কবিতার নাম - আত্নকথন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২১

আত্মকথন

০৯.১১.৯০

সাবিউল হক

মাঝে মাঝে আমি নিজের কাছে নিজেই দূর্বোধ্য হয়ে উঠি

আশ্চর্য রকম অচেনা মনে হয় নিজেকেই

যেন আমার চিরচেনা বইগুলির একটি

পথের পাঁচালী , সোনালী কাবিন কিংবা রূপসী বাংলা

যা প্রায়দিনই পড়ি অথচ দু’খানি পৃষ্ঠা পরস্পর জোড়া লেগে আছে

যা কখোনই খোলা হয় নি।

সেই অদৃশ্য আঠার মতো লোভ কিংবা হিংসার আড়াল উঠে গেলে

অনাবৃত নিজকে দেখে ঘৃণায় কুঁকড়ে ওঠে মন।



মাঝে মাঝে আমি নিজের কাছে নিজেই দূর্বোধ্য হয়ে উঠি

কারণ এখনো নিজকে নিজের কাছে সম্পূর্ণ পরিস্ফুট করতে পারি নি

যেমন আমার সেই চিরচেনা নারী যার একটুখানি সোনার আঙ্গুল

কিংবা কেবল পেছন থেকে হেঁটে যাওয়া

দেখলেই আমি বুঝতে পারি , ‘এই আমার প্রিয়তমা’।

তাঁকেও কি আমি সবটুকু দেখে সারতে পেরেছি ?



যখন নিজের কাছে নিজেই নগ্ন , অনাবৃত হয়ে যাই

সাদা পৃষ্ঠায় জমতে থাকে কুৎসিত কালির আঁচড়

তখন বেদনায় দুমড়ে মুচড়ে হাহাকার করে উঠে এই মন।

আমি যদি পারতাম পবিত্র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে

হৃদয়ের সেইসব অন্ধকার ঘর

যেখানে হিংসা , লোভ , কুৎসিত মনোবৃত্তি পেতেছে সংসার

তাহলে আলোর সেন্ট স্প্রে করে

নরম কোমল সব স¦প্নের ফুটিয়ে ফুল

নিজকে নিজে করে ফেলতাম সুগন্ধি আলোর গোলাপ ।

অথচ আমার হাতে লেগে আছে পাপ ।

শরীরে পাপের গন্ধ সুদৃশ্য পোষাক পরে করে আমি রেখেছি আড়াল।



মাঝে মাঝে আমি নিজের কাছে নিজেই দূর্বোধ্য হয়ে উঠি

আশ্চর্য এক অচেনা আমিকে নিয়ে আমার ভেতরে আমি করি বসবাস।

০ টি +০/-০