নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিরো আলম কিংবা আমাদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৪৫



হিরো আলম আর কখনও রবীন্দ্র সংগীত কিংবা নজরুলগীতি গাইতে পারবেননা বলে মুচলেকা নেয়া হয়েছে । মুচলেকা আবার আদালতেও নেয়া হয়নি! আমি এই সিদ্ধান্তকে মানতে পারলামনা । সাংবিধানিকভাবে একজন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলার, গান করার অধিকার রাখে ।

তাঁর মানে এই দাঁড়ালো যে দেশে খ্যাতনামা শিল্পী ছাড়া আর কেউ গান গাইতে পারবেননা । কারণ অন্যদের গানের গলা বেসুরা ।

হিরো আলম একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক । তাঁর গান করার অধিকার আছে । তাঁর গান আপনার অপছন্দ হতে পারে এটাই স্বাভাবিক, আপনার আপনার রূচি ভিন্ন । সে যেরকম মানুষ সেরকম কাজ-ই করবে সেটাই স্বাভাবিক । হিরো আলম তো জোর করে কাউকে গান শোনাননা বা তাঁর গান শোনানোর জন্য কাউকে ফোর্স করেননা ।

হিরো আলমকে টার্গেট করা হলে, তাহলে তো মাহফুজুর রহমানও গান করতে পারবেনা বলে মুচলেকা নেয়া উচিত । কারণ মাহফুজুর রহমানের গানও অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেনা, তাঁরও বেসুরা গলা ।

গানের এই সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকার তো সংবিধানে নেই । তবে কিসের ভিত্তিতে তাঁর থেকে মুচলেকা নেয়া হলো! এখানে কাদের স্বার্থ দেখা হলো! নাকি হিরো আলম গরীব বলেই এই কাজ করাতে কি বাধ্য করা হলো!

আমি নিজেও আগ্রহভরে কখনও হিরো আলমের গান, নাটক, শর্টফিল্ম দেখিনা । কারণ সে একশ্রেণীর মানুষদের কাছে সমাদৃত, আমি সেই শ্রেণীর বাহিরে । কিন্তু সে গান করতে পারবেনা সেটা বলা তো অন্যায় । পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ-ই সুরেলা হোক, বেসুরা হোক গান গায় ।

হিরো আলমকে স্যালুট জানান এই কারণে যে সে, ‘আমায় বেবীওয়ালা খাইছেরে সামনে বসাইয়া’, ‘তুমি দিওনাগো বাসর ঘরের বাত্তি নিভায়া’, মেইন সুইচটা টিপ্পা দে’ সহ আরও অনেক অশ্লীল গান করেননি, প্রচার করেননি । কিংবা ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর মতো অসভ্যতামি, অশ্লীলতা করেননি ।

অথচ আমরা দেখেছি দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে হিরো আলম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন । বন্যার সময় এক হাঁটু পানির মধ্যে দিয়ে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন । এই হিরো আলমকে তো ফেলে দিতে পারেননা!

হিরো আলমের প্রতি স্রেফ জুলুম করা হলো ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল
১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল | ২৮ জুলাই ২০২২ ইং | শ্যামগঞ্জ, ময়মনসিংহ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫১

কামাল৮০ বলেছেন: আদালতে নেয়া হয় এরেষ্ট করলে।তাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে।মোচ লেখার জন্য কোর্টে নেয়া দরকার নাই।
কোন শিল্পীর কোন গানের কপিরাইট থাকলে সেই গান অন্য শুরে গাওয়া সমস্যা আছে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সুধু গান গাওয়া না আরো অনেক অভিযোগ আছে।যাক অল্পের উপর দিয়া গেছে।
অনেকেই তো উচ্চস্বরে পাঁচ বেলা শব্দদূষণ করে।তাদের তো কেউ কিছু বলে না।যত দোষ হিরো আলমের।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৫৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: আসলে ধর্মানুনুভূতি মতই রবীন্দ্রানুভূতি নজরুলাভূতিও কাজ করে, কপি রাইট লঙ্ঘন না করে থাকলে শিল্পীদের স্বাধীনতা খর্ব করার মানে কি? ভালো না লাগলে দেইখেন না। হিরো আলমের ভিডিও দেখে মজা নেবেন, পর্ন দেখবেন মজা নেবেন আবার দিন শেষে তাদেরই গালিগালাজ করবেন? বাহ বাঙ্গালী বাহ!

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৪৩

নজসু বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। হিরো আলমের বিনোদনে বিনোদিত হওয়ার অনেক দর্শক আছে। আমার ভালো লাগেনা আমি দেখিনা। তাই বলে অন্যকে শুনতে দেখতে বাঁধা দেবো কেন? আমরা যারা বাথরুম সিংগার আছি তারা বাথরুম ছাড়াও কারণে অকারণে দুই এক লাইন বেসুরো গলায় গেয়ে উঠি। কবে না জানি আমাদেরকেও মুচলেকা দিতে হয়।

মাহফুজুর রহমানের গান বিরক্তিকর। সেটা তো জানা কথা। কিছু খ্যাতনামা শিল্পী আছেন তারা রবীন্দ্র নজরুলের গান আধুনিকায়ন করতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা করে ফেলেছেন তাদের বিরুদ্ধে তো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে রবি নজরুলের গানের লাইন দিয়ে বিভিন্ন মিম/প্যারোডি তৈরি করা হয়েছে তাদের বেলাও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

আসলে যতো দোষ গরীব বেচারাদের।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



হিরো আলম তো ভাঁড়গিরি করে থাকে; নবীজি সম্পর্কিত কোন গজল নিয়ে ভাঁড়ামী করলে কি অবস্হা হবে?

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিরো আলমের উপর জুলুম করা হয়েছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: হ্যাঁ ।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১০

নিমো বলেছেন: ভাইজান, হিরো আলম তার স্বভাবসুলভ ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করার পর আস্ত থাকবে ? অন্তত আস্ত থাকটাতো সাংবিধানিক অধিকার কী বলেন ?

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: হিরো আলম এক শ্রেণির মানুষের কাছে আসলেই হিরো। সেই শ্রেণির কাছে রবীন্দ্রনাথের কথাগুলো তো সে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে অন্ততঃ। স্থুলচিন্তার ধারকরা চরমপন্থায় রবীন্দ্র ভক্তির ভাব দেখালেও (যারা তার বিরুদ্ধে মুচলেকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে), রবীন্দ্রনাথের দর্শণের ছিটেফোঁটা অন্তরে ধারন করতে পেরেছে কি?

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৫

লিংকন১১৫ বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:
হিরো আলম তো ভাঁড়গিরি করে থাকে; নবীজি সম্পর্কিত কোন গজল নিয়ে ভাঁড়ামী করলে কি অবস্হা হবে?

আপনার ঐ একি যায়গায় সীমাবদ্ধতা B-)

আর যাইহোক কুমির খাঁজ কাটা খাঁজ কাটা থাকতেই হপে B-))

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২১

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: হিরো আলম, মাহফুজুর রহমান, অদক্ষ টিকটকারদের থামানো উচিৎ।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হিরো আলম ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক ফাজলামো করসে। সাধনা না করে ও গান গায় কেমনে? সংগীত এর স ও তো বুঝেনা।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমার কাছে যত দূর মনে হয়েছে, হিরো আলমের উচ্চারণগত সমস্যা আছে। তিনি ভালো ভাবে কথা বলতে পারেন না।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৯

তানভির জুমার বলেছেন: যে সব চুচিল, প্রগতিবাদীরা ব্যাক্তি স্বাধীনতার কথা বলে, তারা কি পরিমাান ভন্ড হিরো আলমের ঘটনা তার বড় প্রমাণ।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৩

কামাল৮০ বলেছেন: আপনি সন্ধ্যা ৬:১৪ মিনিটে ব্লগে ডুকে একটা মাত্র মন্তব্যের উত্তর দিয়ে চলে গেছেন।কারন জানতে পারি কি?

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১২

বিটপি বলেছেন: হিরো আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে রবীন্দ্র সঙ্গীত বিকৃতভাবে গাওয়ার। আমি গানটা শুনে দেখেছি। এঈ অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। সে কথা বা সূরে কোথাও কোন বিকৃতি করেনি। কেবল বেসুরো গলায় গান গাওয়ায় রবীন্দ্রপ্রেমীরা একে উৎপাত মনে করছে।

হিরো আলম আসলেই একটা উৎপাত। সে তার নেগেটিভ পপুলারিটিকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছায় বা অনিছায় হোক - বাংলাদেশের স্টার আইডল হয়েছে, যেটা দেশের ইমেজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই উৎপাতকে অবিলম্বে থামানো দরকার।

মাহফুজুর রহমান নিয়ে অনেক কথা হয়। সে কিন্তু রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়নি। তাই কারো চেতনায় লাগেনি।

এবার আসি কোরআন তেলাওয়াত নিয়ে। বাংলাদেশে খুব কম মানুষই আছে, যারা শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারে। কিন্তু যারা পারেনা, তারা কি তেলাওয়াত বন্ধ রাখবে? মোটেই না। কুরআনের আলো জনে জনে ছড়িয়ে দিতে চাইলে সবার মধ্যে তেলাওয়াতের প্র্যাকটিস থাকতে হবে। তাই আন্তরিক ভাবে কেউ তিলাওয়াত করলে তাতে ভুল ত্রুটি থাকলেও তা মার্জনীয়। কিন্তু কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে বিকৃত তেলাওয়াত করে, তবে তা অবশ্যই অমার্জনীয় অপরাধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.