নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ,. ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?

সাত সাগরের মাঝি ২

এখানে প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর..

সাত সাগরের মাঝি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখ যে মনের কথা বলে

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭


ছবি:ইন্টারনেট থেকে

"চোখ যে মনের কথা বলে....." কিংবা "ও চোখে চোখ পড়েছে যখনি....." গানের কথা জানেনা এমন লোক খোঁজে পাওয়া কঠিন। চোখ দিয়ে দেখে যত দূর পৌঁছানো যায় অন্য কিছুর মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। মানুষের চোখ অত্যন্ত বিষাক্ত। তাইতো বদ নজর থেকে বাঁচানোর জন্য খেতের ফসলে কাকতাড়ুয়া দেয়া হয়। শিশুর কপালে দেয়া হয় কাজলের টিপ। যদিও এগুলো করা শিরক। চোখেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অনেক অপকর্ম থেকেই বেঁচে থাকা সম্ভব। চোখের সাথে মনের যোগসূত্র প্রবল। মন ঠিক করতে চাইলে চোখের হেফাজত জরুরি।

মনের সাথে চোখের সম্পর্ক:

মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে চোখকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চোখকে ক্যামেরার লেন্সের সাথে তুলনা করলে মনকে ক্যামেরার ফিল্মের সাথে তুলনা করা যায়। ক্যামেরার লেন্স যা দেখে তাই ভেতরের ফিল্মে ছবি হয়ে যায়। তেমনি চোখের লেন্স দিয়ে যা দেখা হয় তাই মনের ফিল্মে ছবি হয়ে ফুটে ওঠে। তাই মনকে পবিত্র রাখতে হলে অপবিত্র দৃশ্য দেখা থেকে চোখকে ফিরিয়ে রাখতে হবে।

কুরআনে মুমিনদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, পরনারীর উপর চোখ পড়ার সাথে সাথে নামিয়ে নিতে হবে এবং আবার দেখা থেকে চোখকে ফেরাতে হবে। যেসব মহিলার সাথে বিয়ে জায়েজ নয় তারা ছাড়া অপর মহিলার দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখলে তার ছবি মনে অংকিত হয় এবং সে ছবি মনকে অপবিত্র করতে থাকে। রাস্তা-ঘাটে বা পত্র-পত্রিকায় নৈতিকতার দৃষ্টিতে আপত্তিকর যত রকম দৃশ্য চোখে পড়ে তার প্রতি মনে ঘৃণা জন্মাতে হবে এবং সেসব থেকে সযত্নে চোখকে বাঁচিয়ে চলতে হবে। তাহলে মনের পবিত্রতা রক্ষা করা সহজ হবে।

তসবীহ পড়া বা যিকর করার সময় চোখ বন্ধ রাখলে মনের একাগ্রতা বহাল রাখা সহজে সম্ভব হয়। কারণ চোখ যা দেখে মনকে সে তা দেখায়। নামাযে সব সময় চোখ বুজে থাকা মাকরুহ বলে চোখ বন্ধ রাখার ফাঁকে ফাঁকে চোখ খুলতে হবে। মনকে নামাযে নিবদ্ধ করার প্রয়োজনে চোখ বন্ধ রাখা জায়েয। সব সময় চোখ বুজে নামায আদায় করলে চোখের ট্রেনিং হয় না। নামাযের বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে দেখার বিধান রয়েছে যাতে চোখকেও আল্লাহর হুকুম এবং রাসূলের তরীকা অনুযায়ী ব্যবহার করার ট্রেনিং হয়। এ ট্রেনিং এর উদ্দেশ্য হলো নামাযের বাইরে চোখকে আল্লাহর হুকুম ও রাসুলের তরীকা মেনে চলার যোগ্য বানানো। যাদের নিকট মনের পবিত্রতা রক্ষারও গুরুত্ব রয়েছে তাদেরকে চোখের নিযেন্ত্রণে অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আর যাদের চোখ নেই?
আবার অনেকে আছেন জন্ম থেকেই অন্ধ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন:



যাদের চোখ নাই তারা অনেক পাপ থেকে মুক্ত।
আল্লাহ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করেন....
সূরা বাকারার মধ্যে সে কথা আছে

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর লেখা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ ক্ষমা করুন সকলকে।সেই সাথে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও হেদায়েত দান করুন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৩

আরোগ্য বলেছেন: চোখ আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। আমাদের উচিত নেয়ামতের সঠিক ব্যবহার করা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাকে হেদায়াত দিন

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে। হ্যাঁ ঠিকইতো চোখ যে মনের কথা বলে।

শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: চোখ থেকেই সব অনুভূতির শুরু .। অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাইয়া. .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.