![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।
খুব সম্প্রতি প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর গত কয়েকদিনে এই বিষয় নিয়ে মোটামটি নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ কিছু ব্যাপার জানতে পারলাম। যদিও আজকাল কোন সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেয়া হয় ব্যাপক হারে সিভিলিয়ান হত্যার মাধ্যমে। যেমনটি ফ্রান্স করছে রাক্কা শহরে বম্বিং করার মাধ্যমে। যেখানে অনেক সিভিলিয়ান নিহত হচ্ছে। তবে এক সময় সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেয়া হত সেই সব সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে হত্যা করার মাধ্যমে। আর এসবের সাথে জড়িত থাকতো অইসব দেশের সিক্রেট এজেন্সি গুলা। আর এসব অপারেশনের বিভিন্ন কোড নেইম থাকতো। এরকম একটি অপারেশন হল “অপারেশন রেথ অফ গড”। ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর গ্রুপ দ্বারা মিউনিখ অলিম্পিকের ১১ এথলেট কে হত্যাকারীদের পরিকল্পনাকারীদের ধরে হত্যা করার জন্য তৎকালীন ইস্রাইলের প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার এই অপারেশন চালানোর অনুমতি দেন ইস্রাইলের সিক্রেট এজেন্সি মোসাদকে। ২০ বছর ধরে চলা এই অপারেশন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকলেও এই অপারেশনে তাদেরও অনেক ‘কোলাটেরল দ্যামেইজ’ হয়েছিল।
সেরকম ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এবং ডেডলিয়েসট ২৫ টি কভারট অপারেশন নিচে তুলে ধরা হল---
২৫. অপারেশন পেপারক্লিপঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান ইনটেলিজেন্ট এজেন্সি এই অপারেশন টি চালায়। এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জার্মান নাৎসি বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করে তাদের আমেরিকাতে চাকরী বা গবেষণার ব্যবস্থা করে দেয়া। বলা হয়ে থাকে যে এই অপারেশনে আমেরিকান ইনটেলিজেন্ট রা প্রায় পুরোপুরি সফল হয়েছিল।
২৪. প্রজেক্ট এমকেআলট্রাঃ
এম কে আলট্রা হল এই অপারেশনের কোড নেইম যেখানে ইউএস সরকারের সিক্রেট এজেন্সি সিআইএ এর সাইন্টিফিক ইন্তিলিজেন্স ডিভিশন এই অপারশন টি চালিয়েছিল। এই অপারেশনের মূল বিষয় ছিল কিভাবে মানুষের “মাইন্ড কন্ট্রোল” করা যায়। এই অপারেশনে সাবজেক্ট হিসেবে বেশ কিছু আমেরিকান এবং কানাডিয়ান নাগরিক ব্যবহার করা হয়েছিল তাদের অজান্তেই। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে তাদের এলএসডি প্রয়োগ করা হয়। হিপনোটাইজ করা হয়, একাকীত্বের যন্ত্রণা দেয়া ছাড়াও করাও হয় সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেণ্ট।
২৩. অপারেশন এন্ত্রপয়েডঃ
এই অপারেশনটি চালানো হয় নাৎসি অফিসার রেইনহার্ড হেদ্রিচ কে হত্যা করার জন্য। চেকস্লোভাক সরকারের অনুমতি নিয়ে ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্টরা ১৯৪২ সালের ২৭মে প্রাগে এই অপারেশন চালিয়েছিল। আহত অবস্থায় হেদ্রিচ ধরা পড়লেও এই মাত্র কিছুদিন পরে ৪জুন ১৯৪২ সালে তিনি মারা যান। অবশ্য তাঁকে হত্যার প্রতিক্রিয়া ছিল ভয়াবহ। জার্মান সরকার এর প্রতিক্রিয়ায় প্রাগে অনেক গ্রাম ধ্বংস সহ অনেক সিভিলিয়ান হত্যা করেছিল।
২২. বে অব পিগ ইনভ্যাসনঃ
কিউবার বিদ্রোহী প্যারা মিলিটারি গ্রুপ ব্রিগেড ২৫০৬ দ্বারা ১৯৬১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই হামলা চালানো হয় ফিদেল ক্যাস্ট্রো সরকারের উপর। আমেরিকান সি আই এ এর অর্থায়নে এবং প্রপার ট্রেনিং এর মাধ্যমে আমেরিকার সরাসরি মদদে এই হামলা চালানো হয়। চরমভাবে ব্যর্থ ওই হামলা মাত্র তিনদিনের ক্যাস্ট্রো সরকার নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিল।
২১. অপারেশন রেথ অব গডঃ
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ১১ জন ইস্রাইলি এথলেটকে হত্যা করা হয় ইতিহাসে যা “মিউনিখ ম্যাসাকার” নামে পরিচিত। সেই হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং অপারেশনে অংশ নিয়ে বেঁচে যাওয়া কয়েকজনকে খুঁজে বের করে হত্যা করার জন্য তৎকালীন ইস্রাইলি প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার ইস্রাইলি সিক্রেট এজেন্সি মোসাদকে এই নির্দেশ দেন। ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ এবং ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ গ্রুপের অনেক কে খুঁজে বের করে মারার জন্য এই অপারশন রেথ অব গড চালানো হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে এই অপারেশন চালানো হয়।
২০. অপারেশন নেপচুন স্পেয়ারঃ
নাইন ইলিভেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল কায়েদার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে ওসামা বিন লাদেন কে ধরা বা হত্যার উদ্দেশ্যে এই অপারেশন চালানো হয়। আপাত ওপেন এই অপারেশন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এখনো পুরো পৃথিবীতেই বিদ্যমান। তবে ইউএস তাদের এই অপারেশন কে সফল মনে করে থাকে।
১৯. অপারেশন ভালক্যরিইঃ
এ অপারেশন মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানে জরুরি অবস্থা চলাকালীন যে কোন সিভিল ব্রেকডাউন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চালু রাখা হয়েছিল। ২০শে জুলাই হিটলার হত্যার (আত্মহত্যা বা গ্রেফতার)পর নাৎসি অফিসারদের গ্রেফতার তাদের নিরস্ত্র করা এবং জার্মান শহরগুলা দখল করার জন্য এই অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এই অপারেশনের মূলে ছিলেন জার্মান আর্মি অফিসার জেনারেল ফ্রেদ্রিক, মেজর জেনারেল হেনিং ভন ট্রেস্কও, কর্নেল ক্লুস ভন। অনেক লম্বা প্রস্তুতির পর এই অপারশন চালানো হয় ১৯৪৪ সালে, তবে এটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৮. অপারেশন ক্যাউসঃ
প্রেসিডেন্ট লিনডন বি জনসনের আন্ডারে সিআইএ এই স্পাইং অপারেশন টি চালায়। মূলত বিদেশি ছাত্র বা এরকম কিছুর মাধ্যমে বাইরের কোন থ্রেট দেশের জন্য আছে কিনা সেটা বের করার জন্যই এই অপারশন চালানো হয়। বর্তমানেও এই অপারেশন চালু আছে আমেরিকাতে। যেটা স্তিং অপারেশন নামে পরিচিত।
১৭. প্রজেক্ট ফোর জিরো ফোরঃ
ভিয়েতনাম ব্যর্থতার পর মূলত লাউস বিমান বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য আমেরিকান বিমান বাহিনী প্রজেক্ট ফোর জিরো ফোর চালু করে। এর কাজ ছিল লাউটিয়ান বিমান বাহিনীকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া।
১৬. প্রজেক্ট আযুরিয়ানঃ
প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার আমেরিকান সরকার খরচ করে প্রজেক্ট আযুরিয়ান সফল করার জন্য। ১৯৬৮ সালে ডুবে যাওয়া কে-১২৯ নামে একটি সোভিয়েত সাবমেরিন রিকভার করার জন্য এই অপারেশন। ১৯৭৪ সালে এই অপারেশন মূলত চালানো হয় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, নিউক্লিয়ার মিসাইল এবং কিছু গোপন একুপমেন্ত উদ্ধার করার জন্য। এই মিশন চালানোর জন্য “দা হুঘ গ্লমার এক্সপ্লোরার” একটি শিপ ও বানানো হয়েছিল।
১৫. একুস্টীক কিটিঃ
সিআইএ এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডিভিশনের চালানো এই প্রজেক্ট টি মূলত করা হয় সোভিয়েত এম্বেসি এবং ক্রেমলিনে স্পাইং করার জন্য। ১৯৬০ সালে করা এই অপারশনে বিড়াল ব্যবহার করা হয়। ক্রেমলিন এবং এম্বেসি গুলোর গোপন আলাপ শুনার জন্য বিড়ালের গায়ে মাইক্রোফোন এবং ব্যাটারি এবং লেজের সাথে একটি এন্টেনা সংযুক্ত করে এই অপারেশন চালানো হয়। কিন্তু বিড়ালের ক্ষুধা জনিত সমস্যার কারনে এই অপারেশন পরিবর্তন করতে হয়।
১৪. আবু ওমর কেইসঃ
এই অপারেশনের আন্ডারে সিআইএ মিলানের ইমাম আবু ওমরকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে ইতালি থেকে গ্রেফতার করে মিশরে নিয়ে আসে। এক্সট্রিমিস্তদের সাথে তার কানেকশন রয়েছে বলে তাকে প্রচণ্ড অত্যাচার করা হলেও পরে চাপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে ইতালি সরকার সিআইএ এর ২৬ জন এজেন্ট কে ওই অপারেশনে জড়িত থাকার কারনে বিচারের সম্মুখীন করে।
১৩. প্রজেক্ট ফুবেল্টঃ
রিচার্ড নিক্সন সিআইএ এর সার্ভিস এবং এক্সপারটাইস শাখাকে এই অপারেশন চালানোর অনুমতি দেন যাতে করে চিলি সরকারকে ম্যানুপুলেশনে রেখে সাল্ভেদর আলেন্দে যাতে ভীষণ ক্ষমতার অধিপতি না হয় এবং ক্ষমতায় আসতে না পারে। প্রজেক্ট ফুবেল্ট কার্যকর করা হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মণ্টাল্ভা কে মিলিটারি ব্যবহার করে যে কোন কঠিন সিধান্ত এক্সিকিউট করার জন্য।
১২. অপারেশন গোল্ডঃ
১৯৫০ সালে সিআইএ এবং ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট রা সোভিয়েত ইউনিয়নের আর্মির গোপন তথ্য এবং ওদের যাবতীয় খবরাখবর জানার জন্য তাদের (সোভিয়েত)লাইন ভেঙে ডুকার যে অপারেশন টি চালানো হয় ইতিহাসে এটি অপারেশন গোল্ড নামে পরিচিত। এর জন্য বার্লিনে সোভিয়েত হেড কোয়ার্টারের সাথে নিচে দিয়ে টানেল বানানো হয়েছিল এবং তাদের ল্যান্ড লাইন ইণ্টারসেপ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই অপারশন এক্সিকিউট করার আগেই মোলে জর্জ ব্লাইক ওই টানেলের খবর জেনে ফেলেন এবং অপারেশন অংকুরেই বিনষ্ট করে দেন।
১১. অপারশন মেরলিনঃ
এই মিশনের উদেশ্য ছিল একটি বানোয়াট এবং ফ্লড নিউক্লিয়ার ব্লুপ্রিণ্ট সৃষ্টি করে ইরানকে দেয়া যাতে তারা তাদের নিউক্লিয়ার গবেষণা এবং কাজ খুব তাড়াতাড়ি বা সহজে শুরু করতে না পারে। যখনই সবকিছু ঠিকঠাক মত ঠিক তখনই একদল রাশিয়ান সাইন্টিস্ট ভুল ধরিয়ে দিয়ে ইরান কে সব কিছু জানিয়ে দেয় এবং ইরান আরও শক্তিশালী এবং সতর্কতার সহিত তাদের নিউক্লিয়ার প্রজেক্টের কাজ শুরু করে।
১০. প্রজেক্ট এমকে নাওমিঃ
এম কে নাওমি ছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত চলা সি আই এ এর একটি রিসার্চ প্রজেক্ট। এই অপারেশনের তথ্যগুলো মূলত গোপনীয় হওয়ার কারনে জানা যায়নি। এটি মূলত প্রজেক্ট ডেল্টা এর পরে শুরু করা হয়। এটি বায়ালজিক্যাল অস্ত্র তৈরি এবং এরকম আক্রমন থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে চালানো হয় বলে অনেকের ধারনা।
৯. অপারেশন মকিংবার্ডঃ
১৯৫০ সালে সি আই এ এর চালানো এই অপারশন এর কাজ ছিল মিডিয়াকে ইনফ্লুয়েন্স করে নিয়ন্ত্রণ করা।
৮. অপারেশন কুফিরঃ
আরভেঞ্জ এর আমলে যে সব কম্যুনিস্ট নেতারা গুয়েতেমালাতে পালিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য এই অপারেশন চালিয়েছিল সিআইএ। কুফির অপারশনের মাধ্যমে সি আই এ অইসব নেতাদের মুভমেন্ট ফলো করত। মূলত চে গুয়েভেরার জন্যই সিআইএ আই মিশন শুরু করেছিল।
৭. অপারেশন মিয়াসঃ
সিআইএ এই অপারেশন টি চালু করেছিল মূলত সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আফগান মুজাহিদীন দের দেয়া স্তিঙ্গারস মিসাইল গুলো আবার ফেরত পাওয়ার জন্য। এটা আসলে ঠিক এর উল্টো একটি অপারেশন ডিজল্ভ করার জন্য চালানো হয়েছিল। অপারেশন টি ছিল “অপারেশন সাইক্লোন” যেটার মাধ্যমে তাদের অস্ত্র দেয়া হয়েছিল। প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করলেও রিকভারি রেইট তেমন সফলতার মুখ দেখেনি।
৬. অপারেশন ওয়াসটাবঃ
গুয়েতেমালার সাথে মস্কোর খুব ভাল সম্পর্ক প্রমান করে নিকারাগুয়ার সাথে যেন একটি সমস্যা সৃষ্টি করা যায় সেই চিন্তা থেকেই সিআইএ একটি ফেইক রাশিয়ান সাবমেরিন বানিয়ে নিকারাগুয়ার কাছাকাছি পাঠিয়ে দেয়া হয়। যেটি প্রমান হলে হয়তো তৎকালীন গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট গুজমেন কে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করা যাবে। সি আই এ এই অপারেশন টি সফল মনে করলেও এটি আসল উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি।
৫. ফনিক্স প্রোগ্রামঃ
সিআইএ, ইউ এস স্পেশাল ফোরস, অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনিং টিম, সাউথ ভিয়েতনাম সিকিউরিটি ফোরস যৌথভাবে ভিয়েতনাম কঙ্গো বাহিনীকে নিরস্ত্র করার জন্য অপারেশন ফনিক্স প্রোগ্রাম শুরু করেছিল। তবে সৈন্য দের আক্রমনের বদলে ওই যৌথ বাহিনী অই এলাকার মানুষদের অপহরণ করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। বলা হয়ে থাকে সাধারণ সিভিলিয়ানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হত, অত্যাচার করে মেরে ফেলা হত।
৪. প্রজেক্ট এমকে অফেনঃ
ইউএস প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং সিআইএ যৌথ ভাবে এই অভিযান চালায়। এটি মূলত তাদের হাতে আটককৃত ভিক টিম দের উপর বিভিন্ন প্রকার ড্রাগস আর টক্সিক্যাল পদার্থ প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল যে এর কার্যকারিতা কেমন।
৩. প্রজেক্ট রেজিস্টেন্সঃ
এটি মূলত একটি ডোমেস্টিক প্রজেক্ট ছিল যেটি এক্সিকিউট করত সিআইএ এর ডোমেস্টিক অপারেশন ডিভিশন (DOD)। মূলত রাষ্ট্রের ভিতরে সি এর এ এর পারসনেল বা তাদের পরিবারের উপর কোন থ্রেট আছে কিনা এটা জানার জন্যই এই প্রজেক্ট রেজিস্টেন্স।
২. স্টারগেইট প্রজেক্টঃ
স্টার গেইট প্রজেক্ট আসলে অনেকগুলা প্রজেক্টের একসাথে করা নাম যাকে বলা হত আম্ব্রেলা প্রজেক্ট কোড। এটার মাধ্যমে মিলিটারি কার্যক্রমের কারনে কারো উপর মানুষিক চাপ পড়ছে কিনা। অথবা কোন একটি অবস্থা দূর থেকে দেখে কিভাবে এর উপর জাজমেন্ট করা হবে এসব ঠিক মত বের করার জন্য এই প্রজেক্ট চালানো হয়।
১. অপারশন আইভি ভেলসঃ
অপারেশন আইভি বেলস হল ইউএস নেভি, সিআইএ, এনএসএ এর একটি যৌথ মিশন। যেটার কাজ ছিল কোল্ড ওয়ার পিরিয়ডে সোভিয়েত রাশিয়ার যত কমুনিকেশন লাইন ছিল তাতে গোপন ওয়্যার টেপ সংযুক্ত করা। রোনাল্ড পেলটন নামে এনএসএ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা যিনি অবসরে যাওয়ার তিনমাস আগেই চরম অর্থকষ্টে পরেন তিনি ১৯৮০ সালে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার এম্বেসি তে গিয়ে টাকার বিনিময়ে এই ইনফরমেশন বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে রাশিয়া সেট করা সেইসব ডিভাইস উদ্ধার করে। ১৯৮৫ সালে আমেরিকান সরকার রোনাল্ড পেলটনকে গ্রেফতার করে। ১৯৯৯ সালে রাশিয়ান সরকার তাদের গ্রেট পেট্রিওটিক ওয়ার মিউজিয়ামে সেই সব ডিভাইস মানুষজন দেখার জন্য জনসাধারণের সামনে নিয়ে আসে।
উপরের সবগুলা অপারেশন বিবেচনা করলে দেখা যাবে বেশীরভাগ অপারেশনের সাথে সিআইএ জড়িত। অর্থাৎ বলা চলে বিশ্ব অশান্তি সৃষ্টির মূলে খুব ভাল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই এজেন্সি টি। আল কায়েদা থেকে শুরু করে হালের আইসিস সৃষ্টির মূলেও বলা হয়ে থাকে সিআইএ জড়িত।
এবার পাঠকদের জন্য একটা কুইজ। অপারেশন ‘রেথ অব গড’ এর উপর নির্মিত ‘মিউনিখ’ মুভিটি যারা দেখেছেন তাদের কাছে জানতে চাচ্ছি সিনেমাটির কোন এক জায়গায় একজন মোসাদ এজেন্ট বাংলাদেশের কথা বলে থাকে। বলতে হবে কোন জায়গায় এবং কেন বলে??
লেখাটির লিঙ্কঃ এইখানে ক্লিক করুন!!
বিদ্রঃ ভুল বানান মার্জনীয়। ভুল বানান পেলে কমেন্ট বক্সে লিখে দিলে খুশি হব।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এস কাজী বলেছেন: মোসাদ তলে তলে না । মোসাদ হল সিআইএ এর পুরাইন্না ডগি। সবগুলাতেই আছে এই মোসাদ।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০
এস কাজী বলেছেন: কি রাখাল ভাই ভয় পাইলেন নাকি?
ভয় পাইয়েন না। চিআইএ আপনের কিছু করব না
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: এস কাজী ,
বেশ খাটুনি করেছেন ।
অনেক অজানা কিছু জানা হলো । সাধুবাদ দিতেই হয় ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
এস কাজী বলেছেন: জী এস ভাই,
ছবি সহ খুব সুন্দর করে আমি পোস্ট টা সাজিয়েছিলাম। কিন্তু অর্ধেক যাওয়ার পর আমাকে আর আপলোড করতে দেয় না পিক। বলে কোটা শেষ। আবার দুইটা পোস্ট আলাদা আলাদা করে লিখলে মনে হচ্ছে আবেদন নাও থাকতে পারে। আরও ভাল করে সাজানো যেত।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাইয়া
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পৃথিবীর যত মন্দ কাজে আম্রিকানরা....
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
এস কাজী বলেছেন: একটি ধ্রুব সত্য। কিন্তু কেউ বুক ফুলিয়ে কি সেটা বলতে পারছে? পারছেনা!!!
ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলা চলে বিশ্ব অশান্তি সৃষ্টির মূলে খুব ভাল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই এজেন্সি টি। আল কায়েদা থেকে শুরু করে হালের আইসিস সৃষ্টির মূলেও বলা হয়ে থাকে সিআইএ জড়িত।
ঠিক।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
এস কাজী বলেছেন: খুব হাস্যকর হলেই সত্য।
বিদ্রোহী ভাই আমার ঠিক এর আগের পোস্টে একটা ভিডিও লিঙ্ক আছে। একমাত্র পুতিন ই খোলা ভাবে বলেছেন আমেরিকা আইসিস বানাইসে। ভিডিও টা না দেখলে দেখে নিয়েন যদি সময় থাকে।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমিতো দেখি কিছুই জানিনা। শত শত মাসুদ রানা পইড়া লাভটা কি হইলো ভাবতেছি।
প্রশ্নেরও উত্তর জানিনা। উত্তর জানার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা রইলো।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
এস কাজী বলেছেন: ভাউ আমি তো আপনের থেইকা একটা এন্সার আশা করছিলাম
জাউকগা একটু ওয়েটান দিয়া দিমু
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
একলা ফড়িং বলেছেন: ব্যাপুক গবেষণাধর্মী পুস্ট
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
এস কাজী বলেছেন: আচ্ছা ফেইসবুক বন্ধ থাকায় আপনি আজ এদিকে চলে আসছেন বুঝতে পেরেছি
আপনার ৪ টা ফুলস্টপ এর বদলে আমি কিন্তু ৫ টা দিয়েছিলাম। আপনি কিন্তু আর দেননি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি তো অবাক হইলাম ভাগনে। এতো কিছু জাইন্যা হালাইসো। ওয়াওঃ
তবে চরম একটা সত্য হলো সিআইএ, মোসাড সারা দুনিয়ায় অশান্তি বিতরণ করতাসে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
এস কাজী বলেছেন: মামা শরম দেন ক্যান? যা জানি তাতো আপনেগো লগে শেয়ারাইলাম
হেহেহেহ ধন্যবাদ মামা
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার ও পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট ।
শুভেচ্ছা রইল কাজী ভাই ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই
ভাল থাকবেন
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
বনমহুয়া বলেছেন: এত অপারেশন
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
এস কাজী বলেছেন: জী হ্যাঁ এত অপারেশন। তারপর ও অনেক কম
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪
রোলেন বলেছেন: চমৎকার, খুব ভালো লাগলো পড়ে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: ‘রেথ অব গড’ এর উপর নির্মিত ‘মিউনিখ’ মুভিটি যারা দেখেছেন তাদের কাছে জানতে চাচ্ছি সিনেমাটির কোন এক জায়গায় একজন মোসাদ এজেন্ট বাংলাদেশের কথা বলে থাকে। বলতে হবে কোন জায়গায় এবং কেন বলে??
উত্তরটা জানিয়ে দিন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
এস কাজী বলেছেন: যেহেতু মুভিটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর প্লট নিয়ে নির্মিত তাই এখানে একটু বাংলাদেশ মকিং করে একটা কথা বলা হয়েছে। এজেন্ট হ্যান্স প্রচুর ড্রিংক করে। তাই এজেন্ট স্তিভ (ড্যানিয়েল ক্রেগ) তাকে বলে বেশি ড্রিংক করা টা যেহেতু অপারেশনের জন্য কোন প্রবলেম হতে পারে তখন তাকে ড্রিংকস করা কমিয়ে দিতে ঠিক এই কথাটি বলে "Why don’t you stop drinking and eat something? I mean here enough food to feed Bangladesh”
আর মুভির ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডেই কথাটি বলে থাকে।
ধন্যবাদ ।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: The amount of food on the table whole Bangladesh can eat. Something like this
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
এস কাজী বলেছেন: ভাবানুবাদ ধরলে আপনার টা ঠিক আছে বলা যায়
বাট বুঝতে পারলাম আপনি ধরতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: ভাউরে ভাউ এত্ত এত্ত ইনফরমেশন আফনে পাইলেন কেম্নে????
নিশ্চয়ই আফনার সাথে সিআইএ এবং মোসাদের গলায় গলায় ভাব আছে
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
এস কাজী বলেছেন: ভাই সিআইএ কে যদি একবার হাত করতে পারতাম তাইলে তো লালে লাল হয়ে যেতাম। হাহাহাহা
ধন্যবাদ
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট। কুইজের উত্তরটা আমি জানতাম। আপনি বৈলা দিলেন কেন?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
এস কাজী বলেছেন: হপে না হামা ভাই। আপনে লেইট হেহেহেহে
ধন্যবাদ
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে। দুর্দান্ত পোস্ট।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
সুমন কর বলেছেন: পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট । আংশিক পড়লাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন দা
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: সিআইএর মত হারামী আর হবে না। এদের কাজই হলো অশান্তি সৃষ্টি করা।
যাহোক পোষ্ট পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
এস কাজী বলেছেন: আসলেই সব অশান্তির পেছনে এই সিআইএ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার সাজানো পোস্ট! সেই সাথে সুন্দর একটা প্রশ্নেরও উত্তর জানা হলো.....!!
অসাধারণ পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
এস কাজী বলেছেন: সাস মামা যতই অসাধারন লিখি না কেন আপনার মত তো আর পারিনা
আপনের তাস নিয়ে যেই পোস্ট সেই পোস্টের মত একখান পোস্ট লিখতারলে লাইফ সার্থক। হেহেহেহে
ধন্যবাদ মামা
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ! দারুন তথ্য।
তবে একটা ব্যপার ভাবি, এজেন্ট গুলা এত এত মানসিক জটিলতা ও চাপ নিয়ে জীবন পার করে কিভাবে?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২
এস কাজী বলেছেন: খুব আসল একটা কথা বলেছেন। ঠিকভাবে যাতে থাকতে পারে সেজন্য প্রিকশ্যান ও নেয়া হবে। অনেকে মানুসিক যন্ত্রনায় ভোগেন। মিউনিখ মুভিটা দেখলে বুঝবেন রেথ অব গডের যে টীম লিডার ছিল মাখিতে এরিক বানা ঠিকমত ঘুমাতে পারে না। খালি মনে হয় কেউ তাকে ফলো করছে, মারার জন্য খুঁজিতেছে।
তবে ওদের ওভাবে ট্রেইন্ড আপ করা হয়।
২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: কত কিছু জানি না!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
এস কাজী বলেছেন: এখন তো কিছু জানলেন
ধন্যবাদ
২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
প্রবালরক বলেছেন: মুজিব হত্যান্ডের গোপন আয়োজক সিআইএ-র তৎকালীন ষ্টেশন চীফ ফিলিপ চেরী - একথা সাংবাদিক লিফশুলজকে জানিয়েছিল তখনকার এ্যাম্বেসেডর বুষ্টার। তথ্যটি অনেক আগে প্রকাশ করলেও উৎস্য হিসাবে বুষ্টারের নাম লিফশুলজ বলেছেন কিছুদিন আগে মাত্র। বুষ্টারের ভাষ্যে তিনি বারবার চেরীকে বারন করেছিলেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
এস কাজী বলেছেন: ভাল তথ্য। জানা ছিল না।
জানানো এবং পোস্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
প্রবালরক বলেছেন: আরো কিছু যোগ করার লোভ সামলাতে পারছিনা -
১।The Fifth Army: Phantoms of Chittagong Hill Tracts বইতে মেজর জেনারেল সুজন সিং উবান তাঁর নেতৃত্বে একটা রক্ত হিম করা Covert Operation-র কথা জানাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী কম্যিউনিজম ঠেকানোর পরিকল্পনার আওতায় CIA-র তত্ত্বাবধানে দেরাদুনে দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষিত তিব্বতী গেরিলা দল Establishment 22 থেকে ৩০০০ (তিন হাজার) গেরিলা যোদ্ধা বাছাই করে '৭১-র অক্টোবরে ত্রিপুরার ডেমাগিরি পাঠানো হয়। মুজিব বাহীনির পোষাকে সজ্জিত শুধুমাত্র ছোরা ও হালকা অস্ত্র নিয়ে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ গভীর রাতে নদীপথে পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রবেশ করে। শেখ মনি সহ মুজিব বাহীনির কিছু সদস্যও এতে অংশগ্রহন করে। এরা ছিল ভারতের Eastern Command-র বাইরে।
দুর্গম পার্বত্য অরন্যে এদের লক্ষ্য ছিল পার্বত্য চট্রগ্রামে অবস্থিত নাগা ও মিজোদের ঘাঁটি ধ্বংস করা, পাকিস্তানের ৯৭ ব্রিগেড ও ২য় কম্যান্ডো ব্যাটালিয়নকে অকেজো করা, পিছিয়ে বার্মায় পলায়নের পথ রুদ্ধ করা।
ছায়ার মত নি:শব্দে, টর্নেডোর মত শক্তি নিয়ে উপর্যুপরি আঘাতের পর আঘাতে শত্রুবাহীনি পুরাপুরি পর্যুদস্ত হয়। অপারেশন ১০০% সফলতা অর্জন করে। গেরিলাদের ৫৩ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়।
২। Spies in The Himalayas By M.S. Kohli and Kenneth Conboy বই থেকে জানা যাচ্ছে যে প্রকাশিত War Record-এ তাঁরা পেয়েছেন - ১৯৭১ সনের জুলাই মাসে প্রথম ব্যাচে ১১০(একশত দশ) জনের তিব্বতী গেরিলা যোদ্ধাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন করে দেয়া হয় চা-বাগান, জলযান, রেলওয়ে লাইন এবং ঢাকা-চট্রগ্রামের মত অর্থনৈতিক স্নায়ুকেন্দ্রসমুহের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা। যাতে অর্থনীতিতে বিপর্যয় দেখা দেয়। তাড়াহুড়া করে আমদানী করা বুলগেরিয়ান এ্যসল্ট রাইফেল এবং আমেরিকায় নির্মিত কারবাইনে সজ্জিত গেরিলা দলটির কেউ পাকিস্তানীদের হাতে ধরা পড়লেও ভারতের সাথে তাদের কোনরকম সংযোগ প্রমান করা সম্ভব ছিলনা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
এস কাজী বলেছেন: ভাল তথ্য। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পোস্ট। জানলাম অনেক কিছু।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার জানার পরিধিতে একটু সাহায্য করতে পারলাম বলে
২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
আবু শাকিল বলেছেন: আম্রিকা পারে ভাই
ম্যাচের কাঠি পকেটেই থাকে। যেখানে ইচ্ছা হয় জ্বালায়। গোপন কৌশলে।
লেখাটা পড়ার জন্য খুব ভাল ছিল।উপভোগ করলাম।
ধন্যবাদ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এস কাজী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য
২৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৭
রাশেদ রাহাত বলেছেন: খুব সুন্দুর করি সাজিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০১
এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য
২৭| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
দিস ইজ ইব্রাহিম বলেছেন: সারা দুনিয়াতে আম্রিকান শালারা আকাম কুকাম করে আবার তারাই শান্তিসংগ গঠন কর ,বেশ হাস্যকর
০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩
এস কাজী বলেছেন: আসলেই হাস্যকর!!! এরাই পৃথিবীতে অশান্তি আনে আবার বলে অরাই শান্তির বার্তাবহ!!! আইরনি
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: মোসাদ আছে তলে তলে।