নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুয়েটের অল্প সময়ের শিক্ষকতা জীবনে অনেকগুলো বিয়ের ঘটকালি করার সুযোগ হয়েছিল। সমবয়সী তরুণ শিক্ষক এবং বুয়েট গ্রেজুয়েট ইঞ্জিনীয়ারদের বড় একটা লিষ্টের জন্য পাত্রী খুজতাম। বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকদের মেয়ে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের মধ্যেই অধিকাংশ পাত্রী পাওয়া যেত।
গত বিশ বৎসর ঘটকালির কাজ করি নাই। এখন বয়সের অন্য ধাপে এসে বন্ধুদের ছেলেমেয়েদের (এবং নিকট ভবিষ্যতে নিজের ছেলেমেয়েদের) বিয়ের জন্য আবার এই ঘটকালি জগতে প্রবেশ করতে হয়। পচিঁশ বৎসর আগে আমার হাতে পাত্র ছিল অনেক, পাত্রী খুজতাম তখন। এখন পুরো উল্টো। বাংলাদেশে এবং ইউকেতে সবখানেই পাত্রীর সংখ্যা অনেক, পাত্র অনেক কম।
সবচেয়ে বড় কারণ: পচিঁশ বৎসর আগে, মেয়েরা পড়াশুনা শেষ করার জন্য বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান এতটা করত না। এখন মেয়েরা এবং তাদের পিতামাতারা বেশী ক্যারিয়ার সচেতন হয়ে গিয়েছে। পাশ করা এবং চাকুরী শুরু করা না পর্যন্ত বিয়ের কথা চিন্তা করছে না। কিন্তু ছেলেদের এবং পাত্র পক্ষের মানসিকতা বড় দাগে একই রয়ে গেছে - "কুড়িতে বুড়ি" (I tried to draw a general perception of our people that remained the same - in spite of the so-called progressive mentally)। যতই উচ্চ শিক্ষিত এবং বেশী বেতনে চাকুরী করুক, মেয়েদের বিয়ের বাজারে এখনো (হয়তো কখনোই) তা সবচেয়ে বড় নিয়ামক না। ফলে, মেয়েদের বয়স বাড়ছে, কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না, বিয়ের সম্ভাবনাও কমছে বয়সের ব্যস্তানুপাতে।
বাংলাদেশের তুলনায় ইউকেতে বাংলাদেশী মেয়েদের অবস্থা আরো ভয়াবহ! উচ্চ শিক্ষিত, বেশী বেতনে চাকুরী করা মেয়েরা প্রথম প্রথম ইউনিভার্সিটি গ্রেজুয়েট ছেলে খুজতে থাকলেও আনুমানিক ৩৫ বৎসর বয়সের পর আর ইগো ধরে রাখতে পারে না। আজ সকালে আমার সহধর্মিণীর কাছে শুনলাম আমাদের পরিচিত এক মহিলা ডাক্তার একজন ননপ্রফেশানাল পুরুষের ২য় স্ত্রী হবার পথে অগ্রসর হচ্ছে। (that lady doctor is now frustrated why she refused her marriage proposal during her student life!)
উপসংহারে এই কথা বলব, মেয়েদের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশী জোর দেয়া এবং সংসারকে কম গুরুত্ব দেয়ার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এবং মেয়েদের নিজেদের জীবনও কষ্টকর হচ্ছে - এক পর্যায়ে একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে ভয়ংকর ভাবে প্রতারিত হচ্ছে। মেয়েরা উপার্জন না করলে, অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের অধীনে থাকলে নানানভাবে পুরুষের নিকট নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। আবার এই সমস্যা থেকে উত্তরণে যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে যাচ্ছে তখন যেজন্য স্বাবলম্বী হয়েছে সেটাই আর পেতে পারছে না!
লেখক -অহিদুল আলম।
রাগবী, ইউকে
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
একদমই
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন অনেক উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত মেয়েই বিয়ে করতে চায় না। বিয়ে করলে তাদের স্বাধীনতা নষ্ট হয় এই কারণে। বিয়ে না করে অনেক মেয়ে ভালো আছে। ভবিষ্যতে এই দেশেও বিয়ের প্রথা হয়তো থাকবে না। উচ্চ শিক্ষিত অনেক ছেলেও বিয়ে করতে চায় না। আমাদের সমাজ ভবিষ্যতে পশ্চিমের মত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মানুষ একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল, এমনকি মানুষই একমাত্র প্রানি যে তাঁর স্বজাতের অপরের সহায়তা ছাড়া সভ্যভাবে জীবনযাপন করতে পারে না, কারন মানুষ তাঁর জীবন ধারণের সকল উপাদান নিজে যোগান দিতে পারে না। সে একা ভালো থাকতে পারে না, যারা বলে ভালো আছে তাঁরা মুলত ইগো রক্ষা করতে গিতে নিজেকে লুকানোর চেষ্ঠা করে, লোকলজ্জার কারণে ভালো থাকার অভিনয় করে। তাছাড়া একটা প্রবাদ তো আছেই 'আঙ্গুরফল টক'।
আরেকটা কথা, নারী পুরুষ বিয়ে না হলে মানবসভ্যতা কয়বছর টিকবে? এত টাকা পয়শা কী দিয়েছে, আত্মহত্যায় তাঁরা এগিয়ে।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১
বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: এই মেয়েগুলোই অফিসে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহজ শিকারে পরিনত হয়।
মুখে থাকে মেকআপ আর মেকি হাসি। নিরন্তর করে যেতে হয় ভাল থাকার অভিনয়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
সেদিন দেখলাম এক মেয়ে স্বামী পায়ের উপর পা তুলে চা আনতে অর্ডার দেওয়ায় স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে এসেছে। এখন সে স্বাবলম্বী এবং ক্ষমতাসীন নারী, বিমানবালা হয়ে কেবল চা নয় মানুষের মদের অর্ডারও তাঁকে সার্ফ করতে হয়।
আসলে কি জানেন, নারীর কমন ক্যারেক্টারেস্টিক হচ্ছে সে নিজেকে একজন বিশ্বস্ত পুরুষের অধীনে নিরাপদ মনে করে, এবং এতে তার মধ্যে এক ঐশ্বরিক ভালোলাগা কাজ করে। খেয়াল করবেন নারী স্বেচ্ছায় তাঁর নামের সাথে স্বামীর নামের একটা অংশ যুক্ত করে নেয়, এবং এটা সে ভালোলাগা থেকেই করে। নারী অধিকারের অগ্রদূত, বেগম রোকেয়া শাখওয়াত , সুফিয়া কামাল তারাও অকপটে এটা করেছে। নেহেরুর মেয়ে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা প্রিয়দর্শনী নিজের নামের সাথে স্বামীর নাম যুক্ত করে হয়ে যান ইন্দ্রিরা গান্ধী । আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নামও অনেক জায়গায় দেখছি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ । নারীবাদ নারীর এই ক্যারেক্টারেস্টিককে কি আমলেই নেয়?
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২০
রবিন.হুড বলেছেন: সমস্যা দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে। সমাধন কোথায়? মেয়েদের মতামত কি?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মেয়েরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। এখানে ক্লিক করে এই লেখাটা পড়তে পারেন, একটা দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্ঠা করেছি।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা ৩৬ বছর বয়সী মেয়েকে চিনি যে খুবই উচ্চ শিক্ষিত এবং খুবই প্রতিষ্ঠিত। এই অতি প্রতিষ্ঠা তার বিয়ের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার চেয়ে বয়সে বড় প্রতিষ্ঠিত পাত্র খুঁজতে খুঁজতে সে হয়রান। আমি প্রায় বছর খানেক এই মেয়ের জন্য পাত্র খুজেছি। ব্যাটে বলে মেলে না। একটা পাত্র খুব আগ্রহ দেখিয়েছিল। সে প্রবাসে থাকে। কিন্তু এই মেয়ে বাংলাদেশ চাকরী এবং ব্যবসা করে। যার কারণে পাত্র পক্ষের প্রবল আগ্রহ সত্ত্বেও বিয়েটা আর করানো গেল না। এই মেয়েটা এক সময় প্রচুর অফার পেয়েছে। দুই একজনের সাথে প্রেমও করেছে বিভিন্ন সময়। এক ছেলে তাকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিল। কিন্তু ক্যারিয়ার এবং পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তখন সে বিয়ে করতে রাজী হয় নি। মেয়েটার পরিবারে কিছু পারিবারিক কলহ ছিল। এই কারণে তার মা এবং এক ভাই তার উপর নির্ভরশীল ছিল। এই মেয়েটা ঐ ছেলেকে ধরে জোর করে আরেক মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। ছেলেটা কিছুতেই রাজী হতে চাচ্ছিল না। আরেকটা পাকিস্তানি ছেলের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। সেটাও ক্যারিয়ার এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে বাস্তবে রূপ নেয় নি। এখন মেয়েটা অনেক প্রতিষ্ঠিত। ফেইসবুকে শুধু প্রেমের কবিতার পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে। আশা করি সে একটা ভালো ছেলে পেয়ে যাবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আমার পরিচিত এক আপু অনেক বেছে বেছে শেষ পর্যন্ত ৪০ বছর বয়সে অনেককিছু সেক্রিফাইস করে বিয়ে করেছে।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: ছেলে মেয়েরা এখনো একে আপরকে চিনে না।আর কবে চিনবে।বুয়েট মেডিকেল কি মাদ্রাসা হয়ে গেলো।তাদের মিলানের জন্য ঘটক পাখি ভাইকে লাগবে।আর কবে তারা মানুষ হবে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মানুষ তো প্রকৃতির অংশ। কিন্তু আপনারা এটা আমলে না নিয়ে মুলত মানুষকে রোবট হতে বলেন। অপ্সরা নামক আইডি হতে করা মন্তব্যের উত্তরটা আপনিও পড়েন। প্রকৃতিকে অস্বীকার করে মানবজাতির পরিবর্তন বা উন্নয়ন মানবজাতির ধ্বংস ডেকে আনবে। প্রকৃতি সাথে সমন্বয় করেই মানবজাতির উন্নয়নের রোডম্যাপ অঙ্কন করতে হবে।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশে পাত্রী খোঁজাটা আমার জন্য জরুরী ছিলো না। ইচ্ছে করলেই প্রবাসে স্বজাতির অথবা ভিন্ন জাতি বা বর্ণের কাউকে বিয়ে করতে পারতাম, তবে বিয়ে এবং সংসারের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গিও আমার ততটা ভালো লাগে নি। নিজ দেশে গিয়েও বর্তমান সময়ের মেয়েদের আচার-আচরণ, কথা-বার্তা আমার পছন্দ হয় নি। একজন তো আমাকে রীতিমত ডিরেকশন দেয়া শুরু করলো, কি করতে পারবো বা পারবোনা বলে দিচ্ছিলো, অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেল যে দু'পরিবারের মত থাকা সত্ত্বেও আমি আর আগাই নি। স্বাবলম্বী হওয়া বা ক'টা টাকা আর করার মানেই মেয়ে হয়েও পুরুষসুলভ আচরণ করা নয়। এটা নারীরা যতদিন না বুঝবে তাদের জন্য উপদেশ একটাই, "গেট এ ডগ এ্যান্ড ডাই এ্যালোন"।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
নারীর মধ্যে আছে সিদ্ধান্তহীনতা, কি করতে হবে সেটা সে বুঝতে পারছে না, স্রোতে গা ভাসাচ্ছে। পুরুষের আছে আগ্রাসী মনভাব।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম, এটা নারীর উভয় সংকট নয়। প্রতিষ্ঠিত হয়েও নারী তার স্বভাব সুলভ আচরণ করবে এটাই প্রত্যাশিত। নারী তার সংকট নিজেই তৈরী করেছে আর এর সমাধান তাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে। একজন প্রতিষ্ঠিত এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পুরুষের কাছে একজন নারী কত টাকা আর করেন, সেটা কোনদিনও গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার নারীসুলভ বৈশিষ্ট্য। ধন্যবাদ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এখানে ক্লিক করে এই লেখাটা পড়ুন। অপ্সরা নামক আইডি হতে করা মন্তব্যের উত্তরটাও পড়ুন
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটাকে সংকট বলে মনে হয় না ।
এটা এক সময় স্বাভাবিক হয়ে যাবে । তবে এখানে সমস্যা হলো উন্মুক্ত সম্পর্ক , এটা তরুণরা বেশি জড়িয়ে পড়ছে । এটাই হল প্রধান অন্তরায় !!
বিয়ে নিয়ে এক সময় মানুষ বেশি হতাশ ও আশাবাদী হয় তাই এই সমস্যা । এটাকে একদম ধর্তব্যে আনা উচিত না !! এটা আমার মন্তব্য !!
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এটা স্বাভাবিক হতে হতে মানবজাতিই হয়তো বিলুপ্ত হবে। কারণ বিয়ে না করলে বিস্তার হবে না। ইতিমধ্যেই বহু দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাইনাসে নেমে গেছে। এখানে ক্লিক করুন এই লেখায় তার কিছুটা তথ্য সহ দেওয়া আছে।
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০১
অপ্সরা বলেছেন: নারীদের উপর দিনের পর দিন সংসারের অত্যাচার, শ্বাশুড়িআম্মার যন্ত্রনা, নারীদেরকে বাসার কাজের মানুষ মনে করা এসবই নারীকে স্বাবলম্বী ও বিবাহ বিমুখ হতে সহায়তা করেছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
শ্বাশুড়িআম্মা কা নারী না? এখানে ক্লিক করে আমার এই লেখাট পড়তে পারেন। নারীর নির্যাতনে নারীর দায়ও একবারে কম না।
আপনি বলেছেন, নারীদের উপর দিনের পর দিন সংসারের অত্যাচার, শ্বাশুড়িআম্মার যন্ত্রনা, নারীদেরকে বাসার কাজের মানুষ মনে করা এসবই নারীকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে।
আমার মনে হয় কথাটা এমন হবে, নারীদের উপর দিনের পর দিন সংসারের অত্যাচার, শ্বাশুড়িআম্মার যন্ত্রনা, নারীদেরকে বাসার কাজের মানুষ মনে করা এসবই নারীকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা নয় মোটিভেট করেছে।
আর বিবাহ বিমুখ নয়, বিবাহে ভীতি সঞ্চার করছে। যদি বিমুখই করত তাহলে পড়াশুনা শেষ করে চাকরি পাবার পর, কেন বিয়ের চেষ্ঠা করছে?
এটা ঠিক যে, পুরুষের কাছে নারী নানান নেতিবাচক অভিজ্ঞতার স্বীকার হচ্ছে। কিন্তু পুরুষ যে কষ্ট করে সেটা কিন্তু নারীর জন্যই করে, এটাও মানতে হবে। আমার এক কাজিন ৩০ লাখ খরচ করে গ্রামে ঘর করেছে, তাঁকে জিজ্ঞাস করলাম, এতটাকা করচ করে কেন ঘর করলি? সে বলল, বিয়ের পর বউরে রাখার জন্য। বউয়ের চিন্তা মাথায় না থাকলে সে শুধুমাত্র নিজের থাকার জন্য এমনটা করত না। কোন নারী কি কখনো স্বামীকে রাখার জন্য ঘর বানানর চিন্তা করে? না করে না। নারী পুরুষের চিন্তায় বিস্তর পার্থক্য, এটা সহজাত বিষয়। কিন্তু আধুনিক সমাজ এটাকে কখনো চিন্তাই করে না। নারীর চাওয়া হচ্ছে, তাঁর বর তাঁর থেকে বয়সে বড় হবে, লম্বায় বড় হবে, শিক্ষায় বড় হবে। শিক্ষায় ছাড় দিলেও বয়স এবং উচ্চতায় ছাড় কখনোই দেবে না। এগুলা কেঊ নারীর উপর চাপায় দেয়নি, এটা একেবারে প্রাকৃতিক, এবং খেয়াল করবেন গরপরতায় নারীর চেয়ে পুরুষ লম্বা হয়। প্রাকৃতিক এই বিষয় গুলোকে ইগনোর করে নারীর সমস্যার সমাধান সম্ভাব না। কেন নারী বিয়ের পর বরের নামের এক অংশ কেটে নিজের নামের সাথে লাগায়? সাধারণ নারীদের কথা না হয় নাই বললাম নারী অধিকারের অগ্রদূত, বেগম রোকেয়া শাখওয়াত , সুফিয়া কামাল তারাও অকপটে এটা করেছে। নেহেরুর মেয়ে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা প্রিয়দর্শনী নিজের নামের সাথে স্বামীর নাম যুক্ত করে ইন্দ্রিরা গান্ধী হয়েছে । আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নামও অনেক জায়গায় দেখছি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। আমি মনে করি এটা ভালোবাসা থেকে করে, নারী নিজেকে একজন বিশ্বাস্ত পুরুষের অংশ মনে করে এক ঐশ্বরিক ভালোলাগা অনুভব করে (এটা ঠিক যে অনেক পুরুষই এই বিশাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না)। আধুনিক সমাজ নারীর এই মনস্তত্ত্বকে আমলে নেয় না সম্মান করে না।
নারীদের নিয়ে আমার আরও কিছু লেখা আছে। আমি মনেকরি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাথে সমন্বয় করেই নারী পুরুষের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে। আমার মনে হয়না নারীদের নিয়ে এভাবে আগে কেউ বলেছে। আমার লেখাগুল পড়তে পারেন। আপনি আমার সাথে একমত বা দ্বিমত হতেই পারেন, তবে আমার লেখাগুল বাস্তবতা এবং প্রাকৃতির সাথে মিলিয়ে দেখতে বলবো।
এখানে ক্লিক করে ১নং লেখাটা পড়ুন
এখানে ক্লিক করে ২নং লেখাটা পড়ুন
এখানে ক্লিক করে ৩ নং লেখাটা পড়ুন
এখানে ক্লিক করে ৪নং লেখাটা পড়ুন
ধন্যবাদ
১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: অপসরার মন্তব্যের উত্তর পড়তে বলেছিলেন।অপসরার মন্তব্য ছিলো আধুনিক চিন্তার প্রতিফলন আর আপনারটা ছিলো মান্ধাতা আমলের গদবাধা কিছু কথা।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এটা আপনার মনগড়া বক্তব্য মাত্র। বক্তব্যের স্বপক্ষে কোন যুক্তি দেখান নাই। কোন বক্তব্য তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন এর পেছনে যুক্তি দ্বার করানো হয়।
১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১০
নতুন বলেছেন: উপসংহারে এই কথা বলব, মেয়েদের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশী জোর দেয়া এবং সংসারকে কম গুরুত্ব দেয়ার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এবং মেয়েদের নিজেদের জীবনও কষ্টকর হচ্ছে - এক পর্যায়ে একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে ভয়ংকর ভাবে প্রতারিত হচ্ছে। মেয়েরা উপার্জন না করলে, অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের অধীনে থাকলে নানানভাবে পুরুষের নিকট নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। আবার এই সমস্যা থেকে উত্তরণে যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে যাচ্ছে তখন যেজন্য স্বাবলম্বী হয়েছে সেটাই আর পেতে পারছে না!
অনেকেই চিরকুমার/কুমারী থাকে, ক্যারিয়ার নিয়ে জোর দিয়ে বিয়ে করছে না এমন নারীর হার কি খুব বেশী?
বিয়ে না হবার পেছনে অনেক কারন থাকে, যখন মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না তখন সে পড়াশুনা চালিয়ে যায়। কিন্তু সমাজে কিছু পুরুষ যারা বাল্যবিবাহ পছন্দ, নারীদের কথাবলা পছন্দ করেনা তারা বয়স হবার পরেও বিয়ে না হবার পেছনে ক্যারিয়ারের সমস্যাটাই হাইলাইট করেন।
আমার মনে হয় কোন নারী সুধুই পড়াশুনা বা ক্যারিয়ারের জন্য বিয়ে করছেন না এমনটার সংখ্যা ১% ও না। বরং অন্য কোন কারন আছে। পারিবারিক, প্রেম, ছোট বেলায় এবিউজ সহ অনেক কারন থাকতে পারে.... কিন্তু সব সময় হাইলাইট হয় পড়াশুনা/ক্যারিয়ার...
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আমার মনে হয় কোন নারী সুধুই পড়াশুনা বা ক্যারিয়ারের জন্য বিয়ে করছেন না এমনটার সংখ্যা ১% ও না।
মনে হয়? কিন্তু আপনার মনে হলেই তা সত্যি হয় না
১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত আমাদের দেশের নারীরা দুঃখী।
হোক সে অনার্স-মাস্টার্স করা মেয়ে, হোক সে গার্মেন্সে কাজ করা মেয়ে অথবা হোক সে বাসা বাড়ির বুয়া।
এজন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। নিচু মানের শিক্ষা। এবং সঠিক পারিবারিক শিক্ষা না পাওয়া।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
তবে এর মৌলিক কারণ হচ্ছে লোভ এবং আমিত্ব। ধর্ম মানুষকে লোভ এবং আমিত্ব সংবরণ করার শিক্ষা দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জ্বলন্ত বাস্তবতা।