![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখানে প্রকাশিত লেখা, মন্তব্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর..
কি নিষ্ঠুরতা! সংবাদ দেখে হতবাক আমি!
ফেনীর বৃদ্ধ এক মা। নাম মৃদুলা সাহা। বয়স ৮০ বছর। সারাটা জনম সংসার সংসার করে জীবন কাটিয়ে দিলেন। ছেলে মেয়েদের মানুষ করলেন। মেধাবী সন্তানদের জননী। তারা মানুষ হতে হতে অনেক বড় মানুষ হয়ে গেছে এখন।
এক ছেলে বিসিএস ক্যাডার, আরো দুই ছেলে বাবার রেখে যাওয়া চালের আড়তের মালিক, মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হয়েছে, স্বামীর সংসার করছে। তাদের এই সুখের দিনে, সুখের জীবনে কোথাও নেই মা।
ফেনীর মধুপুরে একটা পরিত্যক্ত বাড়ি। সেই বাড়িতে গত চার বছর পরিত্যক্ত কক্ষে একা থাকেন বৃদ্ধ এই মা, নাম মৃদুলা সাহা। শারীরিক অসুখের তো চিকিৎসা হয়, কিন্তু মনের অসুখের চিকিৎসা কে করবে? বৃদ্ধ এই নারীর সাথে দীর্ঘদিন তার কোনো আপনজনের দেখা নাই। স্বামী হরিপদ সাহাও মারা গেছেন সেই কবে, ১৯৮৩ সালে। তারপর সংসারের হাল টেনেছেন নিজে, একা। আর কত দিন? বাবার রেখে যাওয়া চালের আড়ত নিয়ে ব্যস্ত দুই ছেলে বাপ্পি সাহা, বিপুল সাহা। ফেনী শহরে ব্যবসা করে তারা বেশ ব্যস্ত। শহর থেকে মধুপুরে আসার সময়টুকু মেলে না তাদের। এত ব্যস্ততা, এত ব্যস্ততা- সেখানে মায়ের কি একটুও ঠাই হয় না?
দুই মেয়ে শর্বরী সাহা, সুমি সাহা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন। এখন ঢাকায় স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ততায় কাটছে তাদেরও দিন। বিয়ে হয়ে গেলে কি হবে, কত মেয়েরা মায়ের বাড়ির যাওয়ার জন্য সবসময় কি ভীষণ ছটফট করে। আমার নিজের আম্মাকে অনেক সময় দেখেছি নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য কত দুপুরে তার মন খারাপ হতো।
চিঠি লিখতেন আর কাঁদতেন। মৃদুলা সাহার মেয়েদের কি হলো জানি না। সময়টা কি এতটাই যান্ত্রিক হয়ে গেছে যে, মায়ের খোঁজ নেওয়ারও একটু সময় মেলেনি তাদের? মেয়েদের তো সামাজিক বাস্তবতার কারণেই আরেকটা ঘরে যেতে হয়, কিন্তু যাদের ঘরের সাথে যোগাযোগ থাকার কথা সেই সন্তানরাও কেন মা বিমুখ হয়ে গেল?
মৃদুলা সাহার এক পুত্র বিসিএস ক্যাডার। সেই ছেলেটির নাম সুশান্ত সাহা। তিনি কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক। সন্তানের সাফল্যে বাবা মায়ের চেয়ে বেশি গর্ব আর কে করে? সন্তানের সাফল্য বাবা মায়ের চেয়ে কে বেশি আর কামনা করে?
বৃদ্ধ মা মৃদুলা সাহাও হয়ত ভীষণ গর্ব করেন, তার ছেলেমেয়েরা এখন প্রতিষ্ঠিত বলে, তার মধ্যে আবার এক ছেলে বিসিএস ক্যাডার। মা খুশি না হয়ে পারেনই না। কিন্তু, এই বৃদ্ধার মনে ক্ষত তৈরি হয় না, যখন দেখেন দিনের পর দিন চাতক পাখির মতো প্রিয় সন্তানের মুখগুলো দেখবার আশায় তিনি অপেক্ষায় থাকেন, কিন্তু তারা কেউ আর আসে না? তারা আজ অনেক বড়, অনেক প্রতিষ্ঠিত, অনেক ব্যস্ত। মাকে দেখার মতো খানিক অবসরও নেই তাদের।
একা একা থাকতে থাকতে জগত সংসার থেকে অপাংক্তেয় হয়ে গেছেন যেন বৃদ্ধা মা৷ গতকাল তার সাড়া শব্দ একেবারে না পাওয়া যাওয়ায় প্রতিবেশীরা ভেবেছে, বৃদ্ধা বুঝি আর নেই। মরে গেছে। হয়ত এমন একাকী মৃত্যুরই প্রহর গুনছিলেন তিনি।
ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া নেই। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর জানায়। পুলিশ এসে বন্ধ দরজা ভেঙ্গে বৃদ্ধাকে জীবিত পায় তখনো। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
সিভিল সার্জন শাহরিয়ার কবির বলেন, “উনি বেশ অসুস্থ। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। আমরা আমাদের যতটুকু দেয়ার সব দিচ্ছি। বৃদ্ধা মা ভবিষ্যতে স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারে। তাকে অবজারবেশনে রাখা হয়েছে।”
হয়তো এই বয়সে একটু কাছের মানুষদের সান্নিধ্য পেলে মানসিক ধকলটা কেটে যেত বৃদ্ধার। মনের ভার জমতে জমতে এখন মনের যে অসুখ হয়ে গেছে, সেটা সারাবে কোন চিকিৎসক?
বৃদ্ধার প্রতি তার সন্তানদের এই অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তারা দেখেছে, দিনের পর দিন বৃদ্ধা মৃদুলা সাহা কিভাবে একাকী দিন গুজরান করে গেছেন। স্বামীকে হারিয়েছেন, ছেলেমেয়ে যেন থেকেও নেই, এমন নিঃসঙ্গ জীবন বয়ে বেড়ানো খুবই কষ্টের৷ প্রতিষ্ঠিত হলে কি শিকড়কে ভুলে যেতে হয়?
মাকে ভুলে যেতে হয়? বিসিএস ক্যাডার হওয়াটা আজকালকার দিনে অনেক বড় সাফল্য, কিন্তু এমন সাফল্য যদি আপনজনকে ভুলিয়ে দেয় সেটা কি সাফল্য থাকে আর নাকি সেটা এক অভিশাপ? এমন ‘বিসিএস ক্যাডার’ পুত্র লইয়া বৃদ্ধ মা কি করিবে?
তথ্যসূত্র:
১)মায়ের মৃত্যুর খবরেও দেখতে যায়নি ৫ সন্তানের কেউ!
২)ছেলেরা বিসিএস ক্যাডার-ব্যবসায়ী,অযত্ন অবহেলায় মরছে মা!
৩)মৃত্যুশয্যায় বৃদ্ধা মা, পাশে নেই বিসিএস ক্যাডার-বিত্তবান সন্তানেরা
৪) বিসিএস ক্যাডার ছেলের মায়ের করুণ দশা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: এমন সন্তানের চাইতে সন্তান না থাকাটাই ভালো
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২
হাবিব বলেছেন: কি নিষ্ঠুরতা....... কি অমানবিক!!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: এমন নিষ্ঠুরতার শাস্তি হওয়া দরকার। কঠোর শাস্তি
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: মর্মান্তিক ব্যাপার।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ফাহিম ভাই, সত্যিই মর্মান্তিক ! এমন কুলাঙ্গার সন্তান যেন আল্লাহ আর কাউকে না দেন।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সব জ্ঞানপাপী।
দুপেয়ে জীব দেখি মানুষ পা্ও কোথা!
মান আর হুশ না থাকিলে মানুষ হলো কোথা??
...ভৃগুদা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: একদম সত্যি কথা বলেছেন। ওরা দু পেয়ে পশু
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
অমানবিক। অকল্পনীয়। অচিন্তনীয়।
এদের ভেতরে ফিরে আসুক মানবতা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: এমন সন্তান যেন কারো ঘরে না আসে।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৬
রাফা বলেছেন: হতভাগা ও হতভাগী সন্তানরা উপলব্দিও করতে পারছেনা কতটা লান্নতের জিবন অতিবাহিত করছে তারা।এরাই হবে কোন কোন সন্তানের বাবা,মা আমি শংকিত সেই সন্তানদের নিয়েও?
ধন্যবাদ,সা.সা.মাঝি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ওরা জ্ঞানপাপী। ওদের ক্ষমা হবেনা। জন্তু জানোয়ারও ওদের চেয়ে ভালো। আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য রাফা ভাই
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম নিউজ আমাকে খুব কষ্ট দেয়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আমাকেও কষ্ট দেয় এমন সংবাদ
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪১
প্রামানিক বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই, এমন সন্তান জেন আর কারো না হয়
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিসিএস ক্যাডােরা পরিকল্পিত ডাকাতীর সর্দার
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: তাদের মধ্য থেকে অনেকেই যন্ত্র মানব, দয়া মায়া নেই। বউয়ের কথায় চলে অনেকে এমন হয়
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮
নতুন-আলো বলেছেন: কি মর্মান্তিক ঘটনা!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১১
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সত্যিই মর্মান্তিক
১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধিক ধিক ধিক্কার।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ওরা কুলাঙ্গার , ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই
১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হায়! হায়! কি সময় এলো!
মায়েরে চিনেনা সন্তান।
ধরণী দ্বিধা হও।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ওরা কি করে চিনবে, ওরা মনে করে আকাশ থেকে টপ করে মাটিতে পড়ছে। ওরা মনে করে মার গর্ভে জন্মই নেইনি
১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
নাহিদ০৯ বলেছেন: রাজশাহী হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ৫ রাত থেকে আসলাম। প্রায় সবার ই এরকম কাহিনী। বুড়া বুড়ি চলে আসছে একাই। ঔষধ আনার জন্যে আর কেউ সাথে নাই। ৭ দিনে মাত্র একটা রোগী দেখলাম যার সাথে ছেলে আসছে, আর আরেকটা ব্যতিক্রম দেখলাম মেয়ে জামাই নিয়ে আসছে।
এদের সাথে গল্প করে করেই দিন পার করতাম। আমিও গেছিলাম নানা কে নিয়ে। সবার বাড়িতেই ছেলে আছে। কেউ চাকুরীর জন্যে দূরে, কেউ কেউ আলাদা সংসারে। কারোর ই কথায় কোন আক্ষেপ নাই,কিন্তু ভেতরে ভেতরে কেমন জানি একটা দীর্ঘ নিঃশাস।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আপনার নানার সুস্থতা কামনা করি। আসলেই সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু এটাও তো ভেবে দেখা দরকার বুড়াবুড়ি মা বাবা কিভাবে চলবে?
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
নজসু বলেছেন:
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: মায়ের মতন দরদী কেউ নাই।
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: েএরা কি ? মানুষ না অ মানুষ ? বি সি এস ক্যাডার ??????
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ওরা অমানুষ হয়েছে। ওরা জ্ঞান পাপী
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৬
আরোগ্য বলেছেন: গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহেস্ত ধন,
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: তারা তো মানুষ নারে ভাই। কেমনে তারা মায়ের কদর বুঝবে?
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
চিত্রাভ বলেছেন: কি বলবো ! হায় সন্তানরা যে মা যত্ন না নিলে এই পৃথিবীতে এরা জন্ম নিয়েও এরা কেউ বাঁচত না -- বড় হত না -- এ জগত থেকে অকালেই বিদায় নিতে হত -- এ কথা কেউ মনে করে না ? -- ভাই বোনদের পরিচয় শুনে আশ্চর্য্য হচ্ছি । তবে জানবেন এদের সন্তানরাও তাদের বাবা মার আচরন এই দিদিমা বা ঠাকুমার প্রতি যা তাঁরা দেখছে বুঝছে সব ফিরিয়ে দেবে ওদের বাবা মাকে -- ওরা জেনেছে বড় হলে মা বাবাকে পরিত্যাগ করতে হয় ভুলে যেতে হয় । আমরাই আমাদের ভবিষ্যত গড়ি -- সন্তানদের মানসিকতা তৈরি করি -- মৃদুলাদেবীর জেনারেশনে যা খুব কম দেখা যেত -- পরে বা বর্তমান জেনারেশনে তা ক্রমশ বেশী দেখা যাচ্ছে ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: যারা মা-বাবাদেরকে অবহেলা করে তারা মনে করে তারা কোন মায়ের পেটে জন্মই নেইনি। তারা মনে করে তাদের কে উপর থেকে এমন বড় করেই নাযিল করা হয়েছে। এমন সন্তানদের ক্রস ফায়ারে দেয়া উচিত
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একি শিক্ষা নাকি কু-শিক্ষা!!!
ধিক এমন সন্তানদের!