নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মতো মানুষের অভয়ারণ্যে সৃষ্টিও অতি গুরুত্বপূর্ণ

১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৫



অভয়ারণ্য! বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্যের সংখ্যা ২৪ টি । অভয়ারণ্য শব্দটি বাংলা 'অভয়' এবং 'অরণ্য' শব্দদ্বয়ের সন্ধিতে গঠিত হয়েছে ।বাংলায় 'অভয়' শব্দের অর্থ 'ভয়হীন' বা নির্ভয়; আর 'অরণ্য' অর্থ 'বন' বা 'জঙ্গল'।

অভয়ারণ্য হলো এমন বনাঞ্চল, যেখানে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের প্রজনন ও আবাস নিরাপদ রাখতে শিকারিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় । যে জঙ্গলে প্রাণীদের নির্ভয়ে বিচরণ নিশ্চিত করা হয় তাকে অভয়ারণ্য বলা হয় ।

সাধারণত বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ পরিবেশ, তাঁদের স্বাভাবিক কিংবা বর্ধিত প্রজনন পরিবেশ, বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক সংখ্যা এবং বৃক্ষরাজি কিংবা ঔষধি বৃক্ষরাজির নিরাপদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সরকার কিংবা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয় ।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে আমার প্রাণের, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন—‘তীর’ ২০১৮ সালে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করে । ফলশ্রুতিতে ক্যাম্পাসে পাখি শিকার বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে । কলেজ প্রশাসন, তীরকর্মীবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এবিষয়ে যথেষ্ট কনসার্ন ।

বন্যপ্রাণীদেরকে নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষগুলো অনেক সচেতন । বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ বাসস্থান, প্রজনন ক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্যও সবাই যথেষ্ট সজাগ দৃষ্টি রাখেন ।

অভয়ারণ্য শব্দটি ব্যাপারে বা অভয়ারণ্যের ব্যাপারে আমাদের আরও যুগপদ চিন্তা করা দরকার । যেন পৃথিবীতে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিকূলের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি হয় ।

বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে মানুষের অভয়ারণ্য তৈরি না হওয়ার বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি পরিসংখ্যান নিচে দিচ্ছি ।

আত্মহত্যা: বাংলাদেশে প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্নহত্যা করেন । প্রতিদিন গড়ে ৩৫ জন । ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার মানুষ ।

সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৭১টি । এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন । নিহতদের মধ্যে ৮০৩ জন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী । তাঁদের হিসাবে, প্রতিদিন সড়কে ১৭ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ।

গুম: মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, গত ১৫ বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর ৬১৪ জন নিখোঁজ বলে অভিযোগ পাওয়া যায় । জীবিত ও মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিদের বেশির ভাগের খোঁজ মিললেও অন্তত ২০০ জন এখনো নিখোঁজ ।

সুতরাং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরির পাশাপাশি বাংলার মানুষদের জন্যও অভয়ারণ্য তৈরি করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । এই কাজটি করতে হবে বাংলার মানুষদেরকেই । যেন মানুষ নির্ভিগ্নে চলতে পারে, মানুষের নিরাপদ সড়কব্যবস্থা থাকে, জীবনের নিরাপত্তা থাকে ।

নয়তো কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প বিপ্লব ঘটানো, মহাপ্রকল্প তৈরী করলেও প্রকৃত অর্থে মানুষের উন্নয়ন ঘটবেনা । এজন্য দরকার মানুষের অভয়ারণ্য তৈরি । এবং সেটির বিষয়ে জোরদার পদক্ষেপ নেয়া ।


সাব্বির আহমেদ সাকিল
৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | সোমবার | ১৩ জুন ২০২২ ইং



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ২৪ টা নয় ২৫ টা হবে । মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দালানটা বাদ গেছে ।

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩০

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: হাহাহা । অনেক হাসলাম আপনার কথা শুনে ।

২| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সত্যিই কোথাও নেই নিরাপদ অভয়ারণ্য। ভাল থাকুন সেই কামনা করি

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩১

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: আমি-আপনি-আমাদের সবাইকেই ভালো থাকতে হবে!

৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে এত এত মানুষ আত্মহত্যা করে!!!!!!!!

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩১

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: জ্বি ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রতি বছর গুম দিবসে কিছু নারী শিশুকে ছবি হাতে নিয়ে আসা হয়, চোখের পানি ফেলা হয়।
বিরোধী দলগুলোর দাবি অনুসারে গুমের ঢালাও অভিযোগগুলো দেখা যায় এরা সাধারন, কেউ রাজনীতিতে তেমন দৃশ্বমান ছিল না। অনেকেই গুম হয় নি। ফিরে এসেছিল। আর রিসেন্ট পরিসংখান (আসক) রিপোর্ট গুম ও ফিরে আসা হিসেব করে বলে গত ২ ২ বছর দু-তিন জন নিখোজ বাদে গুম নেই বললেই চলে।
মফস্বলের স্থানীয় পর্যায়ের এসব অখ্যাত সাধারন কিছু যুবক গুম করে সরকারের লাভ টা কি?
২০১২-১৫ দিকে আইএস যেহাদে যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিল ৩০০০ এর মত বাংলাদেশী যুবক, গোপনে।
জঙ্গি সংস্লিষ্টতা বিতর্ক এড়াতে এদের অনেককেই পরিবার থেকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে গুম করা হয়েছে বলে জিডি করে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে এরাও বেশিরভাগই গোপনে ফিরে আসে।
ওরা ফিরে আসছে কিনা জিডির ভিত্তিতে পুলিশ কিছু বাসায় এসে খোজখবর নেয়া পুলিশের দায়িত্ব।
অতচ এদের পরিবার মিডিয়াকে খবর দেয় "পুলিশ এখনো হয়রানি করছে"।
পরিবারেই সমস্যা।

১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন যে দেশে গুমের ঘটনা ঘটেনি-ঘটেনা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.