নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
তখন ঘোর শীতকাল । সকালের কুয়াশায় একটু দূরের মানুষকেও চেনা যায়না । আবার সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশা নামে । এরকমই এক সন্ধ্যায় এক ছোটভাই হাঁটছে জহুরুল নগরের রাস্তার অভিমুখে । হঠাৎ গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে দু’জন ছেলে পথ আগলে দাঁড়ালো ।
ধামকি দিয়ে বললো, ‘পকেটে যা আছে বের কর’ । ছেলেটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো । কাচুমাচু করতে লাগলো । অনার্স প্রথম বর্ষের ছেলে সে, স্বভাবতই ভয় পাওয়ার কথা, বাড়িও অন্য জেলাতে । আবছা অন্ধকারের মধ্যে মোবাইল আর মানিব্যাগটা ওঁদের হাতে দিয়ে মেসের দিকে চলে গেলো ।
মেসের এক ছেলের থেকে ফোন নিয়ে কয়েকজনকে ফোন করে বললো তাঁর ফোন আর মানিব্যাগ ছিনতাই হয়ে গেছে । মানিব্যাগে হাজারের কিছু বেশি টাকা ছিলো ।
ও যখন ফোন আর মানিব্যাগ দিয়ে দিয়েছিলো তখন ওঁদের একজন ফোনের ফ্লাশলাইট ব্যবহার করে মানিব্যাগ চেক করছিলো । আর সেই ফাঁকে এক ঝলকে মুখ দেখে ফেলে একজনের ।
এভাবে কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ সেই ছিনতাইকারীর সাথে দেখা মেলে কলেজ ক্যাম্পাসে । আত্নভীতি থাকলেও কয়েকজনকে বলেও ফেলে যে যেই ছেলেটা ফোন আর মানিব্যাগ কেড়ে নিয়েছে সে অত্র ক্যাম্পাসেরই ছাত্র ।
কয়েকদিন বাদে জানা গেলো সেই ছেলেটাও বাহিরের জেলার । ক্যাম্পাসে এসে একটা প্যানেলের রাজনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা আছে । একটু খামখেয়ালি মেজাজের সেই ছেলেটা ।
এভাবেই দিন কেটে যেতে থাকে । কখনও সাহস করে সে বা অন্যকেউ বলতে পারেনি যে ছিনতাই করা ফোনটা যদি ফেরত দিতেন । কারণ একটাই জীবনের ভয়, নিরাপত্তার ভয় ।
এভাবেই ক্যাম্পাস জীবনে নানা ঘটনা আমাদের সামনে আসে । কিছু ছেলেগুলো এভাবেই ফিটিং দিয়ে মেস খরচ, নেশাপানির খরচ মেটায় । একটা শিক্ষাবর্ষ চলে গেলে আরেক শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আসে । নতুনদের মধ্যে থেকে আবারও কেউ হয়ে ওঠে এরকম ফিটিংবাজ ।
সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৫ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল | সোমবার | ১০ অক্টোবর ২০২২ ইং | বগুড়া
#ফিটিংবাজ #স্মৃতি #ক্যাম্পাস #ডায়েরী
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪৩
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: করে । ওঁদের কাছে চাকু থাকে । সরকারি আজিজুল হক কলেজে এরকম ঘটনা কয়েকটা ঘটেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ছিচকা ছিনতাইকারিরা বড় অপরাধ করতে পারে না।