নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুন সমাজের অধিকাংশই যেভাবে মগজ ধোলাইয়ের শিকার হচ্ছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

আজকাল দেখতে পাচ্ছি কতিপয় ছেলেরাও মেয়েদের মতোই রূপচর্চার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। এই ব্যাপারটা দেখে ট্রয়লিটিজ কোম্পানি সফলতার পরিমানটা আন্দাজ করতে পাচ্ছি।
এখন আর আগের মতো শুধুমাত্র মেয়েদের সুন্দরী প্রতিযোগিতাই হয়না এখন ছেলেদের ও হয়। সেখানে নামটা হয়তো ভিন্ন থাকে। এইতো কিছুদিন আগে দেখলাম ছেলেদের ও সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে যার নাম দেয়া হয় আল্টিমেট হিরো। খোলাখুলি ভাবে বললে ঐ প্রতিযোগিতার সমস্ত ব্যায় ফেয়ার এন্ড লাভলি মেন্জ এর পক্ষথেকে বেয়ার করা হয়।
হ্যা এটা ঠিক, এর মধ্য দিয়ে দুই-তিন জন সাময়িক সময়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে যাবে আর অনেকের মগজেই ফেয়ার এন্ড লাভলী মেন্জ ব্যাবহার করে স্মাট হওয়ার প্রবনতা খুব সুক্ষ ভাবেই ঢুকে যাবে। শুধু এটুকুতেই শেষ না আরো অনেক কাজ করতে হবে তিন বেলা করে ফ্রেস ওয়াশ দুই-একদিন পর পর শষা গাজর ব্লা..ব্লা আরো কতোকি মুখের উপর ঘষতে হবে, হা..হা।
হ্যা! একটু ফিটফাট থাকার প্রয়োজন আছে, তার জন্য আয়না আর দুটো হাতই যটেষ্ট। আসলে স্মাটনেস কি চেহারার উপর ডিপেন্ড করে? হ্যা, চেহারার উপর একটা জিনিস ডিপেন্ড করে আর তা হল বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ( যে নিজেও রূপচর্চার মাধ্যমে স্মাট এমন টাইপের) সহজেই পটানোর ব্যাপারটা। কিন্তু এই এই স্মাটনেস আর হ্যান্ডসামতা দিয়ে কেউ জীবনে সফল হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। সফল ব্যক্তিগন তাদের মেধা আর কঠোর শ্রমকে কাজে লাগিয়েই সফল হয়েছে।
এক ফ্রেন্ডের কথা মনে পরে গেলো ও অন্য ডিপার্টমেন্টে পড়তো কিন্তু আমার খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড। একবার পরিক্ষার হলে ওদের রুমে ক্লোজ বয়সের সদ্য পাশ করা এক সুন্দরী ম্যাম গার্ড দিচ্ছিলো, ও লেখা বাদ দিয়ে ম্যাডামের দিকে বার বার তাকাচ্ছিলো ব্যাপারটা ম্যাডাম দেখতে পেলো অতঃপর ওর কাছে এসে বললো দ্যাখো লেখাপড়াটা ঠিক মতো করো আরো অনেক সুন্দর কাউকে পাবে। আসলেই ম্যাডাম সহজেই ওকে বেশ মূল্যবান কথাই বলছিলো।

যাই হোক কাম ব্যাক দ্যা পয়েন্ট,
আবার দেখতে পাচ্ছি মোবাইলের সিম কোম্পানি গুলো বিভিন্ন রোমান্টিক নাটকে স্পন্সর করে। এতে করে একত্রে দুইটা জিনিসের মার্কেটিং হচ্ছে একটা হলো তাদের কোম্পানির মার্কেটিং দ্বিতীয় টা হল প্রেম মার্কেটিং। এই প্রেম মার্কেটিং ব্যাপারটাও বেশ ভয়ঙ্কর তাইনা।
না! তারা বেশি কথাবলার কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে না কারন এখান থেকে শুধু মাত্র তাদের ব্রান্ডের প্রচার ছাড়া আর কিছুই হবে না। তারা চায় মানুষে বেশি বেশি করে মোবাইলে কথা বলুক, যেটা প্রেমের মাধ্যমেই খুব ইজিলি সম্ভব। আর এ জন্যই তারা এই পন্থাটা বেছে নিয়েছে।
বর্তমানে এমনো ফ্রেন্ড সার্কেল রযেছে যেখানে কে কত জিনিয়াস তা পরিমাপ করা হয় কে কতগুলো রিলেশন করলো তার উপর। বর্তমান সময়ে একাধিক রিলেশন নামক ব্যাপারটা একেবারেই ডাল-ভাতের মতোই। এগুলা যে না করতে পারবে সে ক্ষ্যাত।

এই প্রেম ব্যাপারটা এখন দুটি ভাগে বিভক্ত
১। রিয়্যেল
২। সময় কাটানো

প্রথমটার ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। দ্বিতীয় টার ব্যাপারে শুধু এটুকুই বলবো সময় কাটানোর জন্য এই সময় কাটানো প্রেম নামক ব্যাপারটাও একটা কারন, যে আজও সামান্য একটা সুঁইও আমাদের বাহির থেকে আমদানি করতে হয়।
যদিও এর আরো অনেক কারন আছে, যেমন অনেক ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতির নেমপ্লেট লাগিয়ে মারামারি - কাটাকাটি, চাঁদাবাজি- টেন্ডারবাজি ব্লা..ব্লা...ব্লা... ইত্যাদি নিয়ে ব্যাস্ত।
যাই হোক, এতো কিছুর মধ্যেও কিছু ছাত্র তাদের ছাত্র জীবনের ইবাদতটা ঠিকমতো করে যাচ্ছে। কিছু তরুন মেধার আর শ্রম দিয়ে চেষ্টা করছে নতুন কিছু করার । এই মানুষ গুলোর জন্যই দেশটা প্রতিনিয়তই শপ্ন দ্যাখে। এদের কারনেই দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে এদের কারনেই এগিয়ে যাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

ইসমাম মাহমুদ বলেছেন: লেখা গুলো খুবই ভালো লেগেছে, অন্তত পড়ার সময় গুলো বৃথা যাবে না। কারণ লিখা গুলো মোটিভেটিভ ছিলো।
খুব সুন্দর লিখেছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ইসমাম মাহমুদ। আপনাদেন উৎসাহই আমার পরবর্তী লেখার প্রেরণা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.