ সনপুর বেতাগা বসদিয়া হয়ে এবং অপর ভাগ বাদলা নাসিরুজিয়াল সাহিলা হয়ে সিংপুরের নিকট মিলিত হয়ে আরো দক্ষণে প্রবাহিত হয়েছে। মিঠামইন হেড কোয়ার্টারের
কাছে এবং নিকলীর নিকট এ নদী 'ঘোড়াউত্রা' নামে পরিচিত এবং আরো
দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে
বরুলিয়া, কুকরারাই, দিঘীরপাড়, দিলালপুর হয়ে কুলিয়ারচরের কাছে মেঘনায় পতিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জের সীমানার মধ্যে এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ মাইল(প্রায় ৫৬
কিঃমিঃ)।
. . . . .
ধনু/ঘোড়াউত্রায় সারা বছর পানি থাকে ও জোয়ার ভাটা হয়। বর্ষাকালে ধনুর বিস্তৃতি অনেক বেড়ে যায়। গোপবাজার ও বাদলা সহ এর নিম্ন অববাহিকায় মরাকাটাল পরিলক্ষিত হয়। হাওর এলাকার সাথে এ নদীই যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। ধনুকের যে ভাবে বাঁক থাকে এ নদীর গতিও অনেকটা তেমনি। বাকময় গতির কারনে এর এমন নামকরন করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।
. . . .
কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকার অধিবাসীদের সাথে বিশেষ করে 'বাজিতপুর', ইটনা, মিঠামইন, নিকলীর জনগোষ্ঠির সাথে ধনু, ঘোড়াউত্রার সম্পর্ক অতি সুনিবিড়। . .
. . . . .
যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ অঞ্চলকে অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে প্রতিষ্টিত করা সম্ভব। বর্ষাকালে এ সকল নদী যখন পানিতে টইটম্বুর হয়ে থাকে তখন একে বঙ্গোপসাগর থেকে কোন দিক দিয়েই কম মনে হয় না। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, ডিঙ্গী নৌকা বাইতে বাইতে মাঝির গান গেয়ে চলা, ভাগ্য ভালো থাকলে হঠাত্ শুশুকের দেখাও পাওয়া যায়। নিকলীর বেড়িবাঁধ এখন অন্যতম পর্যটনে স্পটে পরিনত হবার পথে। পাটুলী, শাহাপুর, আছানপুর, হুমায়ুনপুর, বাহেরবালী ইত্যাদি এলাকাও অপরূপ।
- নদীই এই এলাকার জীবন ।
©somewhere in net ltd.