![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।
-কি করেন?
-ভাবি।
-কি ভাবেন?
-জানিনা।
-জানেন না তো ভাবছেন কি?
-সব ভাবনা যে জানতে হবে তেমন কোন কথা নেই।
-একটা কথা বলার জন্য ফোন করেছি
-শুনছি।
-আপনি এরকম কেন?
-কি রকম?
-এই যে বেরসিক।
যারা রসিকতা করে বা করতে পারে তাদের মানুষ রসিক বলে। অনিক রসিকতা করতে জানেনা। কারন রিনি যখনই ফোন করে অনিক নিজে থেকে প্রশ্ন করে না। শুধু উত্তরই দিতে থাকে। তাই রিনির অনিককে বেরসিক মনে হয়। রিনির মুখে বেরসিক শব্দটা শুনে অনিকের “ও আমার রসিয়া বন্ধুরে” গানটার কথা মনে পড়ে যায়। ছোট চাচার বিয়েতে ছোটবেলায় সে গানটার সাথে মেয়ে সেজে নেচেছিল। কথাটা রিনিকে বলা দরকার। না সব কথা বলা যাবে না। রিনি আবার পরে মজা করতে পারে। ভাবতে থাকে সে গানটা শেষ কবে শুনেছে। কিন্তু মনে পড়ছে না। আবার ভাবছে রিনিকে জিজ্ঞেস করবে কিনা। না করবেনা। কারন এরপরে রিনির কথা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে। এর চেয়ে ভাল হয় সোজা উত্তর দিয়ে দেয়া।
-দুপুরে খেয়েছেন?
-হ্যাঁ
-কি খেয়েছেন?
-লাঞ্চ
-উফফ, দুপুরে মানুষ লাঞ্চ করে সেটা জানি। কিন্তু কি খেয়েছেন?
আজ অনিকদের খালা (কাজের মানুষ) আসেনি। তাই রান্না হয়নি। ব্যাচেলর বাসায় রান্না না হলে তেমন কারো কোন খবর থাকেনা। যে যেভাবে পারে নিজ নিজ ব্যবস্থা করে নেয়। বাসায় অন্যরা না থাকাতে গত রাতে বেঁচে যাওয়া ভাত অনিক পান্তা করে কাঁচা মরিচ দিয়ে চিবিয়ে খেয়েছে। এর মধ্যে একটা বেন্সন লাইট ও খেয়ে ফেলেছে। অন্য অনেকের মত অনিকের কাছে সিগ্যারেট হল ভাত খাওয়ার পর ডেজারট খাওয়ার মত। তাই ভাত খাওয়ার পর সে সিগ্যারেট খেয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তুলে।
-আমি আপনাকে আর ফোন করব না।
-ওকে
-সত্যি আর করবনা।
-আচ্ছা।
-আপনি আসলেই নির্মম।
এরপর রিনি ফোনের ওপাড়ে চুপ করে থাকে, চুপ করে থাকে অনিকও। একসময় রিনি টুট করে কেটে দেয় ফোনটা। রিনির মুখে নির্মম শব্দটা অনিক প্রতিদিন দু’বার করে শুনে। প্রথম প্রথম শব্দটা অনিকের কাছেও নির্মম মনে হত, এই বুঝি রিনি শেষ বারের মত কথা বলল। কিন্তু অনিক এও জানে কালকে এই সময়ে রিনি ফোন করে বলবে ‘হুহ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন জেনে আবার ফোন দিলাম, নাহলে দিতাম না’।
কিছু ভালবাসার ভাষা নেই, কিছু ভালবাসা চুপ করে থাকার মধ্যে প্রকাশ পায়, কিছু ভালবাসা হয় শুধু অভিমান। শুধু ফোনের দুই পাড়ে চুপ করে থাকা দু’জন মানুষ ছাড়া কেউ বুঝে না। দিনশেষে যখন রাত নামে, পাখিরা ঘরে ফিরে সকল কর্মক্লান্তি দূর করে সুন্দর সকাল শুরুর আশায়। তেমনি দিনশেষে অনিকও অপেক্ষায় থাকে রিনির ফোনের। হয়তো রিনির ফোন অনিকের সকল ক্লান্তি দূর করে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
এস কাজী বলেছেন: অনিক পোলাডা একটু স্বার্থপর। তবুই কেন যে তারে ফোন করে হামা ভাইয়ের মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বেশি অবাস্তব হইলোনা? দুইদিন,চারদিন, দশদিন, এরপর তো এই মেয়ের একই কাজ করার কথা না। বিরক্তি চইলা আসার কথা। আর যেহেউ আসতেছেনা সেহেতু ধইরা নেয়া যায় মেয়েটা বেকুব, এরে পাত্তা না দেয়াই ভালো। আর এইটাও বোঝা যায় ছেলেটা ধৈর্য্যশীল এবং বাস্তব বুদ্ধি রাখে। বেকুবরে জীবনের সাথে জড়ানোর চেস্টায় নিজে আগানো ঠিক না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫
এস কাজী বলেছেন: ভাউ, পুরা ঢুইকা গেছে। ভাল্লাগসে ভাল্লাগসে। খারান আরেকদিন পোলাডারে লাইনে নিয়া আস্মু। এক্কেরে বাস্তব জগতে।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কি ঢুকলো ভাউ??!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
এস কাজী বলেছেন: হাহাহাহা ভাউ দেখি ইন্টেনশনালি মজা লয়। কইতে চাইছিলাম গল্পের ভিত্রে ঢুইকা গেছেন। বেশী কইলে তো আমারে আবার কইবেন ঘন নীল
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনে হলো "এক কথায় উত্তর দাও" নামক কিছু পড়ছি! ফোনটা এখনও চলে কিনা এটা জানা দরকার!!?? যদি চলে তাইলে নিঃসন্দেহে মেয়েটার মাথায় ছিট আছে। নইলে ডিজিটাল যুগে কেও এমন করে? তবে ছেলেটাও কম বোকা নয়। শত অপমান স্বর্তেও যে মেয়েটা কেন বার বার ফোন দিচ্ছে; এইটা সে যখন বোঝে নাই তখন তারেও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বলা যায় না!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
এস কাজী বলেছেন: পোলাডা রীতিমত অপমানের শিকার হচ্ছে এখানে। হাহাহাহা। ব্যাপারটি ভাবা দরকার। ঘটনার ভিত্রে গিয়ে দেখি ফোনটা এখনো চলে কিনা।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০
শায়মা বলেছেন: কিন্তু অনিক এও জানে কালকে এই সময়ে রিনি ফোন করে বলবে ‘হুহ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন জেনে আবার ফোন দিলাম, নাহলে দিতাম না’।
এহ লে !!!!!!!!!!!!!!!! আমি হলে জীবনেও দিতাম না!!!!!!!! যা ভাগ বেটা !!!!!!!!! ঢং দেখায় মর !!!!!!!!!!!
তোমাকে বলিনি কিন্তু ভাইয়ু তোমার গল্পের শয়তানটাকে বললাম !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
এস কাজী বলেছেন: হিহিহিহি আমি জানি তুমি শয়তানটাকে বলেছ। কিন্তু গল্পে বলা আছে রিনির ফোনের জন্য সে অপেক্কা করে। ছেলেটা মনে হয় একটু তারছেড়া
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: অপেক্ষা করে মরুক সারাজীবন!
তারছেড়া তো কি হইসে????
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩
এস কাজী বলেছেন: আচ্ছা আমি বকে দিব
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: শুধু বকা না কান টেনে ছিড়ে দিও ভাইয়ু!!!!!!!!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০
এস কাজী বলেছেন: কান টেনে ছিড়ে দিয়ে এখানে পিক দিয়ে দিব।
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১
শায়মা বলেছেন: গুড!!!!!!!!!!!!
একদম ঠিক আছে এইবার!!!!!!!!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩
এস কাজী বলেছেন:
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: এস কাজী ,
কিছু ভালবাসার ভাষা নেই.....
ঠিক যেন ----
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে পরশে মুখে মুখে
নীরবে চোখে চোখে চায়
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে
বুঝাতে নারে আপনায় ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২
এস কাজী বলেছেন: আহা সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
সুমন কর বলেছেন: শেষটুকু ভালো লাগল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা
১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি হলে,এই রকম ঠ্যাটা মানুষের কাছে জীবনেও ফোন দিতাম না!!
উম্ম, ভাব দেখানোর আর জায়গা পেল না!! (আপনার গল্পের নায়ক মিঞা )
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
এস কাজী বলেছেন: হেহেহেহেহে। বেচারা উপর্যুপরি অপমানে উপ্রে আছে। তাঁকে থাপ্রাইতে হইবেক
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
জুন বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বেশি অবাস্তব হইলোনা? দুইদিন,চারদিন, দশদিন, এরপর তো এই মেয়ের একই কাজ করার কথা না। বিরক্তি চইলা আসার কথা। আর যেহেউ আসতেছেনা সেহেতু ধইরা নেয়া যায় মেয়েটা বেকুব, এরে পাত্তা না দেয়াই ভালো। আর এইটাও বোঝা যায় ছেলেটা ধৈর্য্যশীল এবং বাস্তব বুদ্ধি রাখে। বেকুবরে জীবনের সাথে জড়ানোর চেস্টায় নিজে আগানো ঠিক না।
একমত শতদ্রুর সাথে ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
এস কাজী বলেছেন: জুন আপু, ছেলেটাকে বকা দিতে হবে দেখি। সবাই দেখি খেপ্সে ওর উপর
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
রোদেলা বলেছেন: ্পুলারা এতো ধৈর্য্য রাখে আগে জানা ছিল না।মেয়েটা ফোন করতে থাকুক,১২ টার পর করলেই ভালো।রেট কম।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
এস কাজী বলেছেন: হাহাহাহাহা। আজকাল ১২ টা লাগে না। হুয়াটস আপ, ভাইভার, টেঙ্গু, লাইন, ইমু এসবে কাম চালাইয়া দেয়
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালোবাসা যেহেতু একটা আবেগী অনুভবতা, উহাকে যে যেভাবে দেখে, তার কাছে সেত রকম, খোলা ডেফিনেশন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
এস কাজী বলেছেন: সত্যি কথা। হয়তো অনেকে প্রকাশ করে অনেকে গোপন রাখে বলতে চায় না। তবে বেশিদিন গোপন রাখাও ভাল না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেয়েটা কী মনে কৈরা যে অনিকরে ফোন করে!