নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তি বুদ্ধির চর্চা

সৃজন আহমদ

এক বিশ্ব এক স্বপ্ন । www.facebook.com/ sreezon.ahmed

সৃজন আহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়েদের জন্য বৃদ্বাশ্রম অবশ্যই খুব চমত্‍কার একটা জায়গা না ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

মহিলার বয়স ৬৩ বছর,
মহিলার দুই ছেলে। বড়সর চাকরি করেতো তাই বিশাল বড় ফ্লাটে থাকে বউ-বাচ্চা নিয়া। দুই ভাই এর আলাদা আলাদা দামি বাসা। দামি দামি সোফা আর আসবাব পত্রে ঠাসা। এই দামি ঠাসা আসবাব পত্রের বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের ঠাই হলো না! ক'দিন পর দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো প্রথম পুত্রের বাসা থেকে!
- আপনারা মহিলার পুত্র বধুর দূষ দিতে পারেন, কিন্তু ভুইলেন না, পুত্র বধুর স্বামী মহিলার পুত্র জাদা।
.
লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া, একটু আশ্রয়ের আশায় দ্বিতীয় পুত্রের দামি এসি ওয়ালা বাসায় যায় বৃদ্বা মা। কিন্তু সারা জীবন খোলা হাওয়া খাওয়া 'বৃদ্ধা মা'র ভাগ্যে এসির বাতাস বেশিদিন সইলো না! বইতে পড়া কবিতার কথা- 'যতটা না মারিত হাতে,তার চেয়ে মারিত ঠোঠে', এই মানুষিক পীড়ন সইতে না পেরে এসি ওয়ালা বাসা ছেড়ে আবার সেই খোলা বাতাসেই শ্বাস নিতে হলো।
- আপনারা বৃদ্ধা মার পুত্র বধুর দুষ দিতে পারেন। কিন্তু ভুইলেন না, পুত্র বধুর স্বামী বৃদ্বা মার পুত্রজাদা !
.
এই দেশে নাকি মেয়েদের প্রথম আশ্রয় বাবার বাড়ি, দ্বিতীয় আশ্রয় স্বামীর বাড়ি আর তৃতীয় মানে সর্বশেষ আশ্রয় সন্তানের বাড়ি!
.
বৃদ্বা মার বয়স হয়ে গেছেতো, তাই কাম-কাজ করতে পারেনা। এই যুগে কেউ কাউকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ায়? হোক না 'মা', সো হোয়াট ? এই মা'রা বোকা আছিলোতো তাই পেটের ভিতর ১০ মাস সন্তানদের
নিজের শরীর খাইতে দিছে। প্রতিষ্টিত হবার আগে পর্যন্ত নিজের শরীরের রক্তরে পানি করছে। 'মায়ের বোকা হইতে পারে কিন্তু সন্তানরাতো আর বোকা না! তাই তারা মা'কে নিজের পথ দেখতে বলছে! সন্তানের বাড়ি আর বৃদ্বা মায়ের শেষ আশ্রয়স্থল হইলো না!
.
এই ৬৩ বছরের বৃদ্ধ মানুষদের জন্য চমত্কার একটা আশ্রম আছে। নাম 'বৃদ্ধাশ্রম' । আচ্ছা মায়েদের জন্য 'বৃদ্বাশ্রম' খুব চমত্কার একটা জায়গা, তাই না ? !

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: বর্তমান আধুনিক ছেলেদের আধুনিকতার ফল। লেখা ঠিক আছে তবে "দুষ" শব্দটাকে "দোষ" লিখলে ভাল হয়।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

বিপরীত বাক বলেছেন: কিন্তু ধর্মে যে আছে বাপ মা কে ভাত কাপড়ের টাকা দিলেই যথেষ্ট।।। এই বা কম কিসে।। বরং সাথে রাখলে ঝগড়া টগড়া করে পাপ কামানোর রিস্ক কে নিবে??
তারচেয়ে ভাত কাপড়ের টাকা দিয়ে একটা ভালো মোবাইল কিনে দিয়ে সপ্তাহে একদিন ভিডিও টকিং করলেই তো হয়।।।
আর বৃদ্ধাশ্রমে উচ্চ চিকিৎসা পাবে।।। টানাটানি করার জন্যে তো টাকা দেয়া হচ্ছেই।।।??
দুইপক্ষই উইড়া জান্নাতে ঢুকবে।।।

ব্যস কাহিনী শেষ। নো ঝামেলা।।। এ পথ ধর্মই দেখিয়ে দিয়ে গেছে।।

আরেকজন দোষ দিলেন আধুনিকতার।।। ধার্মিকতা নিস্পাপ! "

এজন্যেই তো পাড় নাস্তিক চীনা দের দেশে জনৈক নাস্তিকের কান্ড টা দেখেন নি? বা শোনেন নি???

মা এসেছিল সাংহাই তে।। সাংহাই! তা প্রায় ১০ ১৫ টা চট্টগ্রাম।। মা তো বৃদ্ধা তাই হাটতে পারতো না।। কিন্তু শখ সাংহাই ঘোরার।। ছেলের টাকা কম।। তাই ওই জাহান্নামি নাস্তিক টা কি করলো? মা রে ঘাড়ে করে হেটে হেটে পুরো সাংহাই শহর ঘুরিয়ে দেখালো।। জাহান্নামি পোলা আর কাকে কয় বলেন?

ধার্মিক এ্যান্ড গোয়িং টু জান্নাতি রা কি আর পাপ কামানোর রিস্ক নিবে? । ওর জান্নাতি হুরদের সর্দারনি বউ টা তো মাইন্ড খাইব তাইলে।। আবার ধর্মে বলা আছে স্ত্রীর কাছে উত্তম ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তা র কাছে সর্বোত্তম।।

তাই বেটার ছিল মা রে একটা সিএনজি তে উঠায়া ভাড়া পরিশোধ করে সাথে একটা চাকর দিয়ে দেয়া।। ধার্মিক ছেলে বলল, " মা, আমি তো সাংহাই চিনি না ভালমতো যদিও এখানে আছি ১০ বছর।। তা আমার ওই চাকর টা ভাল চেনে।। ওর জন্ম এখানেই। ও তোমারে সবকিছু দেখায়া নিয়া আসব।।".।

ব্যস ঝামেলাও সামাল দেয়া গেল আবার জান্নাতও লাটে উঠলো না।।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

মানবী বলেছেন: এই মাকে যতোখানি হতভাগ মনে হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি দুর্ভাগ্য এই সন্তানের।

বার্ধক্যে পৌঁছে মানুষ আবার শৈশবে ফিরে যায় কথাটা বিজ্ঞান সন্মত, এসময় মানুষের ব্রেইন সেল থেকে শুরু করে মাংসপেশি সহ সকল শারীরিক প্রক্রিয়া দুর্বল হতে থাকে, ঠিক যেনো শিশুর মতো। আর তাই এসময় অনেকে ছোট্ট শিশুর মতোই আচরন করেন, কেউ মেজাজ ও জেদ।
ছেলের বৌ অন্য বাড়ির মেয়ে, পুত্রতো মায়ের.... এই ছেলদের এমন ছেলেমানুষি আর অন্যায় আব্দার একসময় তিনি সহ্য করেছেন।

কন্যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামী বাধা দিলেও সাধারনত মা বাবা কে ফেলে দেয়না।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

গোধুলী রঙ বলেছেন: বিপরীত বাক- কোন ধর্মের যে দোষ দিচ্ছেন তা বলেননি, আমি অবশ্য কোন ধর্মের কথা শুনিনি যেখানে এইরকম ডিরেকশন দেওয়া থাকে। যাইহোক আপনিই ভালো জানেন আপনার চিন্তা ভাবনার ব্যাপারে।

এইবার কোরানের কথা বলি,
পবিত্র কোরআনের অন্ততঃ পনের জায়গায় পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। সুরা লোকমানের ১৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি কেননা তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। আমি আরো নির্দেশ দিয়েছি আমার প্রতি ও তোমার পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। অন্যদিকে সূরা বনি ইসরাইলের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ' শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিওনা। তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ণভাবে কথা বলো।'

আর যেই ছেলেগুলো মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে তারা ধর্মের কোন ধারটা ধারে একটু দেখাই দিবেন আমাকে?

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে মা নিজে চলে যায়, তার জন্য চমৎকার জায়গা। আর যে মাকে জোর করে পাঠানো হয় তার জন্য বিতৃষ্ণাজনক।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

সৃজন আহমদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। 'দোষ' লেখাটাই উচিত ছিলো @প্রামানিক

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

সৃজন আহমদ বলেছেন: কেউ রিস্ক নিতে চায় না,সবাই জান্নাতের পাগল @বিপরীত বাক

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

সৃজন আহমদ বলেছেন: মেয়েদের বাবা মার প্রতি ভালোবাসা অনেক, তা ঠিক বলেছেন।আর মা-বাবাকে ফেলে দেওয়া সন্তানরা আসলেই দুর্ভাগা, খুব দুর্ভাগা @মানবী আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

সৃজন আহমদ বলেছেন: সম্ভবত এটা বিতৃষ্ণাজনকই @বিচার মানি তালগাছ
আমার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.