নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
চাঁদের আলো যেন কোনো ষোড়শীর সদ্য যৌবনদীপ্ত নক্ষত্রবিথীর ফুল । কার্তিকের আজ পূর্ণ জোছনা ধরা দিয়েছে মহাকালের বুকে । একজন মানুষ যদি ৭২ টা বসন্ত বেঁচে থাকতে পারে তাহলে সে তাঁর সারাজীবনে ৮৬৪ বার পূর্ণিমা দেখার সুযোগ পায় । আমি পৃথিবীতে আমার সেই গড় আয়ু পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে আর মাত্র ৫৬৬ বার জোছনা দেখার সুযোগ পাবো ।
একটি আম্রবৃক্ষের তলায় বাঁশের মাচাংয়ে মহাকালের ২৯৮ তম পূর্ণিমা দেখছি । চারপাশের আলোকিত পরিবেশ এক অন্যরকম অনুভূতির আলোড়ন হচ্ছে । বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে দাপিয়ে চলা যানবাহনের শব্দ কানে এসে লাগছে ।
রবী ঠাকুরের, ‘জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে’ সেই কথাটি বারবার হৃদয়ে তাড়না দিয়ে যায় । এখানে কোনো বন নেই, পাহাড় নেই, তবুও মুগ্ধ হচ্ছি; কারণ এই মাটিতেই আমি জন্মেছি-যেথা আমার তীর্থস্থান ।
পৃথিবীর বাঁকে বাঁকে কত জোছনা বিলাস করেছি । সেই সময়, সেই দৃশ্যগুলো আমি অকপটে বলে দিতে পারি । চোখ বন্ধ করলেই স্মৃতিচারণ করতে পারি । এভাবেই পৃথিবীর কোনো এক পাড়ে বসে কেউ হয়তোবা একই জোছনা দেখছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর হৃদয় কুঠিরে ধূমকেতুর মতো একটা রেশ রয়ে যায় কি? যেমনটা এই মুহূর্তে আমার হৃদয়ে প্রাচীন কোনো বেহালাবাদকের সুখের সুর!
শীতকাল না আসলেও হেমন্তের বাতাসে শিরশিরানি একটা আবহ নেমেছে । অনেকেই এই হেমন্তে চাদর, কেউবা জ্যাকেট পরে কেউবা আবার শুধু টি-শার্ট, শার্ট পরে ।
ঋতু পরিবর্তনের এই ধারাবাহিকতায় আমরা বেশ আলাদা একটা আবেশ পাচ্ছি । সকালের শিশিরে ভিজে থাকে ঝরে পড়া শিউলি । গাছের পাতাগুলো কুয়াশায় ছেয়ে যায় । সবুজ ঘাসের উপর ঠাঁই নেয় শিশির ।
রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে জোছনার আলোর তীব্রতা যেমন বেড়ে যাবে তাঁর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে কুয়াশাদের আনাগোনা । ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ খেয়াল হয়, যদি প্রাচীন কোনো নিস্তব্ধতা যেন এক অবাধ্য প্রেয়সী । যে তাঁর মস্তিকের প্রতিটি নিউরনে আমার আধিপত্য, যা আমার চিরকালের আরাধ্য । তারপর আস্তে আস্তে ভোরের আলো পৃথিবীর শিশির স্পর্শ করার মুহূর্তে মিইয়ে যাবে আলোকিত জোছনা । সকাল হওয়ার পরপরই সূর্যের ছোঁয়ায় সেই শিশিরের রিক্ত বিদায় ঘটবে ।
সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৩ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | মঙ্গলবার | ০৮ নভেম্বর ২০২২ ইং | আপন নীড়, বগুড়া
চাঁদের আলো যেন কোনো ষোড়শীর সদ্য যৌবনদীপ্ত নক্ষত্রবিথীর ফুল । কার্তিকের আজ পূর্ণ জোছনা ধরা দিয়েছে মহাকালের বুকে । একজন মানুষ যদি ৭২ টা বসন্ত বেঁচে থাকতে পারে তাহলে সে তাঁর সারাজীবনে ৮৬৪ বার পূর্ণিমা দেখার সুযোগ পায় । আমি পৃথিবীতে আমার সেই গড় আয়ু পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে আর মাত্র ৫৬৬ বার জোছনা দেখার সুযোগ পাবো ।
একটি আম্রবৃক্ষের তলায় বাঁশের মাচাংয়ে মহাকালের ২৯৮ তম পূর্ণিমা দেখছি । চারপাশের আলোকিত পরিবেশ এক অন্যরকম অনুভূতির আলোড়ন হচ্ছে । বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে দাপিয়ে চলা যানবাহনের শব্দ কানে এসে লাগছে ।
রবী ঠাকুরের, ‘জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে’ সেই কথাটি বারবার হৃদয়ে তাড়না দিয়ে যায় । এখানে কোনো বন নেই, পাহাড় নেই, তবুও মুগ্ধ হচ্ছি; কারণ এই মাটিতেই আমি জন্মেছি-যেথা আমার তীর্থস্থান ।
পৃথিবীর বাঁকে বাঁকে কত জোছনা বিলাস করেছি । সেই সময়, সেই দৃশ্যগুলো আমি অকপটে বলে দিতে পারি । চোখ বন্ধ করলেই স্মৃতিচারণ করতে পারি । এভাবেই পৃথিবীর কোনো এক পাড়ে বসে কেউ হয়তোবা একই জোছনা দেখছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর হৃদয় কুঠিরে ধূমকেতুর মতো একটা রেশ রয়ে যায় কি? যেমনটা এই মুহূর্তে আমার হৃদয়ে প্রাচীন কোনো বেহালাবাদকের সুখের সুর!
শীতকাল না আসলেও হেমন্তের বাতাসে শিরশিরানি একটা আবহ নেমেছে । অনেকেই এই হেমন্তে চাদর, কেউবা জ্যাকেট পরে কেউবা আবার শুধু টি-শার্ট, শার্ট পরে ।
ঋতু পরিবর্তনের এই ধারাবাহিকতায় আমরা বেশ আলাদা একটা আবেশ পাচ্ছি । সকালের শিশিরে ভিজে থাকে ঝরে পড়া শিউলি । গাছের পাতাগুলো কুয়াশায় ছেয়ে যায় । সবুজ ঘাসের উপর ঠাঁই নেয় শিশির ।
রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে জোছনার আলোর তীব্রতা যেমন বেড়ে যাবে তাঁর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে কুয়াশাদের আনাগোনা । ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ খেয়াল হয়, যদি প্রাচীন কোনো নিস্তব্ধতা যেন এক অবাধ্য প্রেয়সী । যে তাঁর মস্তিকের প্রতিটি নিউরনে আমার আধিপত্য, যা আমার চিরকালের আরাধ্য । তারপর আস্তে আস্তে ভোরের আলো পৃথিবীর শিশির স্পর্শ করার মুহূর্তে মিইয়ে যাবে আলোকিত জোছনা । সকাল হওয়ার পরপরই সূর্যের ছোঁয়ায় সেই শিশিরের রিক্ত বিদায় ঘটবে ।
সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৩ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | মঙ্গলবার | ০৮ নভেম্বর ২০২২ ইং | আপন নীড়, বগুড়া
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখাটি ২ বার করে এসেছে।