নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
‘মানুষ নাকি ফিরে আসেনা!’ এই কথাটাকে আমি বিশ্বাস করিনা । যদিও বিষয়টা রূপক অর্থের ক্ষেত্রে বললাম আরকি । পাহাড়ের সামনে চিৎকার দিলে যেমন প্রতিধ্বনি হয়ে যেমনটা ফিরে আসে তেমনি মানুষও ফিরে আসে ।
আমি একটা কথা অধিকাংশ সময় ভাবি যে ৩০০০ সাল পর্যন্ত এই পৃথিবীতে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষ, আমি যাঁদের সাথে বেড়ে উঠেছি, যাঁদের সাথে পড়েছি, আড্ডা দিয়েছি, খেলেছি, কাজ করেছি; কেউ-ই টিকতে পারবেনা ।(কিছু সংখ্যক ব্যতিক্রম হবে, যা ধর্তব্য নয়!)
যে কথা বলতেছিলাম মানুষ ফিরে আসে । আমরা যদি আদিম মানুষদের দিকে তাকাই তখনও হক এবং বাতিলের পক্ষের লোক ছিলেন । এটা ধ্রুব সত্য যে বাতিলের পক্ষের এবং তাঁদের অনুসারীদের সংখ্যা বেশী থাকে । তাঁদের শক্তি, মেধা, সাহসও বেশী থাকে ।
কিন্তু তবুও কি বাতিলরা কখনও সম্পূর্ণভাবে জিততে পেরেছে, পারেনি । জিতে গেছে হক, জিতে গেছে সত্য; পরাজয় ঘটেছে মিথ্যার ।
নবী-রাসুলগণের ইতিহাসচর্চা করলেও আমরা জানতে পারি কত নগণ্য সংখ্যক সৈন্য নিয়ে হাজার সৈন্যকে পরাজিত করেছিলেন । আবু জাহেল, ফিরাউন, নমরূদরা কি শেষমেশ জয়ী হতে পেরেছিলো? পারেনি । ইতিহাসে তাঁদের কলঙ্কজনকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মানুষের কাছে নিন্দিত এবং ঘৃণিত হবেন ।
কিংবা হিন্দু ধর্মের রাবণ, অসুররা কি কখনও পৃথিবীতে যুদ্ধ করে জিততে পেরেছে । তাঁদের কি মানুষ শ্রদ্ধা, সম্মান করে; করেনা । তাঁদের অশুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে পুরোপুরিভাবে ।
আবার আমাদের বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলার কথাই ধরি, তাঁর জনবল কম ছিল । তিনি পদে পদে অপমান, লাঞ্চনা এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন । তাঁর মৃত্যুর পর কি মীর জাফর, ঊমিচাঁদ, রাজবল্লভ, ঘষেটি বেগমরা ইতিহাসে সুখ্যাতি পেয়েছেন? পাননি ।
কিন্তু এই যে পৃথিবীর বয়স যুগ পেরিয়ে শতাব্দী আসে । নবী-রাসূলগণ মারা গেছেন, নবার সিরাজুদ্দৌলা মারা গেছেন কিন্তু তাঁদের সেই ন্যায় এবং সত্য পৃথিবীতে এখনও টিকে আছে । মানুষ এখনও কথা বলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে । অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন, কেউ জেলে যান, কেউ গুম হন, কেউ খুন হন । তবুও সত্যকে কি চাপিয়ে রাখা যায়!
যুগের পর যুগ ধরে মানুষের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকা, কথা বলার কারণেই পৃথিবী আজও টিকে আছে । কোথাও আইনের শাসন, রাষ্ট্রব্যবস্থা ঠিক না থাকলেও মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান মিডিয়ার কাছে । মুহূর্তেই সেসব ছড়িয়ে পড়ে লক্ষ-কোটি মানুষের কাছে । এক অঞ্চলের মানুষ থেকে ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ, এক দেশের মানুষ থেকে অন্য দেশের মানুষ তখন জেনে যায় সেখানে আইনের, বিচারব্যবস্থার অভাববোধের কথা; উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।
এভাবেই পৃথিবীর ঐকিক নিয়মে কিছু মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে যাবেন, লড়াই-সংগ্রাম করে যাবেন । যাঁরা আমরা নপুংসক ক্লীব তাঁরা শুধু নীরব দর্শক হয়ে দেখেই যাবো । কোনো কথা বলবোনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বোনা!
আর এইসব না লড়ালড়ির মধ্যে দিয়েই মৃত্যু ঘটে যাবে আমাদের । সৃষ্টিকর্তা নাহয় হাশরের ময়দানে বিচার-সালিশ করবেন কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম যাঁরা পৃথিবীতে ৩০০০ সালের পর টিকে থাকবে তাঁরা আমাদের কিভাবে চিনবে-জানবে । আমাদের মধ্যেই কেউ হবে নবাব সিরাজুদ্দৌলা আবার কেউ হবে মীর জাফর ।
এভাবেই সরলরেখার মতো করে আমাদেকে জানবে পরবর্তী সময়ের মানুষগুলো । চে গেভারা’রা পৃথিবীতে বারবার ফিরে আসে । মুশতাক আহমেদ(কুমির ভাই)’রা পৃথিবীতে বারবার ফিরে আসে । হয়তোবা অন্য কারোর মধ্যে দিয়ে...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৩ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | ১৭ জুন ২০২২ ইং
১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২৭
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: কোন বিষয়টি বোঝেননি বলুন!
২| ১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বুঝলাম
১৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২৮
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সবসময় ।
৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
একটু বেকুবী প্রলাপ
৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শুরু তো সুন্দরই করলেন, শেষ পর্যন্ত পড়ে আগামাথা কিছুই মিলাতে পারলাম না।