নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বগুড়ার আঞ্চলিক সংস্কৃতি কতটা ধরতে পারছে বগুড়ার মানুষজন!

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪২



ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সেদিন প্রখর রোদ । আমি হেঁটে যাচ্ছি বাজারের দিকে । অধিকাংশ কম্পিউটারের দোকানগুলোতে তাঁদের অঞ্চলের লোকগীতি বাজছে । খানিকটা অদ্ভুত লাগতো এই ভেবে যে বগুড়ার সপ্তপদী মার্কেটে সবসময় নতুন রিলিজ হওয়া বাংলা, হিন্দি, ইংলিশ গান চলে ।

ঈশ্বরগঞ্জে সেই ফিলটা কাজ করতো যে আমি আসলে ময়মনসিংহের মধ্যেই আছি । বছরের পর বছর ধরে এঁরা নিজস্ব লৌকিক গানগুলোকে ধারণ করছে, মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে । নিজেদের আত্নার খোরাক নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যেই খুঁজে পাচ্ছে ।

ভাষা তো অবশ্যই যে যাঁর অঞ্চল অনুযায়ী বলেই থাকে এটি স্বাভাবিক । কিন্তু গান, শিল্পকে কতটা প্রাধান্য পায় সেই অঞ্চলের মানুষদের কাছে সেটি বড় ভাববার বিষয় । ঈশ্বরগঞ্জের জালালগীতি দেশব্যাপী সমাদৃত, জালালের ‘কূল নাই দরিয়ার পাড়ে' গানটি সর্বত্র চলে । মানুষ সেটা গ্রহণ করে নিয়েছে নিবিড়ভাবে ।

কত মানুষের সাথে সেখানে পরিচিতি গড়ে উঠেছিল, ব্যবসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । যদিও ভাষাগত ভিন্নতার কারণে নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছিলো তখন । খুব বেশী ভাষা বুঝতে পারতামনা । আবার কখনও এমন হতো যে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বাস করা আরেক সহকর্মীর থেকে আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো ট্রান্সলেট করে নিতে হতো ।

চাকরি বা ব্যবসায়িক সম্পর্কে এটি অবশ্য বেশ চ্যালেঞ্জিং যে অন্য একটি অঞ্চলের ভাষাকে ধারণ করা, তাঁদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, বিশ্বস্ত করে তুলে ব্যবসায়িক আলাপন করা ।

বগুড়াতে ইয়্যুথ কয়ারের প্রতিষ্ঠাতা তৌফিকুল আলম টিপু ভাইয়ের গানগুলো মাসের মধ্যে কতবার বাজানো হয় বা মানুষজন শোনে এরকম দৃশ্য খুব কম-ই শোনা যায়, দেখা যায় বা একেবারেই যায়না বললেও বোধহয় ভুল হবেনা ।

আমরা নিজ অঞ্চলের গান, সংস্কৃতিগুলোর ডেভেলপ বোধহয় করতে পারিনি । এই ব্যর্থতার দায়ভার তো শুধু সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ময়না ভাইয়ের একার নয় । এই দায়ভার তো আমাদেরই । আমরা সেটাকে আঁকড়ে ধরতে পারিনি বা পারছিনা ।

আঞ্চলিক আবহ তো শুধু বলার ভাষাতে সীমাবদ্ধ হয়ে গেলে সেই আঞ্চলিকতা শুধু মুখে-মুখেই থেকে যাবে । বাহিরের মানুষদের দেখানোর মতো তো তেমন কিছু হবেনা বা হয়না ।

আমাদের বগুড়াকে আমরা সম্বৃদ্ধ যে কোন কোন ভাবে করেছি বা করছি জানিনা । মম-ইনের মতো পাঁচ তারকা হোটেল, নাজ গার্ডেনের মতো চার তারকা হোটেল-ই কি শুধু আমাদের বগুড়ার আবহকে তুলে ধরতে পারে? পারেনা । বগুড়ার সংস্কৃতির সাথেই বগুড়াকে তুলে ধরা উচিত । বগুড়ার গানগুলো, খাবারগুলো, নাটকগুলো, লোকশিল্পগুলোর সাথে মানুষের প্রণয় সৃষ্টি করা গেলে তবেই বগুড়াকে সম্বৃদ্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করি ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৫ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | শুক্রবার | ২১ অক্টোবর ২০২২ ইং | শের-ই বাংলা নগর, বগুড়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:২৮

কামাল৮০ বলেছেন: বগুড়ার লোকজন ময়মনসিং এর লোকজনের থেকে একটু বেশিই আধুনিক।৭০ এর দশকে আমার কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল বগুড়ার ।এবং আমি কয়েকবার গেছি বগুড়াত।একবার দুই মাস ছিলাম।জলেশ্বরি তলায়।স্বাধীনতার পরপর একটা ব্যান্ড সংগীতের দল ছিল যেটা অনেক আলোড়ন তুলে ছিল।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি পর্যন্ত ঝুকিতে আছে। আঞ্চলিক সংস্কৃতি নিশ্চয়ই আরও বেশী ঝুকিতে আছে।

ইয়ুথ কয়ারের গানগুলি খুব ভালো লাগতো। উনি এখন কি করেন জানেন নাকি?

ভাওয়াইয়া গান কি বগুড়ার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.