![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতিপয় বৈশিষ্ট্যঃ ১। আমার রাগ একটু বেশি। ২। পরিচিতদের সাথে প্রচুর কথা বলি বেশি। ৩। জোছনা ,বৃষ্টি আর আইসক্রিমে না নেই। ৪। আমি সেলিব্রেটি না কিন্তু একজন অসাধারন মায়ের সাধারন সন্তান। ৫। আমি বিনয়ী কিন্তু সুযোগ নিয়ো না। ৬। আমি মহাপুরুষ না কিন্তু মহাপুরুষের রঙে সাদাকালো অবয়বে কাপুরুষ। ৭। আমি রোমান্টিক কিন্তু এটা মোটেও আমার দূর্বলতা না। ৮। আমি হাসি খুশি কিন্তু প্রতিদানে কষ্ট দিয়ো না। ৯। আমি নির্বিকার কিন্তু অমানুষ না। ১০। রাগ করলে আমি পাশে থাকবো কিন্তু অকারনে রাগ করলে I DON'T CARE। ১১। কষ্ট পেলে আমি তোমায় হাসাবো কিন্তু আমায় কষ্ট দিয়ো না। ১২। তোমার আশা ফুরালে সাহস দিবো । ১৩। তোমার দুঃখের গল্প সুখের ঢাল হবো। ১৪। আমায় ভালোবেসে দেখো।আমার পৃথিবীর সবটুকু ভালোবাসা দিবো। ১৫। ভালোবাসা দিগুন পাবে ঘৃণাও সমতুল্যে ১৬। ধোঁকা দিয়ো না। ১৭। অভিনয় করো না। ১৮। অবশ্যই সত্য বল ।
``1´´
ব্যাস্ত সড়ক ।
ঢাকা টু সিলেট । অনেক ট্রাফিক হয়েছে আজ । পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক সামাল দিতে । লাল সাদা রঙের রোড ডিভাইডারটাতে দাড়িয়ে পু পু করে বাঁশি বাজাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ । আর একজনের হাতে আছে লাঠি আর টায়ার পাংচার করবার জন্য স্ক্রু ড্রাইভার ।
হঠাৎ কোথা থেকে একটা কালো অডি TT-r8 মডেলের কালো একটা গাড়ি প্রায় 140 kmh-¹ বেগে ছুটে এলো আর একটু দুরে গিয়ে টক্কর দিয়ে বসলো বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহি এনা বাসকে । ঘটনাস্থলে হুলুস্থুল লেগে যায় । রাস্তার পাশে থাকা পথচারীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করা আরম্ভ করলো ।
কালো অডি গাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙে বেরিয়ে এসেছে কালো ফুলশার্ট পরা একটা মানুষের হাত । রক্তে ভিজে গেছে । ট্রাফিক পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় । আর পথচারীদের কয়েকজন কালো অডি গাড়ির চালককে ডাকা স্কয়ার হসপিটালে এডমিট করে ।
লোকটার পরিচয় জানতো পুলিশ আহতের মোবাইলটা তার পকেট থেকে বের করে আহতের স্বজনদের ফোন করতে উদ্যত হলো ।
.
``2´´
রাত 2 টা
তানিম বিছানায় বসে আছে । বাম পাশের টেবিল ল্যাম্পটা হালকা আলোয় জ্বলছে । ঈশৎ আলোয় বিছানের সামনে থাকা ওয়াল পেইন্টিংটাকে অদ্ভুত লাগছে দেখতে । বিছানার ডান দিকে ঈষত আলোয় খুব ভাল করে খেয়াল করলে দুটি সোফা দেখা যাচ্ছে ।বাম দিকে আছে একটা আলনা ।তার হ্যাঙ্গারে ঝুলছে কয়েকটা শার্ট । আলনার ঠিক সামনে বারান্দার দরজা । দরজাটা খোলা । দরজা দিয়ে হু হু করে বৈশাখীর ঠান্ডা বাতাস ঢুকছে । তানিম বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিল । বিছানায় যাবার আগে দেয়ালে ঝুলে থাকা ঘড়িটাকে একপলক দেখে নিল ও ।
রাত 3:30
বিছানায় ফিরে আসে তানিম ।তার হাতে একটি ডায়েরি । ডায়েরিটা পড়ছিল ও । পাশে শুয়ে ছিল তার পত্নী অবনী ।
ঘরে ঈশৎ আলো থাকায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় অবনীর । ঘুম ভেঙে মিটিমিটি চোখে তানিমকে দেখে অবনী বলে
: এত রাতে আলো জ্বেলে কি করছো তানিম?
তানিম আচমকা একেবারে চমকে যায় । এই হিমশীতল বাতাস বয়ে যাওয়া রাতে ঈশত আলোয় ঘুমিয়ে থাকা মানবীর কন্ঠস্বর শুনে যে কেও চমকে যাবে ।
নিজেকে একটু সামলে তানিম বললো
- অফিসের ফাইল পড়ছিলাম ।
: আগামীকাল যা করার করো । এখন ঘুমাও
- আচ্ছা
বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে অনিচ্ছা ঘুমাবার প্রয়াশ নিয়ে শুয়ে পড়লো তানিম
.
সকাল 9 টা
অবনী নাস্তা তৈরি করছে । তানিম বসে আছে ডায়নিং টেবিলটাতে । অবনী ব্রেড, টোষ্ট আর জেলি নিয়ে টেবিলে এলো ।তানিম বাচ্চাদের মত গোঁ ধরে বসে ।তানিমকে নিজ হাতে তুলে খায়িয়ে দিতে হবে অবনীর
অবনী তানিমকে মুখে তুলে খায়িয়ে দিল । তানিম খাওয়া শেষ করে অফিসে যাবার জন্য তৈরি হতে থাকলো । অবনীকে হঠাত ডাক দিল ও
: অবনী?? আমার কালো টাইটা কোথায়?
- ধুয়ে দিয়েছি ।আজ নীলটা পড়ে যাও
: বের করে পড়িয়ে দাও
- আসছি
অবনী আলমারী থেকে নীল রঙের টাইটা বের করে পড়িয়ে দিল তানিমকে ।
তানিম টাইটা পড়ে অফিসের দিকে রওনা দিল । তার হাতে ছিল গত রাতের সেই ডায়েরিটা ।
পার্কিং লট থেকে নিজের কালো অডি TT-r8 গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ও ।ব্যাস্ত সড়ক পার করে অফিসে পৌছাল ও ।
.
আজ অফিসের কাজে মন বসছে না ওর ।হঠাৎ ওর নিজে সাথে করে আনা ডায়েরিটার কথা মনে পড়ে গেল । ডায়েরিটা বের করে পড়তে লাগলো ও
.
``3´´
আবির সাহেব অফিস থেকে বের হলেন কেবল ।কালো অডি TT-r8 গাড়িটা নিয়ে উনি বাড়ি এলেন । সাহেব বললে ঠিক ভুল হবে । উনি একজন টগবগে যুবক । বয়স 25 পেরিয়েছে কেবল । ভাল একটা চাকরি করেন উনি । মা বাবা ইতমধ্যে তার বিয়ে দেবার জন্য মেয়ে খুজছেন । কিন্তু ওনার একটা পছন্দ আছে । শ্রেয়া । মেয়েটার নাম । যত যাই হোক আবিরের পছন্দকে মা বাবা মেনে নেবেন না ।
আর আবির? শ্রেয়াকে ও ছাড়তে পারবে না । সেই স্কুলের দশম শ্রেনী থেকে প্রেম ।
.
``4´´
: তানিম সাহেব??
হঠাৎ কলিগ রেজোয়ানের গলাটা শুনে গত রাতের মত চমকে গেল তানিম । ঘোর কাটতেই ডায়েরিটা তড়িঘড়ি করে লুকিয়ে ফেললো ও
- আরে রেজু ভাই যে?
: এভাবে চমকালেন যে? এত মনোযোগ দিয়ে কি করছিলেন?
- কিছু না । এট আর কি গত মাসের টেন্ডার ফাইলটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম আর কি
: ও আচ্ছা । আপনি ঠিক আছেন তো?
- জ্বী? রেজু ভাই? আজ ভাল লাগছে না ।আমি গেলাম আজ । বসকে একটু বলে দিয়েন কেমন ।
: ওকে । বাড়ি চলে যান
- থ্যাংক ইউ
রেজোয়ান সাহেবের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তানিম অফিসের পার্কিং লটে চলে এলো । সেই কালো অডি TT-R8 গাড়িটা নিয়ে বাড়ি চলে গেল
.
বিকাল 4 টা
অবনী বিকালের নাস্তার জন্য বাসায় নুডুলস বানাচ্ছে । বাম হাতে খুব সুন্দর করে ফুল এঁকে মেহেদি দিয়েছে ও । আর ডান হাতে নুডুলস বানাচ্ছে । হঠাত কলিং বেলে টিং টং আওয়াজ উঠলো ।
দরজা খুলতে গেল অবনী । দরজা খুলে দেখলো তানিম দাড়িয়ে আছে
: আরে তুমি! এত তাড়াতাড়ি আজ?
- তোমাকে খুব মনে পড়ছিল যে
: আর ঢং করতে হবে না ।যাও হাতমুখ ধুয়ে এসো
তানিম বাধ্য ছেলের মত ওয়াশরুমে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে এলো
অবনীর হাতের মেহেদিটা দেখে খুব ভাল লাগলো ওর । নুডুলসটা খেয়ে নিয়ে তানিম বিছানায় এলিয়ে পড়লো ।আর অবনী ড্রয়িং রুমে গেল টিভি দেখতে । লাল কার্পেট মাড়িয়ে নীল কভারের সোফায় বসে টিভি দেখছে ও
আর তানিম? আবার ব্যাগ থেকে ডায়েরিটা বের করে শুয়ে শুয়ে পড়তে লাগলো
.
``5´´
হঠাৎ আবিরের চোখের চশমাটা ছিটকে গেয়ে পড়লো রাস্তার ঐ পাশে । দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে আবির
আবিরের বন্ধু নিলাদ্রি ওকে ডাকছে
- ওই! চশমা নে
: পারবো না ।
- আমার কাছে রেখে দিলাম
.
শ্রেয়া রাগে ফুস ফুস করছে । তার পায়ের কাছে পড়ে আছে একটা লাল গোলাপ আর একটা চিঠি
রাগ থাকার পরেও সে চিঠিটা কুড়িয়ে নিল
খামটা খুলে পড়লো চিঠিটা
ভাঙা ভাঙা অপরিপক্ক একটা লাভ লেটার । বোকা ছেলে 7 টা বানান ভুল করেছে । হঠাৎ তার মনটা নরম হলো :
: নিলাদ্রি?
- বল হারামজাদী
: ঐ ছাগলের চশমাটা দে ।
- আর কতবার এক কাজ করবি শালী? ভাব মার?
: চুপকর শয়তান । চশমা দে
চশমাটা দিয়ে নিলাদ্রি চলে গেল
শ্রেয়া খুব রাগি স্বভাবের । আবির যেদিন তাকে প্রোপোজ করেছিল ঐদিন সে এক চরে তার চশমাটা ফেলে দেয় । আবিয় দৌড়ে পালিয়ে যায় । পড়ে থাকে চিঠিটা । 5 টা বানান ভুল ছিল ।
এভাবে 7 বার প্রোপোজ করে শ্রেয়াকে পেয়েছিল আবির । আবিরের চিঠির বানান ভুল দেখলে শ্রেয়া ঐ বোকা ছেলেটার জন্য একটু নরম হয়ে যায় । রাগ চলে যায় তার
গতকাল রাতে আবির ফেসবুকে এক মেয়ের ফটোতে কমেন্ট করায় আজ রেগেছিল শ্রেয়া ,
আর আবির অবলম্বন করে শ্রেয়ার কাছে তার চর খাওয়ার পন্থাটি
7টা বানান ভুল দেখে হেসে ফেলে শ্রেয়া
পার্কের 13 নম্বর বেন্চে চশমা ছাড়া বসে আছে আবির ।
- ওই কুত্তা । একটা চিঠিও কি ঠিক করে লিখতে পারিস না?
: না । পারি না ।
- আবার চর খাবি?
: তোর মন ভালো করতে ওরকম 100 চরও খাওয়া যাবে ।
- আমিতো 1000 টা দিব
: ঐটা একটু বেশি না?
- কি কি? কি বললি?
: আচ্ছা ওকে । মাফ চাই । একটা চর দিবি?
ঠাস করে চর মারলো শ্রেয়া ।
- এই চরটা আমাকে কষ্ট দেবার জন্য
: আর হবে না । ভালবাসি শ্রেয়া
- Love u too Abir
: চল ।আমার কাধে চুপ মাথা রেখে বসে থাক । তোর নিঃশ্বাস শুনবো
আবিরকে চশমাটা পড়িয়ে দিয়ে ওর কাঁধে মাথা রেখে পার্কের 13 নম্বর বেন্চে ওরা বসে আছে
: আবির?
- বল
: বিয়ে করবি আমাকে?
- অবশ্যই
আবিরের কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকে শ্রেয়া
.
``6´´
হঠাৎ দরজার বাইরে অবনীর আসার আওয়াজ শুনে ডায়েরিটা বন্ধ করে ড্রয়ারে রেখে ঘুমাবার অভিনয় করে তানিম । অবনী এসে আবিরের কপালে তার ঠোট একে দিয়ে পাশে শুয়ে পড়ে
.
রাত 9 টা
অবনী রান্না করছে । তানিম টিভি দেখছিল ।ওর ভাল লাগছিল না । সোফায় বসেই ঘুমিয়ে যায় ও ।রাত 10 টায় অবনী টেবিলে খাবার নিয়ে আসে । অবনীর ডাকে তানিমের ঘুম ভাঙে । রাতের খাবার খেয়ে গল্প করে রাত 12 টায় শুয়ে পড়ে ওরা ।
.
রাত 2 টা
তানিম হঠাৎ চোখ খুলে দেখে অবনী ঘুমাচ্ছে । আবার সে ডায়েরিটা বের করে পড়তে লাগলো
.
``7´´
আবিরের মা বাবা আবিরের জন্য মেয়ে দেখছে । আবির একটা প্ল্যান করেছে ।ঘটককে টাকা দিয়ে শ্রেয়ার ছবি দেখাতে বলে তার ভা বাবাকে । ঘটক কথা মত কাজ করে । আবিরের মা বাবা শ্রেয়াকে দেখে পছন্দ করে ।আবিরতো মহা খুশি ।
আবিরের মা বাবা শ্রেয়াদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয় । আবির ভাল চাকরি করতো ।দেখতেও ভাল তাই রাজি হয় শ্রেয়ার মা বাবা ।বিয়ে ঠিক হয়ে যায়
.
আবির আর শ্রেয়ার বিয়ে হয় । অনেক ঘটা করে বিয়ে করে ওরা । তাদের জীবনে সুখের কোন শেষ থাকে না । আবিরের মা বাবার কাছে শ্রেয়া ছিল তাদের নিজেদের মেয়ে
বিয়ের 3 বছর পর আবির খবর পায় যে তাদের পরিবারে নতুন সদস্য আসছে । আবির খুশিতে পাগল হয়ে যায় ।আবার শ্রেয়াকে নিয়ে তার চিন্তার শেষ থাকে না
.
9 মাস 25 দিনের মাথায় জন্ম নেয় আবির আর শ্রেয়ার ফুটফুটে মেয়ে । কিন্তু মেয়ে আগমনের খুশির চেয়ে আবিরে কষ্টটা বেশি ছিল শ্রেয়ার চলে যাওয়া । হ্যা । শ্রেয়াকে পৃথিবীতে আনতে গিয়ে ওপারে পাড়ি জমায় শ্রেয়া । পাথর হয়ে যায় আবির ।
আবির তার শ্রেয়ার শেষ স্মৃতি তাদের মেয়েটাকে নিয়ে বাঁচতে থাকে নতুন করে । কিন্তু আবির মাঝে মাঝে বলতো "শ্রেয়া ফিরে এসছে ।" ।কিন্তু কেও পাত্তা দিতো না ওকে
9 বছর পর
রাত 3 টা
আবির বিছানায় শুয়ে । হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে গেল । ও বিছানার পাশে তাকিয়ে জোরে কেঁদে দিল । আবিরের কান্না শুনে পাশের ঘর থেকে অবনী ও আবিরের মা বাবা ছুটে এলো ।
তারা দেখলো যে আবির কোল বালিশের সাথে কথা বলছে
"শ্রেয়া? এতদিন কোথায় ছিলে তুমি?আমাকে নিতে এসেছ তুমি? আমি যাব । অবশ্যই । মা বাবা??ওরা যেতে না দিলেও আমি তোমার কাছে যাব"
সেদিন রাতে খুব ভয় পেয়ে যায় ছোট্ট অবনী । আবিরের মা বাবাও ভয় পায় খুব ।
রাতের বেলা আবিরকে বুঝিয়ে ঘুম পাড়ায় তার মা বাবা
.
পরদিন সকাল
আবনী দেখছে আবির কাকে যেন বলছে
"টাইটা বেধে দাও শ্রেয়া"
অবনী ভয়ে কাওকে কিছু বলে না । আবির নাস্তা না করেই অফিসের জন্যে বেরিয়ে যায় সেদিন ।পার্কিং লটে থাকা কালো অডি TT-R8 গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে যায় ও ।
.
``8´´
ঘরে ঈশৎ আলো থাকায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় অবনীর । ঘুম ভেঙে মিটিমিটি চোখে তানিমকে দেখে অবনী বলে
: এত রাতে আলো জ্বেলে কি করছো তানিম?
তানিম আচমকা একেবারে চমকে যায় । এই হিমশীতল বাতাস বয়ে যাওয়া রাতে ঈশত আলোয় ঘুমিয়ে থাকা মানবীর কন্ঠস্বর শুনে যে কেও চমকে যাবে ।
নিজেকে একটু সামলে তানিম বললো
- অফিসের ফাইল পড়ছিলাম ।
: ঘুমাওতো ।
ঘুমিয়ে গেল তানিম ।
রাত 4:40 আবার ঘুম থেকে ওঠে ডায়নিং রুমে গিয়ে ডায়েরিটা পড়তে থাকে তানিম
.
``9´´
হসপিটালে আহতের ফোনটা নিয়ে পুলিশ ফোন করে আহতের বাড়ি
: হ্যালো?
- জী ! ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বলছি । এটা কার ফোন?
: আমার ছেলে আবিরের । কেন?
- ওর এক্সিডেন্ট হয়েছে । স্কয়ারে আছে ।জলদি আসুন ।
.
ছুটে গেল আবিরের মা বাবা আর অবনী । আবিরের বেডের কাছে গিয়ে বসে আছে ওরা ।জ্ঞ্যান ফিরলো আবিরের
: মা? বাবা?
- আবির?? বাবা?
: শ্রেয়া আমাকে নিয়ে যাচ্ছে । অবনীকে দেখো । আমি চললাম
কথাটা বলেই আবির চির জীবনের জন্য চুপ হয়ে যায় । শোকে কাতর হয়ে যার আবিরের মা বাবা আর ছোট্ট অবনী
এরপর থেকে অবনী তার দাদুর কাছে বড় হতে শুরু করে
.
``10´´
হঠাৎ তানিমের কাঁধে একটা নরম হাত ।আবির দ্রুত ডায়েরিটা টেবিলের নিচে কার্পেটের উপর আস্তে করে ফেলে দেয় । অবনী দেখে না । ওটা ছিল অবনীর ডায়েরি । যা সে তানিমকে পড়তে দিতে চাইতো না ।তাই তানিম ডায়েরিটা লুকিয়ে ফেলে
: তানিম? এখানে কি করছো?
- ঘুম আসছে না
: চলো ঘুমাবে
বাধ্য ছেলের মত তানিম বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো । ঈষৎ আলোয় ওয়াল পেইন্টিংটাকে অস্পর্শী দেখাচ্ছে ।আরে? হ্যা অবনীর বাবার কাছেওতো তার মা ছিল অস্পর্রী । অস্পর্রীর ডাকে আবির পাড়ি জমিয়েছিল দুর পারাপারে । চোখটা ভিজে যায় তানিমের ।
কারন ওরও একই অবস্থা ।কারন দুই মাস আগে অবনী মারা গিয়েছে । তানিম জানে ,মানেও তবুও অবনী তার পাশে শুয়ে আছে । অবনী অস্পর্শী
.
পরেরদিন সকাল 11 টায় ঢাকা সিলেট সড়কে আবার একটি এক্সিডেন্ট হয় ।গাড়ি ছিল অডি TT-R
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
Sábít বলেছেন: আমারতো অলরেডি দুই সপ্তাহ চার দিন হয়ে গেছে @সাকিব ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
সায়ানাইড সাকিব বলেছেন: ভাই বারদিন পর যখন প্রথম পাতায় চান্স পাবেন তখন বড় পোস্ট দিয়েন