নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংস্পর্শে কিংবা অতি কাছে আসার চেষ্টা না করায় ভাল ....

অনেক বড় হতে চাই ,অনেক বড় ... ছুতে চাই আকাশ , হতে চাই অস্তিত্বহীন বিশুদ্ধ বায়ু ,, দোয়া কামনা করি ,হয়ত মায়ের অলৌকিক দুয়ায় হতে পারব .... ভুলে যখন পৃথিবীনামক কোন জগতে জন্মালাম ,পদচিহ্ন রেখেই যেতে হবে ,না হয় জন্ম বৃথা . . . .

সালফিউরিক এসিড

সত্যের আগুনে পুড়িয়ে মারি , এবং সত্যের আগুনে পুড়তে ভালবাসি ।। অতি সংস্পর্শ নয় ,সংস্পর্শেই আগুন ..... কারণ আমি সালফিউরিক এসিড .... সত্য হজমের ক্ষমতা যার নেই সে সংস্পর্শ আসার চেষ্টা বৃথা ....

সালফিউরিক এসিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

থাকিব আমি বিনে আমার শ্বাস . . .

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২

থাকিব আমি বিনে আমার শ্বাস . . .

লিখিয়াছি আমি



বাড়ির আশপাশ ,পারাপর্শীর যেন ঘুম হারাম হয়য়া উঠিল । কথিত আছে ,যার বিয়ে তার ধুম নেই , পারাপর্শীর ঘুম নেই ...

ঠিক এমনটিই হয়ল ,পাশের ঘরের জরিনার বিয়ের কথা চলমান ,বরপক্ষে সবুর করতে পারিতেছেনা । জরিনার সাথে বিবাহ ঠিক হয়ল শ্রী অনিকান্তের ছেলে অফিসার শ্যামলকান্তের সাথে ।।

বিবাহের দিন ধার্য্য করিবার জন্য বরপক্ষের যেন সয়ছে না মিষ্টি কোমল চেহেরার জরিনার মত মেয়ে আর পাওয়া যাইবে কিনা তাতেই সন্দীহান অনিক বাবু ,

তাই যত তাড়া অনিক বাবুর....

যথারীতি দশ লক্ষ টাকার সহিত বিবাহের দিন তারিখ ঠিক করিলেন অনিক বাবু ।অনেক কষ্টে মেয়ে জরিনার বিবাহের অর্থ সংগ্রহ করিয়া অমলবাবু তার একমাত্র মেয়ের বিবাহের সব ঠিক ঠাক করিলেন ......

পেশায় অমলবাবু এলাকার স্কুল শিক্ষক ,অনেক কষ্টে তার পরিবারের চলন ,,কোন মতে মেয়ে বিয়ে দিয়ে বেশ খুশি অমলবাবু ।

অনিক বাবুও ছেলে শ্যামলকান্তের জন্য এমন বৌ ও ভাল পরিবার সহিত অত্মীয়তা করিতে পারিয়া বেশ খুশি ,তার ছেলের ভবিষ্যত নিশ্চিত ,এতে তো অনিক বাবুর খুশীর সীমা নেই ।

বিয়ের আগে অনিক বাবু ,জরিনার সম্পর্কে এবং জরিনার পরিবারের বিস্তারিত দেখিয়া শুনিয়া জানিতে পারেন যে ,অমল বাবু সেই পুরো এলাকার বড় ,নাম করা সম্পদশালী শিক্ষিত একজনের মধ্যে একজন ...

এতে তিনি আরো খুশি যে ,তারা সারাবছর তাদের অর্থের সাহায্য চলিতে পারিবেন ।জরিনা ও বেশ আদর স্নেহের মাঝে বসবাস করিতে লাগিল ...অনেক সুখে জরিনা ,,শ্বশুর ,শ্বাশুরী ,ননদ সবাই জরিনাকে অনেক আদর যত্ন করিতেছে ।

অমল বাবুও বেশ আনন্দিত এমন মেয়ের জামাই আর পরিবার পেয়ে ।।

হঠাত শ্যামল বাবু তাহার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গেলেন স্ত্রীকে নিয়ে ...তারপর তারা জানতে পারিলেন যে ,জরিনার বাবা অমল বাবু সামান্য একটা স্কুলের শিক্ষক ,তিনি এতো সম্পদের অধিকারী নন ....

অর্থপিপাসু অনিক বাবুর কানে পৌছালেন এই খবর ,এখনের সেই জরিনা পুরোনো সেই জরিনার অনেক ব্যবধান ।।ইতোমধ্যে পরিবারে যুক্ত হলো আরো একজন ,জরিনার মেয়ে হয় ....শ্যামল বাবু আর জরিনা বাবামা হলেন ।খুশির জোয়ারে পরিবার ভাসিবার কথা হয়লেই দেখা দিল অন্য রূপ ।খুশির পরিবর্তে কান্নার হাহাকার জরিনার মুখে ...

শ্বশুর শ্বাশুরীর যেন আসল রূপ ফুটিয়া উঠিল ,জরিনার সেই হাসি মুখ আর নেই ,সারাদিন কাটে অনাহার আর রোগের আর কানায় . . .

জরিনার মনে মনে বুঝিতে পারিলেন ,ইহারা অন্য মনের মানুষ ।।জরিনাকে নানান ধরণের শারীরিক নির্যতনের পাশাপাশি মারধরো করে ।তারপরো জরিনা কোন কথা বলে না ,দেই না কোন প্রতিউত্তর . . .

শ্বাশুড়ী জরিনার সামনে আসিয়া বলিল ,তোর বাপ মা কি করে ?ঠিক মততো দুবেলা খাবার ও পেতি না বিয়ের আগে ।।

তোর বাপ মা আমাদের কাঁদে তুলিয়া বিপদ সারাল ,অলক্ষী অপয়া মেয়ে কোথাকার ,আমার ঘাড়ে চরলি ,আর জায়গা পেলি না ।।

জরিনার অশ্রু ভেজায় দুচোখ ,কিছু না বলিয়া উদাস দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়া রয়ল জরিনা ,কি আর বলিবে সে ,পায়ের নিচে যে মাটি নেই ,হয়ত . . . .

গরীবের মেয়ে ,কাউকে বলে না ...স্বামী শ্যামল বাবুও সেই পরিবারের ,একিই রক্তৈ তো প্রবাহিত হচ্ছে তার শরীরে ,জরিনার সুখের স্বপ্ন যেন হয়য়া উঠিল দুর্বিষহ ।

জরিনার আর নির্যাতত সহ্য করতে না পারিয়া অত্মহত্যার পথ বাঁচিয়া নিতে বাধ্য হয়ল,কন্যার মুখপানে চাহিয়া জরিনা তাও করতে পারে না ,মাবাবা আর জরিনার কন্যা সন্তানের দিক চাহিয়া জরিনা সব অত্যাচার সহ্য করিতে লাগিলেন শেষ পর্যন্ত জরিনা না পারিয়া আত্মহত্যার করিবার সময় মেয়ে বাঁধা দিল বলিল ,মা আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছ তুমি . . . ??

জরিনার পুনরায় বাঁধা প্রাপ্ত হয়ল ,ছোট বয়সী মেয়ের এই কথা শুনিয়া ,চোখের অশ্রু বিসর্জন দিয়া মেয়ে কে কোলে জডি়য়ে বলিল ,মা আমায় ক্ষমা করিস ,যদিও হয়ত পারি চলিয়া যাইতে ,চলিয়া যাইব ,মা আমার ক্ষমা করিস ।

এই খবর কেমনে জরিনার মার আর অমল বাবু কানে পৌছালে অমল বাবু মেয়েকে আনতে যাই ,আর বলে আমি আমার মেয়ে কে অন্যর্থ বিবাহ দিব ।।

জরিনা বলিয়া উঠিল ,বাবা হয়ত তুমি অন্য ভাল পাত্র সন্ধান করিয়া আমার বিবাহ দিবে ,

হয়ত আমি অগ্রাহ্য করিবার পারব না ,

তবে ফের যদি তা হয়য়া থাকে ,তবে হয়ত থাকিব আমি বিনে আমার শ্বাস ।।

এরপর আর জরিনার মেয়ের মুখে শুনিলাম না ,মা আমায় ছেড়ে যাবে নাতো . . . .



@ নিঝুম রাতের আলো



বিশেষ দ্রষ্টব্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী গল্প পড়িবার সময় ,আর সহ্য করতে না পারিয়ে এর অনুরূপ একটি গল্প লিখিবার চেষ্টা করিলাম ,,,

ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ,,,

আর কেমন হল জানাবেন ।।



বাড়ির পাশে এমনি এক ঘটনা ঘটিল ,সেই উদ্দেশ্য রবি ঠাকুরের সাহায্য নিয়া লিখিলাম এই গল্পটি . . .

আসলেই গরীবের প্রতি কেন এই ঘৃণা ,,,



~ asid

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.