![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।
রহমান সাহেব স্বভাবত এরকম ভুল করেন না। সারাজীবন হিসেব করে চলেছেন বলে তার ছেলেমেয়েরা আজ সমাজে কোন না কোনভাবেই প্রতিষ্ঠিত। শুধু ছোট ছেলেটি ছাড়া। কিন্তু এই জীবনে কখনো কোন দামি জিনিস না হারানো রহমান সাহেব আজ খুব মর্মাহত। তিনি সিউর যে তিনি জিনিসগুলি আসার সময় যে সিএনজিতে আসছিলেন সেই সিএনজিতে ফেলে এসেছেন। কিন্তু এখন চিন্তা করে কি লাভ। সিএনজি ওয়ালা কে তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এদিকে রহমান সাহেবের স্ত্রী পুরো বাড়ি মাথায় তুলেছেন এবং আজকে রাতে রান্না না করার ও ঘোষণা দিলেন। যে সময় রহমান সাহেব ব্যপার টা তাঁর স্ত্রী কে বলছিলেন সেসময় মিসেস রহমান তাঁর আমেরিকান প্রবাসী মেয়ের সাথে কথা বলছিলেন। এর মধ্যে এই হারানো বিজ্ঞপ্তি আমেরিকাতেও চলে গেছে।
সারাদিন টই টই করে ঘুরে বেড়ানো রহমান সাহেবের ছোট ছেলেও ইতোমধ্যে ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তার বাবার অতি মূল্যবান জিনিস হারিয়ে ফেলার কাহিনী। স্ট্যাটাস দেয়ায় সাথে সাথে লক্ষ্য করল যে ২০-২৫ টা লাইক এবং ৫০ টির মত কমেন্ট ও পড়ে গেছে। কমেন্টগুলো এতই টাচি ছিল যে তার পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে আসছিল। সবারই হাহুতাশ।
রহমান সাহেব একবার ভাবলেন পাশের থানায় জিডি করবেন কিনা। কিন্তু পুলিশি ঝামেলা তে না যাওয়ার জন্য সে চিন্তাও বাদ দিলেন। তিনি চিন্তায় ভেঙে পড়লেন। ঠিক এমন সময় বাসার কলিং বেল বেজে উঠলো। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দরজা খুলতেই রহমান সাহেব অবাক। আরে এ তো সেই সিএনজি ওয়ালা। আবার খেয়াল করে দেখলেন হাতে একটা প্যাকেট।
-স্যার আমি বাড্ডা থেকে উত্তরা গেলাম এক যাত্রী নিয়ে। যাত্রী নামার পর এই প্যাকেট টা পেলাম। পেয়েই ভাবলাম না জীবনে অনেক পাপ করেছি হয়তো। কিন্তু এই অতি মূল্যবান জিনিস যদি আমি ফিরিয়ে দিতে পারি তাহলে হয়তো অনেক পুণ্য হবে। তাই নিয়ে আসলাম।
রহমান সাহেব আবেগে সেই ড্রাইভারকে জড়িয়ে ধরলেন। মিসেস রহমান চা অফার করলেন। কিন্তু সিএঞ্জি ওয়ালার তাড়া থাকায় তিনি চলে গেলেন।
এদিকে রহমান সাহেবের ছেলে ফিলিং রিলিভড লিখে নতুন স্ট্যাটাস আপডেট দিল-
“এক সিএনজি ওয়ালার অসামান্য সততায় আমরা ফিরে পেলাম আমাদের হারিয়ে যাওয়া আধা কেজি ওজনের পেঁয়াজের প্যাকেটটি”।
স্ট্যাটাস এর মর্মার্থ এতই ব্যাপক যে লাইক কমেন্টে স্ট্যাটাস ভরে গেল
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
এস কাজী বলেছেন: রিকি আপু, এক কেজি হলে তো রহমান সাহেব হার্ট অ্যাটাক করত। পেঁয়াজের যা দাম তা নিয়ে একটু স্যাট্যায়ার তো হতেই পারে তাই না???
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: চরমঃ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯
সুমন কর বলেছেন: সময় উপযোগি......
সাবলীল বর্ণনার জন্য ১ম লাইক।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
কাবিল বলেছেন:
অসাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১
এস কাজী বলেছেন:
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ বীথি আপু। আপনার ছবিময় কমেন্ট ভাল লেগেছে।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ও মাই গড !
আধা কেজি পর্যন্ত পরে আমি ভেবেছিলাম গোল্ড টোলড হবে
পরে দেখি এ যে আরও দামি জিনিস !!!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এস কাজী বলেছেন: হাহাহাহা ভাই এর হিউমার দেখি আমার চেয়েও বেশী। লল। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
রিকি বলেছেন: আধা কেজি পেঁয়াজের শোকগাঁথা যে ভাই...ভাগ্যিস সিএনজিতে এই প্যাকেট ফেলে আসার পর রহমান সাহেব হার্ট ফেল করে মারা যান নি!