নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য ও বিভিন্ন বিষয়ে নিজেস্ব চেতনা

সাব্বির আহমেদ রাবিন

আমার সম্পর্কে বলার কিছুই নাই তবে কলমের বিদ্রোহ তখনি কাজে আসে যখন শত্রুপক্ষ বা যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তারা প্রকৃত শিক্ষিত হবে।আমাদের দেশ ধীরে ধীরে শিক্ষিত হয়ে উঠছে প্রকৃত শিক্ষায়।তবে আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

সাব্বির আহমেদ রাবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন হুমায়ূন আহমেদ ও সমালোচনা বাজারি লেখক

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪

একজন হুমায়ূন আহমেদ।যিনি বাঙ্গালি পাঠক ও দর্শককে প্রবেশ করিয়েছেন জাদুকরী জগতে।করে রেখেছেন মোহ গ্রস্ত।তার পাঠক ও দর্শকেরা প্রতিনিয়ত খুজে পায় নীলচে স্বপ্নের হাতছানি তার প্রতিটি সৃষ্টিকর্মে।পার্থিব অভাব,অভিযোগ,অনিয়ম,শোষণ এর মধ্যেও যে জীবনের সৌন্দর্য কে উপভোগ করা যায় তা আমাকে শিখিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।


আমরা তার সাধারণ পাঠক ও দর্শক যারা কিনা হুমায়ূন আহমেদ কে আবিষ্কার করেছি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ও সৌন্দর্য প্রভাবক হিসেবে কিন্তু অন্যদিকে কিছু পন্ডিত ব্যক্তি আজো দেখা যায় যারা কিনা হুমায়ূন আহমেদ কে একজন আলোচনা যোগ্য সাহিত্যিক ভাবতেই নারাজ।তারা হুমায়ন আহমেদ এর লেখায় কোন শিক্ষণীয় কিছুই খুজে পান না।ওনাকে বাজারি লেখক বলে পরম তৃপ্তি লাভ করেন।

হ্যা হুমায়ূন আহমেদ বাজারি লেখক।তিনি তার একটি পাঠক শ্রেণী তৈরী করতে পেরেছিলেন।নেশাগ্রস্ত মানুষের মত তার পাঠকেরা তার বই বের হবার অপেক্ষায় থাকত চাতক যেমন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে।মধ্যবিত্ত বাঙালীদের মধ্যে বই যে কিনে পড়তে হয় এবং মাসের প্রথমে পাওয়া বেতনের টাকা থেকে বই কেনার জন্য পরিকল্পনা করে টাকা জমিয়ে রাখতে হবে এই অভ্যাস তৈরী করতে পেরেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।মানুষ তার বই পড়ে কারন তার প্রতিটি বইয়ের নির্দিষ্ট চরিত্রের মধ্যে নিজেকে খুজে পায় তারা।তার একটি বই শেষ করার পর মনে হয় "জীবন তো আসলেই সুন্দর!এমন ঘটনা তো আমার জীবনেও ঘটেছিল কিন্তু এভাবে তো আমি সেই ঘটনার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারিনি বা এভাবে তো কোনদিন দু:খকে সহজভাবে নিয়ে মানুষের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারিনি"।
হ্যা স্বীকার করি হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিতে ইতিহাস উপলক্ষ হয়ে আসেনি বা ঈশপের গল্পের মত নির্দিষ্ট কোন নীতিকথাও শেষে এসে আপনি উপদেশ বানী হিসেবে ভেবে নিতে পারবেন না।কারন হুমায়ূন আহমেদের বেশীরভাগ সৃষ্টিতে কোন মহান চরিত্র নেই আবার কোন অপরাধীও নেই।যা আছে তা হলো মানুষ।সেখানে একজন ঘুষখোর বা খুনির সংকট ও কার্যকারন যেমন প্রতিপাদ্য একজন চাকরিপ্রার্থী বা ভবঘুরেদের চলমান জীবন ও পারিপাশ্বিকতাও বিবৃত।

কোন মর্মবানী,নীতিবাক্য বা ধ্যানলব্ধ গভীর জ্ঞান আপনার মগজে প্রবেশ করলেও ততক্ষণ আপনার হৃদয়ে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ আপনি তা উপলব্ধি করতে না পারবেন আর হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্টিকর্ম গুলো আমার কাছে সেই উপলব্ধি।

হুমায়ূন আহমেদ আমার জীবনে প্রথম ব্যক্তি যে আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে।ভাবতে শিখিয়েছে অন্যের কাজকে দোষ মনে করে সেটা তৃতীয় ব্যক্তিকে বলার মাধ্যমে নিজেকে বড় মনে করা যায় কিন্তু বড় হওয়া যায় না।সবাইকে এক লেভেলে ধরে নিয়ে নিজেকে অনেক উচ্চতার অধিকারি প্রতিপন্ন করার থেকে নিজের মন কে বড় করা সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য বেশী জরুরি।

হুমায়ূন আহমেদ আমাকে প্রথম শিখিয়েছেন প্রকৃতি কি।বৃষ্টি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দূর্যোগ নয়,চাঁদের আলোর অন্য রকম মহত্ব আছে।

হুমায়ূন আহমেদ একজনই।তুমি শান্তিতে ঘুমাও গল্পের জাদুকর।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৮

কাইকর বলেছেন: ভাল কিছুর সমালোচক থাকবেই।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১০

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার মূল্যায়ন একদম যথার্থ।হুমায়ূনের সেই নেশাগ্রস্থ মধ্যবিত্ত বাংলাদেশি পাঠকদের একজন হয়ে বলছি।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম সহ বেশ কিছু জায়গায় হুমায়ূন বানানটা ভুল আছে। এডিট করে ঠিক করে নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.