নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে, বুঝি নি এখনো তবু সন্ধানে...........

পাশেই কারোর একখানা হাত ধরো, কাছেই কাউকে তোমার বন্ধু করো… দূরেও রয়েছে বন্ধু মিষ্টি হেসে, হয়তো কোথাও হয়তো অন্য দেশে।

সুমন কর

আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

সুমন কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: অনধিকার।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫





এমনটি হবার কথার ছিল না। হতোও না। এইতো কিছুদিন আগেও হাসান স্বপ্ন দেখত, কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ভাল একটা সরকারী চাকরি জোগাড় করে, জীবনটাকে গুছিয়ে নেবে। কিন্তু আজ নেশার মরণ ফাঁদে পড়ে হাসানের জীবন বিপর্যস্ত।



সেলিম উদ্দিন। ষাটের কাছাকাছি বয়স। স্বাস্থ্যবান। কালো। লম্বায় ৫'৮''। পেঁটে মাঝারি ভুঁড়ি। অনেক টাকার মালিক। ঢাকার শান্তিনগরে একটি তিনতলা পাঁকা বাড়ি আছে। আবার এলাকাতে রয়েছে বড়সড় একটি ইলেকট্রিক দোকান। সময় করে ঠিঁক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। পড়াশুনার দৌঁড় বেশী না। টেঁটে-টুঁনে তখনকার মেট্রিক পাস করেছে। পড়াশুনা কম থাকলেও সমস্যা নাই, তিনি আবার এখানকার একটি স্কুল কমিটির সভাপতি! আর এই কারণে স্থানীয় এমপির সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। টাকার জোড়ে। তাই পলিটিক্সও করেন।



সেলিম উদ্দিন সাহেবের স্ত্রী বছর দুয়েক হলো গত হয়েছে। উনার দুই ছেলে আর দুই মেয়ে। মেয়ে দুটো তেমন পড়াশুনা করেনি, তাই বিয়ের বয়স হবার সাথে সাথে মোটামুটি ভাল ও পয়সা দেখে বিয়ে দিয়ে উনার দায়িত্বভার শেষ করেছেন। বড় ছেলেটি বন্ধু-বান্ধব, আড্ডা, কুসঙ্গ আর নেশার মায়ায় জড়িয়ে কোনমতে এইচ.এস.সি পাস করে এখন সংসার আর বাবার ব্যবসায় হাত দিয়েছে। যদিও মাঝে একটি বছর নিরাময় কেন্দ্রে কাঁটিয়েছে।



হাসান সবার ছোট। বড় তিনটি সন্তানকে ঠিঁক মত মানুষ করতে পারেনি বলে হাসান একটু বেশী কেয়ারেই থাকত। তাই বলে, সে যে খুব শান্ত-শিষ্ট ছেলে ছিল এটা ভাবলে ভুল হবে। বাবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে সে মাঝে মাঝে স্কুল বা কোচিং থেকে পালিয়ে বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে বা আড্ডা দিতে দূরে চলে যেত। কিন্তু যথাসময়ে বাসায় ফিরে আসত বলে, সেলিম সাহেব তেমন কিছু বলত না। তবে ব্যাপারগুলো উনি জানতেন। হাসান পড়াশুনায় ভাল ছিল। উনার স্কুল থেকেই গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এস.এস.সি এবং এ বছর এ প্লাস পেয়ে এইচ.এস.সি পাস করেছে।



হাসান, কাল সকাল ৭টায় আমরা দুজন ফার্মগেট যাবো। তোমাকে কোচিং এ ভর্তি করে দিয়ে আসব। - দুপুরে ঘরে ফিরে, গম্ভির মুখে একথাগুলো বলল সেলিম সাহেব।



আচ্ছা, ঠিক আছে। তা কোনটায় ভর্তি হব? - ভয়ে মাথা নিচু করে বলে হাসান।



তোমার যেটায় ইচ্ছে হয়, হও। আমার কোন আপত্তি নাই। - জামা খুলতে খুলতে উনি বললেন। অবশ্য উনি মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে। এটা হাসানকে বলা হয়নি। তাই ভর্তির ব্যাপারে উনার কোন মাথাব্যাথা নেই।



বেশ কিছুদিন পর রাতে। হাসান তার বাবাকে বলল, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে চান্স পেয়েছি।”



হুম, আচ্ছা শুনলাম - রাতের খাবার টেবিলে বসে মাথা নেড়ে সম্মতি দিল সেলিম সাহেব। তুমি তোমার ঘরে গিয়ে বস, তোমার সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে।



আচ্ছা ঠিঁক আছে।



আগে থেকে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকা কথাটা আজ হাসানকে জানাতে হবে। তাই সেলিম সাহেব খাওয়া শেষ করে, হাসানের ঘরের দরজার পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “তুমি জান তোমার মা চেয়েছিল তুমি ডাক্তার হবে। আমার মা, মানে তোমার দাদীও তাই চেয়েছিল। তাই আমি তোমাকে দু’দিন পরে ঢাকার বাইরে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে নিয়ে যাব। সব কিছু ঠিক থাকলে সেখানে ভর্তি করে দিব।”



কিন্তু, আমি যে এখানে ঢাকায় পড়তে চাই।



তুমি তো এখানকার মেডিকেলগুলো মানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে পারো নি।



না মানে, আমি যদি ওয়েটিং লিস্ট থেকে চান্স পাই তাহলে এখানেই পড়তে চাই। - ভয়ে জড়সড় হয়ে কথা বলছে হাসান।



কারণ সংসার জীবনে সেলিম উদ্দিন খুব রাগি আর কম কথার মানুষ। উনি কিছুটা একরোখা বদমেজাজী ধরণের। উনি কারো পছন্দ বা সিদ্ধান্ত মেনে নেন না। নিজে যেটা ভাল বুঝবেন সেটাই করবেন।



তুমি আগে ওয়েটিং লিস্ট থেকে চান্স পাও, পরেরটা পরে ভেবে দেখা যাবে। - এই বলে উনি হাসানের ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেলেন।



হাসান এখন কি করবে? ভেবে-চিন্তে কিছুই পাচ্ছিল না। অস্থির লাগছিল, ঘুম আসবে না আজ। তাই বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করে রাতটা কাঁটিয়ে দিল।



ঠিঁক দুদিন পর, সেলিম উদ্দিন হাসানকে নিয়ে ঢাকার বাহিরে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করে দিয়ে আসে। তিন মাসের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে। এখন অরিজিন্যাল কাগজগুলো দিয়ে গেলে হবে। তারা পরে ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে কবে ক্লাস শুরু হবে?



যদিও উনি বাসে হাসানকে বলেছিল, ”তুমি ওয়েটিং লিস্ট থেকে চান্স পেলে, তোমাকে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিব।” তাই তখন হাসান তেমন কোন কথা বাড়াই নি।



১৫দিন পর যখন হাসান ওয়েটিং লিস্ট থেকে চান্স পেল, তখন সেলিম সাহেব অগ্নিরূপ ধারণ করল। তিনি তার ছেলেকে ডাক্তার বানাবেনই। তার পরিবারের একজন ডাক্তার হবেই। তিনি সকলকে বলে দিয়েছেন, তার ছেলে ডাক্তারী পড়ে। কিছুদিন পর ডাক্তার হবে !



কিন্তু হাসান ব্যাপারটি সহজে মেনে নেয়নি। তারও নিজস্ব কিছু ইচ্ছা বা স্বপ্ন ছিল ! যেহেতু সে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল তাই কারো ব্যক্তিগত স্বপ্ন পূরণের জন্য সে প্রাইভেটে পড়তে চায়নি। জানি প্রত্যেক অভিভাবক তার সন্তানের ভাল চায়। তাই বলে, হাসানের একটি ভাল সিদ্ধান্তকে অবহেলা করা কি ঠিঁক হয়েছে?



হাসান তার মামা, ফুফু এবং তার স্কুলের শিক্ষক দিয়ে, তার বাবাকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলাফল স্বরূপ, সেখানে গিয়ে হাসান অতি দ্রুত কুসঙ্গ, আড্ডা আর নেশায় জড়িয়ে পড়ে। যেহেতু সেলিম সাহেবের অনেক টাকা-পয়সা ছিল, তাই ঐসকল বিষয়ে জড়াতে আর সংগ্রহ করতে হাসানের তেমন কোন অসুবিধা হয়নি।



আনুমানিক দেড় বছর পর, সকাল ৫টার দিকে সেলিম সাহেবের সেল ফোনটি বেজে ওঠে। ওপাশ থেকে বলা হয়, আপনার ছেলে একটি ডাষ্টবিনের কাছে নেশার ওবার ডোজে মরে পড়ে আছে।।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব সাধারণ গল্প। শেষে এসে খারাপ লেগেছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সুমন কর বলেছেন: আমি সাধারণ ভাবেই সমাজের একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে এই ধরণের ঘটনা কিন্তু হচ্ছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

খাটাস বলেছেন: বাবা মা অনেক সময় নিজের স্বপ্ন পুরন করতে সন্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যদি ও তা সন্তানের ভালর জন্য। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে বাবা মা এর সাথে সন্তানের দূরত্ব টা তাদের সবার ক্ষতির কারন হতে পারে। এই ব্যাপার গুলো তে গুরুত্ত কম দেয়া হলে ও সচেতনতা প্রয়োজন।
সুন্দর উপস্থাপন করেছেন । ভাল লাগল।
( ইহা পাম মনে করবেন না, সুমন দা। ;) :) পছন্দ না হলে আমি মুখের ওপর ই সেটা বলতে পছন্দ করি মোটামুটি :D )

শুভ কামনা দাদা। :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সুমন কর বলেছেন: তোমার সর্ম্পকে আমি জানি ! তাই আর বলতে হবে না। আসলে কিন্তু এ ধরণের ঘটনা আমাদের চারিপাশেই হচ্ছে। আর এই ঘটনা কিছুটা সত্য, তবে অন্য ভাবে। কারণ এখনো অনেক অভিভাবক তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছেলেমেয়েদের উপর চাপিয়ে দেয়। যার ফলাফল সর্বদা খারাপ।

আমি সমাজের সচেতনার জন্যই একটু গল্প করে লিখলাম।

ভালো থেকো।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সচেতনতামূলক গল্পে +++

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।

ভালো থাকবেন।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ছিমছাম সহজিয়া গল্প! মেসেজটা সুন্দর!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

সুমন কর বলেছেন: আমি সহজ গল্পের মাধ্যমেই একটি মেসেজ দেবার চেষ্টা করেছি।

আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুঃখজনক !
ছোট্ট এবং অর্থবহ !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের মূলকথাটা পরিষ্কার। সুন্দর গল্প।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

শূন্য পথিক বলেছেন: ভালো লেগেছে +

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩২

সুমন কর বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকবেন।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সুন্দর লিখেছেন +++ রইল

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: কাউকে আসলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন কিছু করতে দেয়া উচিত নয়। আমার এক স্যার বলতেন ,''যদি ঘাসফুল হও তবে ঘাসফুলের মাঝেও শ্রেষ্ঠ ঘাস ফুল হও।'' কথাটা সে দিন খুব মনে ধরেছিল। আপনার গল্পটিও মনে ধরল।

অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্যার অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। তাই আমি আর কি বলব?

গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকবেন।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ফিনিসিংটা খারাপ লাগল, এমন আমাদের আশাপাশে অহরহ হচ্ছে।

আমারই এক বন্ধু ম্যাথামেটিক্স এ খুব ভাল ছিল, পড়তে চেয়েছিল ঢাবি তে, চান্সও পেয়েছিল। কিন্তু ওর বাবা ইঞ্জিনিয়ার বানাবে বলে জোড় করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করিয়ে দিল, ফলাফল ২ সেমিস্টার পর সে এবনর্মাল হয়ে যায়। তার মনে হত, সে প্রোগ্রামিং কিছুই পারে না, সবাই তার দিকে তাকিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, হাসাহাসি করে; সবই ছিল তার কল্পনা, সে নাকি দেখত কেউ তাকে ফলো করছে সবসময়। ভয়ংকর মানষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে সে লেখাপড়াই ছেড়ে দেয়, তারপর। এখনকার খবর জানি না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

সুমন কর বলেছেন: আপনি তো আপনার বন্ধুর সত্য কথাটিই বলে দিলেন। আমার গল্প, আপনার বন্ধুর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, এতেই গল্প সার্থক !!

আসলে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৫

বৃতি বলেছেন: ভালো লাগলো । ++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

তাসজিদ বলেছেন: নেশা নষ্ট করছে সমাজ, সভ্যতা।

click this link

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

সুমন কর বলেছেন: আমি আমার এই গল্পে নেশাকে প্রাধান্য দেইনি। কারণ নেশার ভয়াবহতা সকলেই জানি। একটি ভালো সিদ্ধান্ত, যা কিনা সবাই সমর্থন করেছিল শুধু বাড়ির অভিভাবকের অবহেলা বা ইচ্ছার কারণে গুরত্ব পায়নি, সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের মেসেজ ভাল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

সুমন কর বলেছেন: আমি মেসেজটাই দেবার চেষ্টা করেছি।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, রশিদ ভাই।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

অন্ধকারে একজন বলেছেন: আমাদের পরিবারগুলোর সচিত্ররূপ আপনার গল্পে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

আশীষ কুমার বলেছেন: গল্পটা সুন্দর। কিন্তু আমার কিছু কথা আছে।

সবাই কিন্তু যার যার ভালোটা বোঝে না। এই বয়সে এসে সবাই যে খুব ভালো বোঝবেন এমনও নয়। কিছু কিছু ব্যাপার পরিবার থেকেই আসা উচিত।

যার যা ভালো লাগে তাই যদি করতে দেয়া হতো তাহলে পৃথিবীতে লেখাপড়া করতো খুব কম মানুষ। ছোট বেলায় অনেককে তাই জোর করে পড়ালেখা করাতে হয়। আবার অনেকে এমনিতেই পড়ে।

বিষয়টা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। এক কথায় উপসংহার টানা যাবে না। এখানে অনেক কিছুই চাপিয়ে দিতে হয় ভালোর জন্য। কিন্তু চাপিয়ে দিয়ে বসে থাকলে হবে না। ফলোআপে রাখতে হবে যে সে এটা গ্রহণ করছে কিনা। ডাক্তারি পড়ানোর ইচ্ছাটা খারাপ না। এটা তুলনামূলক ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এটার সাথে গল্পের নায়ককে এডজাস্ট করানো হয়নি। এটাই সমস্যা।

অনেকেরই ঢাকার বাইরে না যেতে চাওয়ার একটা গোয়ার্তুমি কাজ করে। এটা অনেক সমস্যা করে। ব্যাপার টা এমন যে ঢাকার বাইরে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্ট পেলেও যেতে চায় না। খুব খারাপ এটা।

সবাই যার যার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করলে অসুবিধা আরো বাড়বে। সবাই কিন্তু স্টিভ জবস বা বিল গেটস হয় নি।

আমি শুধু বলতে চাইছি এটা এক কথায় উপসংহার দেয়ার মতো কোন বিষয় নয়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

সুমন কর বলেছেন: আপনি নিজেইতো ব্যাখ্যা দিয়েছেন ! সবাই যে মহান হয় না সেটা আমরা জানি। আপনি দেখবেন, গল্পে কিন্তু সবাই হাসানের পক্ষে ছিল। আর সেলিম সাহেব কিন্তু টাকাওয়ালা নট শিক্ষিত। তাই উনি পড়ার ব্যাপার একটু কম বুঝবেন, বৈকি?
আর পুরো পরিবারের মধ্যে হাসান একটু ভালো ছিল। শিক্ষিত পরিবারে এসব সমস্যা তেমন হয় না।

তবে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের মূল মেসেজটি সহজেই অনুমান করা যায়। প্রত্যেকেরই তাদের পড়াশুনার একটা চয়েস থাকে জা বাবা-মা বুঝতে চান না । তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য বা নিজের মতামতকেই প্রাধান্য দেয়। তবে এটাও ঠিক সে সময় অর্থাৎ এইচ এস সি পাশের পর সন্তানেরও একটা নিজস্ব মতামত গড়ে ওঠে, থাকে একটা ফ্রেন্ড সার্কেল।

হাসানের পরিনতিটা বেদনাদায়ক। তবে গল্পের সমাপ্তিটা দ্রুত হয়েছে মনে হচ্ছে।

শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সুমন কর বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই সংক্ষিপ্ত করেছি। কারণ নেশা, টাকা আর কুসঙ্গ বিষয়গুলো এ গল্পে আমি আনতে চাইনি। পরে কোন একদিন হবে!!

আর আমার বড় লেখা দেখে যদি পাঠকরা দৌড় দেয়!! তাই আর রাবারের মত টানিনি।

আপনাদের মত পাঠক পেলে উৎসাহ পাই। ভালো থাকবেন।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পের ম্যাসেজটা ভালো। পরিচিত প্রেক্ষাপটের গল্প। সহজ ভাবে লিখেছেন। তবে আরো ভালো করার সুযোগ আছে।
শুভ কামনা রইল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

সুমন কর বলেছেন: উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ। ...চেষ্টা করব।

ভালো থাকবেন।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনার গল্পের মাধ্যমে একটা ভালো মেসেজ দিয়েছেন। প্রত্যেক বাবা মায়ের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

এম ই জাভেদ বলেছেন: আশা করি নির্বাচিত পাতা নিয়ে আপনার দুঃখ , হতাশাবোধ এবং অভিমান দূর হয়েছে, সুমন কর। আপনার আগের একটা পোস্টের রেশ ধরে বলছি।

এভাবে প্রতিনিয়ত মেসেজ মুলক গল্প দিয়ে আমাদের পাঠক হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যাবেন B-))

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

সুমন কর বলেছেন: ধন্যবাদ এম ই জাভেদ ভাই। দুঃখ বা হতাশা আমার ছিল না, থাকবেও না। অভিমান হয়তো একটু ছিল !!

আর বলেছিলাম আমি লিখব, আপনাদের জন্য ও আমার জন্য। তাই লিখব।
আমি চেষ্টা করব, সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে মেসেজ দিতে। আপনাদের মতো পাঠক পেলে উৎসাহ পাই। ভালো থাকবেন।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার গল্প পড়লাম। যা বলতে চেয়েছেন সহজেই বোঝা যায়। খুব প্যাঁচাতে যান নি। একদম সরলভাবে বর্ণনা করে গেছেন।

কা_ভা এর মন্তব্যটা মনে রাখা উচিত। আরও ভাল করার সুযোগ ছিল। আশা করি আরও পরিণত লেখা আপনার কাছ থেকে আমরা পাব।

শুভ কামনা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

সুমন কর বলেছেন: চেষ্টা করব।

আপনি কষ্ট করে আমার Click This Link এই গল্পটা পড়ে নিবেন।
সময় থাকলে শিক্ষা ও রাজনীতি পর্বগগুলো পড়তে পারেন।

ভালো থাকবেন।

২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: শিরোনামে বানান ভুল আছে। অনাধিকার>অনধিকার। ঠিক করে নেবেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভুলটা বলে দেবার জন্য। আমিও একটু সন্দেহে ছিলাম।
ঠিক করে দিলাম।

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩০

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে মূল রসদ নিয়ে সাজানো গল্প। বেশ সহজ ভাষায় লেখা। ক্লিয়ার ম্যাসেজ।

তবে গল্পের পরিসমাপ্তি বেশ দ্রুত হয়ে গেছে। দুম করে শেষ! এর উত্তর অবশ্য উপরে দিয়েছেন।

ভাল থাকুন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

শায়মা বলেছেন: :(

মন খারাপ করা!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মন খারাপের গল্প বেশি হয় কেন?
লেখকদের কে বুঝাবে!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

সুমন কর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পরের বার মজা কিছু দেবার চেষ্টা করব।

২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

জুন বলেছেন: আমার শ্বশুর সাহেব ও ছিলেন এই সেলিম সাহেবের মত । তার ইচ্ছানুযায়ী আমার দেবরদের ডাক্তারী ইঞ্জিনিয়ারিং এসব পড়তে হয়েছে । তবে তারা হাসানের মত হয়নি, প্রত্যকেই তাদের পেশায় সফল আর উচ্চ পদে আছে। অবশ্য আমি বিশ্বাস করি প্রত্যকের স্বাধীন মতামতের মুল্য দেয়া উচিত তবে গাইড ও করা উচিত আলাপ আলোচনা করে ।
ছোট গল্প ভালোলাগলো সুমন কর, তবে করুন পরিসমাপ্তি মর্মন্তদ।
+

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

সুমন কর বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

অপ্রচলিত বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় সচেতনমূলক একটি গল্প লিখেছেন। গল্পের মধ্যে দিয়ে সুন্দর একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা করার জন্য সাধুবাদ জানাই। +++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

সুমন কর বলেছেন: আসলে আমি সাহিত্যের মার-প্যাঁচ কম দিয়ে সহজ ভাবে সকল পাঠকের কাছে পৌঁছাতে চাই। এতদিন আগের একটি গল্প সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, আগামীতেও আপনাদের পাশে পাব।

২৭| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে একটা পরিস্কার মেসেজ পাওয়া গেল। সহজভাবে বলা এই গল্পটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছে। যে পড়বে, সে তার নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ এবং তার নিজের যোগ্যতা সম্পর্কেও অবহিত। সুতরাং তার নিজস্ব মতামতটার অবশ্যই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। নতুবা হিতে বীপরীত হতে পারে, যেমনটা গল্পে হয়েছে।

২১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

সুমন কর বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে একটা মেসেজ দেবার ইচ্ছে ছিল। সবার এটা ভালো লেগেছিল, জেনে খুশি হয়েছিলাম। আজ আপনার ভালো লেগেছে বলে ভালো লাগল।

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.