![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখানে যারা আছেন তাদের মধ্যে আমিই সর্ব কনিষ্ঠ। অর্থাৎ এখানকার সবাই আমার কিছু আগে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সবেমাত্র সকাল বেলা এখানে এসেছি। পরপারের নতুন বাসিন্দা আমি, তাই এখানকার হাবভাব এখনো ভালো করে বুঝে উঠতে পারিনি। পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ের স্বভাবটা এখনো দূর করা সম্ভব হয়নি আমার। তবে আশা করছি বিচার পুরোদমে শুরু হলে কেঁটে যাবে এই বদ স্বভাবটা। কোন স্বভাবটার কথা বলছি জানেন তো? ঐ যে ক্ষুদ্র জিনিস নিয়ে বিস্তর চিন্তা ভাবনা, কৌতূহল ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানে আমরা দশ জন রুম মেট। ভাগ্যক্রমে এর মধ্যে আমার ছেলেবেলার দুই বন্ধু বাবু এবং তুষারও আমার রুমেই স্থান পেয়েছে। এমনটা সবার ক্ষেত্রে সচরাচর হয়না। খুব সৌভাগ্যবান না হলে এপাড়ে এসে পরিচিতের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এছাড়া বাকী সাত জনের কাউকেই চিনি না আমি। তবে একজন আছেন যাকে অসংখ্যবার টেলিভিশনে দেখেছিলাম। আমার অনেক সৌভাগ্য বটে। একে তো ছেলেবেলার দুই বন্ধু, তার উপর আবার পৃথিবীর কয়েকজন নামী-দামী মানুষও এখানে এসে আমার রুমমেট হয়েছেন। যারা সে সময়ে দুনিয়াতে ব্যাপক দাপুটে ছিলেন।
সে যাই হোক। এতোক্ষণ যে রুমটার কথা বলছিলাম সেটার একটু বিবরণ দিয়ে নেয়া প্রয়োজন। এই রুমটা অনেকটা পৃথিবীর কারাগারের কয়েদিখানার মতো। পরপারের এই দুনিয়াটাতো বিশাল বড়। এখানে বেহেশত আছে, আছে জাহান্নামও। তবে আমরা এখন যেখানটায় আছি সেটা ঠিক বেহেশতও নয়, জাহান্মামও নয়। আসল কথা হলো, আমাদের মামলার (পাপ-পূণ্যের বিচার) এখনো চলমান। রায় হলেই নির্ধারিত হবে কে বেহেশতে যাবে, আর কে জাহান্নামে। বুঝলেন তো ব্যাপারটা, নাকি? অনেক সহজ করেই বলেছি, না বুঝলে কিছুই করার নেই।
এখানে এসে নতুন রুমমেটদের সাথে পরিচিত হয়ে ভালোই লেগেছিল। এখানে দশজনের মধ্যে একজন পৃথিবীতে চা বিক্রি করতেন, একজন ছিলেন টোকাই, ছিলেন একজন মৌলবি (হুজুর), ছিলেন রাজনীতিবিদ, ব্লগার (নাস্তিক), ডাক্তার, বিচারক (পৃথিবীর আদালতের), আমি, বন্ধু বাবু এবং তুষার।
দুপুর বেলায় সবাইকে একসাথে একই রকমের খাবার পরিবেশন করা হলো। সবাই খাবার খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। শুধু আমিই একটু অন্যমনস্ক ছিলাম। আমার দৃষ্টি বন্ধু বাবু’র দিকে। অদ্ভুত তৃপ্তিতে-গোগ্রাসে সে খাবার গিলছে যে, আমি কোনভাবেই চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। বেশ বড় লোকের ছেলে ছিলো সে। গঠন-গাঠনেও বেশ মোটা তাজা। বেশ ধর্নাঢ্য পরিবারের ছেলে হওয়াতে ভিনদেশী খাবারেই অভ্যস্ত ছিল সে। সাধারণ মানুষজন খায় এমন খাবার তেমন একটা পছন্দ ছিলনা তার। অথচ সেই বাবু’ই কিনা এই খাবার এতো স্বাচ্ছন্দ্যে গিলছে যে, অবাক না হয়ে উপায় ছিলো না। হ্যা, এখানে আসলে এমনই হয়। যার যেমনটাই অভ্যাস থাকুক না কেন তাকে তা পরিহার করে এখানকার নিয়ম মেনেই চলতে হবে। এবং এটাই অনিবার্য।
ওদিকে টোকাই নিতাইও খুব আয়েশ করে খাচ্ছে। ওর কারণটা অবশ্য বিপরীত। পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ের বেশীরভাগটাই কাটিয়েছে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে নেয়া মুখের খাবার খেয়ে। কখনো কখনো আবার ক্ষিদের জ্বালা মেটাতে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা খাবারও কুঁড়িয়ে খেয়েছে সে। নিঃস্বন্দেহেই এখনকার খাবার অনেক পরিচ্ছন্ন এবং তা তার কাছে সুস্বাদুও বটে। তাই খাওয়া শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেও ভুল করেনি রোগা ছেলেটা। তার কাছে ওপাড়ের চেয়ে এপাড়টাই বেশ ভালো ঠেকছে।
রমিজ মিয়া ঢাকার কমলাপুরে চা বিক্রি করতেন। তাই চা খাওয়ার অভ্যাসটাও ছিল তার অতিমাত্রিক। হোক সে দুপুর কিংবা রাতের খাবার, খাবার শেষে চা পেটে না পড়লে নাকি মাথা গোলমাল করতো তার। খাওয়া-দাওয়া শেষে লক্ষ্য করলাম তিনি কিছুটা অস্থিরভাবে ছটফট করছেন। আমি আবার একটু নরম প্রকৃতির মানুষ। কেউ কোন কারণে অস্থির হলে কিংবা ছটফট করলে দূরে রাখতে পারিনা নিজেকে। কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম কি হয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘দুনিয়াতে কতো মানুষরে চা খাওয়াইলাম। আর এখন নিজে এককাপ চাও পাইনা।’ কিছুটা দেরিতে হলেও বুঝলাম ব্যাপারটা। কোনভাবে স্বান্তনা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নিজের জায়গায় ফিরে এলাম। তবে মন থেকে বেচারার মলিন মুখচ্ছবিটা সরাতে পারলাম না। বারবার ইচ্ছে করছিলো রমিজ মিয়ার মুখে এক কাপ চা তুলে দেই।
বিকেল বেলা খেয়াল করলাম মৌলবি (হুজুর) সাহেব এককোণে বসে কাঁদছেন। একজন মানুষ কাঁদছে দেখে ভালো থাকার আগ্রহ হারালাম। হুজুর বয়সে আমার বেশ বড়ই হবেন। দেখতে বেশ ফরজগারই মনে হয়েছে আমার কাছে। কাছে গিয়ে উনার কাঁধে হাত রেখে জানতে চাইলাম তিনি কাঁদছেন কেন। ওমা, এতে তিনি আরো সজোড়ে কেঁদে উঠলেন। অনেক পীড়াপীড়ির পর অবশেষে বললেন, জাহান্নামের ভয়ে কাঁদছেন তিনি। আমি বললাম, আপনাকে তো দেখে বেশ ফরজগারই মনে হচ্ছে আমার। তবে ভয় পাচ্ছেন কেন? তিনি বললেন, ‘আমি আসলে প্রকৃত মাওলানা ছিলাম না। হুজুরের লেবাস পড়ে মানুষ ঠকিয়েছি মাত্র। কতো’শত ফতোয়া দিয়েছি। নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না, আমি জানি আমার জন্য জাহান্নাম অবধারিত।’ ব্যাটার কথায় আমি বেশ অবাক হলাম। এবং বুঝলাম, ‘দুনিয়াতে যে যাই করুক না কেন, এখানে এসে কেউ আর মিথ্যে কথা বলেন না। এপাড়ে মিথ্যের কোন স্থান নেই।’
দুনিয়া কাঁপানো রাজনীতিবিদ আসলাম সিকদার সন্ধ্যায় বসে বসে তসবিহ্ গুনছেন। ইনাকে দেখে বেশ কৌতূহল জাগলো মনে। দুনিয়াতে উনাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ না হলেও হাজার বার টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছিলাম। নির্লজ্জ রকমের মিথ্যাচার করতেন তিনি। কোন ঘটনা আমরা পুরো দেশের মানুষ একরকম করে জানলেও তিনি বক্তব্য দিতেন ঠিক তার উল্টোটা। ধরাকে সরা জ্ঞান করাই ছিলো উনার একমাত্র কাজ। এক মন কৌতূহল নিয়ে ধীর পায়ে কাছে গিয়ে বললাম, ‘আঙ্কেল আপনিও কি হুজুরের মতো ভয়ে আছেন?’ একই প্রশ্ন বেশ কয়েকবার করার পর কিছুটা বিরক্তি নিয়ে উত্তর করলেন, ‘কেন অযথা আমার সময় নষ্ট করছো তুমি? দুনিয়ার পাপ আর মিথ্যাচারের শাস্তি থেকে রেহায় পেতে আল্লার নাম জঁপছি। যাও বিরক্ত করো নাতো প্লিজ। আমার সময় কম! বিচার শুরু হওয়ার আগে আল্লাহ পাকের যতোটা সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় ততোই মঙ্গল।’ ভাবছি, বেচারা বুঝলেন ঠিকই। তবে অনেক দেরিতে। ‘আঙ্কেল গুনতে থাকেন আপনি, কোনরকম ব্রেক নেবেন না কিন্তু’- এই বলেই চলে এলাম উনার কাছ থেকে।
ব্লগার ভাই রুদ্রকে দেখে খুব মায়া হলো। আনমনে, নির্লিপ্তভাবে কি যেন ভাবছেন তিনি। চোখের কোণে জল টলমল করছে। ব্লগার দুই ধরনের, উনি ছিলেন নাস্তিক ব্লগার। আল্লাহ্, খোদা, আখিরাত এমনকি কোন ধর্মেই বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। তার মতে, দুনিয়ার কোন পাপ-পূণ্যের বিচার করার কেউই নেই। তাই বেঁচে থাকার সময়টাতে যতো রকমের পাপ ছিল তার সবই করেছেন তিনি। তবে তার এই মানা না মানায় কিছু যায় আসেনা সৃষ্টিকর্তার। শেষতক ভাইয়াটাকেও কিন্তু ঠিকই আসতে হলো অবিশ্বাস্য এবং অবধারিত এই গন্তব্যে। খুব ইচ্ছে করছিল ভাইটাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘আপনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন বলবেন কি? বিশ্বাস হলো তো, সৃষ্টিকর্তা কিংবা আখিরাত বলতে কিছু আছে। ধর্ম আছে।’ কিন্তু করলাম না, প্রশ্নগুলো মনে মনে চেপে গেলাম। এখন আর এসব প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই। হয়তো তিনিও উদাস মনে আল্লাহর নামই জঁপছেন। তাই উনার এই মূল্যবান সময় নষ্ট করাটা উচিত বলে বোধ করিনি।
রাতে খাবারের পরই ডাক্তারের পেটে একটু সমস্যা দেখা দিল। আমার বাঁ পাশেই ডাক্তার সাহেব শুয়ে আছেন। দুনিয়াতে মস্ত মাপের ডাক্তার ছিলেন ভদ্রলোক। কাছে এসে আমাকেই বললেন উনার সমস্যার কথা। সাথে পরামর্শও চাইলেন তিনি। আমি বিস্মিত না হয়ে পারলাম না। নিজে ডাক্তার হয়ে আমার কাছে পরামর্শ চাইছেন। আমি বললাম, ‘আপনি না ডাক্তার ছিলেন?’ রেগে মেগে ডাক্তার সাহেব আমাকে উত্তর করলেন- ‘ঐসব বিদ্যা এখানে কোন কাজে লাগে না, বুঝলেন???? ঈমান-আমল ব্যতীত পৃথিবীর অন্য সমস্ত অর্জন ওখানেই রেখে আসতে হয়।’ আমি তো পুরাই হতভম্ব ডাক্তারের কথা শুনে!
কাল আমার মামলা (পাপ-পূণ্যের বিচার) চালু হবে। এ নিয়ে নিজেও অনেকটা ভয়ে আছি। বুঝতে পারছিনা যে, আমার পাপ কাজের পাল্লাটা ভারী হবে নাকী পূণ্যেরটা। এই ভেবে ঘেমে অস্থির হলাম। অবশেষে বিচারক আফজাল সাহেবের কাছে গেলাম কোন পাপের সাজা কেমন হবে জানতে। ভাবলাম তিনি বিজ্ঞ মানুষ। সারাজীবন হাজার হাজার মানুষের রায় দিয়েছেন, হয়তো কিছু বলতে পারবেন। তবে উনার কাছে গিয়ে বুঝলাম উনি এ ব্যাপারে আমার চেয়েও নির্বোধ। তিনি বললেন, ‘নিজেই তো জানিনা আমার নিজের বিচার কেমন হবে। আপনারটা কি করে বলবো বলেন? আমি তো এইসব নিয়ে পড়াশুনা করিনাই। আমি তো দুনিয়ার বিচার সম্পর্কে জানতাম।’ আমি হতাশ হয়ে ফিরে এলাম। বুঝলাম, পৃথিবীতে তিনি যতো বড় আদালতের বিচারকই হোন না কেন এখানে তিনি আমার মতোই সাধারণ।
বন্ধু তুষারের দিকে তূকিয়ে দেখলাম নিশ্চিন্তেই ঘুমুচ্ছে সে। ওর ঘুম ঘোর চেহারাটা দেখে মন ভরে গেল আমার। অনেক স্মার্ট ছেলে ও। জীবনের অর্ধেক সময়টাই মেয়েদের ঠকিয়ে ঠকিয়ে কাটিয়েছে সে। মেয়েরাও ওর স্মার্টনেস দেখে সাত-পাঁচ না ভেবে ওর প্রেমে পড়ে যেতো। ফলাফল সর্বনাশ। কতো মেয়েকে যে কাঁদিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। অবশ্য পরবর্তী অর্ধেক সময়টাতে বেশ ফরজগার হয়ে গিয়েছিল সে। ফরজগার হওয়ার কারণাও কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। বলি তাহলে। পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে একদিন রাতে সে আমাকে ফোন করে বললো- ‘বন্ধু আমার জন্য একটা ভালো মেয়ে দেখ, বিয়ে করবো।’ জানতে চাইলাম কেমন ভালো। উত্তরে বললো, ‘সুন্দরী এবং চরিত্রবান হলেই হবে।’ ওর এই কথার উত্তরে সেদিন বলেছিলাম, ‘তুই নিজে কতোটা চরিত্রবান একবার ভেবে দেখেছিস? নিজে এমন খারাপ চরিত্রের হয়ে কিভাবে একজন ভালো জীবন সঙ্গী আশা করিস?’ বন্ধু হয়তো সেদিন আমার কথায় কষ্ট পেয়েছিলো। সে যাই হোক, তো সেদিন আমার ঐ কথা শোনার পর বন্ধু তার চরিত্র পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলো। বলেছিলো সে ভালো হয়ে যাবে এবং ফরজগার হয়ে যাবে। কারণ জানতে চাইলে সে উত্তরে যা বললো তাতে আমি টাস্কি খেয়েছিলাম। বলেছিল- ‘বন্ধু তুই জানিস, বেহেশতে নাকি একজন পুরুষকে ৭০টি করে হুর দেয়া হবে। বুঝিস তুই হুর কি? হুর হলো জান্নাতের পরী! বুঝলি, জান্নাতের পরী! সুতরাং চরিত্রবান না হলে ঐটা মিস করবো রে!’ জানিনা আমার বন্ধুর এই মনোবাসনা পূর্ণ হবে কিনা।
রাতের তখন মধ্যভাগ। এতোক্ষণে আমার মনে পড়লো প্রিয় টুকটুকির কথা। আগে ঠিক এই সময়ে রোজ ওকে ফোন দিতাম। মাঝে মাঝে স্কাইপেও দেখা হতো। এখানে তো আর ফোনও নাই, স্কাইপি নাই। কোনরকম কোন বন্দোবস্তও নাই যে, একটু দেখবো পরীটাকে। অবশ্য এসবের ব্যবস্থা থাকলেও একটা বিপত্তি ছিল। আল্লাহ্ যদি আমার উপর সদয় হয়ে এখনই ওকে ফোন দেয়ার একটা ব্যবস্থা করেও দেন, আর আমি যদি সত্যিই তাকে এখন একটা ফোন দেই তবে সে ফোনটা রিসিভ করেই প্রথমে রেগে-মেগে বলবে- ‘তুমি ওখানে গিয়েও আমাকে জ্বালাচ্ছো????’ ও আসলে এমনই। বেশ রাগী ছিল আমার বউমণিটা। তবে রাগী হলেও কিন্তু বেশ সংসারী ছিল আমার টুকটুকি। জানেন, ও-ই আমার হুর। বড্ড মিস করছি আমার পরীটাকে। জানি না আমার বিচার শেষে রায় কি হবে। বিচার শেষে আল্লাহ্-পাক যদি আমাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেন তবে যেন ঐ ৭০টা পরীর বিনিময়ে আমাকে আমার টুকটুকিকে দেয়া হয়। আল্লাহর কাছে আমার এই একটাই প্রার্থনা। আর এই জন্যই তো বেঁচে থাকার সময়টাতে চরিত্র বিক্রি করিনি।
বিঃ দ্রঃ- এটি নিছক একটি গল্প মাত্র। তবে উপলব্ধি করতে পারলে হয়তো কিছুটা শিক্ষা নেয়া যেতে পারে। অনুগ্রহ করে ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। কোন বিতর্কের জন্য নয়; শুধুমাত্র নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্যেই এবারের গল্প।
©somewhere in net ltd.