নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ,. ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?

সাত সাগরের মাঝি ২

এখানে প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর..

সাত সাগরের মাঝি ২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাছ বন্ধু ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন রাস্তার গাছ থেকে এ পর্যন্ত ১২৭ কেজি পেরেক তুলেছেন!

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৩



আবদুল ওয়াহিদ সরদার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরোতে পারেননি। নেমেছেন বিরল এক অভিযানে। সাথে আছে একটি বাইসাইকেল। সাইকেলের সামনে বৃক্ষ সম্পর্কে কিছু তথ্যসংবলিত বড় একটা ব্যানার, আরও আছে অনেকগুলো পেরেক তোলার যন্ত্রাংশ আর সেই পেরেক সংগ্রহের জন্য রয়েছে ব্যাগ।

নিজ উদ্যোগে ওয়াহিদ সরদার এমনিভাবে নেমেছেন বৃক্ষ রক্ষার এমন বিরল অভিযানে। গাছের গায়ে পেরেক লাগানো থাকলে তিনি সেগুলো তুলে ফেলেন। বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা থেকে গত ০৪/০৭/২০১৮ তারিখ হতে যশোর-ঝিনাইদহ-খুলনা সড়কের ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছ থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ কেজির বেশি পেরেক তুলেছেন ওয়াহিদ সরদার।

গাছবন্ধু খ্যাত আব্দুল ওয়াহিদ সরদার যশোরে সদর উপজেলার সাড়াপোল গ্রামের বাসিন্দা। দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ওয়াহিদ সরদার বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি ওয়াহিদ কাজের পাশাপাশি গত ১৩ বছরে যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রায় ৩০ হাজার গাছ লাগিয়েছেন।

গত ৪ জুলাই থেকে তিনি গাছ থেকে পেরেক তোলা শুরু করেছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও উৎসব উপলে ব্যানার, ফেস্টুন বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড লাগানোর জন্য অনেকে গাছের শরীরে পেরেক ঠোকেন। সেই সব পেরেক ওয়াহিদ সরদার তুলছেন। কারণ,গাছে পেরেক ঠোকার বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দেয়। ওয়াহিদ সরদারের এ উদ্যোগ নজিরবিহীন এবং নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
গাছ কোনো জড়বস্তু নয়। গাছেরও প্রাণ আছে। একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের কারখানা। কিন্তু তারপরও মানুষের নিষ্ঠুরতার হাত থেকে গাছেরা রেহাই পাচ্ছে না।

মানুষ নিজেদের স্বার্থে যখন-তখন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড লাগানোর জন্য গাছে পেরেক ঠুঁকছেন। এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অথচ পরিবেশবিদদের মতে, পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়, তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় দ্রুত পচন ধরে। ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে গাছ মরেও যেতে পারে। তাই কোনো গাছে পেরেক ঠোকা মানে ওই গাছের চরম ক্ষতি করা। যেখানে আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেখানে আমরা উল্টো গাছের ক্ষতি করে চলেছি।

গাছ ধ্বংস করা মানে নিজেকে ধ্বংস করা এই কথাটা বোধ হয় ওয়াহিদ সরদারের চেয়ে ভালো আর কেউ বেশি বোঝেন না। তাইতো তিনি গাছ রোপণের পাশাপাশি গাছ থেকে পেরেক অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। শুধু বৃক্ষ রোপনের মধ্যে নয়, লড়ে যাচ্ছেন বৃক্ষ রক্ষার জন্য।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন:

“আমি মিনিমাম ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে পেরেক তুলেছি। আমি পেশায় রাজমিস্ত্রি। পাশাপাশি আমি পেরেক, ব্যানার এসব গাছের শরীর থেকে অপসারণ করে গাছকে আংশিক স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছি। যারা এসব করছে তারা সব শিক্ষিত, পয়সাওয়ালা, যার জন্য নিরাপত্তার একটা হুমকি ছিল। ভিতরে ভয় কিন্তু মুখে সাহস ছিল, এটা নিয়ে ওদেরকে বোঝাতে বোঝাতে আমি পেরেক তুলেছি।

গাছকে আমি অতি ভালোবাসি, গাছ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, গাছ মারা যাচ্ছে তারকাঁটার আঘাতে। বিজ্ঞান বলছে গাছের জীবন আছে, যেহেতু জীবন আছে তার মানে তার যন্ত্রণা, ব্যথা আছে। এ কারণে আমি এ কাজটি করছি।"

পেরেক তুলতে গিয়ে মানুষের তিরস্কারের আর মুখোমুখিও হতে হয় ওয়াহিদ সরকারকে। ওয়াহিদ জানালেন, “প্রথম দেখাতে মানুষ জিজ্ঞাস করে কে অর্ডার করেছে, বেতন কতো। বলি আমি স্বেচ্ছাসেবক, বলে এটা অসম্ভব, ‘কিন্তু’ আছে ভিতরে।”

সন্দেহও করে কেউ কেউ, “পেরেকগুলো কী করেন? বলি সংরক্ষণ করি। বলে- না, বিক্রি করেন। এখানে তো অনেক পয়সা আছে।”
এ প্রসঙ্গে ওয়াহিদ বললেন, “এটা হচ্ছে আপনি ভালো কাজ করলে এমন সমালোচনার ভেতর দিয়ে যেতে হবে, তাই এটার দিকে আমি দৃষ্টি দেই না।” আর্থিক অনটনের কারণে তার এই স্বেছাসেবী কাজে সম্মতি ছিল না পরিবারের। “প্রথমে আমার প্রতি তাদের একটা ক্ষোভ ছিল যে আমাদের ভবিষ্যতটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যখন দেখলো যে আব্বার এটা নেশা, তখন তারা এ সঙ্কটের ভেতর দিয়ে সসম্মানে গড়ে উঠেছে।”
গাছ থেকে পেরেক তোলার এই কাজকে তার যুদ্ধ বলে অভিহিত করলেন ওয়াহিদ সরকার, “আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার একটি সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যানারকে জাদুঘরে না নিবে ততক্ষণ আমি এটা চালু রাখবো।”

বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণে হাদীসের ঘোষণা:



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلَّا كَانَ لَهُ بِه صَدَقَةٌ.

যখন কোনো মুসলিম গাছ লাগায়, অথবা কোনো ফসল বোনে, আর মানুষ, পাখি বা পশু তা থেকে খায়, এটা রোপণকারীর জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩২০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫৩) আরেক বর্ণনায় এসেছে “কিয়ামত পর্যন্ত (অর্থাৎ যতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে বা তা থেকে উপকার গ্রহণ করা হবে) সে গাছ তার জন্য সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫২)

আমার লাগানো গাছ থেকে যে কেউ উপকার গ্রহণ করুক তা আমার জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হবে। এমন কি কেউ যদি আমার লাগানো গাছ থেকে চুরি করে খায়, সেটাও বিফলে যাবে না। হাঁ, চুরির কারণে তার গোনাহ হবে, কিন্তু আমি সওয়াব পেয়ে যাবো।
হাদীসে এসেছে:

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلَّا كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَة، وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ، وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ، وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ، وَلَا يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ.

মুসলিম যখন কোনো গাছ রোপণ করে, তো এর যে ফল খাওয়া হবে এটা তার জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হবে। এ থেকে যা চুরি যাবে তাও সদাকা হিসেবে গণ্য হবে। হিংস্র প্রাণীও যদি তা থেকে খায় তাও সদাকা হবে। পাখি খেলে সদাকা হবে। (এমন কি) যে কেউ যে কোনোভাবে এ থেকে (উপকার) গ্রহণ করবে তা সদাকা হিসেবে গণ্য হবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫২)।

বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এক হাদীসে তিনি ইরশাদ করেন

إِنْ قَامَتْ عَلَى أَحَدِكُمُ الْقِيَامَةُ، وَفِي يَدِهِ فَسِيلَةٌ فَلْيَغْرِسْهَا.

যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহূর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৯০২; আল-আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ৪৭৯)

তথ্যসূত্র:
১)গাছ বন্ধু ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে পেরেক তুলছেন যিনি
২)গাছবন্ধু ওয়াহেদ সরদারের বিরল অভিযান
৩)হিরো খুঁজছেন? কে হিরো? ঐ উচ্চমাত্রার বিলাসী, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ কি হিরো?
৪)৫০০ কিলো জুড়ে থাকা গাছ থেকে ১২৭ কেজি পেরেক তুললেন যশোরের রাজমিস্ত্রি
৫) পরিবেশ বাঁচাতে ইসলামে বনায়নের গুরুত্ব
৬)গাছ লাগানো সওয়াবের কাজ
৭)গাছ লাগান সওয়াব অর্জন করুন

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯

আরোহী আশা বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ++++

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে........
ভালো থাকবেন.....

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

নতুন-আলো বলেছেন: সচেতনমূলক পোস্টে++

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভরাত্রি

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টুপি খোলা অভীবাদন গাছবন্ধুর জন্য

দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এক অভূতপূর্ব কাজ করছেন তিনি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করায়

+++

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনার অভিবাদন পৌঁছে যাক তার হৃদয়ে.........
সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা ভাইয়া

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই লোককে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া উচিত।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৬

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই দেয়া উচিত। এরাই আমার দেশের গর্ব ।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো পোস্ট

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: শুভ সকাল রইলো আপনার জন্য

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাত সাগরের মাঝি ২ ,



সাত সাগর সেঁচে ওয়াহিদ সরদার নামের একটি মানিক তুলে আনলেন আমাদের জন্যে।
ধন্যবাদ অবশ্যই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৮

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: জীএস ভাইয়া, আপনার এমন মন্তব্যে আমিও প্রেরণা পেলাম। মন্তব্যে ভালো লাগা রেখে গেলাম। আপনার ধন্যবাদ গ্রহন করলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভ সকাল এতো সুন্দর করে বলার জন্য

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: জাতীয় পুরষ্কার দেয়া উচিৎ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৯

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই জাতীয় পুরষ্কার পাবার মতো কাজ করেছেন তিনি। এর একটা স্বীকৃতি অবশ্যই তার প্রাপ‌্য

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১০

আরোগ্য বলেছেন: ওয়াহিদ সরদারকে স্যালুট। খুব ভাল একটা পোস্ট।
হাদিসগুলো দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩১

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন:




সত্যিই স্যালুট পাবার মতোই কাজ এটা।
শুভ সকাল আরোগ্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি......

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৩

জগতারন বলেছেন:
ওয়াহিদ সরদারকে হানিফ সংকেত দেখে/ পায় না ?

ওয়াহিদ সরদারকে পরবর্তি ইত্যাদি'তে দেখতে চাই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনার মতো আমারও এই প্রশ্ন। পরবর্তী ইত্যাদিতে তাকে দেখানোর সম্ভাবনা আছে।
শুভসকাল জগতারন

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এরাই আসল হিরো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই তাই। এমন হিরোদের জন্যই দেশটা সুন্দর।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা নেই। তিনি সত্যি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। জাতি তার নিকট থেকে বৃক্ষপ্রেম শিখে নিক। কত দিন কতভাবে কত স্থানে যে, নিরপরাধ গাছেদের উপরে এই নির্মমতা প্রত্যক্ষ করে ব্যথিত হয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই।

আপনি এত চমৎকার একটি খবর আমাদের গোচরীভূত করায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।



২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আমরা শুধু বৃক্ষরোপণ অভিযান করি কিন্তু পরিচর্যার জন্য কোন পদক্ষেপ নেই না। আসলেই জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরন তিনি। নকীব ভাই, আপনার প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২২

ঝিগাতলা বলেছেন: বাংলাদেশের গর্ব এরা........

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই এরা গর্ব........

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওনার প্রতি শ্রদ্ধা আর আপনার প্রতি ভাললাগা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনার শ্রদ্ধা পৌঁছে যাক বীরের অন্তরে। আপনার ভালোলাগা আমার প্রেরণার উৎস।
আপনার প্রতি সালাম জানাই

১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

বলেছেন: শিক্ষিত অমানুষগুলো যদি উনার কাছ থেকে শিক্ষা নেয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আসলে কি জানেন লতিফ ভাই, শিক্ষিত নামধারী প্রাণীরা কখনোই শিক্ষা নেয় না। আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওয়াহিদ সরদারের চমৎকারিত্ব যদি আমাদের সবার মধ্যে সামান্যতম প্রতিফলিত হয় তাহলে আমাদের চারপাশটা সম্পূর্ণ বদলে যাবে এ কথা হলফ করে বলতে পারি। পোস্টে ভাললাগা।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: প্রিয় দাদা, আপনার আগমন এবং সুন্দর মন্তব্যে আমিও কিছু শিখলাম। আসলেই তাই, ওয়াহিদ সর্দারের মতো মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে.....

আপনার প্রতিও ভালোবাসা অফুরান

১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

তারেক ফাহিম বলেছেন: এক অভূতপূর্ব কাজ।

স্যালুট ওয়াহিদ সরদারকে।


পোষ্টটি শেয়ারে ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ফাহিম ভাই, আপনার হৃদয় নিংড়ানো মন্তব্য আমার মন ছুঁয়ে গেল। আপনার স্যালুট পৌঁছে যাক তার অন্তরে।
শুভ রাত্রি জানবেন।

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০২

আরোহী আশা বলেছেন: ওনার প্রতি শ্রদ্ধা আর আপনার প্রতি ভাললাগা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভ সকাল

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১২

জুন বলেছেন: এমন কিছু ব্যাক্তি দুনিয়াতে আছে বলে পৃথিবীটা নরক হয়ে যায়নি সাত সাগরের মাঝি। গাছ বন্ধু ওয়াহিদ সরদার বেচে থাকুক যুগ যুগ। পশু পাখী এবং গাছপালার প্রতি যারা নিষ্ঠুর আচরণ করে তাদের প্রতি আমার ঘৃনা।
+

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: জুন আপু শুভ সকাল জানবেন। আশা করি ভালো আছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন। এমন কিছু ব্যাক্তি দুনিয়াতে আছে বলে পৃথিবীটা নরক হয়ে যায়নি । এমন আবদুল ওয়াহিদ আরো দরকার আমাদের দেশে।

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২০

বোকামানুষ বলেছেন: উনার কথা এফবি তে পড়েছিলাম আজকে আরও বিস্তারিত জানলাম উনাদের মত মানুষের জন্যই এখনো কিছু সবুজ বেঁচে আছে আমাদের চারপাশে । পোস্টে +++

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: চালাক মানুষ. আপনার আগমন আমার জন্য প্রেরণার। আমরা সবাই সচেতন হলেই আপনার আশা পূর্ণ হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.