নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পর জনমেও আসিতে হয় তাহলে আমি বার বার আসিবো তোমারই কোলে হে বাংলা মা!!!

এস কাজী

আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।

এস কাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলিকাতার দাদাবাবু ও তাদের সাহিত্যিক নিয়ে আলোচনা!!!!!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

(ঈদের পরে ভাই এর ট্রিটমেন্ট পারপাস এ ভেলর চেন্নাই গিয়েছিলাম, তখনকার ঘটনা



ই.এন.টি (নাক,কান,গলা) ডিপার্টমেন্ট এর সামনে বসেছিলাম। ভিতরে ভাইয়ার নাক আর কানের এক্সরে হচ্ছে। বসেই চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম সব কলিকাতার দাদাবাবু। দাদাবাবুদের আবার একটা অভ্যাস যে পাশে কেউ বসলে "বুঝলে গো" দাদা বলে আলাপ জুড়ে দেয়। আমিও উপভোগ করি। তার উপর দেখলাম সব বই পত্তরে পড়া বড় বড় কবি সাহিত্যিকদের এলাকার লোকজন। তাই আলাপ না জমিয়েও পারলাম না।



তেমনি প্রথম একজন পেলাম যার বাড়ি চুরুলিয়া গ্রামে। পেতেই জিজ্ঞেস করে বসলাম- "তা দাদা কাজী নজরুল এর এলাকার মানুষ আপনি, নজরুল এর বাড়ি ঘড় কেমন?"

"নজরুল কে গো দাদা?"- সে আমাকে উত্তর দিল। তার উত্তর শুনে বেকুব হয়ে গেলেম।



ভাবলাম না এর পাশে বসা আর গাধার পাশে বসা একই কথা বলেই ঘুরতে পেলাম এক হুগলীবাসী। তাকে জিজ্ঞেস করলাম-" হাজী মোহাম্মাদ মহসিন কে তো চিনেন নিশ্চয়?"। তার উত্তর শুনে এবার স্পীকার না হয়ে পারলাম না। কারণ সেও চিনেনা।



চুলামার বলে ওর পাশে আর না ভেবে উঠতে উঠতে ভাবতে লাগলাম এই দাদারা মনে হয় গোঁড়া হিন্দু তাই মুসলিমদের খবর রাখেনা। দেখি অন্য কাঊকে খুঁজে। অবশেষে পেয়ে গেলাম জোড়াসাঁকো এলাকার একজন। না এবার নিশ্চয় সে চিনবে ঠাকুরপো'কে বলেই জিজ্ঞাসিলুম-" কী হে দাদা আপনার তো গর্ব হওয়া উচিৎ আপনি রবি ঠাকুরের এলাকার মানুষ" বলতেই সে বলল- " রবি ঠাকুর কে গো দাদা, উনাকে তো আমী চিনিনা!!!"



নিজেকে সামলাতে না পেরে তাকে বললাম " চুল(হিন্দিতে) টা চিন?"



"ওমা চিনবোনা কেন দাদা, এ তো আমাদের এলাকাতে পরিমল ই কাটে, আমিও তো ওর কাছে লম্বা হলে কাটাই"- এ ছিল তার উত্তর।



রাগে দুঃখে তার পাশ থেকে উঠতে যাব এমন সময় খেয়াল করলাম আমি ই.এন.টি ছেড়ে পিছনে নিউরোসার্জারিতে এসে পড়েছি।:D:D



আর নিউরো সার্জারি মানেই বুইঝা লন!!! :P:P:P:P

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: কলিকাতার দাদা বাবুরা অনেক আত্মকেন্দ্রিক, ওনারা প্রয়োজন ছাড়া অন্য কিছু তেমন একটা নাক গলান না। গত বছর কলিকাতায় গিয়েছিলুম- মেট্রোরেল এর সামনে এক কোক বিক্রেতার (বয়স আনুমানিক ৪০ হবে) সাথে আলাপচারিতার এক প্রসংঙ্গে উনি যা বললেন- বর্তমান সময় হচ্ছে স্মাটনেস এর যুগ, আপনার বাড়িতে কি আছে সেটার চেয়ে আপনি কতটুকু বাহ্যিকভাবে ফিটফাট সেটাই হলো মূল বিষয়।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য জনাব শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া। আরেকটু যোগ করি এ পর্যন্ত আমি ৮ বার কলকাতা গিয়েছি বিভিন্ন কাজে। নতুন জায়গায় গিয়ে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা আমার কলকাতাতে হয়েছে। সর্বশেষ যেবার গেলাম এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বাইরের যাত্রীদের সাথে তারা খারাপ বিহেভ করে কেন। সে আমাকে উত্তরে বলেছিল আমরা কলকাতায় না গেলেই পারি, তাইলে তো আর খারাপ বিহেভ এর স্বীকার হতে হবে না। সাছ এ স্টুপিড।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এটা অবশ্যই ঠিক ট্যাক্সি ক্যাব এর ভাড়াটা ওরা একটু বেশি নেয় এবং সেটা অনায্য। আমাদের বাংলাদেশ খেকে নবাবপুরের ব্যবসায়ীরা এমনিই ঘুরতে যায়, কিছু টাকা খরচ করে আসে এ সুযোগটাই ওরা আসকারা পেয়ে গেছে। যারা ডাক্তার দেখানোর জন্য যান তাদের কথা ভিন্ন।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: নজরুল কে গো দাদা?"- সে আমাকে উত্তর দিল। তার উত্তর শুনে বেকুব হয়ে গেলেম।



ভাবলাম না এর পাশে বসা আর গাধার পাশে বসা একই কথা বলেই ঘুরতে পেলাম এক হুগলীবাসী। তাকে জিজ্ঞেস করলাম-" হাজী মোহাম্মাদ মহসিন কে তো চিনেন নিশ্চয়?"। তার উত্তর শুনে এবার স্পীকার না হয়ে পারলাম না। কারণ সেও চিনেনা।

হা হা নিউরোসার্জারীর ডক্টরের পাল্লায় পড়লে কি হত তাই ভাবছি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

এস কাজী বলেছেন: আরেকটু থাকলে হয়তো নিজেই রুগী হয়ে নিউরো সার্জারির ডাক্তারের পাল্লায় পড়তে হত। :পি

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আসলেই !!!!!!!!!!! কস্কি মমিন অবস্থা দেখতেছি ! অবিশ্বাস্য !

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

এস কাজী বলেছেন: বেশ অবিশ্বাস্য বটে!!!!!

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

করিম মিয়া বলেছেন: হিন্দুদের পূজা আসলেই আমার কেবল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘অর্ধেক জীবন’ নামক বইয়ের ৯১ পৃষ্ঠায় পূজার মূর্তি নিয়ে লিখেছিলো:

“মণিমেলায় প্রথমবারের পূজোর আগের রাত্রিটি আমার কাছে চিরস্মরণীয়। একটু বিস্তৃতভাবেই বলতে হবে।...........................নিঃশব্দ, নিবিড় রাত্রি, আমি বসে আছি, আমার সামনে একটি মাটির মূর্তি ছাড়া আর কিছু নেই। .................প্রতিমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সবাঙ্গে শিহরন হল। কী অপূর্ব সুন্দর..........ভরাট, বর্তুল দুটি স্তন। সরু কোমর, প্রশস্ত উরুদ্বয়।....................তার অভিঘাতে তছনছ হয়ে যেতে লালগল আমার কৈশোর, জেগে উঠল পুরুষার্থ। অল্প অল্প শীতে উষ্ণ হয়ে উঠল শরীর।.....................চোরের মতন সতর্কভাবে একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি হাত রাখলাম দেবী মূর্তির বুকে। ................আমার শরীর আরো রোমাঞ্চিত হলো, কানদুটিতে আগুনের আচ। আমি প্রতিমার ওষ্ঠ চুম্বন করলাম। আমার জীবনের প্রথম চুম্বন।” (বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক: http://goo.gl/SFhtwi)

আলচ্য গল্পাংশে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হিন্দুদের প্রতিনিধি হয়ে পূজোর মূর্তি দেখলে তাদের মন ও দেহের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটুকুই ব্যক্ত করেছে মাত্র। তাই এখানে মাইন্ড করার কিছু নেই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

এস কাজী বলেছেন: করিম মিয়া আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হল আপনার মন্তব্য!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.