নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।
প্রতি পূর্ণিমায় আমার বয়স বেড়ে যায় । আমি ভাবতে থাকি আমার এই রক্ত-মাংসের কাঠামো খুব শিগগিরই পোকামাকড়ের খাবার উপযোগী হতে চলেছে । মৃত্যু পরবর্তী জীবন কেমন হবে, কি পাবো, কি পাবোনা সেটি ঘিরে সুবিশাল চিন্তার জন্ম হয় ।
মৃত্যুর আগমুহূর্তে মানুষের কিরকম অনুভূতি জাগ্রত হয়, হরমোনগুলো কি ধরণের প্রভাব ফেলে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে নাকি কমে, কোষগুলো কিভাবে স্থবির হয়ে পড়ে সেই উৎকণ্ঠা কাজ করে ।
পৃথিবীতে যাঁরাই আত্মহত্যা করে মরেছেন সবার-ই কি জীবনের সমস্ত স্বাদ নেয়া হয়ে গিয়েছিল । বিখ্যাত ভিনসেণ্ট ভ্যানগগ, রবিন উইলিয়ামস, এডগার এলেন পো, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, চেস্টার বেনিংটন, সিলভিয়া প্লাথ যাঁদেরকে কোটি মানুষ চিনতো । সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁরা কেন এই পথ বেছে নিয়েছিলেন ।
তাঁদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে তবুও কত সহজেই তাঁরা নিজেকে শেষ করে দেবার ইচ্ছে পোষণ করেছেন । তাঁরা কেন আরেকটি নতুন সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত কিংবা পূর্ণিমা দেখার ইচ্ছে পোষণ করেননি ।
নাকি জীবনের সংগ্রামের এই পথকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন এক নিমিষেই । এসব মৃত্যুর ব্যাখা কিংবা কনক্লুশান হয়তো এক কোটি বছরেও প্রশ্ন হয়ে রয়ে যাবে মানুষের মনে । কোন ব্যথা, কোন আনন্দে কিংবা কোন আশ্বাসে তাঁরা জীবনের গতিপ্রকৃতিকে পাল্টে দিতে চেয়েছিল ।
আবার পৃথিবীর কোনো জড় কিংবা জীবনের প্রতি কোনো মায়া-ই কি তাঁদের আর আচ্ছন্ন করতে পারেনি । শৈশবের খেলার মাঠ, খেলার সঙ্গী, স্কুলসঙ্গী, পুরোনো গাছ, ডালে কিচিরমিচির করা পাখি কোনোকিছুই কি পারেনি পৃথিবীর মায়াতে আটকে রাখতে ।
হয়তোবা এসব কিছুই পারেনি । হয়তো তাঁদের শেষ স্বাদ বলতে মৃত্যু-ই ছিল । কোনো সুতোয় যে তাঁরা বাঁথা পড়েননি সেটি অন্তত সুস্পষ্টভাবে বলা যায় ।
হিমেল হাওয়ার স্পর্শে মোহনীয় জোছনায় একটি রাত কেটে যাচ্ছে । চারিদিকে কত প্রাণ । তবুও এ শহরকে প্রাণহীন মনেহয় । বিচ্ছিন্ন কোনো এক দ্বীপ মনেহয় ।
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং | ফেনী সদর
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৫০
শায়মা বলেছেন: এই নশ্বর পৃথিবীতে ক্ষনিকালয়ে জীবনের কি মায়া!
আত্মহত্যা করে যারা তাদের এই মায়া কেটে যায়! তাই আর বেঁচে থাকার সাধ জাগে না মনে।