নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৮ সালেই ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবার ভোটার হইয়া নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দিছিলাম, ঐটাই আছিলো প্রথম এবং শেষ অংশগ্রহণ। এরপর এক যুগ পার হইতে চললো, আর ভোট দিবার পারিনি! হঠাৎ কইরা আজ সকালে নৌকায় ভোট দ্যাওনের আর্জি নিয়ে বাড়ির উঠানে এলাকার পোলাপান আইসা হাজির। অবস্য ফিরি না, লাভ সমেত যাতায়াতের রিক্সা ভাড়াও নাকি দিয়া দিবো।
কী রোমান্টিক একটা আবহাওয়া, এ সময় ঘরে বসে বৃষ্টি উপভোগের চাইতে বেশি লাভ আর অন্যকিছুতে আছে বলে মনে অয় না!
বাইদ্যাওয়ে, নিশ্চই ভাবতাছেন, এখন আবার কিসের সংসদ নির্বাচন?
মনে আছিনি, কিছুদিন আগে পাপলু নামের এক বাটপার এম্পি বাটপারির দায়ে কুয়েত সরকারের হাত 'মফিজ কট' হইছিল? মাল্ডা আমদের আসনেরই ছিল।
বেচারা ফইন্নি আছিলো, কুয়েত গিয়ে বাটপারি কইরা অনেক ট্যকা চুরি কইরা ধনী অয়। এরপর এম্পি হওয়ার ইচ্ছে জাগে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে 'আপেল' মার্কা নিয়ে নির্বাচনেও খাড়ায়। এম্নিতে তো ভোট পাবে না, কারণ ওরে কেউ চেনেও না। এমতাবস্থায় মহাজোট (আম্লিগ) সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থিকে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নিদ্রিষ্ট অংকের ট্যকা দিয়ে মাঠেত্তে সরায় দিয়া স্থানীয় আম্লিগ চ্যালাপ্যালারে ট্যকা দিয়া আম্লিগের সমর্থন নেয়। এমন একটা সময় কাজটা হয়, তহন আম্লিগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেউ চাইলেও নতুন কইরা নির্বাচনে খাড়াইবার পারবো না। এজন্য আম্লিগের মনোনয় প্রত্যাশীরার তহন চুপচাপ মাইনা নেয়, এবং তারা খেলাডা খ্যালে নির্বাচনের পর।
(প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দ্যাখছি) মিথ্যা বলুম না, অন্যসব জায়গার মতো এইহানেও রাতে ভোট হইছে কিনা কইবার পারুম না। তয় দিনে ভোট দেয়ার শর্ত আছিলো, হগ্গোলের সামনেই আপেল (তখন আপেলই নৌকা) মার্কায় সিল দিতে অইবো, অন্যথায় ভোট দিতে দেওয়া অইবো না।
যাইহোক, ভোট শেষে পাপলু বাটপার, হইয়া গ্যালো পাপলু এম্পি। কিন্তু ঐযে কইছিলাম স্থানীয় আম্লিগ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বানের পর দাবাড় চাল দিছে। হেরা যাস্ট কুয়েত এবং বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ কইরা চোর ধরায় দেছে, আর সাথে মিডিয়ায় কয়েকটা নিউজ করাইছে, ব্যাস তাতেই চেক এন্ড মিট!
এহন আবার নির্বাচন, অবশ্য আম্লিগ আর জাতীয় পাটিরে মাইক নিয়ে কয়দিন এলাকায় শব্দ দূষণ করতে দেখছি, যদিও অযথা এসবের দরকার আছিলো না। আইজকে আবার লাভ সমেত ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার রিক্সা ভাড়ার অফার দিতাছে, এইটারও দরকার আছিলো না। বৃষ্টির মধ্যে কি দরকার মানুষরে টানা হেচড়া করার, ওরা ওরাই তো গতবারের মতো এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সিল মাইরে দিবার পারে।
গতকালই আহমদ ছফার 'যদ্যপি আমার গুরু' শেষ করলাম তো, তার রেশ কিছুটা রইয়া গেছে। তাই লেখায় অধ্যপক রাজ্জাক স্যারের মতো ঢাকাইয়া (কেরানীগঞ্জ) ভাষার কিছুটা টান চইলা আইছে।
২| ২১ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: আসল খবর তো বললেন না।ভোট দিতে গেছিলেন কি?
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪
হাবিব বলেছেন: নির্বাচনের কি দরকার কি আছে বাংলাদেশে?