নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পর জনমেও আসিতে হয় তাহলে আমি বার বার আসিবো তোমারই কোলে হে বাংলা মা!!!

এস কাজী

আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।

এস কাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লীর ডায়েরি-২ঃ এন এমব্যারেসিং মোমেন্ট /:)/:)/:)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

দিল্লী সম্পর্কে যে কথাটি দিল্লীতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সেটা হল এখানে দু’টি জিনিস সবচেয়ে পিউর পাওয়া যায়। গরমের সময় গা ফাটানো গরম আর শীতের সময় হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। তবে নতুন দিল্লী আবার একটু বেশি পরিচিত এর লিবারেল অ্যাটিচ্যুড এর কারনে। তেমনি একটি লিবারেল এলাকার নাম জি.কে বা গ্রেটার কৈলাস।



২০১২ সালের জানুয়ারিতে তখন হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। বাসস এর দিল্লী প্রতিনিধির বাসায় ডিনারের দাওয়াত পেলাম। এত বড় দাওয়াত মিস করি কেমনে। আবার যখন শুনলাম দাওয়াত গ্রেটার কৈলাসে লোভ সামলাতে পারলাম না। কারন দিল্লী আসার পর থেকে পস এরিয়া হিসেবে যে কয়েকটি এলাকার নাম শুনেছি তাঁর মধ্যে প্রথম দিকেই ছিল জি.কে। নির্দিষ্ট দিন সময় মত হাজির হলাম এক ইন্ডিয়ান বন্ধুকে নিয়ে উনার বাসায়। ঠিকমত দাওয়াত শেষ করে ফিরবার পালা। বন্ধুটি বলল জিকে তে কোন একপাশ দিয়ে গেলে ফ্রী’তে লিফট পাওয়া যাবে। ভাবলাম এই কৃপণ ইন্ডিয়ানরা আবার এত উদার হল কেমনে!! তাইলে টেস্ট তো করতেই হয়। এরিয়াটার দিকে হাঁটা দিলাম। হঠাৎ ওই এরিয়ার কাছাকাছি পৌঁছাতেই সে আমার হাতে পাশের একটা দোকান থেকে নিয়ে রেড কালারের একটা রিষ্ট বেন্ড পরিয়ে দিয়ে বলল যে এটা পড়া থাকলে খুব সহজে লিফট পাওয়া যাবে এবং তাও দামী গাড়িতে। আরে বেটা দে বলে পরেও নিলাম। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছার পর দেখলাম চোখের সামনে দিয়ে দামী গাড়ি গুলা সব শাঁই শাঁই করে চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর ঠিক আমার সামনে একটা রলস রয়েস এসে থামল। পিছনের দরজার গ্লাস নামার সাথে সাথে দেখলাম একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা হেসে ইংরেজিতে আমাকে বলল “কাম, গাড়িতে উঠে পড়”। আমি বললাম “থাঙ্কস ম্যাডাম, আমার সাথে আমার ফ্রেন্ড ও আছে, সেও যাবে”। “ওকে নিয়ে তুমি ভেব না, ও অন্য একটা ম্যানেজ করে নিবে” উনি বললেন। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম “আমরা একই জায়গায় যাব, ও অন্য একটা ম্যানেজ করবে কেন, আর আপনি তো জিজ্ঞেস ও করলেন না কোথায় যাব”?।ওদিকে খেয়াল করলাম দূর থেকে দাঁড়িয়ে আমার বন্ধুটি খালি হাসছে। তখন মহিলাটি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল “দেখ আমি অনেক টায়ার্ড, ফ্রেশ হতে হবে তাড়াতাড়ি, কোথায় যাবে নতুন করে বলার কি আছে? আর টাকাও বেশি দেব আজ”। এইবার কিছুটা ঘুম ভাঙল আমার। বুঝতে পারলাম সবকিছু। বুঝে পুরাই কোবাদোচা হয়ে গেলাম। এই মহিলা এতক্ষন আমাকে মেইল এসকর্ট ভেবেছে :-*:-*। আর আমার বন্ধুটি এতক্ষন মজা নিসে। সাথে সাথে সে এসে বলল “ম্যাডাম আপনি যা ভাবছেন তা সে নয়”। পরক্ষনেই মহিলাটি ইংরেজিতে গালি দিয়ে চলে গেল।



তার পরের কাহিনীটা বন্ধুর কাছেই জানলাম এরকম হাজার মহিলা পাওয়া যাবে আধুনিক দিল্লীতে যারা এরকম এসকর্ট নেন বাসায়। হয়তো কেউ শিল্প পতির স্ত্রী, কেও বড় রাজনিতিবিদের, কেউ সমাজের উঁচু শ্রেণীর। এবং তারাও এও জানে যে তাদের হাসবেনডরাও এরকম সার্ভিস নিয়ে থাকেন মেয়েদের কাছ থেকে।



আধুনিকতা মানুষকে পোশাক পরিয়েছে ঠিকই। কিন্তু অতি আধুনিকতা টেনে নিয়ে গেছে আদিম যুগে।



বিঃদ্র- এখানে শিক্ষণীয় কিছু নেই। শুধু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এটা নিয়ে একটা ডকুমেন্টরি দেখেছিলাম কিছুদিন আগে। +


১০০র বেশী পাঠিত , মন্তব্য নেই যে!

ভালো থাকবেন :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

এস কাজী বলেছেন: হুম, আমি অবশ্য ডকুমেন্টারি দেখিনি। তবে এরকম কিছু হতে পারে। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন মনে করে কেউ বোধহয় মন্তব্য করেনি।হাহাহাহাহা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ;)

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০১

ইমরান আশফাক বলেছেন: মেইল এসকর্ট! আর কত কিই না শুনবো! :#>

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

এস কাজী বলেছেন: হুম আরও কত কিছু শুনতে হবে!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.