![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।
সামনের সিটে বসা বন্ধু বাসের পিছনে আমাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে বলল “দোস্ত তোর ভাড়া আমি দিয়া দিতাসি"
আমিও চিৎকার দিয়ে কইলাম “দোস্ত আমার আম্মা বলসে কেউ কিছু দিতে চাইলে না করিস না”
পুরা বাসে হাঁসির রোল পড়লে দোস্ত আমার আবার চিৎকার দিয়ে বলল “শালা হারামি”
বাসে আমার বেশ কিছু মজার ঘটনা আছে। এই যেমন কলেজে বাসে যাওয়ার সময় অর্ধেক পথে আমার এক দোস্ত উঠত। দেখ যেত কন্ডাক্টর ভাড়া নিতে কাছে আসতেই কোত্থেকে তার গায়েবি ঘুম চলে আসত। ৩ কিমি দূরত্বের পথে যেতে স্টুডেন্ট হিসেবে হাফ ভাড়া হিসেবে দিতে হত ২ টাকা। সেই দুই টাকা আমি দেয়ার জন্যই আসলে তার এই গায়েবি ঘুম কন্ডাক্টর চলে যেতেই তার গায়েবি ঘুম গায়েব হয়ে যেত আর হুরমুর করে ঘুম থেকে উঠে বলত “দোস্ত গুফুর (গোফরান স্যার) ডাইরি তো লিখি নাই, হে তো পিডাইব”। আমাদের ইংলিশ এর গোফরান স্যার আমাদের আজগুবি এক ডাইরি লিখাইত প্রতিদিন কি করি ইংরেজিতে। মাঝে মাঝে আমরা এর ওর টা নকল কইরা দিয়া দিতাম। দেখা যেত নকল করার ফলে সবার হাগু টাইম ও সেইম হয়ে যেত। একবার আমাদের এক বন্ধু একটা মেয়ের ডাইরি নকল করে দিয়েছিল।তো সেখানে ইংরেজিতে একটা লাইন ছিল যে সে কাঁথা সেলাই করছিল। এবং যথারীতি স্যার এর কাছে ধরা
ধরতে পারলে মার পর্যন্ত দিত
হ্যাঁ আমরা কলেজে মার ও খেতাম। শুধু তাই না এক্স স্কুয়াড্রন লিডার কলেজের প্রিন্সিপাল হওয়াতে অ্যাসেম্বলি পর্যন্ত করতে হত। সে কথায় পড়ে আসছি।
বাসে মিনু নামে আমাদের এক বান্ধবীও উঠত। “মহিলার ৫ সিট” সামনে হওয়ায় সেখানে সে বসত। আর কন্ডাক্টর যখন প্রথম ভাড়ার জন্য ওর কাছে যেত পিছন থেকে আমরা চিৎকার দিতাম “মিনু প্লিজ আমাদের ভাড়া দিওনা”। মিনু লজ্জায় পড়ে আমাদের ভাড়া দিয়ে দিত। অবশ্য এই থিওরি বেশিদিন ঠেকেনি। কারন মিনু পরে শুনেও না শুনার ভান করত শুধু নয়, পরে বলত আমার ভাড়া পিছনে দিবে
আমাদের সেই কলেজ রোডের সেই লোকাল বাস অনেক আগেই উঠে গেসে। দখল করে নিয়েছে সিএনজি। সম্প্রতি সরকার ১৮ হাইওয়েতে সিঞ্জি নিষিদ্ধ করেছে। যদিও আমাদের কলেজ রোড হাইওয়ের আওতায় নেই। তারপরও যদি আবার সেই লোকাল বাস চলে আসে, আবার সেই বন্ধুদের সেইসব বাসে পেয়ে যায় তাহলেও আর কিন্তু বলা হবে না-
“মাম্মা স্টুডেন্ট, ভাড়া হাফ”
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০০
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: দুষ্ট ছেলের দল!!!
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০১
এস কাজী বলেছেন: আহ!! কি যে দুষ্টু ছিলাম বলার মত না এখনো কম না । হেহেহে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: স্কুলে থাকতে ৩ কিলো হাইটা যাইতাম। কলেজে উঠার পর ২ কিলো হাইটা বাসে উঠতাম। বাসার থাইকা টাকা দিতো ২০। সিটিং সার্ভিসে ৭ টাকা কইরা ১৪ টাকা বাস ভাড়া। বাকীটা টিফিন। দুইবার হাইটা গিয়া, এরপর লোকালে ৩ টাকা কইরা দুইবারে ৬ টাকায় কাম সাইরা ফেলতাম। ১৪ টাকা আয় হইতো কলেজ গেলেই। নিজেরে বড়লোক মনে হইতো। ওই সময়টাই সবচেয়ে আন্নদের ছিলো। ভালো না লাগলে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় হাটা যাইতো।
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৫
এস কাজী বলেছেন: ভাউ, আপনে আমার চেয়ে লাভে ছিলেন। টিফিন দিয়া দিত। ভাড়া হিসেবে দিত ৮ টেকা। হাফ কইয়া দুইবারে বাঁচাইতাম ৪ টেকা। এটা তো কলেজে। আর স্কুল ছিল ঘরের কাছেই। ভাড়া তো দুরের কথা। দুপুরে বাসায় গিয়া ভাত খাইতে হইত। কালেভাদ্রে বরফের আইচক্রিম খাওয়ার জন্য দু এক টাকা দিত
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৯
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: আহা আমারো স্মৃতি মনে করাই দিলেন। আহাড়ে!!! সেই লোক্কাল বাস ফ্রেন্ডরে ফোন দিতাম দোস্ত বাহির হইছি। তুই ঐখানে থাকিস।বাস থামাইয়া উঠামু নে
কই গেলো সেই দিন গুলা।
আর কলেজ ড্রেস ছিল বিধায় আলাদা একটা পার্ট থাকত। কন্ডাকটার মামু বেশী ভাড়া চাইলে জানত মাইর নিশ্চিত আর ডায়গল একখান "স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া"
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৯
এস কাজী বলেছেন: হু ভাই, সেই তো ফার্স্ট ইয়ার ড্যাম কেয়ার সেকেন্ড ইয়ার টেক কেয়ার বলে কাটায়া দিলাম। আহ দিন গুলি
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ!!
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৪
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ বীথি আপু মন্তব্যের জন্য। এদিকে আপনাকে অনেকদিনপরে দেখলাম আপনার ফুল গাছ ফুলের তো কোন খবর আর দিলেন না
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১২
আনোয়ার ভাই বলেছেন: অসাধারন যুবা বেলা
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৪
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
খেয়ালি দুপুর বলেছেন: ভিষণ ভাল লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর সময়ের কথাগুলো শেয়ার করবার জন্য।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৫
এস কাজী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
কাজী শাহ এমরান বলেছেন: ৪টাকা বাস ভাড়া(ওয়াসা -টেকনিকেল,চট্টগ্রাম) ২টাকা টিফিন ,হেটে দুইবারে বাঁচাইতাম ৪ টেকা মোট ৬টাকা ভিডিও গেমস খেলতাম ।মজা মজা মজা
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৬
এস কাজী বলেছেন: আহা আমিও তো খেলতাম মুস্তফা সেই লেভেলের। ধন্যবাদ আপনার কথাও শেয়ার করার জন্য
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহারে !
''পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবো কিরে হায় ------''
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৭
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসলিটন ভাই। আপনার সিরিজ লেখাটাও কিন্তু আমি একদম মিস দিচ্ছিনা। হেহেহেহে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
সুমন কর বলেছেন: পুরনো কথা মনে পড়ে গেল !!
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৮
এস কাজী বলেছেন: সুমন দা বেশি মনে পরসে নাকি? খারান আরও লিখমু। আরও বহুত কিছু মনে করায়া দিমু আপ্নেরে
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: মাম্মা স্টুডেন্ট ভাড়া হাফ
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৯
এস কাজী বলেছেন: আহা সেই বিখ্যাত উক্তি ধন্যবাদ
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
জেন রসি বলেছেন: আমিও চিৎকার দিয়ে কইলাম “দোস্ত আমার আম্মা বলসে কেউ কিছু দিতে চাইলে না করিস না”
পুরা বাসে হাঁসির রোল পড়লে দোস্ত আমার আবার চিৎকার দিয়ে বলল “শালা হারামি”
মজা পাইলাম ভাই।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৫
এস কাজী বলেছেন: এ ব্যপারে একটি সত্যি কথা বলে। গত দুই থেকে আড়াই বছর সামু এত এত সিরিয়াস হয়সে আসলেই মেজাজ খ্রাপ হয়ে যেত। ডুকলেই দেখতাম সব সিরিয়াস সিরিয়াস লেখা। উফফ আর কত সিরিয়াস থাকা যায়? তাই হয়তো বললে বলবেন বাড়িয়ে বলছি কিন্তু আমি ভাবলাম না কোন সিরিয়াস না। লাইফে এমনিতেই হাঁসি ঠাট্টা ছাড়া কিছুই করিনা। অইসব ই লিখব। যাতে অন্তত আমার মত যারা তারা একটু ব্রেক পাই। তাই সব লেখায় ফান রাখার চেষ্টা করি। ভাই বেশি সিরিয়াস কিছু বলে ফেললাম না তো?
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
জুন বলেছেন: মজার জীবন কাহিনী ।
+
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৬
এস কাজী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৫
বোকামানুষ বলেছেন:
বাসে মিনু নামে আমাদের এক বান্ধবীও উঠত। “মহিলার ৫ সিট” সামনে হওয়ায় সেখানে সে বসত। আর কন্ডাক্টর যখন প্রথম ভাড়ার জন্য ওর কাছে যেত পিছন থেকে আমরা চিৎকার দিতাম “মিনু প্লিজ আমাদের ভাড়া দিওনা”। মিনু লজ্জায় পড়ে আমাদের ভাড়া দিয়ে দিত। অবশ্য এই থিওরি বেশিদিন ঠেকেনি। কারন মিনু পড়ে শুনেও না শুনার ভান করত শুধু নয় পরে বলত আমার ভাড়া পিছনে দিবে
আপনারাতো আসলেই অনেক দুষ্ট ছিলেন পড়তে ভাল লাগলো
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
এস কাজী বলেছেন: হাহাহা। দুষ্টু ছিলাম বটে। ধন্যবাদ
১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমার ফুলের খবর অচিরেই পেয়ে যাবেন
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
এস কাজী বলেছেন: হুম আপনার ফুল দেখার অপেক্কায় রইলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ। ধন্যবাদ