নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎএর যে বিষয়টি প্রত্যেকের জানা অবশ্যক

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৯



বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে বিদ্যুৎ বিহীন আধুনিক বিশ্ব কল্পনা করুণ তো! অসম্ভব! এ কথা বলাই যায়, বিদ্যুৎ শক্তি ব্যতিত বর্তমান সভ্যতা অচল। অথচ এটি খুবই বিপদজনক, যা মুহূর্তের মধ্যেই কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর নিরাপত্তা সম্পর্কে জানা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হয়ে নিহতের খবর পাওয়া যায়। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কখনোই কাম্য হতে পারে না, প্রতিটা জীবনই মুল্যবান। তাই সর্বসাধারণের জন্য খুব সহজ ভাষায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণ রক্ষার বিষয়ে কিছু লিখতে চাই।

একটা সময় শর্টসার্কিট এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহের হাত থেকে বৈদ্যুতিক সারঞ্জামকে রক্ষা করতে অর্থাৎ বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাসাবাড়িতে ফিউজ ব্যবহার করা হতো। অনেকে আবার একে কাটআউটও বলে থাকে।

ফিউজ কি?
ফিউজ মূলত একটা চিকন তার, যার মধ্যেদিয়ে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তারটি পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে দুর্ঘটনার হাতে থেকে ঘরের বৈদ্যুতিক সারঞ্জাম রক্ষা পায়।

বর্তমানে ফিউজের ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে, বিপরীতে সার্কিট ব্রেকারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা দেখতে অনেকটাই সুইচের মতো এবং একে সুইচ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ফিউজ যে কাজ করতো সার্কিট ব্রেকারও একই কাজ করে। অর্থাৎ শর্টসার্কিট বা নির্ধারিত মানের চেয়ে অধিক বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে সার্কিট ব্রেকারে সুবিধা হল, এটাকে সুইচ হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এবং ফিউজের মতো বারবার তার লাগানোর ঝামেলা নেই। এজন্য বর্তমানে ফিউজের পরিবর্তে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়।

বাসাবাড়িতে আমরা যেসব সার্কিট ব্রেকার ব্যাবহার করি সেগুলো MCB (Miniature Circuit Breaker)। এছাড়াও বড় বড় এপার্টমেন্টের মেইন লাইন, যেখানে ১০০ এম্পিয়ার বা এরও বেশী কারেন্ট থাকে সেখানে MCCB (Moulded Case Circuit Breaker) ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু কথা হচ্ছে ফিউজ কিংবা সার্কিট ব্রেকার, এর কোনোটাই আপনাকে বৈদ্যুতিক শক হতে রক্ষা করতে পারবে না। আগেই বলেছি, এর কাজ হচ্ছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ এবং শর্টসার্কিটের হাত থেকে বৈদ্যুতিক সারঞ্জামকে রক্ষা করা।

কোন ব্যক্তিকে যখন বৈদ্যুতিক লাইনে ধরে বসে, তখন যদি সঙ্গে সঙ্গে মেইন সুইচ অফ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেইন সুইচ অফ করার জন্য আশেপাশে তেমন কেউ থাকে না, কিংবা থাকলেও দিশাহারা হয়ে পরে, ফলে করণীয় বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

বৈদ্যুতিক শক হতে মানুষকে রক্ষা করতে কি ব্যবহার করতে হবে?
এজন্য সার্কট ব্রেকারের পাশাপাশি একটি RCCB (Residual Current Circuit Breaker) ব্যবহার করতে হবে। এটাকে আবার RCD ( Residual Current Device) ও বলা হয়ে থাকে।


আমরা বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক লাইনে ফেজ এবং নিউট্রল নামে দুটো তার দেখি। যার একটি দিয়ে কারেন্ট এসে ব্যাবহৃত লোড (বাতি, পাখা, টিভি, ফ্রিজ, এবং অন্যান্য যা যা আছে) হয়ে অন্য তার দিয়ে বের হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী ফেজ তার দিয়ে যে পরিমাণ কারেন্ট আসবে ঐ একই পরিমাণ কারেন্ট নিউট্রল তার দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। এর ব্যাতিক্রম হলে, অর্থাৎ দুই তারের মধ্য কারেন্টের তারতম্য হলে সঙ্গে সঙ্গে RCCB/RCD স্বয়ংক্রিয় ভাবে অফ হয়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
এবার লক্ষ করুন, যখন কোন ব্যক্তি বৈদ্যুতিক লাইনে শক প্রাপ্ত হয়, তখন কিছু পরিমান বিদ্যুৎ ঐ ব্যক্তির শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর মানব দেহে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে ফেজ এবং নিউট্রল তারের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহে তারতম্য হয়। আমারা ইতিমধ্যেই জেনেছি দুই তারের মধ্য বিদ্যুৎ প্রবাহে পার্থক্য হলে RCCB/RCD স্বয়ংক্রিয় ভাবে অফ হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে প্রাণহানি রক্ষা পাওয়া যায়।
আপনার বাড়িতে সার্কিট ব্রেকারের পাশাপাশি RCCB/RCD ব্যবহার করেছেন কি?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: এসব তো কম বুঝি। মিস্ত্রীকে বলেছি যেটা ভালো হয়, সেটা করো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



এটা গুরুত্বপূর্ণ, নিচের ছবির সাথে মিলিয়ে দেখুন এমন কিছু লাগানো আছে কিনা। না থাকলে মিস্ত্রিকে দেখিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

দেব জ্যোতি কুন্ডু বলেছেন: বেশ ভালো তথ্য পেলাম

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ধন্যবাদ, ভালো থাকুন এবং সতর্ক থাকুন

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ,




ভালো লেখা।
বিদ্যুৎজনিত দূর্ঘটনার জন্যে আর কি কি ধরনের সতর্কতা দরকার সে সম্পর্কেও লিখলে আমাদের জানা হবে, সচেতন থাকতে পারবো।
এছাড়াও বিদ্যুতের ব্যবহার (কম বিদ্যুৎ খরচ) কিভাবে করলে সাশ্রয়ী হবে সে সম্পর্কে লিখলেও উপকার হবে ।
আপনি "প্রকৌশলী" বলেই এইসব বিষয়ে জানতে চাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আরো অনেককিছুই করার আছে, কিন্তু আমাদের দেশে এসব করা হয় না। শর্টকাটে যেটা করা যায় সেটা বললাম আরকি। ভবিষ্যতে আরো লেখবো ইনশা-আল্লাহ্।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সস্তায় কিভাবে বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



জল বিদ্যুৎ। তবে বংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম বিদ্যুৎ হচ্ছেে সৌর বিদ্যুৎ। চাইলে আপনিও এককালীন খরচ করে বাসায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করে নিতে পারেন, তাহলে আর মাসে মাসে বিল দিতে হবে না এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবেন।
১০১৮ সালে কুষ্টিয়াতে বর্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একটা সার্ভে করেছিলাম। ঐটা হয়তো আলোর মুখ দেখবে না, কারণ সেটা বাণিজ্যিক ভাবে সাশ্রয়ী হবে না। তবে সরকার চাইলে পরিক্ষামূলক ভাবে একটা প্লান্টে করাই যেত।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৭

বংগল কক বলেছেন: সস্তা বিদ্যুতের নামে বন্ধুরাষ্ট্র নাকি জলবিদ্যুৎ গছাইতে চাচ্ছে? পদ্মা-তিষ্তার পরে বাকি নদীর পানি যা আছে সেইটাও লুটের ধান্দা (আন্ত নদী সংযোগ প্রকল্প)।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১১

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: বিদ্যুৎ দরকার নাই, পানি দরকার। বোঝাই যাচ্ছে বন্ধু পানি দেবে না। চীন অবশ্য Teesta River Comprehensive Management & Restoration Project নামে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



স্বাগতম

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৫

লাতিনো বলেছেন: কোন ব্যক্তি তড়িতাহত হলে ফেজ এবং নিউট্রালের মধ্যে বিদ্যুতের তারতম্য হয় বলছেন। কিন্তু কোন ইলেক্ট্রিক পণ্যে যখন ইলেক্টিসিটি কনজিউম হয়, তখন তারতম্য হয়না? ফ্যান, লাইট বা টিভি - এগুলো কন বিদ্যুৎ কনজিউম করেনা?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




যেই পরিমান কারেন্ট কোনো লোডে (ফ্যান, লাইট বা টিভি) ঢোকে একই পরিমান কারেন্ট বের হয়ে আসে। এখন কথা হচ্ছে কারেন্ট কি? কারেন্ট মানে চলমান । এখন কথা হচ্ছে কি চলমান? সেটা হচ্চে ইলেক্ট্রনের চলাচল। এখন কথা হচ্ছে ইলেক্ট্রন কি? ইলেক্ট্রন হচ্ছে পরামানুর মধ্যে থাকা ঋণাত্মক আধান বা চার্জ।
সহজ করে বললে, একটা পাইপের মধ্যে ১০০টা মার্বেল ঢুকিয়ে যদি অনাবরত বল প্রয়োগ বা ঠেলা দেয়া হয় তাহলে ১০০টা মার্বেলই কিন্তু পাইপের অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হবে যদি মাঝখানে কোনো ছিদ্র না থাকে । এখানে পাইপ হচ্ছে তার, মার্বেল হচ্ছে ইলেক্ট্রন, ল প্রয়োগ বা ঠেলা হচ্ছে ভোল্টেজ। তারে যদি লিকেজ না থাকে তবে ওঁই পরিমান ইলেক্ট্রন বেরিয়ে আসবে

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫৫

লাতিনো বলেছেন: ভাই, আমি এইটা জানি। যেইটা জানিনা সেইটা হল বিদ্যুৎ যদি একজন মানুষের শরীরের ভিতর দিয়ে যায়, তাহলে মানুষ কি সেই বিদ্যুৎ খেয়ে ফেলে? সেখান থেকে কি নিউট্রালে কোন লোড যায়না? যেরকম ফ্যান বা লাইটের ক্ষেত্রে যায়?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আর্থে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.