![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।
“পাসের হার ও সংখ্যার বিবেচনায় শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্যের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। সংখ্যাকে বড় করে দেখাতে গিয়ে শিক্ষার মান বলে যে একটা ব্যাপার আছে, সেটা সম্ভবত নীতিনির্ধারকেরা ভুলেই গেছেন।”- কথাগুলো ছাপা হয়েছে ২৯ আগস্ট প্রথম আলোর সম্পাদকীয় কলামে। অর্থাৎ, আজকাল পাসের হার বৃদ্ধি করে সংখ্যাকে যে বড় করে দেখা হয়, সেটা আর কারো অজানা নয়। শুনেছি আজকাল পাসের হার বাড়াতে হবে তাই পরীক্ষকদের সরকার মহল থেকেই সেভাবে বলা হয়ে থাকে এবং উত্তরপত্রের লিখিত কোন পৃষ্ঠায় শূন্য দেওয়া যাবে না এবং প্রয়োজনে ছোট-খাট ভুল সংশোধন করে নম্বর প্রদান করতে হবে তাও উল্লেখ করা থাকে। হাস্যকর! উত্তর ভুল থাকলেও নম্বর প্রদান করতে হবে এবং ভুল সংশোধন করতে হবে, এটা কোন নিয়ম? এটা কি পাসের হার বৃদ্ধির গোপন রহস্য? যেহেতু বিষয়টি সবাই জানে, তাই শিক্ষার্থীরাও উত্তর প্রদানে তেমন মনোযোগী হচ্ছে না। পৃষ্ঠা ভরাট করাটাই তাদের মূল লক্ষ্য। এতে শিক্ষার্থীরা কি প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করছে?
এখন যেহেতু গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়, তাই শিক্ষার্থীরা নম্বরের ব্যাপারে মনোযোগী নয়। ৮০ নম্বর অর্জন করাটাই হলো তাদের একমাত্র লক্ষ্য। কারণ ৯৯ নম্বর পেলে A+, ৮০ নম্বর পেলেও A+| অথচ আগে আমাদের সময় ৪/৫ নম্বরের জন্য স্টার মার্ক (৭৫০ নম্বর) বিষয়টি হতো না। তখন নম্বর বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা ছিল না। থাকলেও তা ফলপ্রসু হতো না। তাই সে সময় শিক্ষার্থীরা উত্তর প্রদানে যথেষ্ট যত্নশীল ছিল। কারণ তখন ২/৩ নম্বরের জন্য একজন শিক্ষার্থীর পজিশন বা অবস্থান অনেক দূরে চলে যেত। যা পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় বিশাল ভূমিকা রাখত। আর এখন যেহেতু ফলাফলে নম্বর বিষয়টি উল্লেখ থাকে না তাই কে বা কারা অধিক নম্বর পেয়ে পাস করল, সেটা নিরূপণ করা যায় না। এর ফলে অনেক খারাপ শিক্ষার্থীও ভাল গ্রেড পেয়ে যাচ্ছে। যার ধরুন, আজকাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ গুলোতে যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। যার দ্বায়ভার আমাদের সমগ্র জাতীয়।
তাই সরকারকে পাসের হার বৃদ্ধির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া
# দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ করতে হবে।
# সকল বিষয়ে সরকারকে প্রশিক্ষণ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
# সৃজনশীল পদ্ধতিটিকে আরো যথার্থভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
# পাঠদানে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের আরো যত্নশীল হতে হবে।
# প্রশ্ন আরো সৃজনশীলভাবে করতে হবে। প্রশ্ন এতো পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।
# উত্তরপত্র মূল্যায়ন যথার্থ এবং নিভুলভাবে করতে হবে।
# শিক্ষার্থীদের সচেতন এবং যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।
সর্বপরী যোগ্য এবং উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারকেই গ্রহণ করতে হবে। সবকার পরিবর্তন হলে, নতুন সরকার এসে পাসের হার বৃদ্ধি করে তাঁদের সময় শিক্ষার হার ভালো - এই মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। কেননা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি আর সাফল্য সবকিছু অর্পিত হবে আজকের শিক্ষার্থীর উপর।
পর্ব-০১
পর্ব-০২
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার সাথে একমত হওয়ার জন্য। আর আপনার ছেলে নম্বর কাঁটায় মন খারাপ করেছে, সেটা শুনে আমি খুশিই হয়েছি। কারণ আজকাল ছাত্ররা ১নম্বরের গুরুত্ব বোঝে না।
অঃটঃ এইমাত্র দেখলাম। বাহিরে ছিলাম।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
রমিত বলেছেন: সুন্দর লেখা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: আমি এই লেখার সাথে একমত। ছাগল দিয়ে হালচাষ চলে না। শিক্ষার মান বৃদ্ধির সাথে কমিটমেন্ট একটা বিষয় যা এখন নেই। শিক্ষকতা এখন চাকরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও করছে বাণিজ্য। আর এই বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে সরকারের নীতি।
পাশের হার বৃদ্ধি কোনোভাবেই শিক্ষার মানের সূচক নয়। তাছাড়া আগে থেকেই তো জানি আকাশের লক্ষ তারার মাঝে ধ্রুবতারা একটিই। সংখ্যা বাড়াটাই গুণের প্রকাশ নয়। বরং সংখ্যা যত বাড়ে গুণ তত কমে। তাইতো উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মেধার সংকট আগের চেয়ে তীব্র।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার সাথে একমত হওয়ার জন্য। আসলে বর্তমানের পাসের হার আমাকে ভাবায় দেশ আর জাতির জন্য। কারণ দেশ প্রকৃত শিক্ষার্থী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে উচ্চ শিক্ষায়।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ভাই। +++ রইল।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
সুমন কর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষার নিম্নমুখী মানের ব্যাপারে আপনার উদ্বেগের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আপনার এবং মাইনুদ্দিন মাঈনুল এর আন্তরিক মন্তব্য ও পোস্টগুলো সমাধানের পথ দেখিয়েছে, কিন্তু কে শুনবে কার কথা?
জাতিকে উপরে ওঠাতে হলে সর্বাগ্রে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
সুমন কর বলেছেন: আসলেই কে শুনবে কার কথা !! আমরা সাধারণ মানুষ চিন্তিত কিন্তু যাদের চিন্তা করার দরকার, তারা চুপ করে বসে আছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট। আমার কথাই বলি আমি বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় দুই পত্রেই ৭৯ করে পেয়েছি তাই দুটো বিষয়ে লেটার মার্ক ছিলো না এবং ঢাকা কলেজে ২ মার্কের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারি নাই। আমার এক বন্ধু ছিলো ৪ মার্কের জন্য স্টার মার্ক পায় নাই। আবার অন্যদিকে আমার ছেলের স্কুলের একটা উদাহরন দেই। তার শেষ পরীক্ষায় অংকে ১ মার্ক কাটা হয়েছে সে ৪ এর নীচের অংশের বৃত্তটা উপরেরটা থেকে আকারে বড় হয়েছে তাই। একটা বাচ্চার ওই একটা মার্ক যে কতখানি মানুষিক আঘাত দিতে পারে তা আমি আমার ছেলের মন খারাপ দেখে বুঝেছি।
সবার আগে উপযুক্ত নীতিনির্ধারক নিয়োগ করতে হবে এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিদ্যালয়গুলোতে একই পদ্ধতিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।