নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নদী দিবসে করতোয়া নদী নিয়ে তথ্যসহ কিছু কথা

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১



গতকাল(২৬ সেপ্টেম্বর) ছিলো বিশ্ব নদী দিবস । আমি আশাকরি হয়তোবা অনেকের কাছে প্রশ্ন জাগতেই পারে সাব্বির একজন পরিবেশকর্মী এবং সমসাময়িক লেখক হিসেবে দিনটির কথা ভুলে গেলো কি-না কিংবা বিষয়টি নিয়ে দু’লাইন লিখলোওনা কেন!

হ্যাঁ দিনটির কথা আমার মনে ছিলো । এবং আমার সংগঠন TEER- শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন এটি নিয়ে বিগত কিছুদিন যাবৎ কাজও করছিলো নদী দিবস উপলক্ষে একটি প্রোগ্রাম আযোজন করার ব্যাপারে । যেহেতু তীর একটি কলেজকেন্দ্রিক সংগঠন সেহেতু করোনা প্যান্ডেমিকের কারণে আমাদের বেশীরভাগ সদস্যরা তাঁদের নিজ এলকায় অবস্থান করছে । তবুও আমার সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্ষুদ্র সংখ্যক সদস্যদের নিয়ে বগুড়ার সাতমাথায় একটি প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে বলে আমি আনন্দিত । অন্তত এটা বলতে পারবো যে #TEER সংগঠনটি করতোয়াকে বাঁচাতে প্রাণপণ লড়েছিলো‚ কথা বলেছিলো ।

এছাড়াও সকালবেলা ফেসবুকে ঢুকতেই মিজান ভাইয়ের নদী দিবসের শুভেচ্ছাবার্তাসূচক পোস্টও চোখে পড়লো । দিনশেষে সংগঠন কতৃক প্রোগ্রামের ছবিও দেখতে পেলাম ।

যাইহোক নদী নিয়ে মূল প্রসঙ্গে ফিরি‚ বগুড়ার নদীকেন্দ্রিক কোনো কথা উঠলেই যেই কথাটি আগে আসে কিংবা যেই নদীর কথা বললেই মনেহয় সেটা উমুক স্থান সেটিই আমাদের ‘করতোয়া’ । আমি বগুড়ার ছোল সেহেতু নদীকেন্দ্রিক কথাগুলো করাতোয়াকেন্দ্রিক-ই হবে ।

যেহেতু আমি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার কথা থেকে কিছু বিষয় আলোকপাত করবো সেহেতু প্রথমেই কথা আসে ‘দৈনিক করতোয়া’ পত্রিকার কথা‚ যাঁর বেইজটা তৈরি হয়েছিলো করতোয়া নদীকে কেন্দ্র করেই । কিন্তু দুঃখের বিষয় গুগল সার্চইঞ্জিনে দৈনিক করতোয়ায় প্রকাশিত নিউজ আমার চোখে পড়লোনা । এক্ষেত্রে দৈনিক করতোয়ার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে দায়ী করছি । কারণ ভুঁইফোড় অনেক পত্রিকার খবর এতটা র‍্যাঙ্কিংএ সেখানে করতোয়ার এই বেহাল দশা কেন!

আমি সাল হিসেবে পয়েন্ট আকারে বিগত কিছু দৈনিক সংবাদ নিয়ে সারমর্ম তুলে ধরার চেষ্টা করছি...

২০১৬: সালটা ২০১৬ বিবিসি বাংলাতে নিউজ হলো ‘মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে বগুড়ার করতোয়া’ এই শিরোনামে । উজান থেকে পানি প্রবাহ না থাকায় নদীটি মৃতপ্রায় । জনশ্রুতি অনুসারে নদীতে জাহাজ‚ লঞ্চ‚ বড় নৌকা চলতো এবং ঘাটের ফলে ব্যবসা-বানিজ্যের একটা দারুণ সময় ছিলো । সেইসাথে বিবিসি উল্লেখ করেছে নদীর অবৈধ দখল এবং দূষণে কি কারণে ঘটছে । সেখানে একজন নদী গবেষকের বিস্তর মতামতও দেয়া হয়েছে ।

২০১৭: দৈনিক কালেরকণ্ঠে ২০১৭ সালে ‘করতোয়ার পানি কুচকুচে কালো’ শিরোনামে প্রতিবেদন করেছিলেন লিমন বাসার ভাই । সেখানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিলো নদী দখল ও দূষণে কে বা কারা দায়ী ।

২০১৮: বিডিনিউজ২৪-তে নাভিদ ইবনে সাজিদ নির্জন ভাই ‘বগুড়ার প্রাণ করতোয়া এখন একটি মৃত নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন । তিনি অবশ্য ব্যতিক্রমধর্মী অনেকের জনশ্রুতির কথা লিখেছিলেন যে‚ বগুড়া বিএনপির শহর‚ এখানে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করবে না’ । বিষয়টি মজার হলেও লোকমুখের কথাটা বাস্তবেই দেখা যায় ।

২০১৯: দৈনিক প্রথম আলোতে ২০১৯ সালে তিনটি নিউজ হয়েছে । তন্মধ্যে দুটি করেছেন আনোয়ার পারভেজ ভাই এবং একটি করেছেন সোয়েল ভাই । ‘খরস্রোতা করতোয়া এখন মরা খাল’‚ ‘মরতে বসেছে করতোয়া নদী’‚ ‘করতোয়া থেকে সাত দিনের মধ্যে স্থাপনা সরাতে নোটিশ’ এই তিনটি শিরোনামে প্রথম ও তৃতীয় নিউজে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে নদী দখল ও দূষণে দায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে ব্যক্তির নাম । এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিদিনের আবদুর রহমান টুলু ভাই ‘দখলে দূষণে করতোয়া এখন নালা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে । নদী দখলের ৩০ জন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছিলো বগুড়া জেলা প্রশাসন । যেই তথ্যটি ছেপেছিলো প্রথম আলো এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন ।

২০২০: ২০২০ সালে দৈনিক সমকালে ‘করতোয়া যেন ভাগাড়’ শিরোনামে এবং বিডিনিউজে
‘ওয়ানটাইম’ প্লাস্টিক বর্জ্যে করতোয়া নদী এখন নর্দমা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ।

২০২১: দৈনিক যুগান্তরে আকিজ মাহমুদ ভাই ‘মৃতপ্রায় করতোয়াকে বাঁচাতেই হবে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন ।

এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল‚ আঞ্চলিক পত্রিকা‚ জাতীয় পত্রিকাতে বহু নিউজ হয়েছে করতোয়া নদীকে নিয়ে । তাঁর সবগুলোকে তুলে ধরা সম্ভব নয় । বগুড়াতে আরেকজন মানুষ করতোয়া নদী নিয়ে বহুবার নিউজ করেছেন তিনি হলেন ইনডিপেনডেন্ট টিভির হাসিবুর রহমান বিলু ভাই । তিনি ভিডিও নিউজ প্রচার করেছেন বলে সেটা তুলে ধরতে পারলামনা । যাইহোক‚ পত্রিকায় প্রকাশিত শিরোনামগুলো উল্লেখ করে লেখাটি লিখলাম কারণ সবাই জানে আসলে থলের বিড়ালটি কে বা কারা । কিন্তু এই যে ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত পত্রিকাতে এত লিড নিউজ হয়েছে কিন্তু তাঁর কোনো উন্নতির ফল কি আজকের করতোয়া নদীতে দেখা যায়? কিংবা আদৌ কখনও দেখা যাবে কি-না তা নিয়ে বিস্তর সংশয় রয়েছে । নদীকে গেলার জন্য যেহেতু স্বার্থন্বেষী নদীভুকরা নেমেই পড়েছে সেহেতু আমাদেরও হয়তোবা আর সামান্যকিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে নদীকে কফিনে পুরে শেষ পেরেকটা মারার সময় পর্যন্ত...

পরিশেষে জীবনানন্দের দাশের ‘স্ট্যান্ডে’ শিরোনামের কবিতা থেকে বলে যাই:

নদী এখানে ট্রামের লাইনের মতো যেন
কিম্বা টেলিগ্রাফের তারের মতো
টেলিফোনের তারের মতো
নদীকে এখানে কে কবে দেখেছে?

সাব্বির আহমেদ সাকিল
সহ-সভাপতি‚ Team for Energy and Environmental Research (TEER)
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক‚ প্রথম আলো বগুড়া বন্ধুসভা

১২ আশ্বিন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ‚ হেমন্তকাল | ১৯ সফর ১৪৪৩ হিজরী | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং | সোমবার | সকাল ০৪ টা ৫১ মিনিট | ময়মনসিংহ

#সাব্বিরসাকিল #নদী #নদীদিবস #করতোয়া

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মিজান রহমান মিজান বলেছেন: করতোয়া নদী নিয়ে দারুণ একটি উপস্থাপন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.