নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় টানা তিনদিন ধরে নিরপরাধ ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা। দখলদারদের এমন তাণ্ডবের প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফুঁসলেও এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের সুর অনেকটাই নমনীয়। ইসরাইলি তাণ্ডব নিয়ে তেমন কিছু না বললেও তারা সরব হয়েছে তিনদিন পর ইসরাইলের দিকে হামাসের রকেট ছোড়া নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো এ বিষয়ে প্রায় একই ধরনের কথা বলছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টো সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসরাইলে একঝাঁক রকেট হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, জেরুজালেমসহ ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ জায়গাগুলোতে হামাসের রকেট হামলার নিন্দা করছে যুক্তরাজ্য।
রোমান এবং বাইজেন্টাইন আমলে এই পশ্চিমারা শাসকরা যেমন অসভ্য ছিলো, এখনো তেমনটাই আছে, শুধু খোলস বদল করেছে মাত্র। সে সময় ধর্মকে ব্যাবহার করে নিজ জাতীকে শোষণ করেছে। এখন ধরন পাল্টে মানবতার মুখোশ পড়ে, বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়াচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যে বাঁধা দিবে বা প্রতিবাদ করবে সেই হবে জঙ্গি
১৪ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন পড়লে অবাক হবেন।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র ১৫ টি। পাঁচটি স্থায়ী (আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স) সদস্য, যারা গায়ের জোরে সিলেক্টেড। ১০টি সদস্য ২ বছর মেয়াদে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত। ৫+১০=১৫
কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হলে এই ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৯ টি রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট লাগে। এবং এই ৯টি 'হ্যা' ভোটের মধ্যে গায়ের জোরে সিলেক্টেড পাঁচটি রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট অবশ্যই লাগবে। আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত ১০ টি সদস্য রাষ্ট্রের যেকোন চারটি নির্বাচিত রাষ্ট্রের 'হ্যা: ভোট হলেই সন্ত্রাসী যেকোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া যায়।
অর্থাৎ প্রস্তাব পাশ হতে ১৫টি রাষ্ট্রের ৯টির হ্যা ভোট লাগে। কিন্তু কলমের প্যাচ ঐখানেই, ৯টির মধ্য ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের হ্যা ভোট অবশ্যক।
ধরুন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ টি রাষ্ট্রের ১৪ টি'ই হ্যা ভোট দিলো, কিন্তু 'না' ভোট দেয়া একমাত্র রাষ্ট্রটি স্থায়ী সদস্য অর্থাৎ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এর যেকোনো একটি। তবে ১৪জন 'হ্যা' ভোট দিলেও ঐ প্রস্তাব পাশ হবে না!!!
এটাই জাতিসংঘের গণতন্ত্র, সারা পৃথিবীর সকল রাষ্টের ভোটে নির্বাচিত ১০ টি রাষ্ট্রের ৬ টি'ও যদি 'না' বলে তাও প্রস্তাব পাশ হবে, আর বিনা ভোটে গায়ের জোরে সিলেক্টেড ৫টি রাষ্ট্রের ১ টি রাষ্ট্রও যদি 'না' বলে তবে ঐ প্রস্তাব পাশ হবে না।
এ পর্যন্ত মনেহয় শতবারের মতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে জাতিসংঘে প্রস্থাব উঠেছে, প্রতিবারই আমেরিকা ভেটো দিয়েছে। যেহেতু জাতিসংঘের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঁচটি স্থায়ী রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট বাধ্যতামূলক, তাই সারা বিশ্বের সব দেশও যদি বলে হ্যা বিপরীতে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য অথবা ফ্রান্স, এর একটি রাষ্ট্রও যদি বলে 'না', তবে না'ই জয় যুক্ত হবে। এই হচ্ছে জাতিসংঘের হাস্যকর গণতন্ত্র।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী রাষ্ট্র সিলেকশনে আয়তন এবং জনসংখ্যা বিষয়টাতো আরো মজার।
আয়তনে সর্ববৃহৎ এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫৯.৬৯% মানুষের এশিয়া মহাদেশ হতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মাত্র ১টি
জনসংখ্যা এবং আয়তনে দ্বিতীয় (পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬.৩৬%) আফ্রিকা মহাদেশ হতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো দেশই নেই
অথচ জাতিসংঘ নিরপত্তা পরিষদে ৫টি দেশের ৩টি'ই আয়তনে ষষ্ঠ এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯.৯৪% এর ইউরোপ মহাদেশ হতে নেয়া।
এতো গেল আয়তন এবং জনসংখ্যা হিসাব, এবার ধর্মিও দিকটা একটু দেখি
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্ম ইসলাম হতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী কোনো সদস্য নেই। তৃতীয় বৃহত্তর ধর্ম হিন্দু ধর্ম হতেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী কোনো সদস্য নেই। একমাত্র চিন বাদে অন্য চারটিই খৃস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ (খৃস্টান ধর্মের সাধারণ মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে, সমস্য হলো তাদের শাসকগোষ্ঠী, যারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করছে।)
সেই জাতিসংঘ কি কি করতে পারে বুঝে নিন।
২| ১৪ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:৫৪
জিকোব্লগ বলেছেন:
আরব বিশ্বের উপর নির্যাতিত অনেক বাংলাদেশী নারীর কান্নার
অভিশাপ আছে। এখন আরবদের কান্নার অভিশাপ ইসরায়েল
পাচ্ছে।এর প্রতিদানে ভবিষ্যতে ইসরায়েল হয়তো কষ্টতে ভূগবে।
১৪ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এজন্য সৌদি আরবকে হিসেব দিতে হবে
৩| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩৩
পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: সৌদি ভ্যারতিওদের বাঁচাতে অক্সিজেন দিলো, আর ভ্যারতিওরা মুসলিমদের মারতে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ালো
১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ভেঙ্গেছে কলসির কোনা, তাই বলে কি প্রেম দেব না!!
৪| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩২
অনল চৌধুরী বলেছেন: অধিকৃত এলাকা থেকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ইসরাইলকে সরানোর জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয়েছিলো। কিন্ত সেটা কে বাস্তবায়ন করবে?
ইরাকে , আফগানিস্তান, লিবিয়া সিরিয়াতে হামলা হয়, কিন্ত ইসরাইল নিরাপদ থাকে। কারণ অত্যাচারিত হলেও মুসলমান নামধারীরা নির্বোধ এবং শত ভাগে বিভক্ত। তাই তারা কখনোই একসাথে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এটা ওরাও জানে।
পারলে অনেক আগেই এ্যামেরিকা অঅর ইসরাইলকে শায়েস্তা করা যেতো।
১৫ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে যে আমেরিকা আছে।
জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন পড়লে অবাক হবেন।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র ১৫ টি। পাঁচটি স্থায়ী (আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স) সদস্য, যারা গায়ের জোরে সিলেক্টেড। ১০টি সদস্য ২ বছর মেয়াদে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত। ৫+১০=১৫
কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হলে এই ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৯ টি রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট লাগে। এবং এই ৯টি 'হ্যা' ভোটের মধ্যে গায়ের জোরে সিলেক্টেড পাঁচটি রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট অবশ্যই লাগবে। আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত ১০ টি সদস্য রাষ্ট্রের যেকোন চারটি নির্বাচিত রাষ্ট্রের 'হ্যা: ভোট হলেই সন্ত্রাসী যেকোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া যায়।
অর্থাৎ প্রস্তাব পাশ হতে ১৫টি রাষ্ট্রের ৯টির হ্যা ভোট লাগে। কিন্তু কলমের প্যাচ ঐখানেই, ৯টির মধ্য ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের হ্যা ভোট অবশ্যক।
ধরুন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ টি রাষ্ট্রের ১৪ টি'ই হ্যা ভোট দিলো, কিন্তু 'না' ভোট দেয়া একমাত্র রাষ্ট্রটি স্থায়ী সদস্য অর্থাৎ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এর যেকোনো একটি। তবে ১৪জন 'হ্যা' ভোট দিলেও ঐ প্রস্তাব পাশ হবে না!!!
এটাই জাতিসংঘের গণতন্ত্র, সারা পৃথিবীর সকল রাষ্টের ভোটে নির্বাচিত ১০ টি রাষ্ট্রের ৬ টি'ও যদি 'না' বলে তাও প্রস্তাব পাশ হবে, আর বিনা ভোটে গায়ের জোরে সিলেক্টেড ৫টি রাষ্ট্রের ১ টি রাষ্ট্রও যদি 'না' বলে তবে ঐ প্রস্তাব পাশ হবে না।
এ পর্যন্ত মনেহয় শতবারের মতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে জাতিসংঘে প্রস্থাব উঠেছে, প্রতিবারই আমেরিকা ভেটো দিয়েছে। যেহেতু জাতিসংঘের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঁচটি স্থায়ী রাষ্ট্রের 'হ্যা' ভোট বাধ্যতামূলক, তাই সারা বিশ্বের সব দেশও যদি বলে হ্যা বিপরীতে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য অথবা ফ্রান্স, এর একটি রাষ্ট্রও যদি বলে 'না', তবে না'ই জয় যুক্ত হবে। এই হচ্ছে জাতিসংঘের হাস্যকর গণতন্ত্র।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী রাষ্ট্র সিলেকশনে আয়তন এবং জনসংখ্যা বিষয়টাতো আরো মজার।
আয়তনে সর্ববৃহৎ এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫৯.৬৯% মানুষের এশিয়া মহাদেশ হতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মাত্র ১টি
জনসংখ্যা এবং আয়তনে দ্বিতীয় (পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬.৩৬%) আফ্রিকা মহাদেশ হতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো দেশই নেই
অথচ জাতিসংঘ নিরপত্তা পরিষদে ৫টি দেশের ৩টি'ই আয়তনে ষষ্ঠ এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯.৯৪% এর ইউরোপ মহাদেশ হতে নেয়া।
এতো গেল আয়তন এবং জনসংখ্যা হিসাব, এবার ধর্মিও দিকটা একটু দেখি
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্ম ইসলাম হতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী কোনো সদস্য নেই। তৃতীয় বৃহত্তর ধর্ম হিন্দু ধর্ম হতেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী কোনো সদস্য নেই। একমাত্র চিন বাদে অন্য চারটিই খৃস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ (খৃস্টান ধর্মের সাধারণ মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে, সমস্য হলো তাদের শাসকগোষ্ঠী, যারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করছে।)
সেই জাতিসংঘ কি কি করতে পারে বুঝে নিন।
৫| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
বিশ্বের মুসলিম দেশ গুলো এক না। কারো জন্য কারো মায়া নেই।
১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
একেবারেই সত্যি কথা। সবগুলো শাসকই, অযোগ্য অদক্ষ, গদি নিয়ে সর্বক্ষন টেনশনে থাকে। বিশেষ করে সৌদি হতে সৌদের
পরিবারকে টেনে নামানো দরকার
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: জাতিসংঘ কি করছে?