নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে, বুঝি নি এখনো তবু সন্ধানে...........

পাশেই কারোর একখানা হাত ধরো, কাছেই কাউকে তোমার বন্ধু করো… দূরেও রয়েছে বন্ধু মিষ্টি হেসে, হয়তো কোথাও হয়তো অন্য দেশে।

সুমন কর

আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

সুমন কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পতাকা, বিশ্বকাপ ফুটবল আর দেশাত্মবোধ।

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৮





এই পোস্টটি কিছুদিন আগে কিংবা ১২.০৬.২০১৪ তারিখে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ শুরুর দিন দিলে ভাল হতো। তারপরও এখন যেহেতু চারিপাশের বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ বা উত্তাপ ছড়িয়ে আছে, তাই পোস্টটির মূল্য এখনো অনেক বেশী।



মোটামুটি সব বড় টিমের খেলা হয়ে গেছে। টানটান উত্তেজনা অনুভব করা যাচ্ছে। আজ স্পেনের জন্য ফাইনাল বা জীবন-মরণ। কারণ আজ হারলে, গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিদায় ঘণ্টা বেঁজে উঠবে। মানে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিঁটকে পড়বে। এ বড়ো হতাশার হবে ! আশা করি, তারা আজ ঘুরে দাঁড়াবে।



খেলা বিশ্লেষণ বা কোন দল নিয়ে অলোচনা করাটা আমার পোস্টের বিষয় নয়। যেহেতু বিশ্বকাপ নিয়ে লিখছি, তাই দু’চার কথা না বললেই নয়। চার বছর পরপর আমরা মেতে উঠি বিশ্বকাপ নিয়ে। সেটা ফুটবল হোক আর ক্রিকেটই হোক। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-অফিস-আদালত-পাড়া-মহল্লা-শহর-গ্রাম সব জায়গায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বকাপ। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবল একটু আলাদা। স্বল্প সময় আর টানটান উত্তেজনায় ভরপুর বিশ্বকাপ ফুটবল সবার কাছে বেশী জনপ্রিয়। এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দেশেও। বাংলাদেশে। ঘরে ঘরে। বাড়ির ছাদে আর দেয়ালে দেয়ালে ছড়িয়ে পড়ে উন্মাদনা। ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টারে পোস্টারে ভরে যায় রাস্তার অলি-গলি।







বিভিন্ন দলের সর্মথকরা তার প্রিয় দলের পতাকা বাড়ির ছাদে বা দোকানে টাঙ্গিয়ে, দলে সাথে তথা বিশ্বকাপের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করে। এর কোন খারাপ দিক আমি দেখতে পাই না। চার বছর পরপর প্রায় ত্রিশ বা পঁয়ত্রিশ দিনের জন্য বিশ্বকাপ খেলা হয়। এ সময়টুকু তারা একটু আনন্দ করে। কারণ যে দেশে বিশ্বকাপ খেলা অনুষ্ঠিত হয়, সবার পক্ষে মাঠে উপস্থিত থেকে প্রিয় দলের পতাকা হাতে নিয়ে খেলা দেখা সম্ভব হয়না। তাই বাড়ির ছাদে পতাকা টাঙ্গিয়ে বা জার্সি গায়ে জড়িয়ে তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করে। মাঝে মাঝে যে মাত্রারিক্ত হয় না, সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সার্বিক ভাবে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য। আগামী বিশ্বকাপ যে উনি বা সে দেখতে পারবেন, তার নিশ্চয়তা কিন্তু কেউ দিতে পারি না। কারণ, যে কোন সময় আমরা মারা যেতে পারি।



পতাকা উত্তোলনের সাথে দেশপ্রেম জড়িত বা দেশের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়, সেটা বলা যায় না। দেশাত্মবোধ ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অন্তঃস্থ। কেউ দেশের পতাকা বাড়ির ছাদে টাঙ্গালেই যে, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা আর না টাঙ্গালে দেশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে, সেটা ভাবা উচিত নয়। তাহলে একটা বিষয় না বলে পারছি না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের প্রধান মতিউর রহমান নিজামী চেয়েছিল, বাংলাদেশের পতাকা পুড়ে পাকিস্তানের পতাকা বাংলা ঘরে ঘরে উড়ুক । কিন্তু পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি বাড়িতে আর গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা টাঙ্গিয়েছে। তার মানে কি? উনি বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, প্রকৃত দেশপ্রেমিক না উনার দেশাত্মবোধ বেশী ???







আসলে জোড় করে কিছু আদায় করা যায় না। বিশেষ করে সম্মান। মন থেকে যেটা আসবে সেটাই আসল ও দীর্ঘস্থায়ী। তাই জোড় করে, আইন করে স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে হবে আর বিশ্বকাপ আসলে প্রিয় দলের পতাকা উত্তোলন করা যাবে না, সেটা এক কথা নয়। দু’টির উদ্দেশ্য বা মর্মাথ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।



প্রথম আলোর ১১.০৬.২০১৪ তারিখে প্রকাশিত একটি খবরের মাধ্যমে জানলাম, যশোরের জেলা প্রসাশকের নির্দেশে মাইকিং করে, তার মানে আইন করে সব পতাকা চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নামিয়ে ফেলতে বলেছেন। ব্যাপারটি সহজভাবে মেনে নিতে পারিনি। আমি জীবনে কোনদিন বাংলাদেশের পতাকা ছাড়া অন্য কোন দেশের পতাকা কিনি নাই। যতটুকু মনে পড়ে, একবার আমার এক ব্যাচের কিছু ছাত্র আমার প্রিয় দলে পতাকা বারান্দায় টাঙ্গিয়ে দিয়েছিল। তাও কয়েক ঘণ্টার জন্য। কারণ, আমার বকা বা অনুরোধে পড়া শেষ করে যাবার সময় সেটি নিয়ে গিয়েছিল। তাই বলে, অন্যরা একটু আনন্দ করতে পারবে না !! বিশ্বকাপ শেষ হলে, তারা তা এমনি নামিয়ে ফেলবে। শুধুশুধু এরমধ্যে দেশাত্মবোধ জড়িয়ে বিশ্বকাপের আমেজ বা উন্মাদনাকে হত্যার করার কোন মানে নেই।



বিশ্বকাপের উত্তেজনা আর আনন্দময় সময়টুকু সবার ভাল কাঁটুক, দূর্বল হৃদয়সম্পন্ন সমর্থনরা বেশী উত্তেজনামলূক খেলা পরিহার করুন, খেলা নিয়ে কেউ ঝগড়া-বিবাধে জড়িয়ে পড়বেন না এবং খেলায় হার-জিত থাকবে, তাই কোন অঘটনপটিয়সী ব্যক্তি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিবেন না, সেটাই আশা করি।



সবাইকে বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

পতাকা নিয়া একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হইছে কিছুদিন। কয়েকটা পেইজে দেখলাম ব্রাজিলের রাস্তায় কিছু ব্রাজেলিয়ান সাপোর্টার হেঁটে যাচ্ছে তার পাশেই ডাস্টবিন থেকে একটা মানুষ খাওয়ার কুড়িয়ে খাচ্ছে। ছবিটা নিয়ে আমাদের কিছু অনলাইনের বাঙ্গালী যোদ্ধা ব্রাজিল কেন এই গরীব মানুষের পাশে না দাড়িয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করলো তা নিয়ে বেশ হুমড়িয়ে খেয়ে পড়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টিটুয়ান্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। আমাদের দেশেও ডাস্টবিনের খওয়ার খাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু সেই দিন এই সব বাঙ্গালীরা খুব নিরব ছিলো। আমাদের দেশের কিছু মানুষ আজাইরা কিছু বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে।

১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

সুমন কর বলেছেন: প্রথম ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য বাড়তি ধন্যবাদ।

আসলে আমরা, বাঙ্গালী হুজুগের মাতাল। তারা কোন কিছু পেলেই লাফালাফি করে।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

চড়ুই বলেছেন: নিশ্চিয়তা>নিশ্চয়তা
সম্পর্ণ > সম্পূর্ণ

টাইপো গুলো ঠিক করলে আরও ভালো লাগবে।

কিন্তু পরে মজা পাইছি। B-)

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

সুমন কর বলেছেন: তাড়াতাড়ি করাতে হয়ে গিয়েছিল। ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি।

আপনি কিন্তু আপনার ভুলগুলো ঠিক করেন না। করেছেন কি?

এইতো, আমার বেস্ট ছাত্রী!!!

বিষয়টি কিন্তু মজার ছিল না।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

চড়ুই বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেয়া যদি আমার ভুল হয়ে থাকে তাহলে যান আর আসলাম না আপনার ব্লগে। কিন্তু একজন অভিজ্ঞ ব্লগার হয়ে "এইতো, আমার বেস্ট ছাত্রী!!!" এই ভাবে ব্যাঙ্গ করাটা আপনার উচিত হয়নি। ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

সুমন কর বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার আগের মন্তব্যে লাইক দিয়েছি। কারণ আমি সরাসরি বলতেই পছন্দ করি।

ভাল থাকবেন।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর একটি লেখা দিয়েছেন আপনি, সুমন কর!
প্রতিটি শব্দে আমি একমত।

পতাকা ওড়ানোর বিষয়টিকে আমি মেনে নিতে পারি না কোনভাবেই। অন্য কোন দেশে এতো আতিশয্য দেখা যায় না।

সেদিন একটি টিভি অনুষ্ঠানে দেখলাম: দেশের এক মন্ত্রীও মানুষের অযাচিত আবেগের বিপক্ষে বলার শক্তি পেলেন না।



সুলিখিত পোস্টটির জন্য অভিনন্দন আপনাকে :)

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

সুমন কর বলেছেন: আপনাদের মতো ব্লগারের মন্তব্য পাই বলে, মাঝে মাঝে কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। নতুবা ব্লগিং করতে এখন তেমন ভাল লাগছে না। যেভাবে, সামু ভাল লেখাগুলো বাদ দিয়ে দলাদলি করে পোস্ট নির্বাচন করছে, তাতে সামু ছাড়তে সবাই বাধ্য হবে।

অনুগ্রহ করে নিচের একটি পোস্টের লিংক দিলাম। পড়ে দেখবেন। অথচ নির্বাচিত পাতায় নাই।

নবীনের আগমণ; সামুর নিয়মিত ব্লগাররা কেন স্বাগত জানাবে না?


আমার এই পোস্টটিও সবার জন্য ছিল, কিন্তু এটিও নির্বাচিত পাতায় যায়নি।

আমি গুণি ব্লগার, তাই শেয়ার করলাম।

ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সামু কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা ইদানিং মিস করছে। আমিও দেখেছি।

এর একটি কারণ হতে পারে উইকেন্ড। মানে শুক্রবারে হয়তো সঞ্চালক সাহেব ছুটিতেই থাকেন ;)
থাকতেই পারেন। সবারই তো ছুটি দরকার।

কয়েক সপ্তাহ আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলাম। যেমন, আজ ৫টার পর থেকে আগামিকাল পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ লেখাই আসুন না কেন, তা নির্বাচিত পাতায় যাবে না। আমার ধারণা মিথ্যা হতে পারে।

ব্লগের খরার সাথে সঞ্চালনার দারিদ্রতার একটি যোগসূত্র তো আছেই :)

২০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

সুমন কর বলেছেন: আবার মন্তব্য করতে এসেছেন বলে খুশি হলাম। উইকেন্ড বলে না, অন্য কিছু ব্যাপার আছে। আমি মোটামুটি যতক্ষণ পারি সামুতে থাকি এবং ঐ ব্যাপারগুলো চোখে আসে। দেখি এখন থেকে সরাসরি কিছু বলতে হবে।

পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কাছেও অবশ্য পতাকার ব্যাপারটা একটু অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে। এক দশক আগেও দেশে এত পতাকা দেখা যায় নি ওয়ার্ল্ড কাপের সময়, এবং তখনও ব্লগ বা ফেইসবুকের বহুল ব্যবহার না থাকায় ফুটবল দলভিত্তিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখা যায় নি। এ ব্যাপারে যদি আমাদের সচেতনতা বাড়ানো না যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ নিয়ে কঠিন ঝগড়াঝাটি ও হত্যাযজ্ঞ পর্যন্তও ঘটতে থাকবে। ১ মাস ৯ দিন সময় নিছক খেলা উপভোগের জন্য ব্যয় করা উচিত, কিন্তু এহেন অতিরঞ্জনের ফলে বর্তমানেই অনেকে খেলা উপভোগ না করে মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাটি, টেনশনে লিপ্ত হচ্ছেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এরকম আছে বলে আমার জানা নেই।

পতাকা উড়ানোর ব্যাপারটা দেশপ্রেমবিরোধী না ভেবে আমি বরং এরকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পূর্বাভাষ হিসাবেই দেখছি। আর যদি দেশপ্রেম টেনে আনিও, তবুও মনে করি আমাদের মনমানসিকতা আরও উদার ও উন্নত করা উচিত। ক্রিকেট খেলার সময় কতজনের বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা যায়? নাকি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করতে দ্বিধা হয়?


শুভ কামনা থাকলো।

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১০

সুমন কর বলেছেন: ক্রিকেট খেলার সময় কতজনের বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা যায়? নাকি বাংলাদেশকে সাপোর্ট করতে দ্বিধা হয়?

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন সুমন কর ।

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

সুমন কর বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুস্থ-সুন্দর সমর্থনের মাধ্যমে প্রাণোচ্ছল একটি বিশ্বকাপ হোক।

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

সুমন কর বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: পতাকা দেশপ্রেমের প্রতীক, এর পেছনে আছে আমাদের আত্মত্যাগ । যদিও দেশপ্রেম ব্যাপারটা অন্ত:স্থ । আর খেলাধুলা হলো আবেগ-ভালোবাসা । তবে ব্যক্তিগত আবেগ-ভালোবাসা থেকে দেশপ্রেম অনেক উপরে । তাই আমি মনে করি কেউ তার প্রিয় দলের পতাকা টাঙ্গাতেই পারে, তবে ঐ পতাকার উপরে যেন নিজের দেশের পতাকাটাও থাকে ।

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

সুমন কর বলেছেন: দেশপ্রেম ব্যাপারটা অন্ত:স্থ । আর খেলাধুলা হলো আবেগ-ভালোবাসা ।

সুন্দর মন্তব্যে এবং পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

রোদেলা বলেছেন: দেশপ্রেম এক কথা আর ফুটবল প্রীতি আর এক কথা। এইটা বেকুবরা বোঝেনা।
ভালো লাগলো ।

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সুমন কর বলেছেন: বেকুবরা অনেক কিছু বোঝে না !
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্রেফ পতাকা পর্যন্ত থাকলে এক কথা। কিন্তু ব্যাপারটা তার চেয়েও গুরুতর হয়ে যাচ্ছে।

২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

সুমন কর বলেছেন: এবার মনে হয়, একটু বেশীই হচ্ছে ! পত্রিকায় দেখলাম কোন একটি জায়গায়, সব দেয়ালে উৎসব করে প্রিয় দলের পতাকা রং করা হচ্ছে।

ভাল থাকবেন।

১২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৫

দুঃখ বিলাস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪২

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: পতাকা বানাতে কত টাকা মোট খরচ হলো আমাদের দেশের??

হিসাব করলে দেখা যাবে আমরা রেকর্ড করে ফেলেছি।

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

সুমন কর বলেছেন: ভেবে দেখার বিষয় !!!

অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপ হতে দেখছি বিভিন্ন দেশের পতাকা খেলার সময় উড়ছে। উড়ছে বাড়িতে, দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায়------একই বাড়িতে বিভিন্ন ধরণের পতাকা। আমি ভিন্নভাবে এটাকে দেখি ----এটাতে খেলার একটা আমেজ বিরাজ করে, একটা উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করে, বিভিন্ন জন খেলাকে উপভোগ করে প্রাণ ভরে ----------। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনলাম দেশে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় বিভিন্ন দেশের পতাকা উত্তোলন করা হলে দেশে এক ধরণের উৎসবের আমেজ বিরাজ করে -----তরুনরা দেখুক, খেলা শিখুক-----প্র্যাকটিজ করুক------ আর সেই সময় হয়তো দূরে নয় -- যে সময় বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে এবং কাপটা জয় করে আনবে -------শুভকামনা ------

২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি কিন্তু আমার পোস্টে এ বিষয়টাই তুলে ধরেছিলাম। তবে সবার আগে দেশপ্রেম। মাঝে মাঝে যে মাত্রারিক্ত হয় না, সেটা অস্বীকার করছি না।

ভালো থাকবেন।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিশ্বকাপের উত্তেজনা আর আনন্দময় সময়টুকু সবার ভাল কাঁটুক, দূর্বল হৃদয়সম্পন্ন সমর্থনরা বেশী উত্তেজনামলূক খেলা পরিহার করুন, খেলা নিয়ে কেউ ঝগড়া-বিবাধে জড়িয়ে পড়বেন না এবং খেলায় হার-জিত থাকবে, তাই কোন অঘটনপটিয়সী ব্যক্তি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিবেন না, সেটাই আশা করি।

সবাইকে বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা।

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৭

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: পতাকা নিয়ে এমন চমৎকার পোস্ট কয়টা পড়েছি মনে নেই!

ভালোলাগা রইলো সুমন ভাই ....

০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৪

সুমন কর বলেছেন: প্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আর কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে সংকলন করতে পারছি না। দেখি চেষ্টা করতে হবে।
ভালো থাকবেন।

১৭| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

ডট কম ০০৯ বলেছেন: সহমত সুমন ভাই!!

০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৫

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

জুন বলেছেন: কেউ দেশের পতাকা বাড়ির ছাদে টাঙ্গালেই যে, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা আর না টাঙ্গালে দেশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে, সেটা ভাবা উচিত নয়।
আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত সুমন কর

০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৮

সুমন কর বলেছেন: আসলে জোড় করে কিছু আদায় করা যায় না। বিশেষ করে সম্মান। মন থেকে যেটা আসবে সেটাই আসল ও দীর্ঘস্থায়ী।

অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,


সহব্লগার "জুন" ; "হাসান মাহবুব" এবং সর্বোপরি " মামুন রশিদ" এর সাথে সহমত ।
বিশেষ করে মামুন রশিদের এই বক্তব্যটি ---তাই আমি মনে করি কেউ তার প্রিয় দলের পতাকা টাঙ্গাতেই পারে, তবে ঐ পতাকার উপরে যেন নিজের দেশের পতাকাটাও থাকে ।
সবার মাঝে এই মানসিকতার লালনটুকু যেন চোখে পড়ে আগামীতে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৮

সুমন কর বলেছেন: এবার একটু বেশীই হচ্ছে !!
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩০

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আমাদের টিম নেই, কিন্তু মানুষের খেলার প্রতি টান আছে; আমরা খেলব আগামীতে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সুমন কর বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং........


অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪

খাটাস বলেছেন: দুই তিন বছরে সব দিবস মিলাইয়াও মনে হয় না বাংলাদেশের পতাকা, ফুটবল বিশকাপের চেয়ে বেশি ওড়ে।
ব্যাপার টা ভাবতে ভাল লাগে না।
কিন্তু যা লিখেছেন যথার্থ সুমন দা,
অনেকেই বোঝে না জোড় করে দেশ প্রেম হয় না চৌধুরী সাহেব।
ভাল থাকবেন দাদা।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

সুমন কর বলেছেন: আসলে জোড় করে কিছু আদায় করা যায় না। বিশেষ করে সম্মান। মন থেকে যেটা আসবে সেটাই আসল ও দীর্ঘস্থায়ী।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থেকো।

২২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খেলা অবশেষে শেষ ও হচ্ছে।
মানুষের উৎসব থেমে যাচ্ছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

সুমন কর বলেছেন: খেলা শেষে, আবার সবাই তা নামিয়ে ফেলবে।

ধন্যবাদ।

২৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

লিরিকস বলেছেন: +

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৪

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: পটাকা নিয়ে কিছু আইন কানুন ও প্রচলিত প্রথা আছে, সেগুলো মানা দরকার।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৯

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো বলেছেন, সহমত। তবে সমস্যা হচ্ছে আমাদের সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। এই যেমন দেখেন বাংলাদেশের একজন কৃষক প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে জার্মানির পতাকা বানিয়েছেন। এখন আবেগের দাম লাখ টাকা নাকি গরীবের হাতি রোগ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ধরে নিচ্ছি সবাই এই আনন্দে অংশ গ্রহন করেছে, কিন্তু সত্যি বলতে বাঙ্গালি অন্য দেশকে যেভাবে ভালোবাসে তার নিজের দেশকে সে ততটা ভালোবাসে না। এটাই নির্মম বাস্তব।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২০

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। দেখলাম, জার্মানি জেতার পর উনাকে দুধ দিয়ে গোসল করানো হয়েছে এবং উনি পুরো গ্রামবাসীকে নিমন্ত্রণ করে খায়িয়েছে !!
তাহলে তো, বেশী খরচ হয়ে গেল !!! বাঙ্গালী তো হুজুগে মাতাল!! এরা সব সময় বেশী বোঝে। ভুল বোঝে !! এটাই নির্মম বাস্তব।

ভালো থাকবেন।

২৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিশ্বকাপ শেষ। চার বছর পর দেখা যাবে আবার পাগলামি।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

সুমন কর বলেছেন: যদি, চার বছর বেঁচে থাকি !! :P

আপনার মন্তব্য সব সময়ই উৎসাহ দেয়। মন্তব্য করা এবং লাইক দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ;)

২৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩০

মাসুদ ০০৭ বলেছেন: আমার মনে হয় , বিদেশী পতাকার পাশাপাশি যদি দেশের পতাকা লাগানো হয় , তাহলে ভালো হয় ,
আপনার সাথে একমত , আসলে ক্ষণিকের আনন্দে বাধা দেওয়া সমচিত নহে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৬

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সুলিখিত পোস্ট। আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। বেশ কিছু ভাল মন্তব্যও এসেছে।
ফুটবল জোয়ারে মাস খানেকের মত ভাসে স্বদেশ- ভাসুক না!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৭

সুমন কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.