নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য ও বিভিন্ন বিষয়ে নিজেস্ব চেতনা

সাব্বির আহমেদ রাবিন

আমার সম্পর্কে বলার কিছুই নাই তবে কলমের বিদ্রোহ তখনি কাজে আসে যখন শত্রুপক্ষ বা যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তারা প্রকৃত শিক্ষিত হবে।আমাদের দেশ ধীরে ধীরে শিক্ষিত হয়ে উঠছে প্রকৃত শিক্ষায়।তবে আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

সাব্বির আহমেদ রাবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা মানেই জনম দুঃখী! কেন??

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

"মা" শব্দটি অনেক আবেগ,অনেক ভালোবাসা মিশ্রিত একটি শব্দ।পৃথিবীতে স্বার্থহীন ভাবে ভালোবাসেন একমাত্র যিনি তিনিই হলেন মা।মা কে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য গান,গজল,কবিতা,গল্প ও উপন্যাস।মা কে নিয়ে বিভিন্ন গান ও গজল শুনে অশ্রু বিসর্জন বা নিদেন পক্ষে মন খারাপ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলা আমাদের অতি প্রিয় একটি কাজ।কারন এ বিষয়টি সরাসরি আমাদের আবেগকে আঘাত করে।

কিন্তু "জনম দুঃখী মা" এমন গান শুনে অশ্রু বিসর্জন দেবার আগে একবারো কি কখনো ভেবে দেখেছেন আমাদের দেশের মায়েদের কেন জনম দুঃখী হতে হল?একজন নারী মা হবার আগে তো একজন মানুষ।তাহলে মানুষকে কেন জনম দুঃখী হতে হলো সে প্রশ্ন আপনাদের মধ্যে কখনো জাগে না?সেটা কি তারা আমাদের জন্ম দিয়েছেন সেই কারনে?

আচ্ছা আপনার স্ত্রী ও তো একদিন মা হবেন।আপনার স্ত্রীকেও কি জনম দুঃখী হতে হবে মা হবার জন্য?আপনার মেয়ে ও তো একদিন মা হবে।তাকেও কি জনম দুঃখী করে বড় করবেন যেন একদিন প্রকৃত(জনম দুঃখী মা) হতে পারে?

আমাদের পৃথিবীতে কত মা আছে যারা ঘরে - বাইরে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন।দাসত্ব স্বীকার করে নিজের ইচ্ছা কে প্রকাশ করতে না পেরে তিলে তিলে নিঃশ্বেষ হয়ে যাচ্ছেন তা নিশ্চই উদারণ দিয়ে বোঝাতে হবে না।এর কারন আমাদেরই নারীদের অবনমিত,অবদমিত রাখার পৈশাচিক স্পৃহা যার কারনে নারীরা ছোটবেলা থেকে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারে না।আমরাই দায়ী আবার আমরাই চোখের পানি ফেলছি ব্যাপারটা কেমন দুমুখো হয়ে গেল না?

আসুন আমরা আমাদের বান্ধবী,প্রতিবেশিনী,বোন,স্ত্রী দের সম্মান করার চেষ্টা করি।আমাদের ছোট বোন বা মেয়েদের সেই ভাবে গড়ে তুলি।তারা যেন যোগ্য হয়ে ওঠে এটা মন থেকে মেনে নিতে শিখি।যেন আর কোন নারীকে জনম দুঃখী না হতে হয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

ওমেরা বলেছেন: মা মানেই জনম দুঃখী হবে কেন সন্তানের ভালো খবরে মায়ের চেয়ে। সুখী কি আর কেউ হয় ?

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: মা হওয়ার আগে মেয়েরা প্রেমিকা হলে
প্রেমিক কত কত গান কবিতা মন ভুলানো
আকুতি মিনতী প্রেমীকা পাওয়া না হলে
মড়ে যাবার হুমকি এরম কত ভান ভনিতায়
প্রেমিকরা করে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
প্রেমিকার অন্য কোথায়ও বিয়ে হয়ে গেলে
মজনু সেজে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।
অথচ প্রেমিকা ঘরের বউ করে আনার
সক্ষম হলে সেই প্রেমিকা এক সময় ঘরের
বউ থেকে দাসী হয় প্রেমিক হয়ে উঠে
স্বামী। স্বামী থেকে প্রেমিক হওয়া যেন
পারিবারিক নিয়মে নাই।
যেহেতু প্রেমের বিয়ে পরিবার গত দিক দিয়ে
খুব একটা ভাল চোখে দেখা হয়না। সেহেতু
মেয়েরা পরিবারের সবার কাছ থেকে অবেহেলা
পাওয়া নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার মেয়েটা মা
হওয়ার পর জনম দুঃখি হয়ে উঠে। কখনও
স্বামী হয়ে উঠা পুরুষ পারিবারিক অবহেলার
কারনে বউকে নিয়ে আলাদা বসবাস শুরু
করেও এক সময় বলে বসে তোমার কারনে
আমার পরিবার ছাড়তে হয়েছে সেখানেও
দেখা যায় পুরুষরা বউদের অবহেলা করে।
ঠিক এভাবেই মেয়েরা মা হয়েও জনম দুঃখি
হয়ে উঠে।
আমি নিজেও যুগ যুগ ধরে সেই নির্মমতার
সাক্ষী। না পেয়েছি স্ত্রী মর্যাদা না পেয়েছি
সন্তানের মা হওয়ার মর্জাদা সংশারের অবদান
স্বামী সন্তানের পিছনে অবদান স্বামীর মহব্বত
কোনও কিছুর জন্যই মর্জাদা পাই নাই।

সেটেল ম্যারেজের ক্ষেত্রেও প্রথমে সম্মান
পেলেও আস্তে আস্তে স্বামীরা স্বামী রুপেই
গড়ে উঠে প্রেমিক হতে পারেনা। স্বামীর
যদি আগের প্রেমিকা থাকে তাহলে কথাই
নাই চরমও তোম অবহেলার কপাল নিয়ে
সংশার যাপন করতে হয়। এরকম অসংখ্য
কারন অকারন নারী মেয়েরা মায়েরা জনম
দুঃখী হয়ে থাকে। পুরুষরা মায়ের অবহেলা
দেখে দুঃখ পেলেও তারা একসময় পারিবারিক
নিয়ম এটাই হবে বলে ধারনায় গেথে রাখে।
হঠাত দুই একজন হয়ত মায়ের দুঃখ দেখে
পতিজ্ঞা করে আমি এমন কখনও হবনা।
কিন্তু নব্বই পার্সেন্ট পুরুষরা পারিবারিক
অনিয়মে চালিত পরিবার থেকে শিখে
অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ভুলে যায় তার মাও
বাবার দ্বারা অবহেলায় ছিল। এই হোল
নারীর বা মায়ের জনম দুঃখের কারন।
পুরুষ শ্বাসীত সমাজে নারীর উপর যত
অন্যায়ই হোক ঘুরে ফিরে নারীর কাঁধে
দোশ চাপাতে পুরুষরা পারদর্শী কারন
নারীর প্রতিবাদ করার সক্ষমতা কম।
আজ শুধু একটাই কামনা স্বামীরা যেন
ঘরে স্ত্রীর প্রেমীক হয়েই বসবাস করে।
তাহলে পরিবার থেকেই দেখে একটা ছেলে
শিশু বড় হয়ে তাই শেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ
দুঃখীনি মা কেন হবে? লেখায় অভিনন্দন।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মা মানে আনন্দ।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

লাবণ্য ২ বলেছেন: মা জনমদুঃখী কেন হবে?

৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

শরিফ ৯৬ বলেছেন: মা হল জীবনে চলার পথের অনুপেরণা।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের উত্তর তো আপনাদের পুরুষ সমাজের কাছেই। নিজেদেরকেই জিজ্ঞাসা করেন না, “আজ মায়েরা কেনো জনম দুঃখীনি”? আপনার নারীদের সাথে পশুর থেকে অদম আচারণ করেন। আপনার এই প্রশ্ন তো প্রতিটি অদম পশু পরুষের কাছেই আছে তাদের কাছে জিজ্ঞোসা করুন না, দেখেন তারা কি বলে। আজকের নারীদের খারাপ বলে সবাই আরে ভাইয়ারা এই খারাপের পিছনে দায়ী করা বলতে পারবেন?

৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

মোঃ আল-আমিন৯৮ বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের উত্তর তো আপনাদের পুরুষ সমাজের কাছেই। নিজেদেরকেই জিজ্ঞাসা করেন না, “আজ মায়েরা কেনো জনম দুঃখীনি”? আপনার নারীদের সাথে পশুর থেকে অদম আচারণ করেন। আপনার এই প্রশ্ন তো প্রতিটি অদম পশু পরুষের কাছেই আছে তাদের কাছে জিজ্ঞোসা করুন না, দেখেন তারা কি বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.