![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে বলার কিছুই নাই তবে কলমের বিদ্রোহ তখনি কাজে আসে যখন শত্রুপক্ষ বা যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তারা প্রকৃত শিক্ষিত হবে।আমাদের দেশ ধীরে ধীরে শিক্ষিত হয়ে উঠছে প্রকৃত শিক্ষায়।তবে আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
"দান করা" অর্থ বিনিময় বিনা বা নিস্বার্থভাবে কোন ব্যক্তিবর্গ,প্রতিষ্ঠান বা কোন গবেষণা কাজে কোন সাহায্য সহযোগীতা করা।তো আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি দান করা কোন অপরাধ তো নয়ই বরং ভালো কাজ।তো আমার প্রশ্ন হলো যেটা কোন খারাপ কাজ নয় বা অপরাধ নয় সেটি গোপনে করতে হবে কেন?
আমাদের সমাজে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে দেখা যায়,কারো কোন দান করার খবরে সেটাকে ভালো ভাবে না নিয়ে বরং দানের খবরটা প্রকাশ না করে বরং গোপনে দান করাটাই সঠিক এরকম সমালোচনা করতে শুরু করেন অনেকে।
আমার মতে গোপনে দান করার কোন ভালো দিক তো নেই ই বরং প্রকাশ্যে সকলকে জানিয়ে দান করাই সব দিক থেকে ভালো।যেমন ধরা যাক,শহরাঞ্চলের কোন ধনী মানুষ কোন চরাঞ্চলের মানুষের আবাসনের উন্নয়নে সহযোগীতা করবেন এবং ওনার পক্ষে প্রতিনিয়ত সেই চরে গিয়ে আবাসনের উন্নয়ন ও ওনার সাহায্যের টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা সম্ভব নয়।এখানে কি করণীয়?প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিয়ে আসা নাকি কোন একক ব্যক্তি যিনি দায়িত্ব নিতে রাজি তার কাছে টাকা ও দায়িত্ব দিয়ে দেয়া?ধরুন বাড়িতে বাড়িতে টাকা দেয়া হলো এখন প্রত্যেক বাড়ির বাসিন্দা ওই টাকায় কোন অন্য অসৎ ঊদ্দেশ্যে ব্যয় না করে তাদের আবাসনের উন্নতিই করবে তার নিশ্চয়তা কি?অপরদিকে এক বা একাধিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ব্যক্তির কাছে দিলে ওই টাকার শতভাগ যে আবাসন প্রকল্পে ব্যয় হবে,বিরাট বাঁ ক্ষুদ্র কোন অংশ আত্মসাৎ করা হবে না এটা কিভাবে বোঝা যাবে?তার থেকে কি এটাই ভালো না যে সাহায্যের টাকা বা উপকরণ ঠিকই দায়িত্বপ্রাপ্ত কারো কাছে দেয়া হলো এবং কি পরিমান সাহায্য করা হয়েছে তা ওই চরবাসী জানলো।তারপরো ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি নির্লজ্জ হয় সেটা ভিন্ন কথা অন্তত লুকাছাপা তো আর হলো না।
এটা একটা উদারণ মাত্র।আমার কাছে মনে হয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কোন দুর্যোগে সাহায্য সহযোগীতা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট সাধারণ মানুষ বা এলাকাবাসীর অবশ্যই জানার অধিকার আছে কোন উন্নয়ন প্রকল্পে বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কি পরিমান অর্থ বা সামগ্রী বরাদ্দ বা সাহায্য পাওয়া গেছে এবং সেটা কি উপায়ে বা পরিমানে ব্যবহার করা হয়েছে।
আর একটা ব্যপার হলো নিজেদের দোষে গরীব খেতাব প্রাপ্তদের সাহায্য সহযোগীতা।শুনতে একটু খারাপ লাগলেও এটাই সত্য যে আমাদের আশেপাশে আমরা এমন মানুষ আছে তারা গরীব এই কারনে কারন আপনি তাদের সাহায্য করেন।আপনি হয়তো ইহলৌকিক বা পারলৌকিক পূণ্যের আশায় সাহায্য করেই যাচ্ছেন।কিন্তু আপনি এটা বুঝতে পারছেন না যে আপনার এই সাহায্যের ফলে দেশের কোন উপকার তো হচ্ছেই না বরং দেশের বোঝা তৈরীতে আপনি অবদান রাখছেন।আপনার সাহায্যের কথা গোপন থাকছে ফলে এই সব শখের গরীবেরা বাইরে কিঞ্চিৎ দুঃখের মরিচার প্রলেপ লাগিয়ে ভিতরে ভিতরে ঠাট বজায় রেখে বিনা শ্রমে আয়েশ করে যাচ্ছে।শারিরীকভাবে অক্ষম মানুষদের অবশ্যই সহযোগীতা করতে হবে কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই তাদের কোন একক ব্যক্তি বা সামগ্রিক প্রকল্পের আওতায় এনে সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন তাড়া নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে উৎসাহি বা বাধ্য হয়।
আমার মতে "গোপনে দান করো যেন কাক পক্ষী টের না পায়" এই ধরণের বুলি আওড়ানো মানে সমাজ ও দেশকে মাইলের পর মাইল পিছনে টেনে নিয়ে যাওয়া।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম ধর্ম বলে ভিন্ন কথা।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
'যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন
আল্লাহ তাআলা সাত শ্রেণির লোককে তার (আরশ) ছায়া দান
করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এত গোপনে
সাদকাহ্ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা
টের পায় না।' (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
হজরত বাহয ইবনে হাকিম হতে বর্ণিত তিনি তার পিতা ও দাদার
সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, ‘গোপন দান বরকতময় আল্লাহ তাআলার ক্রোধ নিপতিত করে।’
(তাবরানি, তারগিব)
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৩
আর. হোসাইন বলেছেন: এইটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত অভিমত! আপনার মতের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই মতের সাথে একমত নই!
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৬
নতুন বলেছেন: লোক দেখানো বিষয়টা যখন চলে আসে তখন মানুষ যতটুকু দান করে তারচেয়ে প্রচার বেশি করে।
সেই দানে আন্তরিকতা থাকেনা। থাকে করুনা আর সাথ` হাসিলের উদ্দেশ্য।
যখন মানুষ চাইবেনা আসলেই্ দরিদ্ররা উন্নত হউক, তারা লোক দেখানোর জন্য দরিদ্রদের উপকার করার নাটক করবে এবং দরিদ্রদের আসল উপকার কখনোই হবেনা।
আর যার উপকার করার ইচ্ছা থাকে তার লোক দেখানো সময় থাকেনা, সেই সময়ে তিনি আরো মানুষের উপকারের চেস্টা করেন।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো দান সম্পর্কে ইসলামের ধারণা সম্পর্কেই আপনি একটু ক্রিটিসাইজ করলেন ! কিন্তু প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো ভাবেই দান কৱাকেতো ইসলাম নিষেধ করেনি । প্রকাশ্যে দেন করা ভালো কাজ সেটাও কুরআন বলেছে । সূরা বাকারার ২৭১ আয়াতে বলাই হয়েছে "যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম..."। নানা কাৰণে গোপনে দানের কথা আসছে । আপনি আপনার কোনো আত্মীয়স্বজনকে দান করছেন । সেটা প্রকাশ্যে করে তাদের লজ্জা দিলেন তাহলেতো কাজের কাজ হলো না । সেটার জন্যই অনেক ক্ষেত্রে গোপনে দানের কথা বলা হয়েছে । যাতে দানপ্রাপ্ত মানুষ নিজেদের হেয় না মনে করে । সামাজিক প্রয়োজনে দান প্রকাশ্যে করাও ভালো যাতে অন্যেরা সেই কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয় । খন্দকের যুদ্ধে সবাইকে দানের কথা বলা হয়েছে আর সাহাবীরা প্রকাশ্যে সেই দান করেছেন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কোনো সমস্যা ছিলো না তাতে । আমার কাছে মনে হয় দান প্রকাশ্য বা গোপনে যে কোনো ভাবে করলেই চলতে পারে । দান কে কি ভাবে করতে চায় আর সেটা দিয়ে কি অর্জন করতে চায় সেটাই আসল ।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সহমত আপনার সাথে। অকৃতজ্ঞই বেশী এখন।