নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারো শেখানো কথা বলতে রাজি নই,
যা দেখি তার আলোকে কথা তৈরি করতে চাই।
কারো বানানো পথে অন্ধের মতো চলি না,
খোলা চোখে প্রতি পদক্ষেপে পথ বুনে যাই।
তাই প্রথমেই বাস্তবতার নিরিখে দুটো বিষয়ে সংজ্ঞায়ন করতে চাই।
১.বাক স্বাধীনতা কি?
যে বক্তব্য পশ্চিমা স্বার্থে কোন রকম ক্ষতি করবে না বা পশ্চিমা স্বার্থের পক্ষে, তা বলতে পারার স্বাধীনতাই বাক স্বাধীনতা।
২. সন্ত্রাসবাদ কি?
পশ্চিমা স্বার্থে বিরোধী বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডই সন্ত্রাসবাদ। অর্থাৎ, মানবাধিকারের কথা বলে পুঁজিবাদ কায়েম ও সাম্রাজ্য বিস্তারে পশ্চিমাদের লাখলাখ মানুষ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলা বা লড়াই করাকে সন্ত্রাসবাদ বলে।
এবার মূল কথায় আসি--
তালেবানের আফগান দখল নিয়ে ইতিমধ্যেই এ দেশের মানুষ দুটো দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। না, এ ব্যপারে কোন দলের পক্ষে নই। কারণ আগেও বলেছি, আবারো বলছি, তালেবান নিয়ে যতটুকু জানাশোনা তা পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি মিডিয়া গুলোও ঐ পশ্চিমা মিডিয়ার বরাতেই সংবাদ প্রচার করে থাকে। আর এসব বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার নিউজ আমারকাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়, এরা মূলত পশ্চিমা স্বার্থ হাসিলে নানান রকম ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়েই সংবাদ প্রচার করে থাকে।
সুতরাং, তালেবান বিষয়ে পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করে মন্তব্য করা, আর কারো সম্পর্কে সঠিক ভাবে না জেনে অন্ধের মতো মন্তব্য করা একই কথা। তাই এ ব্যপারে আপাততো মন্তব্য নয়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, "গাছ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়"। সুতরাং আগামী দিনগুলোতে তাদের কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্র পরিচালনা দেখেই তাদের তাদের পরিচয় পরিষ্কার হবে।
তবে এখানে একটা বিষয় আবারো উল্লেখ করতে চাই, তালেবানের সমালোচনার ক্ষেত্রে সাধারণত নারীদের ব্যপারে তাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে আনা হয়। এমনকি তা বিশ্বাসযোগ্য করতে অনেক আফগান নারীর বক্তব্যও তুলে ধরা হয়, কিন্ত এটাতো ঠিক যে অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া মানুষ আগেও ছিলো, এখনো আছে (আমি বলছি না যে, যেসমস্ত আফগান নারী পশ্চিমা মিডিয়ায় তা*লে*বা*ন বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে তারা টাকার বিনিময়েই দিয়েছে, শুধুমাত্র এই ফ্যাক্টরটাও বিবেচনায় রাখতে বলছি, এতটুকুই)। কেননা খোদ পশ্চিমা নারী সাংবাদিকই যখন তালেবানের বন্দিদশা হতে মুক্ত হয়ে এসে যখন ইসলাম গ্রহন করে, তখন কি নারীদের নিয়ে তালেবানের সমালোচনা প্রশ্নবিদ্ধ হয় না?? (১)
পাদটিকা (১)
১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আচ্ছা পুরোনো ইসেব না হয় বাদই দিলাম, শুধুমাত্র একবিংশ শতাব্দির কথাই না হয় বলি, এ শতাব্দিতেই কারা বেশি মানুষ খুন করেছে? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা??
লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করলো কারা? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা??
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬
সাসুম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
আস্তে আস্তে তালেবান জংগি প্রিয় মানুষদের লিখা আসছে।
আল্লাহ আকবর।
আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান
১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আচ্ছা পুরোনো ইসেব না হয় বাদই দিলাম, শুধুমাত্র একবিংশ শতাব্দির কথাই না হয় বলি, এ শতাব্দিতেই কারা বেশি মানুষ খুন করেছে? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা??
লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করলো কারা? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা??
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০১
রক্তহীন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা পুরোনো ইসেব না হয় বাদই দিলাম, শুধুমাত্র একবিংশ শতাব্দির কথাই না হয় বলি, এ শতাব্দিতেই কারা বেশি মানুষ খুন করেছে? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা?? লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করলো কারা? জংগি তালেবান নাকি মানবতাবাদী আম্রিকা?
আমি : আমি বাকরুদ্ধ। আপনাকে বোঝানো বা তর্ক/বিতর্ক করার যোগ্যতা আমার নেই। সরি।
১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আপনার বোঝার ভুল হচ্ছে। কোন হত্যাকারিই সমর্থন যোগ্য নয়। কথা হচ্ছে যাদের হাতে বেশি মানুষ মারা গেল তারা বলা হয় মানবতাবাদী আর অন্যরা জঙ্গী? এইডা কেমন বিচার রে ভাই?
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৪
সাজিদ! বলেছেন: আচ্ছা পুরোনো ইসেব না হয় বাদই দিলাম।
১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আপনার বোঝার ভুল হচ্ছে। কোন হত্যাকারিই সমর্থন যোগ্য নয়। কথা হচ্ছে যাদের হাতে বেশি মানুষ মারা গেল তারা বলা হয় মানবতাবাদী আর অন্যরা জঙ্গী? এইডা কেমন বিচার রে ভাই?
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কিছু বলার নাই।
১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
ঠিকআছে
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
নতুন বলেছেন: একটা জিঙ্গাসা। আপনি পরিবার নিয়ে আফগানের ইসলামী খেলাফতে বসবাস করতে হিজরত করবেন না কি ইউরোপের কোন দেশে থাকতে পছন্দ করবেন?
আপনি যদি নিজের পরিবারের জন্য ইসলামী খেলাফতকে পছন্দ না করেন তবে আফগানিদের জন্য সেটা কেন ভালো বলছেন?
১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আমার দেশ বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশেই থাকতে পছন্দ করবো। না ইউরোপ না আফগান। হ্যা তবে এটা ঠিক যে বাঙ্গালি ইউরোপ যাওয়ার জন্য পাগল, তবে আমি নই, হলে আরো আগেই যেতাম। ইউরোপিয়ানদের শহরটা যত চকচকে ভেতরটা ততো অন্ধকার, উপরে উপরে যতই আনন্দ দেখা যাক, তাদের ভেতরটা হতাশার। বিশ্বের আত্মহত্যা বেশি হয় ঐ ইউরোপেই, সেদিন দেখলাম জার্মানিতে আত্মহত্যার জন্য বিশেষায়িত একটা জঙ্গলই আছে, যেখানে গিয়ে মানুষ সর্বদাই আত্মহত্যা করছে!
বাক স্বাধীনতার যে কথা তারা বলে তারও সীমাবদ্ধতা আছে।
গতবছর ফ্রান্সে রাসূল (সঃ) এর কার্টুন আঁকা হলে তাকে বাক স্বাধীনতা আখ্যা দেয়া হলো, অথচ কিছুদিন আগেই যখন সেদেশের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর কার্টুন আঁকা হলো তখন কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো,এই হচ্ছে তাদের বাকস্বাধীনতা।
আপনি সব বলতে পারবেন কিন্তু ইউরোপের মধ্যে আপনি ইহুদি হলোকাস্ট নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না, সেখানকার ম্যাক্সিমাম রাষ্ট্র একেবাড়ে সংসদে আইন পাশ করে হলোকাস্ট নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ এমনকি কোন প্রকার গবেষণাও নিষিদ্ধ। তাদের বাকস্বাধীনতার এমন বহু উদাহরণ দেয়া যায়, কিন্তু কথা হচ্ছে এসব নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা নেই, তাই আমরা জানিও না। কিন্তু তালেবান তথা তাদের জন্য যারা সমস্যা এদের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে নেতিবাচক খবরে মশলা মিশিয়ে আরো মুখরোচক করে তুলে ধরা হয় পম্চিমা মিডিয়ায়, এবং সেখান থেকে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যায়। তাদের নিয়ে মিডিয়ায় যে আলোচনাটুকু হয় তাতে কেবল তাদের মানবতাবাদীই হিসেবে তুলে ধরা হয়। অথচ একবিংশ শতাব্দীতে এই ইউরোপ আমেরিকার হাতেই বিশ্বের সর্বাধিক মানুষ হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছে। সন্ত্রাস দমনের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে লাখ লাখ মানুষকে তারা খুন করেছে। তার সন্ত্রাসদমনের কথা বলে, অথচ যেই ইসরাইল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে প্রতিনিয়তই ফিলিস্তিনের মানুষকে তাদের ভিটেমাটি হতে উচ্ছেদ করে দিচ্ছে, সেই ইসরাইলকে আক্রমনতো দূরে থাক উল্টা সহায়তা করে যাচ্ছে।
কিসের প্রমিসল্যান্ড কিসের কি আসল হচ্ছে আমেরিকান স্বার্থ, বিশ্বাস না হলে বর্তমান বাইডেন আরো ৩৫ বছর আগে কি বলেছে সেটাই শুনেন এখানে ক্লিক করে
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪২
রক্তহীন বলেছেন: কেউ শতভাগ ভালো না। আর তালেবান তো ১ভাগও না।আত্মঘাতি বোমা হামলা চালিয়ে বাচ্চা মারে এরা। আবার দায় স্বীকার করে।