নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

মর্তুজা হাসান সৈকত

কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

মর্তুজা হাসান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাবর্তনহীন হাইওয়েতে

২৬ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩২



রায়হান, আপনি ধর্ষণ করেছিলেন
দেড় মাসের গোপন প্রেমিকাকে আপনার
চার বছরের প্রেম এবং বিশ্বাস
পায়ে দলে যে এসেছিলো চুপিচুপি!

রায়হান, আপনি ছুঁড়ে ফেলেছিলেন
শারীরিক চাহিদার পাঠ চুকে গেলে অত:পর
প্রত্যাবর্তনহীন অন্ধকারের হাইওয়েতে!

মেয়েটির প্রেমিক গায়ক ছিলেন
রায়হান, ছুঁড়ে ফেললেন অতীতে তাকেও!
যদিও সে টের পায় নি কিছুই এর
অপরের প্রেমিকা জড়িয়ে ধরে, রায়হান?

আপনি স্বপ্ন দেখালেন, রায়হান
আর বের করে আনলেন প্রেম থেকে
এবং রাখতে বলেন উভয় নৌকোয় পা!
সঙ্গীত প্রেম আর শিল্প সম্পর্কে
বুনলেন হীন মনোভাব
শয্যার মন্দিরে ঢোকালেন অত:পর
বস্ত্রহরণ পর্বের শেষে-
রায়হান, জ্বরে পুড়ে যায় মেয়েটি
পুড়ে যায় নক্ষত্রের চতুর্দিক
রায়হান, এভাবে ছেড়ে যায় কাউকে!

মেয়েটির দীর্ঘশ্বাসে ছিলো মা'র স্বপ্নভঙ্গ
বিশ্বাস নষ্টের দায়, বাবার
এভাবে ছেড়ে যায় কাউকে কেউ!
রায়হান, রশি ঝুলিয়েছিলো মেয়েটি
অথচ জানলো না কেউই এসবের!
রায়হান, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলো!
অথচ, সিম বদলে নিলেন আপনি
বদলে নিলেন ঠিকানা, যত পরিচয়
রায়হান, চৌদিকে রশি ঝুলায় মেয়েটি!

রায়হান, মেয়েটির প্রেমিক গান করতেন
হার্টের পেশেন্ট ছিলেন বাবা
টু টাইমস ঔষধ খেতেন না দিনে
পড়াশুনার খরচ চালাতেন ছেলের!
রায়হান, তার মাথায় ভরে দিলেন-
বিষণ্ণতা পূর্ণ কষ্ট আর চোখভর্তি জট!

ভালো না বেসেও আপনিও প্রেমিক
কারণ, পৃথিবী জোচ্চোরদের পক্ষে, রায়হান
যদিও, আপনি ধর্ষণ করেছিলেন
দেড় মাসের প্রেমিকাকে আপনার
অত:পর ছুঁড়ে ফেলেছিলেন
শারীরিক চাহিদার পাঠ চুকে গেলে!

অবিরাম যন্ত্রণার বিনিময়ে প্রতিদিনকার
মেয়েটি, স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছিলো অত:পর
ওড়নার বাঁধন ছিলো সিলিং ফ্যানে, রায়হান!
আর মেয়েটি ঝুলে ছিলো ততক্ষণই
পিস্তল উঁচিয়ে পুলিশ না এলো যতক্ষণ

মেয়েটির শরীর কাটাছেঁড়া হয়েছিলো
মৃত্যুটি নাকি স্বাভাবিক ছিলো না, রায়হান
গগনবিদারী বিলাপে শোনা গিয়েছিলো-
ও মরি নি, ও মরে নি, ওকে মেরেছে
মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিলো, রায়হান!
অথচ কিছুই জানলেন না আপনি
রায়হান, অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিলো থানায়
...আড়াই বছর প্রেমে ছিলো মেয়েটি
মা বাবা ভাই প্রতিবেশী একজন বললেন!

মেয়েটির প্রেমিক গায়ক ছিলেন, রায়হান
এরেষ্ট হলেন তিনি, তিন দিন পর
কেনো না, মৃত্যুর নেপথ্যে ছিলেন তিনি!
অভিযোগ এমনই করেছিলেন মেয়েটির বাবা

রায়হান, অথচ আপনি ধর্ষণ করেছিলেন
দেড় মাসের গোপন প্রেমিকাকে আপনার
রায়হান, আপনি ছুঁড়ে ফেলেছিলেন অত:পর
শারীরিক চাহিদার পাঠ চুকে গেলে
প্রত্যাবর্তনহীন অন্ধকারের হাইওয়েতে!

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: থিমটা চলমান সময়ের ক্লদাক্ত স্মৃতির!
বর্ণণায় ভিন্নতা বেশ লেগেছে - - -

একটু কি ঝুলে গেছে? মনে হল!
আরেকটু ছেটে কেটে নিলে -
অথবা পর্বান্তরে সাজালে - দারুন এক সৃষ্টি :)

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: দীর্ঘ কবিতা তো এমনই! শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: রায়হান কি একাই দোষি? মেয়েটির কোনো দোষ নেই?

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: দু'জনই তো। তবে মেয়েটির প্রেমিক নির্দোষ, রাজীব ভাই।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মর্তুজা হাসান সৈকত ,





খুব চমৎকার এক কবিতা , জীবনের হাইওয়েতে একটি মেয়ের জীবন কাহিনী ।

লেখার ষ্টাইলটা সুন্দর । তবে সহব্লগার বিদ্রোহী ভৃগুর কথাগুলোও ভেবে দেখার মতো ।



২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: দুঃখিত। কারো মতামতের কারণে কবিতাকে আমি পরিবর্ধন অথবা পরিমার্জন করি না। কবি নিজেই তার কবিতায় ঈশ্বর।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: রায়হানরা যুগে যুগে জম্মাবে জনম নেবে
প্রেমকে ধর্ষন করবে ভালবাসার বিশ্বাস
পায়ে পায়ে ধুলায় উড়াবে ওরা জম্ম নেবে
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ ওদের মৃত্যু নেই
বিচার নেই। খুব সুন্দর উপস্থাপন ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২২

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

মর্তুজা হাসান সৈকত বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: রায়হানরা ছিল, আছে, থাকবে যুগে যুগে!!
দারুণ লিখেছেন.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.