নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
সবার স্বপ্ন বাড়ি যায়? আদৌ যায়? যায় না বস । প্রবাসীদের কথা নাহয় বাদ-ই দিলাম, কারণ তাঁরা চাইলেই বাড়ি ফিরতে পারেন না এবং সেই মানসিকতা নিয়েই তাঁরা প্রবাসে পাড়ি জমান । দেশেই নিজ জেলা থেকে ভিন্ন জেলায় অবস্থানরত অনেকেই ঈদে বাড়ি ফেরেন না । এসকল মানুষগুলো বছরে দু'টো ঈদের ৩-৪ দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ পান । তবুও তাঁরা বাড়ি ফেরেন না!
কেন বাড়ি ফেরেন না, সেই উত্তর খুঁজতে হলে দেশের প্রচলিত চাকরির বাজারের বেতন কাঠামো, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লিভিং কস্ট, সন্তানের পড়াশোনার খরচ এসবের দিকে নজর দিতে হবে । সেটি খুঁজে বের করতে পারলেই স্বপ্ন যে সবার বাড়ি যায় না সেটির উত্তর সহজেই পাওয়া যাবে ।
আমাদের দৈনন্দিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে সেসব সংবাদ-ই বেশী গুরুত্ব পায় যেসবে আলোচনা-সমালোচনা বেশী হয় । অধিক মানুষের আবেগ, উৎকণ্ঠার মূল্য যেখানে বেশী । শুধু সংবাদমাধ্যম বৈ, বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোও সেসবের দিকে নজর দেয় ।
আপনি না চাইলেও এমন সব সংবাদ, বিজ্ঞাপন আপনাকে জোর করে গেলানো হবে যা অধিক মানুষের কাছে পৌঁছুবে ।
সারাটা বছর কাজ করার পরও একটা শ্রেণী আনন্দ উদযাপনকে বাস্তবতার কাছে বিকিয়ে দেয় । জীবন সংগ্রামের এই হুলস্থুল কাণ্ডে নিজেকে সামলে নেয় । জীবিকার যাতনা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় বলেইতো । বাৎসরিক এই আয়োজনে যুক্ত না হয়ে ভাবে নিজ বাড়িতে যাওয়ার যে খরচ সেটি দিয়ে হয়তো দশ দিন সেখানে চলা যাবে । সন্তানের টিউশন ফি টা দেয়া যাবে।
মানুষের জীবনে এসকল বাস্তব উদাহরণগুলো বহু আছে । জীবনের তাগিদে মানুষ নিশ্চুপ, নির্বিকারভাবে জীবন চালিয়ে নেয় । ক’দিন ধরেইতো একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ছড়িয়ে পড়েছে যে পুরুষরা ঈদের শপিং করেন না বা তাঁদের কোনো বাজেট থাকে না ।
শুধু কি ঈদ বাজেটেই সীমাবদ্ধ পুরুষের জীবন । টানাপোড়েনের জীবনে পরিবারের এতগুলো মানুষের জন্য কেনাকাটায় যে দুই মাসের বেতন চলে যায় । কখনও তো অন্যের দ্বারস্থও হতে হয়, যেন পরিবারের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটে । এই হাসিতেই পুরুষ তৃপ্ত হন ।
নারীর ভূমিকাটাও লক্ষণীয়, যাঁরা স্বামীর সাথে থাকেন সেসব নারীওতো তাঁর নিজ বাবা-মায়ের মুখটা দেখতে পান না । সন্তান, সংসারের কথা চিন্তা করেন । ভাবেন এইবার ঈদে বাড়ি না গেলে কি এমন হবে, বাড়তি খরচটা না হলে বাকি মাসটা একটু হয়তো স্বাচ্ছন্দ্যে চলা যাবে ।
এ জীবন-সংসারের দায় বোঝা বড্ড মুশকিল । মানুষ কিভাবে সংগ্রাম করে টিকে থাকে তা সেই সংগ্রামী মানুষগুলোই একমাত্র জানেন । কিন্তু আমরা তাঁদের বেদনা জায়গাটা কখনও আঁচ করতে পারি না । পারবো কি করে আমাদের হয়তো ওই অবস্থায় আল্লাহ কখনও নিয়েই যাননি ।
প্রতি ঈদে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষগুলো যাঁরা অর্থাভাবে বাড়ি যেতে পারেন না তাঁদের জন্য লেখাটি উৎসর্গ করা হলো ।
সাব্বির আহমেদ সাকিল
২৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল | ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং | ফেনী সদর
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৯
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: হ্যাঁ । ধন্যবাদ ।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাব্বির আহমেদ সাকিল,
ঠিকই বলেছেন - ঈদে সবার স্বপ্ন বাড়ি যায় না!
এ জীবন-সংসারের দায় বোঝা বড্ড মুশকিল । মানুষ যে কিভাবে সংগ্রাম করে টিকে থাকে তা সেই সংগ্রামী মানুষগুলোই একমাত্র জানেন ।
সেখানে স্বপ্নের কোন জায়গা নেই!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৪
সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকেই দেশে থেকেও প্রবাসীদের মত দীর্ঘ সময় পর বাবা মাকে দেখতে যায়...